কুমারী ঝরনার মাধ্যমে বান্দরবানের রুপালি সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ এবং ভ্রমণ গাইড

গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন  কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ এবং ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে  আজকের আঁটিকেলে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব আমাদের সঙ্গে থাকুন।

কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এই ঝরনার নাম যে নাম শুনলে মনের মধ্যে আকর্ষণ বেড়ে যায় তো চলুন এই নামের মূল কারণ ও সৌন্দর্য সম্পর্কে নিচে জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃকুমারী ঝরনার মাধ্যমে বান্দরবানের রুপালি সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ এবং  ভ্রমণ গাইড জানতে পড়ুন

• কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ
• কুমারী ঝরনা নামকরণ কারণ সমূহ
• কুমারী ঝর্ণায় যা যা দেখবেন
• কুমারী ঝরনা যাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন
• কুমারী ঝর্ণা যাওয়ার উপায় সমূহ
• কুমারী ঝরনা গিয়ে কোথায় থাকবেন
• সঙ্গে যা যা নিবেন
• সর্তকতা অবলম্বন
• আশেপাশে  দর্শনীয় স্থানসমূহ
• আমাদের শেষ কথা

কুমারী ঝরনার মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ

কুমারী ঝর্ণা বান্দরবান জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশের যতগুলো ঝরনা রয়েছে তার মধ্যে এই কুমারী ঝরনা অবহেলিত কুমারী ঝরনার অবজ্ঞার অন্যতম দিক হলো এই ঝর্নায় শুধু বর্ষ মৌসুমে পানির চাপ থাকে এ সময় এই ঝরনা যৌবন ফিরে পায় যা প্রাকৃতির মাঝে মিষ্টি মধুর ছোঁয়া যেমন বর্ষাকালে ঘন সবুজ বন তার যৌবনে পদার্পণ করে তেমনি কুমারী ঝরনা ও নতুন করে তার সৌন্দর্যে নিজেকে নতুন রূপে উপস্থিত করে এছাড়াও ছোট ছোট ঝিরি ছাঙ্গু নদীর জলধারা সব মিলিয়ে তৈরি করে এক রুপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশের লীলাভূমি যেকোনো দর্শনার্থীদের মনে আকর্ষণীয় ভাবে জায়গা করে। এ যেন এক প্রাকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য।

কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ করে তার অন্যতম দিক হলো পর্যটকরা বর্ষার মৌসুমে কুমারী ঝর্ণায় গা ঘেঁষে গোসলের মাধ্যমে শরীরের সমস্ত ক্লান্তি দূর করে মনের মধ্যে এনে দেয় এক অজানা প্রেমের শান্ত ছোঁয়ার অনুভূতি ।

কুমারী ঝরনার যত উপরে চোখ যায় শুধু সাদা ধবধবে সাদা জলরাশি এই পাহাড়ের পাথরকে চারিদিক থেকে বেষ্টিত করে রেখেছে যা এক কুমারী হৃদয়ের মত নির্মল আর মনে মনে আহ্বান জানাচ্ছে পর্যটককে তার শরীরের সাথে মিশে যেতে ।

আরো পড়ুনঃতুলিভাং ঝর্না বান্দরবানের লুকানো অপার সৌন্দর্য সম্পর্কে জানুন 

কিন্তু শীত মৌসুমে এই ঝর্ণা পানি না থাকায় শুকিয়ে যায় তাই একে শীত ও বর্ষার জোয়ার ভাটা অনুযায়ী নাম দেওয়া হয় কুমারী ঝর্ণা।

কুমারী ঝরনা নামকরণ কারণ সমূহ

কুমারী ঝরনার স্থানীয়দের কিছু তথ্য থেকে জানা যায় একসময় এক কুমারী মেয়ের নাম অনুসারে এই ঝর্ণাটির নামকরণ করা হয় জেনে এই ঝর্ণার আশেপাশে বসবাস করতেন যা দুঃখজনক ঘটনা সাথে ছিলেন জড়িত।

কুমারী ঝরনার নামকরণের কয়েকটি কারণ রয়েছে তার মধ্যে স্থানীয়দের মতে এই ঝর্ণাটি শুধু বর্ষাকালে পূর্ণতা লাভ করে এবং সারা বছর পানি কম থাকে অনেক সময় শুকিয়ে যায়

