হাকালুকি হাওর যাওয়ার উপায় বা ভ্রমণ সম্পর্কে জেনে নিন

 টাঙ্গুয়ার হাওর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুনহাকালুকি হাওর যাওয়ার উপায় বা ভ্রমণ সম্পর্কে জানার জন্য অনেকে গুগলে ইউটিউবে সার্চ করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাননি এজন্য আজকের আর্টিকেলটি খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে নিচে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে পারেন

হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম মিঠা পানির জলভূমি এটির পশ্চিমে এবং পূর্বে দুটি পাহাড় দ্বারা পরিবেষ্টিত এটিও সিলেট জেলার মৌলভীবাজারে পাঁচটি উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত এক জলভূমি ।

পেজ সূচিপত্রঃ হাকালুকি হাওর যাওয়ার উপায় জানতে পড়ুন

হাকালুকি হাওর যাওয়ার উপায় জানুন

হাকালকি যাওয়ার উপায় হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা কমলাপুর থেকে ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে প্রতিদিন বিকাল তিনটা ত্রিশ মিনিটে ট্রেনে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন ট্রেন ভাড়া প্রায় ১২০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে আপনার পছন্দমত যে কোন একটি সিটে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় অতিক্রম করার পরে হাকালুকি হাওরে পৌঁছে যাবেন 

এছাড়াও বাসে যাওয়ার উপায় এর মধ্যে সবচাইতে সুন্দরতম বাস শ্যামলী রূপসী বাংলা হানিফ সোহাগ এনা ইউনিক উল্লেখযোগ্য বাস চলাচল করে থাকে বাসে আসতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা বাসে এসিও নন এসি দুই রকম বাসপাওয়া যায় এসিতে আসলে ৯০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে এবং আসলে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া লাগতে পারে

এ রুটে এছাড়াও ঢাকা থেকে রাত সাড়ে নয়টায় উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করে যথাসময়ে এই ট্রেনে আসলে সারা রাত্রি পাড়ি দিয়ে সকালে গন্তব্য স্থলে নেমে যাবেন ঢাকা থেকে খুব কম খরচে কুলাউড়া ট্রেন ভবনে চলে আসতে পারেন হাকালুকি হাওরে

ট্রেনে কুলাউড়া নেমে এখান থেকে অটো রিক্সা করে বা বাসে চড়ে বড়লেখা যেতে পারেন এখান থেকে আরো গেলে দেখতে পাবেন মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত প্রতিজনের অটো রিক্সার ভাড়া হবে এখান থেকে 50 টাকা বড়লেখা পৌঁছানোর পরে ১১ কিলোমিটার দূরে হাকালুকি হাওর আর এখানে রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এখানে নৌকা ভাড়া নিয়ে ঘুরতে পারবেন হাওরের বিস্তৃত এলাকা সমূহ

আরো পড়ুনঃমাগুরা জেলার বিখ্যাত স্থানসমূহের নাম সমুহ

এছাড়াও আপনি সরাসরি ট্রেনে কুলাউড়া স্টেশনে অথবা ফঞ্জুগঞ্জের মাইজগাও স্টেশন থেকে করেও চলে আসতে পারেন হাঁকালকি হাওর

হাকালুকি হাওর

হাকালুকি হাওর যাওয়ার উপায় বা প্রমাণ গাইড জানতে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পান না আজকে তাদের জন্যই আর্টিকেলটি সঠিক তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এ হাওরের পশ্চিমে ভাটেরা পাহাড় এবং পূর্বে পাথরিয়া মাধব পাহাড় ের পাঁচটি জেলা নিয়ে বিস্তৃত একটি এলাকা এখানে ছোট বড় মোট ২৩৮ টিরও বেশি বিল ও ছোট ১০টি নদী নিয়ে বর্ষাকালে গঠিত হয় ২০ হাজার হেক্টর নিয়ে এক জলরাশি লীলাভূমি

