জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি-বাস টেন ও নৌকা ভ্রমন গাইড

SOHEL🌄

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন-বাস ট্রেন ও নৌকা ভ্রমন গাইড সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার একটি নান্দনিক জলবেষ্টিত গ্রাম। বর্ষা মৌসুমে পুরো গ্রাম পানিতে ঘিরে থাকে । তাই এই গ্রামকে জল গ্রাম বলা হয়।

পেজ সূচিপত্রঃজলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন-বাস ট্রেন ও নৌকা ভ্রমন গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
জলগ্রাম অন্তেহরিতে যা দেখবেন
জলগ্রাম অন্তেহরি যাওয়ার সেরা সময় কখন
জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কীভাবে যাবেন
জলগ্রাম অন্তেহরি কোথায় থাকবেন
জলগ্রাম অন্তেহরি কোথায় খাবেন
ভ্রমণ কালীন জরুরি সতর্কতা
জলগ্রাম অন্তেহরি ভ্রমণে সঙ্গে যা নিবেন
জলগ্রাম অন্তেহরির আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
শেষ কথা

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় জলবেষ্টিত একটি আদর্শ গ্রাম। তবে এই গ্রামটি প্রকৃতিক দিক দিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী। বর্ষা মৌসুমে চারদিক পানিতে ভরপুর থাকে এ সময় গ্রামের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এজন্য স্থানীয়রা এই গ্রামকে জলগ্রাম নামে ডেকে থাকে।

অন্তেহরি জলগ্রাম হলো নৌকা চলাচলের জন্য আকর্ষণীয়। পানির উপর ভাসমান নদী পথ সবুজ প্রকৃতি ও গ্রামের সহজ সরল মানুষের জীবনধারণ , এখানে কোলাহলমুক্ত পরিবেশ নির্মল স্নিগ্ধ বাতাস প্রকৃতির সৌন্দর্যর স্পর্শ একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। যারা কোলাহলমুক্ত শান্ত নিরব পরিবেশ পছন্দ করেন। এবং গ্রাম বাংলার জীবন উপভোগ করতে চান , এই ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য গ্রামটি আদর্শ ও মায়াবী ।

জলগ্রাম অন্তেহরিতে যা দেখবেন

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে ভ্রমণে গেলে প্রকৃতি ও জীবন বাংলার একা অপূর্ব সুন্দর্যের মেলবন্ধন চোখে পড়বে । এছাড়াও এখানে দেখার মত বেশ আকর্ষণীয় কিছু আছে । নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো

জলবেষ্টিত গ্রাম ও নৌকা চলাচল

জলগ্রাম অন্তেহরি সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি। বর্ষা মৌসুমে পুরো গ্রাম পানিতে ঘেরা থাকে। এ সময় নৌকা হয়ে ওঠে মানব জীবনে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। যা ভ্রমণকে করে দারুণ রোমাঞ্চকর। দীর্ঘ বৃষ্টির কারণে আশেপাশে নিচু জমিতে এবং খালে পানি জমে। তখন গ্রামটি পানির উপরে ভাসমান জনপদে রূপ নিয়ে ।

আরো পড়ুনঃবার্ডপার্ক এন্ড ইকোভিলেজ মৌলভীবাজার নান্দনিক পাখির স্বর্গরাজ্য ভ্রমণ গাইড

সবুজ ক্ষেত ও খাল বিলের সৌন্দর্য

জলগ্রাম প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এই গ্রামের রূপ রেখা পরিবর্তন হয়। বর্ষার পানি শুকিয়ে গেলে চারিপাশ বিস্তীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকে , তখন চারিপাশে ধানের ক্ষেত তৈরি করার জন্য স্থানীয়রা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। খাল ও জলাভূমি গ্রামের সৌন্দর্যকে দিগুনেবৃদ্ধি করে ।প্রকৃতিপ্রেমী যারা গ্রাম বাংলাকে ভালোবাসেন , তাদের জন্য এটি একটি শান্ত নিরিবিলি স্বর্গরাজ্য। এ সৌন্দর্যকে ভ্যানিশ নগরী ইতালির ঘরবাড়ির সঙ্গে তুলনা করা হয়।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী জীবনযাপন

