ডাইভিং লাইসেন্সের জন্য যা যা প্রয়োজন হয় এ সম্পর্কে জানুন

লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যা যা প্রয়োজন হয় আমাদের মধ্যে অনেকে সঠিক কাগজপত্র সম্পর্কে অজানা আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন

ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্ড যেটা এনআইডি কার্ডের মতই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকাটা একটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য যারা ড্রাইভিং করেন তাদের জন্য অপরিহার্য ভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স

পেজ সূচিপত্রঃ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যা যা প্রয়োজন জরুরি ভাবে জানুন

• ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যা যা প্রয়োজন
• ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন করবেন
• ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কেমন খরচ হয়
• মোটরসাইকেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত
• কার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি কত
• ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
• ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যে সমস্ত প্রশ্ন উত্তর হয়ে থাকে
• পরীক্ষার সঠিক উত্তর প্রদান করার কৌশল
• মৌখিক প্রশ্ন উত্তীর্ণ হওয়ার উপায়
• আমাদের শেষ কথা

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যা যা প্রয়োজন

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যা যা প্রয়োজন সেগুলো হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আপনি যদি একজন ভাল ড্রাইভার হতে চান সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে লাইসেন্স গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ আর যদি আপনার লাইসেন্স না থাকে সেক্ষেত্রে একজন অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন চলুন আমরা আর দেরি না করে জেনে নেই

1. আপনার এন আইডি কার্ডের ফটোকপি বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে
2. আপনার বয়স সর্বনিম্ন আঠারো বছর হতে হবে
3. আপনার স্কুল বা কলেজের সার্টিফিকেট এর ফটোকপি লাগতে পারে
4. আপনার পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি লাগবে
5. আপনার মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা সনদপত্র লাগবে সেটা যেন সরকারি ডাক্তার দ্বারা স্বাক্ষরিত হয় বা সত্যায়িত থাকে
6. আপনার লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ অনুমোদি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ট্রেনিং সার্টিফিকেট লাগবে
7. এবং ফরম পূরণ করার জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে
8. তারপরে আপনাকে নির্ধারিত দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য একটি পরীক্ষা দিতে হবে
9. আপনি যদি মূল পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন এর পরে আপনাকে ডাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে

ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন করবেন

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যা যা করতে হয় সেগুলো পূরণ করার পরে এই লাইসেন্স করার কারণ সঠিক ভাবে জানতে পারবেন লাইসেন্স করার কারণ হলো আপনি একটি গাড়ির ড্রাইভিং করার ক্ষেত্রে

গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়ে যাবেন কারণ লাইসেন্স না থাকলে আপনাকে কেউ ড্রাইভিং এর অনুমতি দেবে না এজন্য লাইসেন্স করার দরকার অবশ্যই আছে ভবিষ্যৎ কোনো কারণবশত নিজে চলাফেরা করার জন্য হঠাৎই প্রয়োজন হতে পারে ড্রাইভিং করার তাই লাইসেন্স আমাদের জীবনের নিরাপত্তা একটু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

বৈধতা লাইসেন্স যদি থাকে সেক্ষেত্রে আপনি একজন ট্রাফিক আইন মেনে সঠিক ভাবে গাড়ি চালাতে পারবেন আর যদি এই বৈধ লাইসেন্স আপনার না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি আইনগতভাবে ফেঁসে যেতে পারেন যা অপরাধী হিসেবে গণ্য হতে পারেন যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনার নামে মামলা হয়ে যেতে পারে

আরো পড়ুনঃপ্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে জানুন 

ড্রাইভিং লাইসেন্স আপনার পরিচয় পত্র হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে বিশেষ করে ব্যাংকিং চাকরি পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরিচয় থাকে শুধু তাই নয় আপনার ইন্সুরেন্স করার ক্ষেত্রে জরিমানা হয়ে যেতে পারে তাই এক কথায় আপনার জীবন নিরাপত্তার জন্য একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করা জরুরি

এছাড়া আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না করেন সে ক্ষেত্রে আপনি বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে পড়তে পারেন যেমন লাইসেন্সবিহীন ভাবে যদি কোন রকম ভাবে ট্রাফিকের কাছে ধরা খেয়ে যান সে ক্ষেত্রে আপনাকে জরিমানা সহ কারাদণ্ড হতে পারে তাই সব সময় নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজন আছে