কুমারী ঝরনা মানে অনেকটাই লাজুক কোয়ালিটির মতো বর্ষা মৌসুমে তার রূপ মেলে ধরে অন্য মৌসুমে তার রূপকে লুকিয়ে নেয় এটাই হচ্ছে এই ঝর্ণা স্বভাব

কুমারী ঝর্ণায় যা যা দেখবেন

কুমারী ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এখানে যেতে হবে বর্ষাকালে এ মৌসুমে কুমারী ঝরনা তার নতুন রূপে রূপবতী হয়ে সেজে ওঠে চলুন নিচে জেনে নেয়া যাক তার সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ গুলো কি কি এ সম্পর্কে

অস্পর্শিত সৌন্দর্য উপহার

কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশের কারণ হলো এই ঝর্ণাটি মানুষের হাতের ছোঁয়া থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত যাকে প্রাকৃতিক রূপের সাথে তুলনা করা হয় এর দূরত্ব অন্যান্য ঝর্ণার চাইতে অনেক দূরে তাই একে কুমারের শব্দটি দিয়ে তার সৌন্দর্য নির্মলতার রূপকে বোঝানো হয়েছে এ যেন সত্যি কুমারীর মতোই আত্ম স্বভাবের অনুভূতি প্রকাশ করে।

স্বচ্ছ ও পবিত্র জলধারার জলরাশি

কুমারী ঝরনার আরেকটি অন্যতম রূপালী সৌন্দর্যের বইয়ের প্রকাশ হলো এখানকার জলরাশি একেবারে স্বচ্ছ সাদা ধবধবে পরিষ্কার এবং ঠান্ডা প্রকৃতির যা কুমারী মেয়ের হৃদয়ের স্পর্শের নির্মলতাকেও হার মানিয়ে দেয় যার সৌন্দর্য সেই নিজে চারিদিকে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে সেজে ওঠে বর্ষা মৌসুমে দর্শনার্থীদের টুরের ভুবনে সফলতার অন্যতম দৃষ্টান্তের পটভূমি।

প্রকৃতি সাথে শান্তির নীরবতার প্রেমবন্ধন

কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রকৃতির সাথে শান্তির নীরবতার প্রেম বন্ধন চারিপাশে শান্ত নিরব ঘন জঙ্গল আর মাঝেমাঝে পাখির ডাক নিরব পরিবেশ এবং শান্ত পবিত্র অনুভূতি সত্যিই যেন মনের মধ্যে ভালোবাসার জায়গা তৈরি করে ফেলে। কুমারী ঝরনার পাশাপাশি রয়েছে আরো অনেকগুলো রূপবতী ও গুণবতী ঝরনা সমূহ যাকে ঘিরে তৈরি হয় সৌন্দর্যের অফার ভালবাসার লীলাভূমি।

বনফুল ও পাহাড়ি বনভূমি

কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের দৃষ্টিনন্দনীয় আত্মপ্রকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো বনফুল ও পাহাড়ি বনভূমি ঝর্ণার আশেপাশে বর্ষা মৌসুমে ফুটে ওঠে নানান জংলি বনফুল যেগুলো লতা গুল্ম ও আর্কিড প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে থাকে ঝর্ণার চতুর্দিকে যখন বিভিন্ন রঙ্গের রাঙ্গায়িত ফুলগুলো শয্যায়িত ভাবে প্রস্ফুটিত হয় এর চারিপাশ সুগন্ধে মাতোয়ারা হয়ে যায়।

নৌকা ভ্রমন ঝরনার পথপ্রান্তে

কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ ঘটে নৌকা ভ্রমণ ও ঝর্ণার  পথপ্রান্তে ট্রাকিং এর মাধ্যমে যেটা দর্শনার্থীদের অভিজ্ঞতা তৈরি করে হঠাৎ করে ছোট ছোট ঝিরি এবং বড় জলধারা পার হয়ে ভ্রমণকে তৈরি করে আরো আনন্দময় প্রত্যেক দর্শনার্থী নিজেকে নতুন ভালোবাসার আলোকে প্রকাশ করে থাকে।

ফটো শুটের আদর্শ স্থান

কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশের অন্যতম কারণ ঝর্ণার সাদা ধবধবে জলধারা পাহাড়ের আকাশছোঁয়া ঘন কুয়াশার খেলা মাঝে মাঝে রোদ বৃষ্টির খেলা চারিদিকে ঘন সবুজ বন পাখির ডাক বিভিন্ন রকমের সৌন্দর্য এই ঝর্ণাটিকে রুপালী সৌন্দর্যে বহিরপ্রকাশ করে এখানে দর্শনার্থীরা  ক্যামেরা ও ড্রোন নিয়ে স্বপ্নের জায়গায় ফটোশুট করতে ভুলেনা।