এ হাওরে রয়েছে বিভিন্ন মাছের এখনো কি হাওর বাংলাদেশের সংরক্ষিত একটি বিস্তৃত জল ভূমি মৌসুম ভেদে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে থাকে এটি এশিয়ার উত্তরাংশের সাইবেরিয়া থেকে ২৫ প্রজাতির হাঁস ও 100 প্রজাতির স্থানীয় নানা রকমের পাখি দিয়ে তৈরি হয়েছে এই হাঁকালুকি হাওর এ হাউর শীত মৌসুমে দুধে প্রান্তে বিশাল মানুষের জীবিকা তৈরি করে থাকে

রাত সরালি গজার মাখা রাজহাঁস ঢলা বেলে হাঁস গাডওয়াল ইউরেশিও ইতিহাস পাতিহাঁস মার্গেজার প্রভৃতির দেখা মিলবে এ হাওরে বেশি প্রজাতির মধ্যে বেগুনি কালেম পান মুরসি পাতি কুট ডাহুক ইউরোপীয় দেশি মুরগি চ্যাগা রাঙ্গা চ্যাগা জলা পিপি মরলে যা পিপি পাতি জিরিয়া হ্যাট্রিটি ভুবন চিল শঙ্খচিল বিলুপ্তপ্রায় কোরাল ঈগল বড় খোঁপা ডুবুরি ছোট পান করি খয়রা বক ধূসর বক শামুক খোল প্রভৃতি পাখি হাওরের অন্যতম

 এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আপনি এই হাওরে পেয়ে যাবেন যেমন চিতল আইডি র বাউশ পাবদা মাগুর শিং কই এই মাছগুলো অন্যতম তাছাড়াও জলজ উদ্ভিদের মধ্যে মাখনা হাওর অঞ্চলের পুথি হিঙ্গাজুর হাওয়া প্রভৃতি বিলে যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান এছাড়া বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ যেমন শাপলা শালক পদ্ম দিয়ে তৈরি এক মনোরম জলাভূমি যা আপনার মনকে আরো প্রফুল্ল ও আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে বাধ্য করবে এবং তাই একবার হলেও এ হাকালুকি হাওরে ভ্রমন করা আমি মনে করি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য খুবই আনন্দ মুহূর্ত হবে ।

হাকালুকি হাওর ভ্রমণের সেরা সময় কখন

যাওয়ার উপায় উপরের আর্টিকেলে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে আপনারা আপনাদের সুবিধামতো জেনে নিতে পারেন এখন আমরা হাওরের সেরা সময় কখন গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে সুন্দরভাবে তথ্য তুলে ধরব আশা করি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন

নভেম্বার থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হাওয়ার ভবনের জন্য খুবই উপযোগী একটি সময় তবে এ সময় এখানে প্রচুর সংখ্যায় অতিথি পাখির আগমন হয় যা চারিদিক মুখরিত করে তুলে তাছাড়াও নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি যে সময়টুকুন রয়েছে এটি হচ্ছে  হাওর ভ্রমণে গুরুত্বপূর্ণ সময় এখানে রয়েছে এই সময়ের জন্য জলজ উদ্ভিদ ও জেলেদের জন্য সেরা মৌসুম।

আরো পড়ুনঃবঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক গাজীপুর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

হাকালুকি হাওরে কোথায় থাকবেন

হাকালুকি হাওরে খাওয়ার জন্য আপনাদেরকে বিল ইজারাদের কুঠির গুলোতে ২-৪ জন পর্যটক থাকার জন্য ব্যবস্থা করা রয়েছে তবে অবশ্যই এখানে থাকতে হলে বিল মালিকের অনুমতি নিতে হবে কারণ বিল মালিকের অনুমতি ছাড়া আপনি থাকতে পারবেন না সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি এই এলাকায় তাবু ফেলে রাতে যাপন করতে পারেন রাতে জোছনার আলোতে পাখি পর্যটক যেন কোন অ্যাডভেঞ্চারের প্রিয় পর্যটকে আনন্দঘন মুহূর্ত তৈরি করবে।

হাকালুকি হাওরে কোথায় খাবেন

হাকালোকে হাওরে রাত্রে যে সমস্ত খাবার পাওয়া যায় সেগুলোকে দিনের বেলায় ব্যবস্থা করতে হবে অন্যথায় খাবারের সমস্যা করতে পারেন

রাত্রের খাবার

হাকালুকি হাওরে যাওয়ার উপায় এবং থাকার ব্যবস্থা উপরের তথ্যে জানানো হয়েছে এখন আপনারা কি খাবেন কিভাবে রাতে যাপন করবেন এ বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো আপনারা সঙ্গে করে চাল ডাল বিভিন্ন রকমের তরে তরকারি নিয়ে এলাকায় শ্রমজীবী মানুষকে সামান্য পরিমাণ কিছু টাকা দিলে পছন্দ মতো টাটকা মাছের ঝোল তরকারি দিয়ে তৈরি করে দিবে সুষমতমখাদ্য খাবার অথবা তাদের সঙ্গে আপনারা খাবার শেয়ার করতে পারেন তাদেরকে টাকা পয়সা দিয়ে হেল্প করলে তারাই আপনাদের জন্য পছন্দের মত খাবার তৈরি করে দেবে

সকালের নাস্তা

এছাড়া এখানে রয়েছে মহিষের দুধ খুব সস্তায় আপনি চাইলে নৌকা করে উঠে বাজারে যেতে পারেন এই দুধ নেয়ার জন্য মাঝিকে দেবেন ওরা রান্না করে আপনাদেরকে বিভিন্ন রকমের নাস্তা বানিয়ে আপনাদের সামনে পরিবেশন করবে এছাড়াও নাস্তার জন্য বিভিন্ন রকমের বিস্কুট পাউরুটি বিশুদ্ধ পানি এ এলাকায় পাওয়া যায় ।

সাথে যা যা নিতে হবে

আপনি যদি শীতের মৌসুমে যেতে চান আকালোকি হাওরে তাহলে অবশ্যই আপনাকে তাবুর সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে এছাড়াও রেনকোট জ্যাকেট গামছা আলাদা কাপড় রাবারের নাগরা জুতা ইত্যাদি পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য আপনাকে অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে বাইনোকুলার ক্যামেরা ভিডিও ক্যামেরা সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যাটারি মেমোরি কার্ড সাথে শুকনা খাবার চা চিনি দুধ একদিনের জন্য ইত্যাদি সঙ্গে থাকতে হবে এর সাথে থাকতে হবে গ্যাস লাইট বাদ দিয়াশলায় এছাড়া মোবাইলের জন্য আপনাকে সঙ্গে নিতে হবে পাওয়ার ব্যান্ড ইত্যাদি সরঞ্জাম।

আরো পড়ুনঃনওগাঁ জেলার দশটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানুন

হাকালুকি হাওরে বোট ভাড়া

বর্ষা মৌসুমে আপনাকে এ হাকালকি হাওরে বোট ভাড়া নিতে হবে যেটাকে হাউস বোট বলা হয়ে থাকে অথবা আপনি সেমি বোর্ডও পেয়ে যাবেন হাউজ ভোটের ভাড়া বেশি আর সেমো বোর্ডের ভাড়া একটু কম প্যাকেজ অনুযায়ী আপনাদেরকে এই বোর্ড ভাড়া দেওয়া হবে

দুইজন ৮০০ টাকা

বড় নৌকা বা টলারে ১০ থেকে ১৫ জন ৩০০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় একদিনের জন্য

পারসোনালি মোট খরচ  ১২২০ টাকা নিবে

হাকালুকি হাওরের আশেপাশে আকর্ষণীয় এলাকা

হাঁকালকি হাওরে যাওয়ার উপায় এবং কিভাবে ভ্রমণ করবেন এ বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য উপরের আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন এখন এ হাওরের আশেপাশে যে আকর্ষণীয় এলাকাগুলো রয়েছে চলুন সেগুলো বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক

আশেপাশে এলাকার মধ্যে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় সেগুলো হলো

মাধবকুণ্ড প্রাকৃতিক ঝর্ণা

গগন টিলা ওপার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল

হাইল হাওর

চা ও রাবার বাগান

শ্রমিকদের সংস্কৃতি জীবনযাত্রা

লাওয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

এবং রেমা কালেঙ্গা, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য খাসিয়া ও মনিপুরী সাংস্কৃতিক ও জীবনধারা

টিলা ও প্রাকৃতিক দৃশ্য

প্রাকৃতিক বন ও বন্যপ্রাণী

হাকালুকি হাওরের কিছু প্রশ্নোত্তর পর্ব

হাকালুকি হাওরের কিছু প্রশ্ন উত্তর পর্ব আপনাদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে নিচে আপনারা  সময় করে জেনে নিতে পারেন

প্রশ্ন হাঁকালুকি হাওর কোথায় অবস্থিত

উত্তর সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও সিলেট হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত

প্রশ্ন হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত

উত্তর মৌলভীবাজার সিলেট সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত

প্রশ্ন হাওরের আয়তন কত

উত্তর  ১৮১১৫ হেক্টর

প্রশ্ন কিভাবে হাকালুকি হাওড়ে যাওয়া যায়

উত্তর ঢাকা থেকে কুলাউড়া ট্রেনে বাসে দুইভাবে যাওয়া যায় ওখান থেকে সিএনজিতে হাওর ঘাট পর্যন্ত যেতে হবে যেটাকে জিরো পয়েন্ট নামে অক্ষত করা হয়েছে

প্রশ্ন হাকালুকি হাওরে ঘুরতে নৌকা লাগে

উত্তর হ্যাঁ এ এলাকায় পানি থাকায় নৌকা ভ্রমণ সবচেয়ে ভালো উপায়

প্রশ্ন হাঁকালকি হাওড়া কি দেখা যায়

উত্তর আঁকালকে হাওড়া দেখা পরিয়ায়ী পাখি জলাভূমিতে বিস্তীর্ণ পানি ও গ্রামীণ জীবনযাত্রা এবং মৎস্যজীবীর জীবনধারা আরো রয়েছে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়

প্রশ্ন বর্ষাকাল কখন

উত্তর জুন ও অক্টোবর মাস বর্ষাকাল এ সময় ভরপুর পানি থাকে নৌকা ভবনের জন্য খুবই আদর্শ একটি সময়

প্রশ্ন এটি কেন এত বিখ্যাত

উত্তর এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি মধ্যে একটি এখানে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ভ্রমের জন্য আসে এই পরিযায়ী পাখি দেখার জন্য এটি আন্তর্জাতিক গুরুত্ব জলাভূমি

আরো পড়ুনঃনভোথিয়েটার রাজশাহী, সময়সূচী টিকিটের মূল্য ভ্রমণ সম্পর্কে জানুন

আমাদের শেষ কথা

হাকালুকি হাওর যাওয়ার উপায় ওপরের আর্টিকেলে সকল সঠিক তথ্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলটি আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এর পরে যদি কোন রকমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন পুনরায় সেটা সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করা হবে

হাকালুকি হাওর যাওয়ার উপায় এই আর্টিকেলটি আপনাদের বন্ধুবান্ধবদের নিকট শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তাদের কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত এ হাওরে এসে কাটিয়ে যেতে পারে একবার এখানে আসলে কিছু বাংলার সৌন্দর্যের মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবেন তাই আপনাদের ভ্রমণের দিনগুলো সুন্দর হোক ও সুখময় হোক এটাই আমাদের একমাত্র কাম্য ধন্যবাদ ।