আগুনের পাহাড় সিলেট যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

SOHEL🌄

আগুনের পাহাড় সিলেট যাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আজকের আর্টিকেলটি সিলেটের আগুনের পাহাড় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে পারেন

আগুনের পাহাড় সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে এখানে আগুনে পাহাড় দেখার জন্য প্রতিবছর হাজারো পর্যটন ভিড় জমিয়ে থাকে এই পাহাড়ের টিলার মধ্যে ছোট ছোট গর্তে প্রতিনিয়তই আগুন জ্বলতে দেখা যায় চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আগুনের পাহাড় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

পেজ সূচিপত্রঃ আগুনের পাহাড় সিলেট যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পড়ুন

আগুনের পাহাড় সিলেট
আগুনের পাহাড়ের মূল রহস্য
আগুনের পাহাড় সিলেট কিভাবে যাবেন
আগুনে পাহাড় সিলেট যাওয়ার পরে কোথায় থাকবেন
আগুনের পাহাড় সিলেটের গিয়ে কোথায় খাবেন
টুর প্ল্যান
সিলেটের আগুনের পাহাড়ের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
আমাদের শেষ কথা

আগুনের পাহাড় সিলেট

আগুনের পাহাড় সিলেট যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে এটা কোথায় অবস্থিত আগুনের পাহাড় বর্তমানে সিলেট শহর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে জর্দাপুর উপজেলায় হরিপুর উতলার পাড় গ্রামে গ্যাস ফিল্ডের কাছাকাছি অবস্থিত আগুনের পাহাড় হরিপুরের প্রকৃতির এক বিস্ময়কর ঘটনা এখানে বাংলাদেশের যেকোনো ঋতুতে বর্ষা গ্রীষ্ম শীত সবসময়ই আগুন জ্বলতে দেখা যায়

বহু বছর আগে লোকমুখে শোনা যায় যে কোন এক অলি এই এলাকায় এসেছিলেন যার নাম শাহ আহমদ আলী তিনি এলেন একজন পীর এখানের মূল ঘটনা হলো তিনি এখানে পুকুর খনন করতে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু গ্রামের মানুষ তার কথা অমান্য করে পুকুর খনন করেছিলেন গ্যাস উত্তোলন উদ্যোগ নেয়ার জন্য কিন্তু পরবর্তীতে কয়েকদিনে মধ্যে গ্যাস ফেল বিস্ফোরণ হয় তারপর পরে এলাকা জ্বলতে থাকে এরপর ওয়াই পীরের সাহায্য নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন

আগুনের পাহাড় উতলার পাড় মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে এখানে বিস্ময়কর বিষয় হলো প্রকৃতির ঘটনা তবে এই এলাকাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ সতর্কতার সহিত চলাফেরার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন

আরো পড়ুনঃসাজেক ভ্যালি মেঘের পাহাড় রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আগুনের পাহাড়ের মূল রহস্য

আগুনের পাহাড় সিলেটের হরিপুর ইউনিয়নের বদলারপাড় গ্রামের অবস্থিত হয় এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করে আসছে

১৯৫৫ সালে এই জায়গায় প্রকৃতির গ্যাস সন্ধান পাওয়া যায় সে সময় থেকে পাকিস্তান আমলে গ্যাস উত্তোলন করা হয় যাকে আমরা পিপিএল গ্যাস বলে থাকি এজন্য পুকুর খনন করা হয় গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস বিস্ফারিত হয়

সে সময় ভূমিধসের কারণে ওই জায়গায় পুকুরের মতো গভীর গর্ত সৃষ্টি হয় আর আশপাশে ছোট ছোট পাহাড়ের মধ্য দিয়ে গ্যাস বের হয় যার কারণে পাহাড়ের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা যায় যা এখনো বর্তমানে পাহাড়ের মধ্যে আগুন প্রচলিত রয়েছে