এই গ্রামে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রধান যানবাহন হল নৌকা। সকালে ভোরের কুয়াশা এবং বিকেলে শান্ত আলো মোহনীয় করে তোলে। বর্ষা সময় নৌকাগুলোর সারিবদ্ধতা চোখে পড়ার মতো দৃশ্য সৃষ্টি হয়। এখানে গ্রামবাসীর দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য । শান্ত পানির উপর নীল আকাশের প্রতিচ্ছবি সেইসাথে সূর্যের ঝিকমিকি কিরণ অসাধারণ সৌন্দর্য বহন করে । যা শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি দেয় । নৌকা চলাচলের শুধু মাধ্যম নয় বরং জীবিকা উপার্জনের অন্যতম বাহন ।

ঘরবাড়ির কারুকার্য

জলগ্রাম অন্তেহরি বেশিরভাগ ঘর উঁচু মাটির টিবি বা পিলারের উপর তৈরি করা হয়। এতে বর্ষার পানি ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না । অনেকে ঘরের সামনের ছোট কাঠের বাশের ঘাট থাকে , সেখানে নৌকা ভিড়তে দেখা যায়। ঘরবাড়ি গুলো তিন কাট ও মাটির আর উপরে থাকে টিনের চাল , এসব ঘর গুলোকে বিভিন্ন কারুকার্য রং দিয়ে নকশা করা হয় । এ ঘরের আশেপাশে লাগানো থাকে বিভিন্ন রকমের সবুজ গাছপালা লাউ ও সিমের মাচা নারকেল এবং সুপারির গাছ । এক প্রকৃতিক সৌন্দর্য তৈরি করে। ঘরবাড়িগুলো পানিতে প্রতিফলিত হয়ে , পরিবেশকে করে আরো মনোমুগ্ধকর।

সূর্যদয় এবং সূর্যাস্তের উপভোগের দৃশ্য

জলগ্রাম অন্তেহরি গ্রামের সুন্দর্যের তুলনা হয় না । এই গ্রামের আকর্ষণ হল , পানির উপরে প্রতিফলিত সূর্যোদয় যেখানে সূর্যের কিরণ টলমলে পানিতে প্রতিফলিত হয়ে আয়নার মতো চিকচিক করে। এবং বিকেলের সূর্যাস্ত রক্তিম নিলাভ আবহাওয়া দৃশ্য গায়ে মেখে ধীরে ধীরে সূর্য অস্তমিত হওয়া , অসাধারণ সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।

পাখি ও প্রকৃতির বৈচিত্র

জলাশয় ও আশেপাশের গাছপালায় শীতে ভিনদেশী পাখি এসে বাসা বাঁধে , এবং জলের উপরে উড়ে বেড়ায় দেশি বিদেশি পাখি সমাহার । এই গ্রামকে কিচিরমিচির শব্দে আরো মুখরিত করে তুলে। বিশেষ করে সকাল এবং বিকেলের মায়াবী আলোর ছোঁয়ায় এই জায়গা হয়ে ওঠে ফটোগ্রাফির জন্য আদর্শবান। যা নিরিবিলি পরিবেশ শান্ত নিরব স্নিগ্ধ শীতল হাওয়া প্রকৃতিকে আনন্দে মুখরিত করে।