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কেমন খরচ হয়

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেগুলো উপরে আর্টিকেলে বলা হয়েছে এখন ডাইসের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত খরচ হয় এ সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আমি বলব ড্রাইভিং লাইসেন্সের লার্নার এর জন্য একটি স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ফি দিতে হয় সেজন্য গাড়ির উপরে নির্ভর করে কত খরচ পড়বে

তবে এখানে মেয়াদ ভিত্তিক খরচ কর্তন করা হয় যেমন পাঁচ বছর মেয়াদী পেশাদার লাইসেন্সের জন্য ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে ২৭৭২টাকা এর কিছু কম বা বেশি পরিমাণ লাগতে পারে আর যদি দশ বছর মেয়াদে হয় সেক্ষেত্রে আপনার খরচ আসবে ৪৪৯৭ টাকা এর কিছু কম বা বেশি

তো চলুন কোন কোন যানবাহনের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স কত ফি জমা দিতে হয় জেনে নেই

মোটরসাইকেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত

আমরা অধিকাংশই মোটরসাইকেলের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স করে থাকি এজন্য প্রথমেই বলবো মোটরসাইকেল লাইসেন্সের জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে দালাল ব্যতীত যদি আপনি মোটরসাইকেল লাইসেন্স করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ অনেক অংশে কম লাগবে অর্থাৎ নিজের কাজ নিজে করে যে খরচ আসবে ড্রাইভিং লাইসেন্স কম খরচে হয়ে যাবে

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্সের খরচ আসবে লার্নার বাবদ 518 টাকা এবং আপনার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে ৪৪৯৭ টাকা লাগবে এবং প্রফেশনাল ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে ২৭৭২ টাকা আরো জমা দিতে হবে আবার আপনি যদি ডুব্লিকেট লাইসেন্স নিতে চান সেক্ষেত্রে এর ফি বাবদ ৬ ৩৩ টাকা মত জমা দিলে হবে

কার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি কত

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যা যা প্রয়োজন তার মধ্যে বিভিন্ন মোটরযানের ফি কত হয় সেগুলো যেন প্রয়োজন উপরের বর্ণনায় মোটরসাইকেল এর ড্রাইভিং লাইসেন্সের কথা বলা হয়েছে এখন কারের ড্রাইভিং লাইসেন্সের কথা বলা হল কারের ড্রাইভিং লাইসেন্সের দুই রকম ভাবে খরচ হয় একটি হচ্ছে পেশাদার অপরটি হচ্ছে ব্যক্তিগত

পেশাদার লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে কার লার্নার এর জন্য দশ বছর মেয়াদে এবং পাঁচ বছর মেয়াদে রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স লার্নারের জন্য পাঁচ বছরে ৫১৮ টাকার মত লাগবে এবং দশ বছরের স্মার্ট কার্ডের জন্য আপনার খরচ আসবে ৪৫৫৭ টাকার মত এবার

পাঁচ বছর মেয়াদী প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য স্মার্ট কার্ড পেতে হলে আপনাকে ফ্রি ভাবে জমা দিতে হবে ২৮৩২ টাকা

আর দশ বছর মেয়াদী প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য স্মার্ট কার্ড পেতে হলে আপনাকে জমা দিতে হবে ৪২১২ টাকা এবং পাঁচ বছর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নবায়ন করতে লাগবে ২৪৮৭ টাকার মত

আরো পড়ুনঃজীবনে সফলতা হওয়ার মূলমন্ত্র কি সেরা ১৫ টি টিপস সম্পর্কে  জানুন

ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্সের যা যা প্রয়োজন সেগুলো উপরে আর্টিকেলে বর্ণনা করার পরে এখন আবেদন ফরম পূরণ করতে কি কি কাগজপত্র বা ফর পূরণ করতে কোন ধরনের জিনিসপত্র প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো

অবশ্যই এটি অনলাইনের মাধ্যমে ফরম পূরণ করতে হবে

প্রথমে আপনাকে বিআরটি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে bsp.brta.gov.bd এটা লিখলে আপনি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন

এরপর আপনাকে একটি নতুন একাউন্ট তৈরি করতে হবে তারপরে সাইনআপ করে নিতে হবে বা নিবন্ধন করে নিতে হবে

এরপর আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে লগইন করে নিয়ে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন এখানে ক্লিক করতে হবে