কুমারী ঝরনা যাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন

কুমারী ঝরনার মাধ্যমে বান্দরবানের রুপালি সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ ঘটে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এ সময় ঝর্ণার পানি প্রবাহের চেয়ে বেশি থাকে সবুজে পুরানো গাছ ঝর্ণার গর্জন উপভোগ করা যায় এ সময় রাস্তাঘাট পিচ্ছিল থাকে তাই সাবধানতার সাথে চলাফেরা করবেন সবচাইতে সেরা সময় হলো কুমারী ঝর্ণা ভ্রমণের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস এছাড়া আপনি চাইলে যে কোন সময় ভ্রমন করতে পারেন।

কুমারী ঝর্ণা যাওয়ার উপায় সমূহ

কুমারী ঝরনা মাধ্যমে বান্দরবানের রূপালী সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ দেখতে চাইলে ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান সদরে চলে আসতে হবে এরপরে থানচি উপজেলার সদরে পৌঁছাতে হবে এখান থেকে সরাসরি ডিঙ্গি নৌকায় ৪ থেকে ৫ জনের যাত্রা করে সাঙ্গু নদীর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় রাজা পাথর রানী পাথর ও বড় পাথরের দেখা মিলবে আরো দেখবেন ঘন সবুজের বিশাল আকৃতির পাহাড় সামনে এগিয়ে গেলে পাবেন তিন্দু এবং রেমাক্রি দেখা।

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাত্রা

কুমারী ঝরনা যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে সরাসরি বাসযোগে বান্দরবান সদরে চলে আসতে পারেন সবচেয়ে জনপ্রিয় বাস গুলো হলো

এস আলম পরিবহন এসি এবং নন এসি ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা

হানিফ এন্টারপ্রাইজ এসি নন এসি ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা

শ্যামলী পরিবহন এসি নন এসি ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা

ইউনিক সার্ভিস এসি নন এসি ভাড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা

সেন্ট মার্টিন পরিবহন এসি ভাড়া ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা

বাস ছাড়ার সময়সূচি রাত নয়টা থেকে এগারোটার মধ্যে ছেড়ে যায় বান্দরবানের উদ্দেশ্যে

যাত্রা সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা

ঢাকা থেকে বান্দরবানের দূরত্ব ৩২৫ কিলোমিটার

আরো পড়ুনঃগাংচিল আইল্যান্ড রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম 

কুমারী ঝরনা বান্দরবান যেতে চাইলে ট্রেনে যেতে পারেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডে যে সমস্ত ট্রেন চলাচল করে চলুন সেগুলোর নাম জেনে নেয়া যাক

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস

সুবর্ণা এক্সপ্রেস

নিশিথা এক্সপ্রেস

মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেস 

মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস

যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা

ট্রেনে ভাড়া লাগে ৩০০ থেকে ১২০০ টাকা।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান

কুমারী ঝরনা যেতে হলে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবনে কিছু লোকাল পরিবহন বাস রয়েছে এ সমস্ত বাসে যেতে হবে সেই বাস গুলোর নাম জেনে নেয়া যায়

পাহাড়িকা

পূবালী

 ইউনিক

সময় লাগে আড়াই ঘন্টা থেকে তিন ঘন্টা

ভাড়া মোটামুটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পৌঁছে যাবেন 

বান্দরবান থেকে কুমারী ঝরনা যাওয়ার উপায়

কুমারী ঝর্ণা বান্দরবান উপজেলায় অবস্থিত যা বান্দরবান জেলার অন্তর্গত বান্দরবান শহর থেকে রুমা বাজার চাঁদের গাড়িতে যেতে হবে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লাগবে রুমা বাজার যেতে আবার লোকাল পাবেন এর মাধ্যমে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে ৩০০০ থেকে ৪ হাজার টাকা এই গাড়িতে ৮ থেকে ১০ জন মানুষ যাওয়া যায় একই রোড ধানচি দিয়ে রুমা বাজার যেতে হবে