জলগ্রাম অন্তেহরি যাওয়ার সেরা সময় কখন

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন ও যাওয়ার সেরা সময় কখন সেটা বর্ষা মৌসুম "জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস" শরৎ হেমন্ত যেতে পারেন বর্ষা মৌসুম এ সময় এ কারণে সেরা সময় নির্ধারণ করা হয়েছে । যে গ্রামের আসল রূপ প্রকাশিত হয়। পুরো গ্রাম পানিতে ভরপুর নৌকা ছাড়া ওঠানামা বা যাতায়াত করার কোন মাধ্যম নেই । পানিতে সবুজ প্রকৃতি ও উপরে নীল আকাশ সুন্দর দেখায় । যারা প্রকৃতপ্রেমী এই জল গ্রামে আসলে তার ষোল আনা পূর্ণ হবে।

আরো দেখুনঃলাসুবন গিরিখাত ভিন্ন জাগতিক পর্যটন কেন্দ্র শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ গাইড

এছাড়া আপনি চাইলে শরৎ এমন হেমন্তকালে ঘুরে আসতে পারেন । এই সময় আবহাওয়া থাকে আরামদায়ক ও পরিষ্কার নৌকা ভ্রমণ আংশিক ভাবে দেখা যায় । তবে হাঁটাহাঁটি করে গ্রাম দেখা অত্যন্ত সুবিধাজনক । অন্যান্য সময় পানি কম থাকে এজন্য আমরা এই সময় যাওয়াকে ভালো মনে করি না।

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কীভাবে যাবেন

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন এবং ভ্রমন গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত ভ্রমণ তথ্যের পরিষ্কার রুট তুলে ধরা হলো চলুন জেনে নেওয়া যাক

ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার

ঢাকা থেকে সরাসরি মৌলভীবাজার রুটে কিছু ভালো মানের বাস চলাচল করে থাকে । আপনি চাইলে এসব বাসে সরাসরি মৌলভীবাজার চলে আসতে পারেন । নিচে বাসগুলোর তালিকা তুলে ধরলাম

ঢাকা সায়েদাবাদ মহাখালী ও ফকিরাপুল সরাসরি বাস টার্মিনাল থেকে মৌলভীবাজার গামী বাস পাওয়া যায়

বাসের নাম

এনা ট্রান্সপোর্ট এসি

শ্যামলী পরিবহন কোন কোন সময় এসি সার্ভিস দেয়

হানিফ এন্টারপ্রাইজ এসি এবং নন এসি উভয় বাস পাওয়া যায়

ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার যেতে মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা সময় লাগে এসব বাসগুলো দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক ও উপযোগী

নন এসি বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা তুলনামূলকভাবে ভাড়া কম হবে । তেমন আরামদায়ক হবে না। মৌলভীবাজার চাঁদনী ঘাট বাস স্ট্যান্ডে নেমে যাবেন।

ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার বাসের ভাড়ার তালিকা

নন এসি বাসের ধরন অনুযায়ী ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা । আবার ৫০৭ থেকে ৬০০ টাকা হয়ে থাকে । এসি বাসের ভাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা জন প্রতি । তবে বাস সার্ভিস অনুযায়ী এসি বাসের ভাড়া ৭০০ টাকারও বেশি হতে পারে ।

ট্রেনযোগে

এছাড়াও আপনি চাইলে ট্রেন নিয়ে যেতে পারেন । ঢাকা থেকে সরাসরি মৌলভীবাজার কোন ট্রেন নেই । সেজন্য চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময় দিয়ে রেল স্টেশনে নেমে যাবেন ।

ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেনের সময়সূচী

ট্রেনের নাম	ছাড়ার সময়	পৌঁছানোর সময়	ভাড়া
পারাবাত এক্সপ্রেস	6:20 am	1:00 pm	মঙ্গলবার
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস	11:15pm	7:00 pm	কোন নির্দিষ্ট বন্ধ নেই
কালনী এক্সপ্রেস	2:55pm	9:30 pm	শুক্রবার
উপবন এক্সপ্রেস	8:30 pm	5:00 pm পরের দিন	বুধবার
সুরমা মেল	10:50 pm	12:10 pm পরের দিন	কোন গন্ধ নেই

