কারিশমা আলোকিত নেই জানালা আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর

SOHEL🌄

কারিশমা আলোকিত নেই জানালা আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর অনেকে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আজকের আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে এই মসজিদের বিবরণী তুলে ধরা হয়েছে নিচে মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে পারেন

কারিশমাই আলোকিত আসসালাম জামে মসজিদ লক্ষ্মীপুর নেই কোন জানালা এছাড়া অন্য কোন ছাদ তবুও মুসল্লিরা রোদ বৃষ্টিতে ভেজে না তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই মসজিদের মূল রহস্য।

পেজ সূচিপত্রঃ কারিশমা আলোকিত নেই জানালা আসসালাম জামে মসজিদ লক্ষ্মীপুর জানতে পড়ুন

আসসালাম জামে মসজিদ-লক্ষীপুর
আসসালাম জামে মসজিদের স্থাপিত শৈলী
আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর কিভাবে যাবেন
আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর পৌঁছাতে সময় কত লাগে
আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর ভাড়া কত টাকা লাগে
আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর কোথায় থাকবেন
আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর আশেপাশে দর্শনীয় স্থান
আমাদের শেষ কথা

আসসালাম জামে মসজিদ-লক্ষীপুর

আসসালাম জামে মসজিদ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা ১০০ বছরের দৃষ্টিনন্দনীয় অন্যতম মসজিদে হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এই মসজিদটি দুইজন ব্যক্তির অনুদানে ও উদ্যোগে তৈরি করা হয় একজন হল রহিমা মমতাজ ও অপরজন সাইফ সালাউদ্দিন সালাউদ্দিন ছিলেন ট্রাস্ট এর কর্ণধর অ্যাডভোকেট তিনি আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই মসজিদ নির্মাণ করেন

প্রতিষ্ঠাত সময়কাল

আসসালাম জামে মসজিদ লক্ষীপুর রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাউদ্দিন ২০১৭ সালে ডিসেম্বরে এই মসজিদের কাজ শুরু করেন এবং এই মসজিদের কাজ সমাপ্তি কাল হলো ২০২১ সালে শেষের দিকে

আরো পড়ুনঃটিপরাছড়া গলফ মাঠ মৌলভীবাজার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বনামধন্য মসজিদ প্রতিষ্ঠানটি আর্কি গ্রাউন্ড লিমিটেড পরিচালক মোঃ নবী নেওয়াজ খান শামীম ও তার সহযোগী এই মসজিদের নকশা প্রণীত করেন পুরো মসজিদে নকশা ২০০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন নিয়মিত মুসল্লির নামাজের পাশাপাশি দুই ঈদের নামাজ ও আদায় করা হয়

আসসালাম জামে মসজিদের স্থাপিত শৈলী

আসসালাম জামে মসজিদের স্থাপিত শৈলীর গুরুত্বপূর্ণ কারুকার্য যা বাংলাদেশের আধুনিক শিল্পের নজর কাড়া ১০০ বছরের দৃষ্টিনন্দনীয় আকর্ষণীয় শিল্প এ মসজিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মুসল্লীরা মসজিদের বসে রোদ বৃষ্টি ও কুয়াশা উপভোগ করতে পারবে কিন্তু ভিজবে না গরমের দিনে শীতল করার জন্য চারটি জলধারা মসজিদের ভিতরে তৈরি করা হয়েছে জলধারাগুলোকে শীতল রাখার জন্য পাথর সংরক্ষণ করা হয়েছে মসজিদকে শীতল রাখতে সাহায্য করে থাকে

দোতলা বিশিষ্ট আসসালাম জামে মসজিদ লক্ষীপুর নিচ তলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে নিচতলায় মেহরাব মসজিদের মূল অংশ এর পেছনদিকে রয়েছে মাছ বরাবর গলি পথ আর এ দুই পাশে রয়েছে জলধারা রোদ বৃষ্টি ও কুয়াশার প্রবেশের পথ এবং দোতলায় ওঠার সিড়ি পথ

দোতালায় আসসালাম জামে মসজিদের নারীদের নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে এই মসজিদে কোন জানালা দরজা নেই এই গলিপথ দিয়ে আলো বাতাস প্রবেশ করে থাকে তবুও মসজিদের ভিতরে কোন আলো ও হাওয়ার কমতি খুঁজে পাবেন না তাই একে কারিশমা মসজিদ বলেও অবহিত করা হয়ে থাকে মুসল্লিদের বের হওয়ার জন্য দুইটি দৃষ্টিনন্দন দরজার রয়েছে এই দরজা দিয়েও আলো বাতাস প্রবেশ করে থাকে

আরো পড়ুনঃসেন্টমার্টিন টুর প্ল্যান কক্সবাজার কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে জানুন

প্রকৃতির নিয়মে খোলা মাঠে মুসল্লিরা এবাদত করতে পারে কিন্তু নেই বৃষ্টি ভেজার ভয় ও রোদের তাপে পোড়ার ভয় তাই এ মসজিদকে বাংলাদেশের ১০০ বছরের মধ্যে বিরল স্থাপনায় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে শুক্রবারের দিন রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লী একসঙ্গে নামাজ পড়ার জন্য ভিড় জমিয়ে থাকে

