ঘুরে আসুন বুনো রয়নদক ঝর্না বান্দরবানের গহীন সৌন্দর্য থানচি

রেমাক্রি জলপ্রপাত অপার সৌন্দর্যের ধারা বান্দরবান ভ্রমণ গাইড প্রিয় পাঠক, আপনি কি ঘুরে আসতে চাচ্ছেন বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে থানচি বান্দরবান থেকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে ততক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকুন

পেজ সূচিপত্রঃঘুরে আসুন বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে থানচি বান্দরবান সম্পর্কে জানুন

• বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্য
• বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্য যা যা দেখবেন
• কখন যাওয়ার উপযুক্ত সময়
• বুনো রয়নদক ঝর্নায় যেভাবে যাবেন
• বুনো রয়নদক ঝর্নার থাকার ব্যবস্থা
• বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে খাওয়া দাওয়া কোথায় করবেন
• সঙ্গে যা যা নিবেন
• সতর্কতা অবলম্বন করুন
• আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
• আমাদের শেষ কথা

 বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্য

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্য পৌঁছাতে চোখে পড়বে সাদা ফেনার জলরাশি যেটা পাহাড়ের চূড়া থেকে সিঁড়ির মতো বেয়ে নিচে নেমে আসছে। কখন জানি সূর্যের আলো এসে এই জলরাশির উপর পড়লে রুপালি রং ধারণ করে সৌন্দর্যের রং মনের গহীনে মেখে দেয় কিচিরমিচির পাখির ডাক কাশফুলের গগনের গন্ধে মুখরিত বাতাসের শীতল স্পর্শ এ যেন এক জাদুকরি অনুভূতি ছোঁয়া দিয়ে যায়

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্য যা যা দেখবেন

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্য ধারা শুধু সে নিজেই নয় বরং চারিপাশকে নিয়ে এর সৌন্দর্য পরিপুষ্ঠিত হয়েছে থানচি থেকে যে পথ এই ঝর্ণা অব্দি গেছে সে পর্যন্তই এর মুগ্ধতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যেদিকেই যাবেন দেখবেন এর সুন্দর্য রূপকথার মত সুন্দর ছোট ছোট পাহাড় এর মধ্যে ঝর্ণার ধারা নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে পাহাড়ের উপর তাকালে দেখতে পাবেন গাছের সারিবদ্ধতা আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে আর চারিপাশ কুয়াশায় ঢেকে আছে এ দৃশ্য যেন সত্যি এক অসাধারণ রোমাঞ্চকর পরিবেশ তৈরি করে।

বন্যপ্রাণী ও পাহাড়ি বনের মেলবন্ধন

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্য অন্যতম সুন্দর্য অনুভূতি লাভ করা যায় বন্যপ্রাণী ও পাহাড়ি বনের মেলবন্ধন দেখে যেখানে শুধু ভালোবাসার অবিরাম ছোঁয়া পরশে পরশে অনুভব করা যায় যেখানে পাখির ডাক কিচিরমিচির পাহাড়ি গাছ-গাছালি এবং নানান ধরনের প্রজাপতি ও পোকামাকড় চোখে পড়বে কখনো কখনো ছোট্ট ছোট্ট কাঠবিড়ালি দেখা মিলবে আরো দেখতে পাবেন গাছে গাছে বানরের খেলা এরাই বুঝিয়ে দেয় ভালবাসার মেলবন্ধনের চিত্র এবং জীবনের সৌন্দর্য ।

স্থানীয় পাহাড়ি গ্রামের জীবনধারা

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি যাকে রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে স্থানীয় আদিবাসী পাহাড়ি গ্রামের মানুষগুলো এখানে রয়েছে বোম মারমা খুমি গ্রামের মানুষ তাদের জীবন বৈচিত্র ও সাংস্কৃতি সৌন্দর্য এখানকার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে তোলে এবং প্রাকৃতিক জীবনের সরলতা আপনার গভীরে মুগ্ধতাকে প্রকাশ করে দিবে।

রেমাক্রি নদীর পথ ধারা

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণভাবে আপনাকে আনন্দ দিবে রেমাক্রি নদীর পথ ধারা মনে থাকবে গহীন ভয়ের সঞ্চার সাথে পাবেন অন্য রকম এক আনন্দ এ যেন নৌকা ভ্রমণের এক অন্যরকম অভিজ্ঞতার ছোঁয়া পাহাড়ের কোলে গেছে ছোট্ট ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকা ফট ফট ফট ফট শব্দে ছুটে চলা তার পাশে রয়েছে ছোট্ট ছোট্ট আদিবাসীদের গ্রাম চোখে পড়লে কেমন যেন আনন্দের অনুভূতি হয় কিছু দূর  যেতে না যেতেই দেখবেন পাহাড় বেয়ে নেমে আসছে ছোট ছোট ঝর্ণা বাঁশের ঝুলন্ত সেতু এজন্য অন্যরকম দৃশ্য ।

অপূর্ব সুন্দর সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যকে পূর্ণতা পেতে সাহায্য করেছে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য আপনি যদি রেমাক্রিতে রাত কাটিয়ে জান সেক্ষেত্রে ভোরের সূর্যোদয় প্রাকৃতিক চারিপাশ আলোকিত করবে সোনালী রঙ্গে এবং সূর্যাস্তের গোধূলি রং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দিবে রক্তিম আকাশের ছোঁয়াপাহাড়ি গায়ে লেগে তৈরি করব নয়নাভিরাম দৃশ্যপট।