ভাড়ার তালিকা

সুলভ মূল্য = ১৭৫ টাকা।

শোভন = ২৬৫ থেকে ৩৭৫ টাকা।

শোভন চেয়ার = ৩২০ থেকে ৩৭৫ টাকা।

প্রথম শ্রেণীর চেয়ার = ৪৮৯ থেকে ৫৭৫ টাকা।

স্নিগ্ধা = ৬১০ থেকে ৭১৯ টাকা ।

এসি সিট = ৭৩৬ থেকে ৮৬৩ টাকা ।

এসি বার্থ = ‌ ১০৯৯ থেকে ১২৮৮ টাকা ।

এরপরে শ্রীমঙ্গল থেকে মৌলভীবাজার যাওয়ার জন্য, সিএনজি কিংবা মাইক্রোবাস নিবেন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় নিয়ে পৌঁছে দেবে মৌলভীবাজার।

আরো পড়ুনঃবিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি সৌন্দর্য শ্রীমঙ্গল যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

মৌলভীবাজার থেকে জলগ্রাম অন্তেহরি যাওয়ার উপায়

মৌলভীবাজার থেকে অন্তহেরি জলগ্রাম যাওয়ার প্রধান সহজ কিছু উপায় নিচে তুলে ধরা হলো

সিএনজি বা অটো রিকশা

মৌলভীবাজার শহর থেকে সিএনজি বা রিক্সা যেতে পারেন এজন্য আপনাকে চাঁদনী ঘাট জগৎপুর টেম্পু স্ট্যান্ড থেকে , সরাসরি সিএনজি অটো পাওয়া যায় পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া হবে । এরপরে অন্তেহেরি বাজার থেকে নৌকা ভাড়া করে, পুরো জল গ্রাম ঘুরে দেখে নিতে পারেন ।

এছাড়াও রিজার্ভ গাড়ি অথবা প্রাইভেট কারে আপনাদের যদি বড় কয়েক সদস্যের দল থাকে , সে ক্ষেত্রে ভ্যান বুক করে মৌলভীবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি অন্তেহেরি বাজার যেতে পারেন। এখান থেকে সমস্ত জলগ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

মৌলভীবাজার থেকে জল গ্রামের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার অল্প সময় পৌঁছে দেওয়া যায় কোথায় থাকবেন

জলগ্রাম অন্তেহরি কোথায় থাকবেন

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন , তার সঙ্গে এই বিষয়ে বলা যায় সাধারণত মৌলভীবাজার শহরে থাকার সুযোগ সুবিধা বেশি। নিচে মৌলভীবাজারে কয়েকটি আবাসিক হোটেলের নাম তুলে ধরা হলো।

হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান পরিবার কাপল প্রিমিয়াম সার্ভিস ভাড়া তুলনামূলক বেশি

হোটেল সাইফুর ইন্টারন্যাশনাল পরিষ্কার নিরাপদ ভাড়া মাজহারী ধরনের

হোটেল শাহীন রেসিডেন্স বাজেট ফ্যামিলি ভাড়া সাশ্রয়

বাজেট হোটেল /গেস্ট হাউস

হোটেল আল মদিনা

হোটেল নূরজাহান ইন্টারন্যাশনাল

হোটেল রশিদ ইন্টারন্যাশনাল

এসব হোটেলের ভাড়া সাধারণত ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে

এছাড়া আপনি শ্রীমঙ্গলে থাকতে পারেন গার্ডেন রিসোর্ট পর্যটন মডেল শ্রীমঙ্গল এখান থেকে জল গ্রাম ১ থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগে । এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর ।

জলগ্রাম অন্তেহরি কোথায় খাবেন

যদি জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন , এবং শহরে কিছু জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে জানতে চান । তাহলে আমাদের ধাপ অনুসরণ করুন এক্ষেত্রে জেনে নিতে পারেন সেরা হোটেলের মধ্যে অন্যতম কোনটি

পানশি রেস্টুরেন্ট শহরের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা এখানে দেশি এবং চাইনিজ খাবার পাওয়া যায়

ইট এন্ড মিট ভালো রেটিং সহ আধুনিক পরিবেশে খাবার খেতে পারবেন।

ফুড প্লেস ফ্রেন্ড ফ্যামিলির সাথে খেতে যেতে পারবেন ।

মায়ের দোয়া রেস্টুরেন্ট ভালো রেটিং স্বল্প দামি ।

আপনি চাইলে ছোট ক্যাফে রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন মাঝারি মানের বাজেটে খেতে পারেন সব এক কথায় সব রকমের হোটেলে এখানে পাবেন ।

এছাড়াও ভাত ভুনা মুরগি গরু বিরিয়ানি কাচ্চি ফাস্টফুড বার্গার স্ন্যাকস চাইনিজ ক্যাজুয়াল ক্যাফে খাবার সবই পাবেন।

ভ্রমণ কালীন জরুরি সতর্কতা

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন এর আগে আপনাকে জানতে হবে ভ্রমণকালীন সতর্কতা সম্পর্কে তাই আমরা নিচে কিছু তথ্য তুলে ধরলাম চলুন জেনে নেওয়া যাক

বর্ষাকালে লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নৌকায় উঠবেন না ।

বৃষ্টি হলে নৌকায় উঠবেন না।

শিশুও বয়স্কদের আলাদা করে নজর রাখবেন ।

নৌকায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলবেন না ।

মাঝির সঙ্গে ভাড়া ঠিক করে নিবেন ।

রাতে নৌকা ভ্রমণ নিরাপদ হবে না।

ময়লা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না ।

মোবাইল এবং ক্যামেরা সতর্কতার সাথে সঙ্গে রাখবেন ।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আচার-ব্যবহার সংযুক্ত রাখবেন ।

জলগ্রাম অন্তেহরি ভ্রমণে সঙ্গে যা নিবেন

জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন , সে সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিস কি কি নেবেন । চলুন জেনে নেওয়া যাক

জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি

হালকা পোশাক

টুপি বা ক্যাপ

গ্রিপযুক্ত স্যান্ডেল বা

জুতা গামছা বা তোয়ালে

সানস্ক্রিন লোশন

বোতল জাত পানি ব্যবহার করবেন

পোকামাকড় ও মশা রিপপ্লিমেন্ট সঙ্গে রাখবেন

নগদ টাকা সঙ্গে রাখবেন

ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ রাখবেন ।

জলগ্রাম অন্তেহরির আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

হাকালুকি হাওর ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের অন্যতম বড় হাওর

মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বড়লেখা

লাউয়া ছড়া জাতীয় উদ্যান ৪৫ কিলোমিটার দূরে শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গল চা বাগান প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে চায়ের রাজধানী

হাইল হাওর এখান থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পাখির অভয়ারণ্য শীতকালে অতিথি পাখি দেখা যায়

হযরত শাহ মোস্তফা রঃ এর মাজার ।

রাজকান্দি পাহাড়ি এলাকা ।

আরো জানুনঃ হামহাম জলপ্রপাত ভ্রমণ গাইড

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটিতে জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন ভ্রমন গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন । এরপরও যদি আপনাদের মনে কোন রকম প্রশ্ন থেকে থাকে। তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন । আমরা সঠিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উপকৃত হব ।

আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে । তাহলে আপনাদের আত্মীয়-স্বজনের নিকট জলগ্রাম অন্তেহরি মৌলভীবাজার কিভাবে যাবেন বেশি শেয়ার করে দিবেন । আর আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন , কারণ আমরা প্রতিদিন এই ওয়েবসাইটে নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি । এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনাদের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে , আজকের মত এখানে শেষ করছি । আল্লাহ হাফেজ ।