আরো পড়ুনঃচুংদার বক  লামা বান্দরবানের লুকানো স্বর্গরাজ্যের প্রকৃতিক বিস্ময় 

রুমা বাজার থেকে কুমারী ঝর্ণা

কুমারী ঝরনা যেতে হলে রুমা বাজারে নেমে যেতে হবে এখান থেকে স্থানীয় গাইড নিয়ে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পৌঁছাতে হবে কুমারী ঝড় নাই গাইডের ভাড়া ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা নিবে 

সময় লাগবে দেড় ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার রাস্তা হেটে যেতে হবে

কুমারী ঝরনা গিয়ে কোথায় থাকবেন কোথায় খাবেন

কুমারী ঝড় না গিয়ে থাকার জন্য থানচি উপজেলা সদরে কিছু রিসোর্ট কটেজ রয়েছে সেখানে থাকতে পারেন তার মধ্যে অন্যতম হলো

 অবকাশ রেস্ট হাউস

জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজ

মেঘবতী রিসোর্ট 

ছাড়াও স্থানীয়দের হোমেস্ট রয়েছে থাকার জন্য মোটামুটি খরচ আসবে আপনার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত

আপনি চাইলে ক্যাম্পিংকরে তাবু ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন তবুও ভাড়া ৩০০ টাকা নিবে এখানে পাবেন এক ধরনের বিশেষ অভিজ্ঞতা

খাবারের উপায়

খাওয়ার জন্য এসব রিসোটে ব্যবস্থা রয়েছে এছাড়া বেশি খাবারের স্বাদ পেতে হলে উপজাতিদের সঙ্গে অর্ডার নিয়ে বুকিং দিতে হবে মোটামুটি খরচ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে দুপুরের খাবার হয়ে যাবে এছাড়াও আপনি চাইলে থানচিতে কিংবা রুমা বাজারে খেয়ে নিতে পারেন

সঙ্গে যা যা নিবেন

কুমারী ঝর্ণা ভ্রমণের জন্য সঙ্গে যেগুলো নেয়া প্রয়োজন চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

অতিরিক্ত হালকা পোশাক

শুকনো খাবার নিরাপদ পানি

ট্রাকিং এর জন্য জুতো

ক্যাপ

রেনকোট

পাওয়ার ব্যাংক মোবাইলের ক্যামেরা পুরোপুরি চার্জ দিতে হবে

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো নিতে পারেন

সর্তকতা অবলম্বন

কুমারী ঝর্ণা টেকিং এর সময় অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে চলুন কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা যায় সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক

অপ্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে না রাখা

পরিবেশ নোংরা না করা এজন্য পলিব্যাগ সঙ্গে রাখতে হবে

স্থানীয় গাইডের নির্দেশ অনুযায়ী চলা

আদিবাসীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা

একা একা কোথাও ঘুরতে না যাওয়া

আশেপাশে  দর্শনীয় স্থানসমূহ

কুমারী ঝরনার মাধ্যমে বান্দরবানের রুপালি সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ জন্য আশেপাশে আরো কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন

বগা লেক রুমা বাজার থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত

কেপ্রু ঝর্ণা কুমারী ঝর্ণা থেকে বেশি দূরে নয় যা রুমা অঞ্চলের বিখ্যাত ঝরনা

রিজুক ঝরনা এখানে সারা বছরই পানি প্রবাহ থাকে

আরো পড়ুনঃঘুরে আসুন বুনো রয়নদক ঝর্নার বান্দরবানের গহীন সৌন্দর্যে  থানচি 

নাপাকুম ঝরনা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র ও জলপ্রপাত

ম্রো গ্রাম যা উপজাতীয়দের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রমাণ

কেওড়া ক্রাড়ং পাহাড়

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক কুমারী ঝরনার মাধ্যমে বান্দরবানের রুপালি সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ এবং  ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন তাদের যদি এই আর্টিকেলে কোনরকম প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করা হবে বেশি বেশি করে সবার কাছে শেয়ার করে দিবেন।

কুমারী ঝরনার মাধ্যমে বান্দরবানের রুপালি সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ এবং  ভ্রমণ গাইড মাধ্যমে কোথায় যাবেন কিভাবে খাবেন কি কি দেখবেন সমস্ত কিছু উল্লেখ করা হয়েছে এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন এবং ফলো দিয়ে রাখুন যাতে এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেলগুলো আপনার কাছে প্রথমে পৌঁছে যায় তখন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।