এখন আপনার কিছু তথ্য সেখানে দিতে হবে যেমন আপনার নাম আপনার বাবার নাম আপনার জন্মগত তারিখ জাতীয় পরিচয় পত্র আপনার ঠিকানা শিক্ষাগত যোগ্যতা রক্তের গ্রুপ আপনি কোথায় থাকেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

এরপরে আপনাকে পাসপোর্ট সাইজের ছবি ডিজিটাল স্বাক্ষর স্ক্যান করা ছবি সেখানে আপলোড করতে হবে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ছবি যেন স্পষ্ট থাকে

এরপরের লানার জন্য আপনি পরীক্ষা দিতে চান সেটি নির্বাচন করতে হবে বিআরটি নির্ধারণ অফিস নির্ধারণ করতে হবে

সর্বশেষ আপনার আবেদন ফরম সাবমিট করার পরে পরিষদ ফি জমা দিতে হবে এবং একটি রেফারেন্স নাম্বার পাবেন সেটা দিয়ে আপনি বিকাশ নগর ইত্যাদি মাধ্যমে ফি জমা দিয়ে দিতে পারবেন

আপনার আবেদন ফরম যদি সঠিকভাবে সাবমিট করা হয় তাহলে আপনাকে একটি ফর্ম দেয়া হবে আপনি চাইলে সেটি প্রিন্ট করে রাখতে পারেন কেননা পরবর্তীতে আপনার যেকোনো মুহূর্তে প্রয়োজন হতে পারে

আরো পড়ুনঃকর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ও দ্রুত লোন পাওয়ার নিয়ম জানুন

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর যে সমস্ত প্রশ্ন উত্তর হয়ে থাকে

ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে সমস্ত তথ্য লাগে বা জিনিসপত্র লেগে থাকে সেগুলো বর্ণনা করার পরে এখন যে সমস্ত প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন হতে হয় সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হবে আপনাদের সুবিধার জন্য যেমন কি কি প্রয়োজন হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত যাবতীয় প্রশ্ন খুব সুন্দরভাবে এখন আলোচনা করা হবে চলুন যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন আমরা হয়ে থাকি সেগুলো সম্পর্কে একটু অবগত হয়ে আসি

প্রশ্ন: ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় যদি এনআইডি কার্ড না থাকে তাহলে কি করনীয় আছে

উত্তর: ডাইভিং লাইসেন্স করার সময় যদি এন আইডি কার্ড না থাকে সেক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের নাম্বার দেওয়া আপনি লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিতে পারবেন এতে কোন সমস্যা হবে না

প্রশ্ন: একসাথে কি মোটরসাইকেল কারের লাইসেন্স করা যায়

উত্তর: হ্যাঁ আপনি যদি চান সেক্ষেত্রে মোটরসাইকেল এবং কারের লাইসেন্স এর আবেদন করতে পারবেন এজন্য আপনাকে একটু বেশি ফি জমা দিতে হবে তাহলে আপনি দুটি লাইসেন্স পেয়ে যাবেন

প্রশ্ন: লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে কি সমস্যা হতে পারে

উত্তর:আপনি যদি লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালান সে ক্ষেত্রে আপনার যে সমস্যাগুলো হতে পারে যেমন শাস্তির স্বরূপ জরিমানা হতে পারে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আইন অনুযায়ী আপনার ছয় মাসের জেল অথবা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে

প্রশ্ন: অন্য কারো লাইসেন্স দিয়ে কি গাড়ি চালানো যেতে পারে

উত্তর: না আপনি যদি অন্য কারো লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালাতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং জরিমানা করা হতে পারে

প্রশ্ন: স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কতদিন সময় লেগে যেতে পারে

উত্তর: স্মার্ট কার্ড আসতে পারে 40 থেকে 60 কর্ম দিবসের মধ্যে আসতে পারে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জেলা ভিত্তিক সময় কম বেশি হতে পারে

প্রশ্ন: যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স টেস্টে ফেল করে তাহলে আবার কবে পরীক্ষা দিতে হবে

উত্তর: ডাইভিং লাইসেন্স যদি কোন ব্যক্তি ফেল করে সেক্ষেত্রে সাতদিন পরে আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন সে ক্ষেত্রে নতুন করে আবার আবেদন করতে হবে না

