গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন

SOHEL🌄

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা তোলার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানার ইচ্ছা থাকে তবে সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে অনেকে বিভ্রান্তিত পড়ে এজন্য সঠিক তথ্য প্রদানে হয়েছে আর্টিকেলটি তে তাই আর দেরি না করে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন

বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার যে সমস্ত নিয়ম কানুন রয়েছে এবং কত পারসেন্ট কোন লনের ক্ষেত্রে আর কোন কোন বিষয়ে লোন প্রদান করা হয় এই সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হলো ।

পেজ সূচিপত্রঃ গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের নিয়ম সম্পর্কে জরুরী জানুন

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার পদ্ধতি
যারা এই লোন নিতে পারবেন
লোন নেওয়ার পদ্ধতি সমূহ
গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের বিশেষ সুবিধা সমূহ
গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের প্রকারভেদ সমূহ
গ্রামীণ ব্যাংকে সুদের হার কত
লেখকের শেষ কথা

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার পদ্ধতি

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার কিছু নিয়মকানুন বা পদ্ধতি রয়েছে তবে তার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা জরুরী গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে শান্তি নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুস এর নেতৃত্বে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় এটি মূলত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুবিধা নিয়ে আসে যার মাধ্যমে অনেকে এখন স্বাবলম্বী হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং ২০০৬ সালে ডঃ মোঃ ইউনুস শান্তিনগর পুরস্কার লাভ করে থাকেন

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার নিয়ম কানুন এর সাথে আপনাকে ইন্টারেস্ট সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিতে হবে এই লোন মাসিক এবং সাপ্তাহিক এবং দ্বিবার্ষিক নিয়মে গ্রামীণ ব্যাংক দিয়ে থাকে তবে কয়েকটি নিয়ম অনুযায়ী লোনের ইন্টারেস্ট বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে

গ্রামীণ ব্যাংক লোন আপনার নিকটস্থ গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় উপস্থিত হয়ে লোনের আবেদন করতে পারবেন তার আগে অবশ্যই আপনাকে সদস্যপদ লাভ করতে হবে এরপরে ম্যানেজারের সাথে সাক্ষাতের মাধ্যমে লোনের আবেদন ফরম সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে তারপরে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো এডজাস্ট করতে হবে যদি কর্মী খোঁজখবর নিয়ে ম্যানেজারের কাছে সঠিক তথ্য প্রদান করে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার লোন পাস হতে পারে

আরো পড়ুনঃডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সিস্টেম সম্পর্কে জানুন

তবে এখানে কিছু বিশেষ শর্ত রয়েছে যেমন দিবাসিক লোনের ইন্টারেস্ট মাত্র ৬ পার্সেন্ট আবার ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২% এবং মাসিক লোনের ক্ষেত্রে ৮% হয়ে থাকে আর এই ব্যাংক লোন এর মূল উদ্দেশ্য হলো অসহায় গরিব মেহনতি মানুষের জন্য স্বল্পমূল্য ইন্টারেস্টের মাধ্যমে লোন করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা এটাই হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য।

যারা এই লোন নিতে পারবেন

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন তার আগে যারা যোগ্যতা সম্পন্ন হবেন তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি তুলে ধরা হলো

বাংলাদেশ নাগরিক হতে হবে
দারিদ্র বা নিম্ন আয়ের মানুষ হতে হবে
আপনার নিজস্ব কোন আইবা ব্যবসার উদ্যোগ থাকতে হবে
সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়
বয়স হতে হবে সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে

লোন নেওয়ার পদ্ধতি সমূহ

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন পদ্ধতি কিভাবে ম্যানেজমেন্ট করতে হয় এবং কি কি উপায়ে এই লোন পাওয়া যায় কয়েকটি ধাপে আপনি ব্যাংক লোন করতে পারবেন

স্থানীয় গ্রামীণ ব্যাংক শাখা খুঁজে বের করুন

আপনি যেই অঞ্চলে বা স্থানে বসবাস করেন আপনার নিকটস্থ স্থানীয় গ্রামীণ ব্যাংক শাখা খুঁজে বের করতে হবে এবং সশরীরে সরাসরি ম্যানেজারের সাথে বা কর্মীর সাথে যোগাযোগ করে অফিস শাখায় যোগাযোগ করে বিভিন্ন ডকুমেন্টস জমার মাধ্যমে আপনি লোন করতে পারবেন

গুরুপ বা শাখায় যোগ দিন

গ্রামীণ ব্যাংক লোন উত্তোলনের যে নিয়ম কানুন রয়েছে তার মধ্যে প্রথমত আপনাকে যে নিয়ম নীতি মেনে নিতে হবে তা হচ্ছে গ্রুপ বা শাখাতে যোগদান করতে হবে পাঁচ থেকে আট জন সদস্য নিয়ে একটি গ্রুপ নির্ধারিত হয় এই গ্রুপের প্রধান যাকে করা হয় তার অনুমতি ব্যতীত লোন পাস করা হয় না কারণ তাকে দিয়ে সদস্য যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে গ্রুপের সমস্ত সদস্যের সাক্ষ্য নিয়ে এলোন পাস করা হয়ে থাকে

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে

লোন প্রদানের আগে কয়েকটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো যেখানে ঋণের নিয়মাবলী কিস্তি সময়সীমা ইত্যাদি বোঝানো হয়ে থাকে কারণ আপনি সঠিকভাবে লোনের প্রশিক্ষণ না নিলে কিভাবে কিস্তি কত তারিখে কি কি নিয়মে কিস্তি দেয়া লাগে এ বিষয়গুলো বুঝতে নাও পারতে পারেন এবং কত পারসেন্ট ইন্টারেস্ট নিবে এ বিষয়ক কিছু ধারণা দিয়ে থাকে

আরো পড়ুনঃকর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ও দ্রুত লোন পাওয়ার নিয়ম জানুন

আবেদন ফরম পূরণ

গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতির যে আবেদন ফরম পূরণ করা হয়ে থাকে তার মধ্যে কিছু ডকুমেন্টস জুড়িয়ে দিতে হবে যেমন\

নিজস্ব বাড়ি থাকতে হবে

মমিনীর জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে
অথবা এন আই ডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে
সাথে ছবিও জমা দিতে হবে
দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন
ঠিকানা যাচাই কারণ কাগজপত্র
এবং আপনি কি কাজ করেন

ঋণমজুরি ও বিতরণ

গ্রামীণ ব্যাংক লোন প্রদানের যে পদ্ধতি কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে ফরম পূরণ করে আপনার আবেদন ফরম জমা দিতে হবে তারপরে ফর্ম যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে নির্ধারিত তারিখে আপনাকে অ্যাকাউন্ট খুলে লোনের টাকা ওই একাউন্টে জমা হয়ে যাবে আপনি সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন

কিস্তি পরিশোধ প্রক্রিয়া

গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় সাধারণত সাপ্তাহিক লোন পরিশোধ করে থাক করতে হয় আর যারা মাসিক বার্ষিক লোন নিয়ে থাকেন তাদেরকে মাসে মাসে লোন পরিষদ করতে হয় সাপ্তাহিক সেন্টারে মিটিং এর মাধ্যমে আপনার টাকা জমা দিতে হবে কিস্তি আকারে নিয়মিত কিস্তি পরিষদে করার পরে আপনাকে বড় ধরনের লোন দিতে পারে

আরো পড়ুনঃগুগল থেকে টাকা ইনকাম করার সেরা ২০টি উপায়

কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মনে রাখবেন

গ্রামীণ ব্যাংক লোন প্রদান পদ্ধতি নেওয়ার পরে যে সমস্ত জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছে

অবশ্যই নিয়ে ভুলে অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না
সঠিক সময় কিস্তি দিতে হবে
ব্যাংক সবসময় নিয়ম মেনে চলে তাই আপনাকে নিয়ম মেনে চলতে হবে
প্রয়োজনীয় শাখা ব্যবস্থাপনার সাথে পরামর্শ নিতে হবে

গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের বিশেষ সুবিধা সমূহ

গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হলে আমরা আগেই কিছু গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে আলোচনা করেছে তবে এর যে সমস্ত সুবিধা গুলো ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস দিয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে

খুব সহজ পদ্ধতিতে দূরত্ব লোন গ্রহণ করতে পারবেন
লোনের প্রকারভেদ হিসেবে মুনাফার কম বেশি হয়ে থাকে
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সুদের হার অনেকটাই কম হয়ে থাকে
নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট এর প্রতি মাসে টাকা পরিশোধের সুবিধা আছে
শিক্ষার্থী অবস্থায় লোন গ্রহন করলে আপনি যতদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থী থাকবেন ততদিন পর্যন্ত লোন পরিশোধ করতে হবে না
প্রাথমিক অবস্থায় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার লোন দিয়ে থাকে গ্রামীণ ব্যাংক
কৃষি লোন ও ক্ষুদ্র লোন এর ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট অ্যামাউন্টের লোনের টাকা শাখা এসে পরিশোধ করতে হবে
এছাড়াও অল্প কিছু দরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আপনাকে যা উপরে বলা হয়েছে সেগুলো জমা দিতে হবে

গ্রামীণ ব্যাংকের লোনের প্রকারভেদ সমূহ

গ্রামীণ ব্যাংক লোন উত্তোলনের যে পদ্ধতি রয়েছে সে সম্পর্কে উপরের থেকে জানার পরে এখন আমরা জানব গ্রামীণ ব্যাংক কয় প্রকার লোন প্রদান করে থাকে এই বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক মূলত ছয়টি প্রকারে লোন প্রদান করে থাকে সেগুলো হল

গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র লোন
গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোন
গ্রামীণ ব্যাংকের কৃষি লোন
গ্রামীণ ব্যাংক হাউসিং লোন
গ্রামীণ ব্যাংক উদ্যোক্তার লোন
গ্রামীণ ব্যাংক পশুর সম্পদ লোন প্রদান করে থাকে

বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক লোন প্রধান পদ্ধতির যে প্রকারভেদ গুলো উল্লেখ করা হলো এগুলো হচ্ছে অন্যতম আপনারা যদি এই শর্ত মেনে গ্রামীন ব্যাংকের লোন নিতে চান তাহলে লোন গ্রহন করতে পারবেন এছাড়াও ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে এলোন নিতে পারবেন ।

গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র লোন প্রকল্প

গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র লোন প্রকল্প একটি সহজ লোন পদ্ধতি এই লন গ্রহণ করার জন্য একটি পাঁচ সদস্যের দল গঠন করতে হবে তবে দলের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি ভূমিহীন থাকে সেক্ষেত্রে যার জায়গা জমি আছে সেই ব্যক্তি যদি ভূমিহীন ব্যক্তির দায়ভার গ্রহণ করতে হবে তথা দলের বিভক্তি হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবেন না এবং প্রতি সপ্তাহে একজন কর্মী এসে কিস্তি হিসেবে টাকা জমা গ্রহণ করবে

আরো পড়ুনঃGoogle এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় হয় জানুন

এই ক্ষুদ্র লোন প্রকল্প সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা লোন দিয়ে থাকে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণের জন্য আপনার নিকটস্থ গ্রামীণ শাখায় উপস্থিত হয়ে লোন ফর্ম পূরণ করার মাধ্যমে প্রয়োজন ডকুমেন্ট জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন ।

গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোন প্রকল্প

গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা লোন প্রকল্প প্রদান করে থাকে তবে শিক্ষা লোনের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে তার আগে অবশ্যই আপনাকে এক বছরে সদস্য হয়ে থাকতে হবে শিক্ষার্থীর নামের লোন নেওয়ার হবে তার বয়স 20 থেকে 25 বছরের মধ্যে হতে হবে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় লোন পরিশোধ করার প্রয়োজন হবে না

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শিক্ষার্থীর খুব সহজে কয়েকটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে লোন নিয়ে থাকে যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট এম এ এম এস এম বি বি এ স্টুডেন্ট গুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট গ্রামীণ ব্যাংকে ১৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট মেডিকেল স্টুডেন্ট এলোন নিতে পারবেন ।

গ্রামীণ ব্যাংক কৃষি লোন প্রকল্প

গ্রামীণ ব্যাংক লোন প্রদান এর তৃতীয় নম্বর প্রক্রিয়াটি রয়েছে সেটি হচ্ছে, কৃষি লোন প্রক্রিয়া, কৃষি লনের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত প্রদান করা হয়ে থাকে যেমন বাংলাদেশের একটি কৃষি নির্ভর দেশ দুঃখের বিষয় হলেও বাংলাদেশের কৃষক এবং অসচ্ছল বাংলাদেশ কৃষকদের গ্রামীণ ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিতে হয় । একটি সিলনের সুদের হার ৬ পার্সেন্ট সর্বোচ্চ হয়ে থাকে এই কৃষি লোন সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য পাওয়া যায় এই লোন গ্রহণ করার জন্য কৃষকদের নিজস্ব জমি থাকতে হবে এবং কৃষি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে

যেমন ধরেন

কৃষি উৎপাদন ও বিপণন
কৃষি সরঞ্জানো যন্ত্রপাতি ক্রয়
কৃষিবিজ ও সার্কিটনাশক রয়
মৎস্য চাষ ও পশুপালন
কৃষি জমি নির্ধারণ ও কৃষি জমি ক্রয়
বিভিন্ন কৃষি ব্যবসার বিনিয়োগ ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ ধারণা রাখতে হবে

