সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

লাউড়ের গড় সুনামগঞ্জ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন  সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রয়োজনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে পারেন

সীতাকুন্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম এখানে রয়েছে বিভিন্ন বৃক্ষরাজি ও বন্য প্রাণীর মিলন স্থল বৃক্ষরাজি গুলো হলো অর্জুন চাপালিস জারুল টোন তেলসুর এবং আরো রয়েছে নানান প্রজাতির ফল এবং ফুল ও অপূর্ব দুইটি ঝর্ণাধারা।

পেজ সূচিপত্রঃ সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম
• সীতাকুণ্ডে সুপ্তধারা ও সহস্র ধরার ঝর্ণা
• সীতাকুন্ডের প্রকৃতিক বৈচিত্র সমূহ
• সীতাকুণ্ড ইকোপার্কের প্রবেশ ফি সুবিধা সমূহ
• সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে কিভাবে যাবেন
• সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে কোথায় থাকবেন
• সীতাকুণ্ড ইকোপার্কের আশেপাশে দর্শনীয় স্থান
• আমাদের শেষ কথা

সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম

সীতাকুন্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ধরা যায় এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটা জনসাধারণের পর্যটনের কেন্দবিন্দু হিসেবে পরিচিতি লাভ করে  ইকোপারকে মধ্য দুইটি অপূর্ব ঝর্ণাধারা রয়েছে একটি সহস্র ধারা আর অপরটি  হলো  সুপ্তধারা এখানে বিভিন্ন রকমের বৃক্ষরাজি দেখতে পাবেন যা জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এছাড়াও একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন রয়েছে যা আর্কিট হাউজ নামে পরিচিত লাভ করে এখানে প্রায় ৫০ ধরনের দেশ-বিদেশি অর্কিড সংরক্ষিত করা আছে ।

সীতাকুণ্ডে সুপ্তধারা ও সহস্র ধরার ঝর্ণা

সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে দুটি জলপ্রপাত রয়েছে একটি হচ্ছে সুপ্ত ধারা আরেকটি হচ্ছে  সহস্র ধারা এ দুটি ঝরনা যেতে হলে আপনাকে অনেক উঁচু-নিচু পাহাড়ে ও ওঠানামা করতে হবে এ পাহাড় দেখলে আপনার মনের ভিতর এক সৌন্দর্যের ও মুগ্ধতার প্রকাশ পাবে এই ঝর্ণাগুলোর পানি মনে হয় আকাশ থেকে সজরে ঝরে পড়ছে

আরো পড়ুনঃপাগলা মসজিদের ওয়েবসাইট উদ্বোধন এখন ঘরে বসে দান করুন

'' কবি কাজী নজরুলের উক্তি''এ ঝর্ণা ধারায় কবি কাজী নজরুল ও এসেছিলেন এখানে এসে তিনি একটি গান রচনা করেন গানটি হলো ''আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ'' যার ফলক এখনো ইকো পার্কের ভিতরে সুন্দরভাবে লিখা আছে বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে দেখা যায় বঙ্গোপসাগরের সৌন্দর্য

সীতাকুন্ডের প্রকৃতিক বৈচিত্র সমূহণা

সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক প্রকৃতিক বৈচিত্র দ্বারা ভরপুর ইকোপার্ক পাহাড় বৃক্ষরাজি ঝর্ণা ও বন্য প্রাণীর মিলন স্থল কেন্দ্র তাছাড়াও বানর খরগোশ হনুমান ও রংবেরঙের প্রজাতির পাখি আর বৃক্ষরাজের ভিতরে বলতে গেলে সবচাইতে দামি গাছ রয়েছে এ পার্কে সেটা হল অর্জুন গাছ জারুল ও চন্দুলসহ নানান প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ

এছাড়াও বিভিন্ন রকমের ঔষধি গাছ এই ইকো পার্কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে সবচাইতে দেখার সৌন্দর্য হলো সূর্যাস্তের সময় এ পার্কের সুন্দর যা আরো দ্বিগুণ রূপে সন্ধ্যার সাজে সেজে ওঠে রক্তিম আবহাওয়া।

সীতাকুণ্ড ইকোপার্কের প্রবেশ ফি সুবিধা সমূহ

সীতাকুণ্ড ইকো পার্কের প্রবেশ ফি হলো সিএনজির আশি টাকা এবং সিএনজি বাদ দিয়ে জনপ্রতি ২০ টাকা ফি দিতে হবে এখানে রয়েছে পিকনিকের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা তাছাড়া আছে খাবার পানি টয়লেট ও রেস্টুরেন্টের মত সুবিধা তাছাড়া  এই ইকোপার্কের বাইরে সাধারণ বাজার থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্র আপনি পেয়ে যাবেন