আগুনের পাহাড় সিলেট কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে যোগে সিলেটে যেতে পারবেন আবার ঢাকা কামরাপুর রেলস্টেশন থেকে সরাসরি সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারবেন সিলেটে পৌঁছে গিয়ে আপনি সোবহানিঘাট বা ধোপা দিঘির পাড় থেকে বাস পেয়ে যাবেন বাসে যোগে হরিপুরে যাবেন সেখান থেকে অটো রিক্সা করে অথবা সিএনজিতে করে চলে যেতে পারবেন আগুনের পাহাড় লাগবে ৬০ টাকা করে আর টোটাল সিএনজি রিজার্ভ নিলে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মত লাগবে

এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকেও বাসে বা ট্রেনে সিলেটে যাওয়া যায় খুব সহজে সিলেট থেকে আপনি সরাসরি হরিপুরের বাস পেয়ে যাবেন হরিপুর বাজার থেকে আগুনের পাহাড় যে কোন গাড়িতে করে চলে যেতে পারে

আরো পড়ুনঃলালাখাল, স্বচ্ছ নীল পানির নদী সিলেট ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

আগুনে পাহাড় সিলেট যাওয়ার পরে কোথায় থাকবেন

আগুনের পাহাড় ছেলের যাওয়ার পরে কোথায় থাকবেন এ বিষয় নিয়ে কোন টেনশন নাই অনেক জায়গা আছে সিলেট শহরের আশপাশে তবে আগুনে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই তাই রাতে থাকার প্রয়োজন হলে সিলেট শহরে চলে আসতে পারেন এখানে বিভিন্ন রকমের মানানসই আবাসিক হোটেল পেয়ে যাবেন

আগুনের পাহাড় সিলেটের গিয়ে কোথায় খাবেন

আগুনের পাহাড় সিলেটে গিয়ে কোথায় খাবেন এখানে আমরা বলব সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকায় বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায় তার মধ্যে পানশি পাঁচ ভাই পালকি এসব রেস্টুরেন্টে উন্নত মানের খাবার পাওয়া যায় যা পর্যটনদের জন্য খুবই পছন্দনীয় এছাড়াও ছেলের শহরের বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট আছে আপনার পছন্দমত যে কোন রেস্টুরেন্ট খেয়ে নিতে পারেন

টুর প্ল্যান

সিলেট শহর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে হরিপুর বাজার এখান থেকে কিছুদূর গেলে আগুনের পাহাড় শুধুমাত্র একদিনে দেখে ঘুরে আসতে পারবেন সিলেট শহর থেকে তবে রাতে দেখলে মজাই আলাদা এজন্য যতটুকু সম্ভব রাতে দেখে আসবেন তাহলে সম্পূর্ণ আদায় কাজ কলায় পূর্ণ হয়ে যাবে এক কথায় রথ দেখা হবে কলা বাঁচাও হবে

আর এজন্য অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন নেই একেবারে খরচে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন সিলেটের আশেপাশের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো

আরো পড়ুনঃতাজিংডং বান্দরবান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

সিলেটের আগুনের পাহাড়ের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

সিলেটের আগুনে পাহাড়ের আশেপাশের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো

হযরত শাহ পরানের মাজার
জাফলং
বিছানাকান্দি
রাতারগুল
ভোলাগঞ্জ
লালখাল
সংগ্রামপুঞ্জি
স্কিন ঝরনা ব্রিজ
আহলে আমজাদের বাড়ি ও
ড্রিমল্যান্ড পার্ক

আমাদের শেষ কথা

আগুনে পাহাড় সিলেট যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করা হয়েছে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন এরপরও যদি কোন রকমের সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন আমরা আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করব

আপনার সিলেট একটি বাংলাদেশের প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি যা দেখলে আপনার মন মাইন্ড আনন্দ উজ্জীবিত হবে তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তাদের মন মানসিকতার চাপ থেকে ফ্রেশ কিছু সময় কাটাতে পারে ধন্যবাদ।

ভ্রমণ গাইড