বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি শ্রীমঙ্গল যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

SOHEL🌄

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি শ্রীমঙ্গল যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে আমরা আজকের আর্টিকেলে সঠিক তথ্য নিয়ে আলোচনা করব, বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটনদের কাছে আকর্ষণীয় স্পট।যাকে স্থানীয়রা পাহাড় অথবা লেক চেন বাড়ি লেক নামে ডেকে থাকে। যার অবস্থান বিলাইছাড়া চা বাগানের দশ নম্বর সেক্টরে।

পেজ সূচিপত্রঃবিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি শ্রীমঙ্গল যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানতে পড়ুন

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি শ্রীমঙ্গল
বিলাসছড়া লেকের যা যা দেখবেন
কখন বিলাসছড়া লেকে যাওয়ার উপযুক্ত সময়
বিলাস ছড়া লেকে যাওয়ার উপায়
শ্রীমঙ্গল পৌঁছে কোথায় খাবেন
শ্রীমঙ্গলে কোথায় থাকবেন
বিলাস ছাড়া লেকে যে সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করবেন
সঙ্গে যা যা নিতে হবে
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান সমূহ
আমাদের শেষ কথা

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি শ্রীমঙ্গল

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি সৌন্দর্য শ্রীমঙ্গলের এক অন্যতম পরিচিত স্থান।যা বিলাইছড়ি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিয়া ঘাট ইউনিয়নে অবস্থিত।বিলাসছড়া লেকের প্রধান আকর্ষণ হল পাহাড়ের ঢালে জমে থাকা পানি,যার থেকে সৃষ্টি অপূর্ব সৌন্দর্যের জলাশয়।বিলাসছড়া লেকের চতুর্পাশ্বে ঘন সবুজ বন এবং ছোট বড় পাহাড় ও চা বাগান দ্বারা বেষ্টিত।যার আয়তন দুই থেকে তিন একর প্রায় আট হাজার থেকে বারো হাজার বর্গ কিলোমিটার।

বিলাসছড়া লেকের দর্শনার্থীদের আনাগোনা কম থাকায় যারা শান্ত নীরব পরিবেশ পছন্দ করেন,তাদের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। প্রকৃতির মাঝে লুকানো এই সৌন্দর্যের লীলাখেলা মনের গহীনে স্বর্গ রাজ্যের অনুভূতির ছোঁয়া দেয়। ঘন সবুজ বনের পশু পাখির কুহু ডাক এবং অসাধারণ সবুজ চা গাছের সারিবদ্ধতা পাহাড়ি পথ ও উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হৃদয়ে সৌন্দর্যের পরশ বুলিয়ে দেয়,এবং দর্শনার্থীদের এই দৃশ্য এমনভাবে মনোমুগ্ধ করে যে মনে রাখার মত।

বিলাসছড়া লেকের মূল অর্থ হল মনোরম বা আরামদায়ক ছোট ঝর্ণার জলযুক্ত জলাশয়।

আরো পড়ুনঃনেভি ক্যাম্প কাপ্তাই লেকের নীল জলরাশি ও সবুজ পাহাড়ের আকর্ষণীয় মেলবন্ধন সম্পর্কে জানুন

বিলাসছড়া লেকের যা যা দেখবেন

বিলাসছড়া লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করার ভাগ্যের ব্যাপার কারণ এই জায়গাটি অন্যান্য জায়গা চাইতে অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্র,যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় স্থান।বিলাসছড়া লেকের দেখার মত কি কি আছে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

জলের উপরে সূর্যের আলোর প্রতিচ্ছবি

বিলাসছড়া লেকের লুকানোর প্রাকৃতি শ্রীমঙ্গল এর অন্যতম সৌন্দর্যের বৈশিষ্ট্য হলো।জলের উপরে সূর্যের আলোর প্রতিচ্ছবি টলমলে নীল পানির উপরে সূর্যমামা যখন তার কিরণ মেলে ধরে,তখন এর চারিপাশের পাহাড়ি ছায়া ও সবুজ চা বাগানের সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণভাবে বৃদ্ধি পেয়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশের তৈরি হয়।যেকোনো ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে হতে পারে সর্বশ্রেষ্ঠ দৃশ্য দেখার মধ্যে অন্যতম সেরা স্থান।প্রকৃতির নীরব নির্মল সবুজ শ্যামলের ঘেরা এ পরিবেশ সত্যিই মনের মধ্যে এক সৌন্দর্যের ভালোবাসা সৃষ্টি করে।