আরো পড়ুনঃ দ্যা রেজ হাউস ঢাকা ধানমন্ডি পয়সা খরচে ভাঙচুর করুন 

সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে কিভাবে যাবেন

সীতাকুন্ড ইকো পার্কে ঢাকা থেকে আসার জন্য মোট তিনটি ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো

বাসযোগে  ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম

সীতাকুন্ড ইকো পার্কে যেতে হলে আপনাকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় চলে আসতে হবে ঢাকা থেকে প্রায় সব টার্মিনালে সীতাকুন্ডের বাস পাবেন যা চট্টগ্রাম উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে আ সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বা ফকিরাপুর থেকে বেশি সুবিধা পেয়ে থাকবেন এটার মেল থেকে যেসব বাস পাবেন তার মধ্যে অন্যতম হলো সৌদিয়া শ্যামলী হানিফ এস আলম  ইউনিক গ্রীন লাইন সহ  এগুলো হলো উন্নতমানের বাস 

এছাড়া চট্টগ্রাম বাস স্ট্যান্ডে নেমে আপনি মাদারবাড়ী বা কদমতলী বাস স্ট্যান্ডের থেকে সরাসরি সীতাকুন্ডের বাস পেয়ে যাবেন

রেলযোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম

সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম যেতে হলে প্রথমে আপনাকে ঢাকা মেইল ট্রেন করতে হবে  এই ট্রেনটি রাত্রি এগারোটার সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় আর সীতাকুন্ড পৌঁছাতে সময় লাগে সকাল ছয়টা থেকে সাতটা

এছাড়াও আন্তঃনগর  ট্রেনে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফেনী স্টেশনে নামতে হবে এখান থেকে বাসযোগে সীতাকুণ্ড যেতে হবে তাছাড়াও আপনি সারা দিনের জন্য সিএনজি ভাড়া নিতে পারেন তার জন্য আপনাকে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দিয়ে সমস্ত সীতাকুন্ড ঘুরতে চট্টগ্রামের এয়ারপ্লেন আছে কি পারেন

আকাশ পথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম

সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম সহজে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এয়ারপ্লেনে সেখানে রয়েছে আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত এখান থেকে দেশীয় আন্তর্জাতিকভাবে বিমান উঠানামা করে

আরো পড়ুনঃপ্রকৃতির রূপের রূপবতী নেত্রকোনার জেলার পাঁচগাও পাহাড়ি গ্রাম

সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে কোথায় থাকবেন

সীতাকুন্ড ইকো পার্কে থাকার জন্য ভালো মানের আবাসিক হোটেল পাবেন না এজন্য সীতাকুণ্ড বাজারে মাধ্যমিক মানের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে তাছাড়া ডাকবাংলো আছে এর মধ্যে কয়েকটি থাকার মত আবাসিক হোটেল আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো হোটেল সৌদিয়া ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন যোগাযোগ মোবাইল ০১৮১৬ ৫১৮১১৯

চট্টগ্রামে থাকার জন্য

চট্টগ্রামে থাকার জন্য সবচাইতে ভালো হোটেল আছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম হোটেল হল হোটেল প্যারামাউন্ট হোটেলে এশিয়া হোটেল মার্কস হোটেল সাফিনা অন্যতম

সীতাকুণ্ড ইকোপার্কের আশেপাশে দর্শনীয় স্থান

সীতাকুণ্ড ইকো পার্কের আশেপাশের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক

চন্দ্রনাথ পাহাড়

গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত

বাঁশবাড়িয়া সৈকত

ঝরঝরি ঝরনা

কুমিরা সন্দীপ ফেরিঘাট

 নাপিত্তা ছড়া ঝর্ণা 

কমলদো ঝর্ণা

আরো পড়ুনঃব্লাড মুন পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ  মিলবে বাংলাদেশ রবিবারের মধ্যেই

আমাদের শেষ কথা

সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন এরপরও যদি কোন রকমের প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন আমরা পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত হবো

সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম আপনারা বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনের নিকট আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করে দেবেন যাতে করে তারা কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত ও আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারে আপনাদের যাত্রা শুভ হোক ধন্যবাদ।