কখন যাওয়ার উপযুক্ত সময়

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে  থানচি বান্দরবান যাওয়ার উপযুক্ত সময় হল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমী গেলে উত্তাল ঢেউয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন এজন্য এ সময় অনুমতি নিষেধ আর সবচাইতে সঠিক এবং উপযুক্ত সময় হল শীতকাল এ সময় গেলে বর্ণিল রঙ্গে রাঙ্গা হয় সবুজ বন ও ঝর্ণাধারা।

বুনো রয়নদক ঝর্নায় যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে প্রথমে বান্দরবান যেতে হবে এরপরে থানচি যেতে হবে জিপে বা মাইক্রোবাসে অথবা চান্দের গাড়িতে আপনি চাইলে লোকাল বাসে যেতে পারবেন এই রুটে চলাচলকারী বাসের নাম সমূহ

শাহ আলম
শ্যামলী
সোহাগ এসি এবং নন এসি পাবেন
ঢাকা থেকে রয়নদক যেতে কত  সময় লাগে

ঢাকা থেকে রয়নাদক যেতে প্রায় সময় লাগে ১২ থেকে১৩ঘন্টা

ঢাকা থেকে বান্দরবানের ভাড়া কত

এসি এবং ননএসি ৮৫০ থেকে ১৮০০ টাকা 

ট্রেনে যাত্রা
এছাড়া ট্রেনে যেতে পারবেন ঢাকা থেকে বান্দরবন রুটে চলাচল গাড়ি ট্রেন নাম সমূহ

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস
সুবর্ণ এক্সপ্রেস
মহানগর প্রভাতী
চট্টলা এক্সপ্রেস অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট বুকিং নিতে পারবেন বাস এবং ট্রেনের

থানচি থেকে রয়নদক ঝর্ণা

বুনো রয়নদক ঝর্নার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য নৌকা যোগে রেমাকরী যেতে হবে এখান থেকে গাইডকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা থেকে তিন ঘন্টা রাস্তা আপনাকে হেঁটে পৌঁছাতে হবে রয়নদক ঝরনায় এ পথিমধ্যেই পড়বে নাফাকুম জলপ্রপাত তারপরে পেয়ে যাবেন রয়নদক ঝরনা।

বুনো রয়নদক ঝর্নার থাকার ব্যবস্থা

বুনো রয়নদক ঝর্নার । থাকার জন্য তেমন কোন ভাল রেস্টুরেন্ট বা হোটেল পাবেন না এজন্য এখানে রয়েছে তাদের নিজস্ব কিছু রেস্ট হাউস আপনি চাইলে নিচে জেনে নিতে পারেন

থানচি রেস্ট হাউস

স্থানীয়প পাহাড়ি কটেজ যার মাধ্যমে আপনি পাহাড়ের চতুর্পাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন
রেমাক্রিতে পাবেন ট্রাইবাল হোমেস্ট

আরো পড়ুনঃসাবরাং ট্যুরিজম ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রের দ্বার উন্মোচন ও ভ্রমণ গাইড

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে খাওয়া দাওয়া কোথায় করবেন

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছেন কি এখানে খাওয়া-দাওয়া করতে হলে গায়ের সঙ্গে কথাবার্তা অগ্রিম ভাবে বলতে হবে এবং অর্ডার করে রাখতে হবে এছাড়া ও থানচি বাজারে ছোট ছোট খাবার হোটেল আছে সেখানেও খেয়ে নিতে পারেন আর রাতের খাবারের জন্য অর্ডার নিতে হবে

অর্ডারে থাকবে
ভাত মাছ মুরগি সবজি ডাল ইত্যাদি

সঙ্গে যা যা নিবেন

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে উপভোগ করার জন্য আপনাকে সঙ্গে কিছু জিনিসপত্র নিতে হবে যেগুলো আপনার সময় সাপেক্ষে কাজে আসবে চলুর নিচে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়

হালকা ব্যাগপ্যাক
রেইনকোট বা ছাতা
ট্রেকিং জুতা
পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও পানি
প্রাথমিক  চিকিৎসার ওষুধ পত্র
পাওয়ার ব্যাংক মোবাইলের
টর্চ লাইট সঙ্গে রাখবেন
নগদ টাকা সঙ্গে রাখবেন
এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবির সঙ্গে রাখবেন
ক্যামেরায় মোবাইল ফুল চার্জ দিয়ে রাখবেন

সতর্কতা অবলম্বন করুন

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে ভিত্তিতে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন যেন পরিবেশ নষ্ট না হয় তার মধ্যে অন্যতম যেগুলো সেগুলো হল

সাবধানতার সাথে চলাফেরা করবেন যেন পিচ্ছিল রাস্তায় পড়ে না যান
নেটওয়ার্কের দুর্বলতা থাকতে পারে এজন্য রবি সিম সঙ্গে নিবেন এবং গাইডের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখবেন
পরিবেশ নোংরা করা থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন কোন প্লাস্টিক বা বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলবেন না

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে  থানচি বান্দরবান আশেপাশে দর্শনীয় স্থানের মধ্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পর্যটন কেন্দ্র আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো

নাফাকুম জলপ্রপাত
রেমাক্রি জলপ্রপাত
আমিয়াকুম জলপ্রপাত
বগা লেক
তিন্দু
নীলগির
নীলাচল
চিম্বুক পাহাড়
কেওড়া ক্রাড়ং

আরো পড়ুনঃমোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো সম্পর্কে জানুন

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করে দিবেন এরকম আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজটি ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ

 বুনো রয়নদক ঝর্নার গহীন সৌন্দর্যে কোথায় থাকবেন কিভাবে খাবেন এবং কিভাবে যাবেন সম্পন্ন তথ্য আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে এরপরও যদি কোন রকমের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন আপনাদেরকে উপকৃত করা হবে ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন আপনার যাত্রা শুভ হোক।