বিলাসছড়া লেকের উপর দিয়ে হাঁটার দৃশ্য

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি সৌন্দর্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লেকের চারি পাশ দিয়ে পাহাড়ি রাস্তা।একদিকে যেমন পাহাড় অন্যদিকে সবুজ নিলাভ রূপে রূপায়িত জলাশয়ের ঝলমলে পানি মনোরম দৃশ্য যেন মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা ক্রান্তি দূর করে এনে দেয় প্রশান্তির ছায়া।এর সাথে দ্বিগুণ আনন্দ বেড়ে যাবে চা বাগানের শীতল করা সবুজের মনোরম দৃশ্যে।

সারিবদ্ধ সবুজ চায়ের গাছ

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলংকন করা যায়।এই লেকে চায়ের গাছের সারিবদ্ধতা সবুজের সমরহ মনে হয় উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথে হেটে যাওয়া। এই চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করা।

আরো পড়ুনঃ টি ভ্যালি গ্রিন রিসোর্ট কালান্দিগঞ্জ তেতুলিয়া যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

চা বাগানের মধ্যে শ্রমিকদের জীবনধারা সাংস্কৃতি ঐতিহ্য সত্যি আপনাকে নিয়ে যাবে অচেনা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রূপের কাছে।

বিলাসছড়া লেকের উপর উড়ে যাওয়া পাখির দৃশ্য

বিলাসছড়া লেকের লুকোনো প্রাকৃতিক আপার সৌন্দর্য দৃশ্যমান হয়,লেকের ওপর উড়ে যাওয়া রংবেরঙের পাখি।নীল ঝলমলে লেকের পানির উপর দিয়ে যখন বিভিন্ন রঙের পাখি উড়ে যায়,নীল আকাশের নিচ দিয়ে তখন নীল আকাশে এবং পাখির প্রতিচ্ছবি নেমে আসে পানির নিচে দেখে মনে হয় আকাশ যেন পানিতে নিচে নেমে এসেছে।যেটা ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য খুবই আনন্দময় মুহূর্ত।

সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের আপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি সৌন্দর্য একে দিয়ে যায় জীবনের সাত রং।সকালের সূর্যোদয় গহীন মেঘে ঢাকা কখন যেন সূর্যমামা উঁকি দিয়ে উঠে কিরণ টলমলে পানির উপর পড়ে ফুটিয়ে তুলে।অপার সৌন্দর্য তার উপরে নৌকা রাইড করা, মাছ ধরা লেকের অসাধারণ দৃশ্য।এরপরে সূর্যোদয়ের রক্তিম নীলাভ আভা গায়ে মেখে যখন সন্ধ্যা ঘনি আসে,তখন সূর্যমামা ঘন সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত নীল পানি রক্তিম রঙ্গে রাঙ্গাইতো হয়ে লাল পরীর মত বউ সেজে থাকে তখন পর্যটকদের আহ্বান করে বলতে থাকে,এই দেখো কত সুন্দর করে আমি সেজেছি।

ফটোগ্রাফির অপার দৃশ্য শুট করা

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি সৌন্দর্য শ্রীমঙ্গলে দেখা যায় যা আপনাকে করবে বিমোহিত। চারিদিকের সবুজ শ্যামল চা বাগানের দৃশ্য নীল আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া বিভিন্ন রকম পাখির দৃশ্য,সাথে লেকের অসাধারণ নীল পানির নিরব নিস্তব্ধ পরিবেশ।পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা সব মিলিয়ে এ যেন এক নৈসর্গিক স্বর্গরাজ্যের অনুভূতি।যা ফটোগ্রাফির জন্য খুবই উপযুক্ত স্থান।অনেক দর্শনার্থী জীবনের সুন্দরতম মুহূর্ত ধরে রাখার জন্য ক্যামেরাবন্দী করে নিজের সাথে এ জায়গা টিকে।

কখন বিলাসছড়া লেকে যাওয়ার উপযুক্ত সময়

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি সৌন্দর্য উপভোগ করার সেরা সময় কখন এ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন তার জন্য সহজে সঠিক তথ্য উল্লেখ করা হলো

বিলাসছড়া লেক ভ্রমনের সেরা সময় হলো শীতকাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস এ সময় আবহাওয়া শীতল থেকে এবং বৃষ্টিপাত কম হয়। সময়টা টেকিং এর জন্য খুবই ভালো ঝর্ণা দেখার জন্য আরামদায়ক এবং নিরাপদ। বর্ষাকালে আবহাওয়া অসাধারণ থাকে কিন্তু মাটি কাদাযুক্ত হয় টেকিং এর জন্য তেমন ভালো সময় না ।

কিন্তু বর্ষার সময় চারপাশের লেকের পানি পরিপূর্ণ থাকে।

বিলাস ছড়া লেকে যাওয়ার উপায়

বিলাস ছড়া লেকের উদ্দেশ্যে সরাসরি ঢাকা থেকে বাস এবং ট্রেন ছেড়ে যায় এই রোটে কি কি বাস চলাচল করে চলুন নিচে জেনে নেওয়া যায় যেমন হানিফ সোহাগ শ্যামলী এনা