গ্রামীণ ব্যাংক হাউজিং লোন প্রকল্প

গ্রামীণ ব্যাংক হাউজিং প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে থাকে লোন দেয়ার মাধ্যমে আর্থিক সচ্ছলতা ব্যক্তিদের ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণ করার ক্ষেত্রে লোন প্রদান করে থাকে 1984 সালে গ্রামীণ ব্যাংক হাউস প্রকল্প চালু হয় এ প্রকল্পটি ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে গ্রামীণ ব্যাংক তবে লোন গ্রহণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে যেমন সপ্তাহে অল্প অল্প করে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে গ্রহণ করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়েদের লোন প্রদান করা হয়ে থাকে

গ্রামীণ ব্যাংক উদ্যোক্তা লোন প্রকল্প

গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন তোলার পদ্ধতি বা নিয়ম কানুন হচ্ছে নিজে উদ্যোক্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে এক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক লোন প্রদান করে থাকে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে বাৎসরিক কাজের জন্য উদ্যোক্তা লন প্রদান করে গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণ পণ্য ক্রয় বিক্রয় যন্ত্রপাতিক ক্রয় বিক্রয় সরঞ্জাম জাতীয় ক্রয়-বিক্রয় নির্দিষ্টডকুমেন্ট জমা দিয়ে লোন প্রদান করতে পারবেন আপনার ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং পশু পালনের যথেষ্ট দক্ষতা পারদর্শিকতা থাকতে হবে এবং নিজস্ব একটি খামার থাকা জরুরী

অবশ্যই শাশুড়িরে উপস্থিত হয়ে বাৎসরিক আয় কর সনদ জমা দিয়ে ব্যক্তি উদ্যোক্তার ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন অবশ্যই তা সত্যায়িত প্রমাণিত হতে হবে ।

আরো পড়ুনঃবিকাশের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের উপায়

গ্রামীণ ব্যাংক পশু সম্পদ ঋণ প্রকল্প গ্রহণ

গ্রামীণ ব্যাংক ও সম্পদ গ্রহণ প্রকল্প মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে থাকে বাংলাদেশে অনেকে পশু পালনের মাধ্যমে নিজে নির্ভরশীল করে আসছে যেমন গরু ছাগল হাঁস মুরগি ভেড়া মাছ বা মৎস্য জাতীয় চাষ করার মাধ্যমে নিজের স্বাবলম্বী হয়ে জীবিকা অর্জন করে থাকে আপনি যদি নিজের স্বাবলম্বী হয়ে পশু পালনের উদ্দেশ্যে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দেয়ার মাধ্যমে লোন গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আঠারো বছর হতে হবে এবং যথেষ্ট দক্ষতা ও পারদর্শিকতার ও নিজস্ব খামারবাড়ি থাকার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গ্রহণ করার মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন ।

গ্রামীণ ব্যাংকে সুদের হার কত

ক্রমিক নাম্বার	ঋণের ধরন	সুদের হার
০১	আয় সৃষ্টিকারী ঋণ	২০% কমতে থাকে ভিত্তি অনুসারে
০২	হাউসিং ঋণ	৮%
০৩	শিক্ষা ঋণ	৫%
০৪	সংগ্রামী সদস্য ঋণ	০%
০৫	কৃষি ঋণ	৬ %
০৬	উদ্যোক্তা ঋণ	৬%

লেখকের শেষ কথা

গ্রামীণ ব্যাংক লোন তোলার নিয়ম সম্পর্কে যে তথ্যগুলো প্রদান করা হয়েছে আর্টিকেলে সেগুলো সম্পূর্ণভাবে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এর মধ্যে যদি কোন কিছু জানার থাকে সম্মানিত পাঠক অনুগ্রহ করে আপনারা কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন তবে যতটুকু সম্ভব গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহন করার জন্য যা যা গ্রহণ করা প্রয়োজন সম্পূর্ণ সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে

সুতরাং গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন করার জন্য যাবতীয় ডকুমেন্টস সঠিকভাবে উপস্থাপনা করার মাধ্যমেঋণ গ্রহণ করতে পারবেন আশা করছি গ্রামীণ ব্যাংক লোন তোলার পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণাটি বুঝতে পেরেছেন আর্টিকেলের মাধ্যমে আরো যদি কিছু জানার থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন ধন্যবাদ ।