এ মসজিদের রূপ সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য স্মৃতি হিসেবে ডিএসএলআর ক্যামেরা বন্ধ করে অনেক

দর্শনার্থী নানান দর্শনার্থে বিভিন্ন ভঙ্গিতে এ কারুকার্যের সঙ্গে দাঁড়িয়ে নিজেকে ক্যামেরাবন্দি করে এই মসজিদের দেয়ালে মুসল্লিরা বলেন গণমাধ্যম ও ফেসবুকেটি দেখার জন্য কৌতুহলী সৃষ্টি করে

আসলে মসজিদটি দেখতে রামগতি উপজেলায় হাজারো পর্যটক বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ভিড় জমিয়ে থাকে

আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর কিভাবে যাবেন

কারিশ মাই আলোকিত লক্ষীপুর থেকে ৪০ কিলোমিটার আসসালাম জামে মসজিদ রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় আসতে হবে রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ জাতীয় বাস টার্মিনাল থেকে গ্রীন লাইন এক্সপ্রেস আলম আলবারাকা রয়েল ঢাকা এক্সপ্রেস ইনো পরিবহন লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে থাকে

লক্ষ্মীপুর থেকে রামগতি পোড়াগাছা লোকাল বাসে বা অটো রিক্সায় পৌঁছে যেতে পারেন ঝুমুর সিনেমা হলের সামনে থেকে উঠবেন যেন চরপরাগাছা বা শেখের কেল্লা আসা যায়

আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর পৌঁছাতে সময় কত লাগে

ঢাকা সায়দাবাদ থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা পৌঁছাতে কত সময় লাগে এটা সঠিক google ম্যাপ অনুযায়ী তথ্য হলো আবহাওয়া পরিবেশ যদি ভালো থাকে তাহলে সাড়ে চার ঘণ্টা থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন

আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর ভাড়া কত টাকা লাগে

লক্ষ্মীপুর জেলায় পৌঁছাতে ঢাকা সায়েদাবাদ থেকে মোট ভাড়া লাগে জনপ্রতি নন এসি ৬৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা

আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর কোথায় থাকবেন

লক্ষ্মীপুর আস সালাম জামে মসজিদ এসে থাকার জন্য তেমন কোন আবাসন ব্যবস্থা পাবেন না তাই রাতে থাকতে চাইলে লক্ষ্মীপুরে চলে যেতে হবে এখানে এসে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল পাবেন চাইলে আপনি সোনার বাংলা গেস্ট হাউস হোটেল আবে হায়াত হোটেল রোজ অথবা সেরা হোটেল স্টার গেস্ট হাউস বিলাসবহুল ভাবে রাত্রে যাপন করতে পারবেন

আরো পড়ুনঃডোমাখালী সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আসসালাম জামে মসজিদে লক্ষ্মীপুর আশেপাশে দর্শনীয় স্থান

আসসালাম জামে মসজিদ দেখতে গেলে লক্ষীপুর জেলার কিছু দর্শনীয় স্থানদেখতে পাবেন তার মধ্যে অন্যতম হলো

আলেকজান্ডার মেঘনা বিচ

একটি শান্তিপূর্ণ নদী উপকূলীয় স্থান এখানে মেঘনার ঢেউ ও সবুজের ফসলের মাঠ ও সূর্যাস্তের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন

দালাল বাজার জমিদার বাড়ি

লক্ষ্মীপুর জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা হচ্ছে দালাল বাজার জমিদার বাড়ি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ঐতিহ্য সাংস্কৃতি এখনো ধরে রেখেছে

আলতাব মাস্টারের গেট

উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের রহস্যময় এক জায়গা শীতকালে দর্শনের জন্য বিশেষ উপযোগী একটি স্থান

কুয়া সাগর লেক

প্রজাপতির মতো এক রহস্যময় লেক রায়পুর সড়কে দালাল বাজার অংশে

আরো পড়ুনঃসোনারগাঁও রয়েল রিসোর্ট নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আমাদের শেষ কথা

কারিশমায় আলোকীর্তনেই জানালা দরজা আসসালাম জামে মসজিদ লক্ষীপুর আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে অবসর সময়ে আল্লাহর ঘর দর্শনের জন্য যেতে পারেন গেলে সেখানে মন ভালো হয়ে যাবে আশা করছি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন যদি কোন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে আমাদেরকে জানাবেন সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করা হবে

আসসালাম জামে মসজিদ লক্ষীপুর কারিশমা আলোকিত আর্টিকেলটি আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করে দিবেন যাতে করে এই মসজিদ দেখে মনের মধ্যে কিছুটা হলেও শান্তি জ্ঞাপন করতে পারে আর সঠিক রাস্তায় ফিরে আসতে পারে ধন্যবাদ।

ভ্রমণ গাইড