ঢাকার সায়দাবাদ থেকে ফকিরাপুল সরাসরি সরাসরি শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে নিয়মিত ভাবে ছেড়ে যায়

যেতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ ঘন্টা মতো

নন এসি বাসে ভাড়া লাগবে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা

এবং এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে১ হাজার টাকা

ট্রেনে

ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল রুটে যে সমস্ত ট্রেন চলাচল করে তার নামের তালিকা তুলে ধরা হলো

পারাবাত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস

ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়

পৌঁছাতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা থেকে চার ঘন্টা ৫০ মিনিট

শোভনের ভাড়া ১২০ থেকে ৩৫০ টাকা

যাতায়াতের রুট

ঢাকা-শ্রীমঙ্গল-কালিয়াঘাট-বিলাস ছড়া লেক

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কালিয়াঘাট তারপরে বিলাস ছড়া লেখপৌঁছাতে পারবেন এখান থেকে সিএনজি অটো করে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ভুলে যাব ভাড়া নিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন বিলাস ছাড়া লেকে। এবং মোটর বাইকে ভাড়া লাগবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়বে মনোরম প্রকৃতির দৃশ্য পথিমধ্যেই সুন্দর যে আপার বৈশিষ্ট্য দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে থাকবে

ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল শ্রীমঙ্গল থেকে বিলাস ছড়া লেক মোট দূরত্ব

২৩৫ কিলোমিটার

ঢাকা থেকে বিলাইছড়ি লেক যেতে কত সময় লাগে

ঢাকা থেকে বিলাইছড়ি লেক যেতে সময় লাগে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা

শ্রীমঙ্গল পৌঁছে কোথায় খাবেন

বিলাস ছাড়া লেকের লুকানো প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য থাকা এবং খাওয়ার জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জেনে নেওয়া যায়

শ্রীমঙ্গলে খাবার জন্য কয়েকটি উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে তার মধ্যে

চামুংরেস্টুরেন্ট এন্ড ইকো ক্যাফে

এখানে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় দেশি মাছ ভাত মাটন আন্তর্জাতিক খাবার পেয়ে যাবেন

অবস্থান রাধানগর শ্রীমঙ্গল কাঠ এবং বাঁশের তৈরি শান্ত নিরব পরিবেশ ও শীতল বাতাস অনুভবে গ্রহণ করবেন

গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গ্লোফ

শ্রীমঙ্গলের দেশীয় এবং লোকাল খাবার এখানে পাবেন এবং অল ডে ডাইনিং রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন আরো পাবেন ইউরোপ এশিয়া লোকাল মেনু ।

অরণ্য বিলাস চা বাগানের দৃষ্টিতে সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড পেয়ে যাবেন

সাহি ডাইন অভিজ্ঞতার জন্য রেস্তোরাটি বিশেষ মেনু ও বায়ুমণ্ডল দিয়ে ডিজাইন করা

পানশি রেস্টুরেন্ট সঞ্চয়ীএবং পরিচিত রেস্টুরেন্ট

শ্রীমঙ্গলে কোথায় থাকবেন

শ্রীমঙ্গল লাক্সারি রিসোর্ট উচ্চ বাজেটে জনপ্রিয় রিসোর্ট এখানে পাবেন প্রাইভেট চা বাগান সুইমিং পুল স্পা রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি

প্রতি নাইট ভাড়া দশ হাজার থেকে পঁচিশ হাজার

দোসাই রেস্টুরেন্ট এন্ড স্পা

সুইমিংপুল সাহা ওয়াটার ভিলা লেকের পাশে অসাধারণ নীরব পরিবেশ

প্রতি নাইট ভাড়া ১২০০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা

চার থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে মিডিল পর্যায়ের যে রিসোর্ট গুলো রয়েছে সেগুলো হলো

টি টাউন রিসোর্ট কাপলদের জন্য উপযোগী প্রাইভেট কটেজ

শান্তি বাড়ি ইকো রিসোর্ট বাস এবং কাঠের কটেজ ফুল ইকো স্টাইলে তৈরি

মানিপুরি রাজবাড়ি গেস্ট হাউস শ্রীমঙ্গল শহরের কাছে অবস্থিত পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে নিরাপদ

আরো পড়ুনঃকুমারী ঝরনার মাধ্যমে বান্দরবানের রুপালি সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ এবং ভ্রমণ গাইড

লো বাজেটের মধ্যে পাবেন

হোটেল মারিনা শহর থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের রাস্তা যাওয়ার সিস্টেম এর কাছে অবস্থিত সস্তায় পরিষ্কার রুম পাবেন

