বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম নীতি সম্পর্কে জানুন

 প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম সম্পর্কে জানুন বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম-নীতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন এবং ভাবছেন কিভাবে শুরু করতে হয় তাহলে আজকে আর্টিকেলটি আপনার জন্য প্রযোজ্য তাই এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে পারেন

বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার একটি লাভজনক পেশা ধরে নিতে পারেন তবে এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নীতি আপনাকে অবলম্বন করতে হবে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মানি লেনদেন করে থাকে তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হলো ।

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম নীতি জানুন জরুরী

বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম নীতি

বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার নিয়ম নীতি অনেকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তবে এটি অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক লাইসেন্স প্রাপ্ত হতে হবে আপনারা যারা ব্যবসা করতে আগ্রহী তাদের জন্য বাধ্যতামূলক কিছু নিয়ম নীতি অনুসরণ করে চলতে হবে এর কারণ হলো এ ব্যবসাটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা লেনদেন বা বিনিময় কার্যক্রম করে থাকে এজন্য মানি এক্সচেঞ্জ করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী অনুসরণসহ তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন তার আগে আপনাকে জানতে হবে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা কি জেনে নেওয়া যাক ।

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা কি জানুন

বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার নিয়ম নীতি অধিকাংশ মানুষই জানেন না যা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খুব সহজে জেনে নিতে পারেন এ ব্যবসার মূলত প্রধান যে নিয়ম রয়েছে তা হচ্ছে মুদ্রা বিনিয়োগ ব্যবসা যা অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে এর ব্যবসার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেশের মুদ্রা বিদেশে বা অন্যান্য দেশগুলোতে মুদ্রা বিনিময় করে থাকে

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুদ্রা বিভিন্ন রকম ভাবে বিনিয়োগ করা হয় বা রূপান্তর করা হয় আপনি যদি কাতার কিংবা সৌদি যেতে চান সেক্ষেত্রে রিয়েলে টাকা বিনিয়োগ করতে হয় বা এক্সচেঞ্জ করতে হয় আর এ এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে আপনার বাণিজ্যিক অর্থ লেনদেন শুরু হয়ে থাকে এই অর্থ রূপান্তর ব্যবসা হল বাংলাদেশ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা

বিশ্ব ভ্রমণের সময় এক এক দেশের মুদ্রা একাক রকমের হয়ে থাকে এ সময় আপনার মুদ্রা রূপান্তর করতে হয় যার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত মুদ্রার বিনিময় হার অনুযায়ী এ সকল প্রতিষ্ঠান সাধারণত অর্থ লেনদেন করে থাকে বাংলাদেশের প্রায় ২৩৫টি মানি এক্সচেঞ্জ বৈধ লাইসেন্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং ১০০০ এরও বেশি আবেদন প্রতিষ্ঠান ব্যবসা শুরু করেছে ।

আরো পড়ুনঃবিকাশের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের  উপায়

বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার লাইসেন্স করার নিয়ম

বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার লাইসেন্স করার জন্য সরাসরি আপনাকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে এবং সেখান থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে এজন্য যে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আর লাইসেন্স ছাড়া যদি কোন প্রতিষ্ঠান ব্যবসা শুরু করে সেক্ষেত্রে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে 

এখানে আপনার একটি প্রশ্ন থাকতে পারে লাইসেন্স মানি এক্সচেঞ্জের জন্য কেন অপরাধ হবে এটি লাইসেন্সবিরোধী হওয়ার কারণে দেশবিরোধী মামলার মত বড় মামলা হতে পারে এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ আইনের ধারায় এটি অপরাধ মূলক একটি কাজ তাই যোগ্যতার বলে আপনাকে এ ব্যবসা শুরু করতে হবে তো চলুন কি কি যোগ্যতা লাগে নিচে জেনে নেওয়া যাক ।

বাংলাদেশে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার যোগ্যতা 

বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার যোগ্যতার নিয়মাবলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা হচ্ছে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে কারণ এ সমস্ত যোগ্যতা যদি আপনার না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি এ ব্যবসা করতে পারবেন না। নিচে একজন ব্যক্তির মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করারযোগ্যতাগুলো কি কি থাকা দরকার চলুন তা জেনে নেওয়া যাক