প্রশ্ন: ড্রাইভিং কার্ড হারিয়ে গেলে কি করনীয় আছে

উত্তর: ডাইভিং কার্ড যদি কোন ব্যক্তির হারিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে নিকটস্থ থানায় গিয়ে জিডি করতে হবে  এবং বিআরটি এর অফিসে গিয়ে ডুপ্লিকেট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে সেক্ষেত্রে অফিস কিছু টাকা ফি হিসেবে জমা নিবে

প্রশ্ন: ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নতুন করে কিভাবে লাইসেন্স নেওয়া যায়

উত্তর: আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স শেষ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে নতুন করে পরীক্ষা দেয়ার দরকার নেই শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময় নবায়ন করে নিতে হবে এজন্য আপনাকে ফি জমা দিতে হবে.

পরীক্ষার জন্য যেই বই পড়া দরকার

আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যে সমস্ত কাগজ প্রয়োজন সেগুলো জমা দেয়ার পরে যে পরীক্ষা হয়ে থাকে সে পরীক্ষার জন্য আপনাকে যে সমস্ত বইগুলো পড়তে হতে পারে সেগুলো হল 

রোড সেফটি গাইড

ড্রাইভিং লাইসেন্স টেস্ট রিভিউ

এই দুইটি বই যথাযথভাবে মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এছাড়া আপনাকে প্রশ্নের যে সমস্ত চিহ্ন গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে

পরীক্ষার সঠিক উত্তর প্রদান করার কৌশল

আপনি যদি সঠিক উত্তর দিতে সমস্যা মনে করেন সেখানে সেক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন প্রশ্নগুলোকে ধীরে ধীরে পড়তে হবে এবং বোঝার চেষ্টা করতে হবে প্রতিটি প্রশ্নের ভালোভাবে বিশ্লেষণ করুন এরপরে যদি আপনি নিশ্চিত না হন সে ক্ষেত্রে চিন্তা করে উত্তর দিন এবং প্রশ্নগুলোকে পুনরায় রিভাইস করবেন এবং উত্তরগুলোকে দেখে নেবেন ভালোভাবে

এরপরে বেশ কিছু প্রশ্ন আসতে পারে যেগুলো সড়কের আইন ট্রাফিক আইন সম্পর্কিত প্রশ্ন গুলো বেশি বেশি পড়ুন মনে রাখবেন এবং চেষ্টা করবেন প্রশ্নগুলো বেশি বেশি করে পড়ার জন্য এরপরে বুঝে শুনে উত্তর দিলে জ্ঞান অনুযায়ী আশা করছে প্রশ্নগুলো সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন

আরো পড়ুনঃকম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়

মৌখিক প্রশ্ন উত্তীর্ণ হওয়ার উপায়

মৌখিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু টেকনিকে অবলম্বন করতে হবে এখন পরীক্ষা কোনরকম জড়তা রাখা যাবে না সঠিক উত্তর চট করে দিয়ে দিবেন প্রশ্ন করার সাথে সাথে আপনাকে উত্তরগুলো দিয়ে দিতে হবে মনে রাখবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রশ্ন করা হবে সেগুলো আপনার জানা ভিতরে হবে

অফিসের কর্মকর্তা আপনাকে কিছু বিষয়ে প্রশ্ন করবেন যেমন দিক নিদর্শন এর জন্য কিছু প্রশ্ন দেখানো হবে হাতের ইশারায় সেগুলোর উত্তর দিতে হবে এবং কিছু যন্ত্রাংশের নাম জিজ্ঞেস করা হবে এগুলো আর কি

আমাদের শেষ কথা

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন হয় সেগুলো উপর আর্টিকেলে জানলাম তবে পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন সেগুলো সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে এরপরও যদি আপনার মধ্যে কোন জড়তা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন অবশ্যই সফলতা পাওয়ার জন্য কিছু প্রশ্নের আপনাকে মনোযোগী হতে হবে 

সুতরাং পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আপনাকে মনোযোগী হতে হবে যে তারিখে আপনার পরীক্ষার ডেট পড়বে সে তারিখে গিয়ে আপনি পরীক্ষা দিয়ে সফলতা অর্জন করবেন এবং খুব গুরুত্বের সাথে পরীক্ষা দিবেন ভুল থেকে সাবধান হবেন সঠিকভাবে উত্তীর্ণ হবেন এ ধরনের আর্টিকেল পেতে নিয়মিতভাবে পোস্টগুলো পড়বেন এবং শেয়ার করে দিবেন ।