হোটেল স্কাই পার্ক

গ্রুপ ট্যুরের জন্য খুবই ভালো।

হোটেল প্লাজা ইন এসে দ্বারা নিয়ন্ত্রিত শহরের বাজারের কাছে যার অবস্থান

বারোশো থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্খিত রুম।

জনপ্রতি মোট খরচ পড়বে ৩ হাজার থেকে চার হাজার টাকা

বিলাস ছাড়া লেকে যে সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করবেন

বিলাস ছাড়া লেকে তো সতর্কতা মানবেন তার সাথে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলবে চলুন কি কি সতর্কতা আছে জেনে নেওয়া যাক

অনুমতি ছাড়া চা বাগানে প্রবেশ করবেন না

গভীর জঙ্গলে বা লেকে একা যাওয়া যাবে না

বানর এবং বন্যপ্রাণী থেকে দূরে থাকবেন

চা বাগানের মধ্যে মৌসুমীর সাপ এবং পোকামাকড় থেকে সাবধান থাকবেন

জুতা ব্যবহার করবেন

স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন

বৃষ্টি হলে পদ পিচ্ছিল হয় তাই সাবধানে হাঁটবেন।

চেক পোস্টে পরিচয় পত্র রাখবেন

সঙ্গে যা যা নিতে হবে

বিলাস ছাড়া লেকে লুকানো সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে তো চলুন কি কি পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায় নিচে জেনে নেয়া যাক

জাতীয় পরিচয় পত্র সঙ্গে রাখতে হবে

ট্রেন বা বাসের টিকিট অগ্রিম কাটতে হবে

হোটেল বুকিং অগ্রিম রাখতে হবে

আরামদায় কাপড় পড়তে হবে

টেকিং এর সময় জঙ্গলে হাঁটার জন্য জুতা ব্যবহার করতে হবে

রেনকোট সঙ্গে রাখবেন

সানগ্লাস এবং সঙ্গে টুপি রাখবেন

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওষুধ সঙ্গে রাখবেন

স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখবেন

গ্লুকস কিংবা স্যালাইন সঙ্গে রাখবেন এবং তার সাথে শুকনা খাবার অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন

সবসময় মাক্স ব্যবহার করবেন

নিরাপদ পানি সঙ্গে রাখবেন

লেকে বোর বাইচ এর জন্য লাইভ জায়গার সঙ্গে রাখবেন

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান সমূহ

শ্রীমঙ্গল বিলাস ছাড়া লেকে ঘুরতে গেলে অবশ্যই আশেপাশে অনেক সুন্দর জায়গা গুলো দেখে আসবেন এতে আরো অভিজ্ঞতার পরিচয় পাবেন তো দেখে নিন কি কি ধর্ষণের স্থান রয়েছে আশেপাশে

লাউলা ছাড়া জাতীয় উদ্যান

শ্রীমঙ্গলের সবচাইতে জনপ্রিয় একটি স্থান বানর ভাল্লুক বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যেতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে

মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত বাংলাদেশের সবচেয়ে অন্যতম উঁচু ঝরনা

যেতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগবে ঝর্ণা পাহাড় ঝিরিপথ সব মিলিয়ে অসাধারণ দৃশ্য

আরো পড়ুনঃগাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

পাখি প্রেমীদের স্বর্গ হাঁটার ট্রেইল জঙ্গল বন্যপ্রাণী দেখা যাবে দেড় ঘন্টা দূরত্ব

নীলকান্ত চা বাগান

হামহাম ঝরনা

আদিবাসীদের গ্রাম

রিমা কালচারাল ভিলেজ

ভানু গাছ চা বাজার

আমাদের শেষ কথা

বিলাস ছাড়া লেক লুকানো প্রকৃতি দর্শনার্থীদের জন্য অসাধারণ একটি জায়গা যা আজকের আর্টিকেলে আমরা সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে তুলে ধরেছি।আশা করছি বুঝতে পেরেছেন,কোথায় থাকবেন,কিভাবে যাবেন,কত টাকা ভাড়া লাগবে,কোন আবহাওয়ায় যাবেন,কি কি খাবেন,দেখার মত কি কি জায়গা আছে , সম্পূর্ণ বর্ণনা করা হয়েছে।এরপরও যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে,তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন,আমরা এর সঠিক উত্তর দিয়ে বাধ্য থাকব।

বিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে,যে সমস্ত সুরক্ষা প্রয়োজন।সেগুলো আজকের আর্টিকেলে বর্ণনা করা হয়েছে এই আর্টিকেল যদি আপনাদের কাছে পছন্দনীয় হয়ে থাকে।তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন।আপনার আত্মীয়দের কাছে যেন অবসর সময়ে ক্লান্ত ময় মনকে পরিত্রাণ দিয়ে,সুখময় কিছু মুহূর্ত কাটিয়ে আসতে পারে।আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন কারণ আমরা প্রতিদিনই এরকম সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট এই ওয়েবসাইটে আপডেট দিয়ে থাকি।এতখন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।