আবেদনকারীর এনআইডি কার্ড থাকতে হবে

আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে

আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাথমিকভাবে মূলধন কমপক্ষে হলেও পঞ্চাশ লক্ষ টাকা থাকতে হবে

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অবশ্য একটি কোম্পানির নামের সাথে এক্সচেঞ্জ ফরেক্স রেমিটেন্স মানি ট্রান্সফার ইত্যাদি শব্দগুলো  যোগ  দিতে হবে

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার মূলধন বেশি রাখার কারণ কি

বাংলাদেশ মানে এক্সচেঞ্জ ব্যবসার মূলধন বেশি রাখার কারণ এটি একটি বিনিময়ের ব্যবসা এটি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সর্বনিম্ন টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ৫০ লক্ষ এখানে ৫০ লক্ষ টাকা ইনভেস্টের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন তবে এটার মূল উদ্দেশ্য হলো এটি একটি লেনদেনমূলক ব্যবসা হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট অর্থনীতি স্থির থাকতে হবে এবং কোনরকম ভাবে যেন অর্থ সংকট না পড়ে সেদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক নজর রেখে এই এমাউন্টটি নির্ধারণ করে দিয়েছে এটাই হচ্ছে ব্যবসার মূল কারণ

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে করণীয় সমূহ

বাংলাদেশ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার জন্য প্রথম শর্ত হলো বাংলাদেশে ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে এ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে আপনাকে লেনদেন পরিচালনা করতে হবে এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি গিয়ে একাউন্ট করলে আপনার জন্য ভালো হবে যে সমস্ত ডকুমেন্ট ব্যাংক একাউন্টের জন্য লাগবে নিচে ডকুমেন্টস গুলো তুলে ধরা হলো।

ব্যাংক একাউন্টে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ

বাংলাদেশ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার জন্য ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয় এ একাউন্ট খোলার জন্য যে সমস্ত তথ্য দিতে হবে সেগুলো সম্পন্ন সঠিক তথ্য হতে হবে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংক  কর্তৃক তা পর্যবেক্ষণ করা হবে তো চলুন ডকুমেন্টগুলোর জেনে নেওয়া যাক ।

জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি

পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দুই কপি

টিআইএন সার্টিফিকেট প্রযোজ্য

ইনকাম সোর্স/ প্রফেশনাল প্রুভ

চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র বা অফিস আইডি ব্যবসায়ীকের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স ক্ল্যান্সারদের ক্ষেত্রে ব্যাংক বা প্লাটফর্ম পেমেন্ট প্রুভ টেন অর অথবা আপওয়ার্ক প্রোফাইল স্কিনশট

ইউটিলিটির বিল / বিদ্যুৎ বিল অথবা গ্যাস বিল বা পানির বিল

এক্সচেঞ্জ/অনলাইন এ লেনদেনের উদ্দেশ্যে উল্লেখ করে চিঠি বা ডিক্লারেশন

আরো পড়ুনঃডাচ বাংলা ব্যাংক লোন সিস্টেম সম্পর্কে জানুন

ব্যবসার জন্য বোর্ড রেজুলেশন কফি সংগ্রহ

মানে এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার জন্য উল্লেখিত ডকুমেন্টস প্রুপ দিতে হবে এরপরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নিতে হবে বাতিল হয়ে যেতে পারে এসব ডকুমেন্টস দিয়ে অনুমতি পাওয়ার পরে আপনি আপনার ব্যবসার আবেদন করতে পারবেন পরবর্তীতে এক্সচেঞ্জ ব্যবসার অনুমতি পেলে আপনি একটি বোর্ড রেজুলেশন কপি অনুমতি পাবেন এগুলো  সহজে করে আপনি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন ।

স্থায়ী অফিস কার্যক্রম পরিচালনা

বাংলাদেশ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্স পাওয়ার পরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা নিয়ে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস রেকর্ড এবং কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে যেন বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো সময় ডকুমেন্টগুলো পরিদর্শন করতে পারে ।

লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে

বাংলাদেশ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করার জন্য যে লাইসেন্স দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা মেয়াদ থাকা পর্যন্ত আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন এর পরে আপনাকে নবায়ন করে নিতে হবে এ ব্যবসাটি এক বছর মেয়াদী হয়ে থাকে পুনরায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে গিয়ে নির্ধারিত ফ্রি পরিশোধ করে খুব সহজে নবায়ন করে নিতে পারবেন

মানি এক্সচেঞ্জ করতে যা যা প্রয়োজন

বাংলাদেশ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা করতে হলে সরকার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে সমস্ত কিছু প্রয়োজন বা কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে এগুলো আপনার মূল সার্টিফিকেটের মত কাজ করবে আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচে উল্লেখ করা হলো

1. ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনকৃত মূল সনদ
2. ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা বৈধ লাইসেন্স
3. মুদ্রা লেনদেন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারী পাসপোর্ট ও ভিসার কপি থাকতে হবে
4. ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট লাগবে
5. আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্র লাগবে
6. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে
7. বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যবসা করার অনুমতি পত্র লাগবে।
8. প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চুক্তিপত্র লাগবে
9. মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য KYC ও AML নীতিমালা কপি লাগবে

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার সুবিধা সমূহ

বাংলাদেশের মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার সুবিধা গুলো কি অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় এই ব্যবসায় অর্থ উপার্জন করা বেশি সম্ভব কেননা আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় আর প্রতিনিয়তই উঠানামা করে থাকে সঠিক সময় এই মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় করা হলে অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন তাহলে চলুন মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার সুবিধা গুলো জেনে নিই

সুবিধা সমূহ

মানে এক্সচেঞ্জ ব্যবসা সবসময় চাহিদা থাকে কারণ ব্যক্তি ব্যবসায়ী অশিক্ষার্থীদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়ে থাকে

মানে এক্সচেঞ্জ ব্যবসা নগদ ব্যবসা হওয়ার ক্ষেত্রে খুব সহজে আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়া যায়

এখানে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হয় আর এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়

অন্যান্য ব্যবসার মাত্র পণ্য বা মালামাল পরিবহন ইত্যাদির ঝামেলা থাকে না

 আপনি চাইলে ঘরে বসে থেকে ব্যবসাটি করতে পারবেন

আরো পড়ুনঃডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার ২০টি অ্যাপস সম্পর্কে জানুন

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা কোথায় করা যায়

বাংলাদেশ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা কোথায় করা যায় সে বিষয়ে অনেকে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তবে মানে এক্সচেঞ্জ করার ক্ষেত্রে কোন চিন্তার কারণ নেই এই এক্সচেঞ্জ করার জন্য আজকের এই পোস্টে কোথায় মানি এক্সচেঞ্জ করতে হবে সে সম্পর্কে আপনাদের সুবিধার্থে নিচে তালিকা অনুসারে তুলে ধরা হলো চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম

বাংলাদেশ মানি চেঞ্জ প্রতিষ্টান গুলোর নাম

ক্রমিক নাম্বার	প্রতিষ্ঠানের নাম
০১	স্টান্ডার এক্সপ্রেস
০২	প্লাসিড এক্সপ্রেস
০৩	ইনস্টান্ট ক্যাশ
০৪	প্রুভ মানি ট্রান্সফার
০৫	ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ
০৬	এ এইচ মানি চেঞ্জার
০৭	আগ্রাবাদ মানি এক্সচেঞ্জ
০৮	আহমেদ এক্সচেঞ্জ হাউজ
০৯	লারি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি
১০	আল-আমিন মানি এক্সচেঞ্জ
১১	আলা ঈমান মানি এক্সচেঞ্জ
১২	হাবিব এক্সচেঞ্জ কোম্পানি
১৩	চেঞ্জ এক্সচেঞ্জ কোম্পানি বাহরাইন
১৪	ট্রান্সফার রেমিটেন্স এলএলসি
১৫	ওই টার্ন ইউনিয়ন মানি ট্রান্সফার

উপরে উল্লেখিত যেকোনো কোম্পানির মাধ্যমে আপনি মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন