জ্যাকব টাওয়ার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র ভোলা ভ্রমণ গাইড

সাবরাং ট্যুরিজম ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রের দ্বার উন্মোচন ও ভ্রমণ গাইডপ্রিয় পাঠক, আপনি কি জ্যাকব টাওয়ার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র ভোলা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে  বিস্তারিত জানতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন

জ্যাকব টাওয়ার পরিচিত দ্বীপ ভোলায় সোনার চর এলাকায় অবস্থিত যেটা দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ টাওয়ার হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে যা আইফেল টাওয়ারের বদলে তৈরি।

পেজ সূচিপত্রঃজ্যাকব টাওয়ার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র ভোলা ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• জ্যাকব টাওয়ার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র
• জ্যাকব টাওয়ারের নামকরণ
• জ্যাকব টাওয়ারের স্থাপনা ও ঐতিহ্য
• জ্যাকব টাওয়ার ভোলা যাওয়ার উপায়
• জ্যাকব টাওয়ারের প্রবেশ ফি
• জ্যাকব টাওয়ার খোলা ও বন্ধের সময়সূচী
• জ্যাকব টাওয়ারে গিয়ে কোথায় খাবেন
•  জ্যাকব টাওয়ার গিয়ে কোথায় থাকবে
• আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
• আমাদের শেষ কথা

জ্যাকব টাওয়ার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র

জ্যাকব টাওয়ার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র ভোলা যাকে আইফেল টাওয়ারের আদলে তৈরি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয় যার নকশা স্থাপিত করেন কামরুজ্জামান লিটন ১৬ তলা বিশিষ্ট এই টাওয়ারটি প্রায় ২৫০ ফিট উঁচু বঙ্গোপসাগরের কূলে অবস্থান ভোলার চরফ্যাশন খাস মহল মসজিদের সামনে কলেজ রোডে পাশে জ্যাকব টাওয়ার স্থাপন করা হয় জ্যাকব টাওয়ার মাধ্যমে আশেপাশের সৌন্দর্য দ্বিগুণভাবে বৃদ্ধি করেছে

জ্যাকব টায়ারের প্রকল্পিত কার্যক্রম শেষ হয় ১৬ই জানুয়ারি ২০১৮ সালে এবং শুরু হয় ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে জ্যাকব টাওয়ার  নির্মাণে মোট খরচ হয় ২০ কোটি টাকা যার ব্যবস্থা গ্রহণ করে চরফ্যাশন পৌরসভার মহা ব্যবস্থাপক এর লিফটের সংখ্যা একটি।

জ্যাকব টাওয়ারের নামকরণ

২০১৭ সালে ১৮ই মে নির্মাণ কালে টাওয়ার পরিবেশন করতে আসেন সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ টায়ারের নির্মাণশৈলী আর নান্দনিক সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে ভোলা জেলার ৪ আসনের সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব নাম অনুসারে টাওয়ার নাম দেন জ্যাকব টাওয়ার

আরো পড়ুনঃমোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো সম্পর্কে জানুন

জ্যাকব টাওয়ারের স্থাপনা ও ঐতিহ্য

জ্যাকব টাওয়ারের কাজ সর্বপ্রথম শুরু করে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে এক একর জমির উপর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় যার নকশা নির্মাণ করেন কামরুজ্জামান লিটন মাটির ৭৫ ফিট নিচ থেকে ইস্পাত দ্বারা ঢালাই পাইলিং করা হয় এটা ৮ তাপমাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে জ্যাকব টাওয়ারের নিচ থেকে মাথা পর্যন্ত সম্পূর্ণটা ৫ মিলিমিটার ব্যাসের স্বচ্ছ কাচ দিয়ে তৈরি করা হয় লিফটের পাশাপাশি সিঁড়িরা ব্যবস্থা আছে এই টাওয়ারের চোড়াই বাইনোকুলার উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্থাপনা রয়েছে এর সাহায্যে দর্শনার্থীরা দূরের সুন্দর সুন্দর আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র  দৃশ্যপট দেখতে পাবে।

জ্যাকব টাওয়ার ভোলা যাওয়ার উপায়

জ্যাকব টাওয়ার ভোলা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো চলুন জেনে নেওয়া যাক

ভোলা জেলা  সরাসরি বাসে যাওয়া যায় না লঞ্চ এবং বাস মিশ্রিত হয়ে ভোলা জেলার জ্যাকব টাওয়ার যেতে হবে এখনো নিয়মিতভাবে এই রুটে বাস চলাচল শুরু হয়নি সাধারণভাবে ভায়া থেকে বরিশাল সড়ক পথ এখান থেকে ফেরিতে নৌপথ এভাবে পৌঁছাতে হয় ভোলা জেলায়

 ভোলায় লঞ্চে যাওয়ার উপায়

ভোলায় লঞ্চে যেতে হলে ঢাকা সদরঘাট থেকে প্রিন্স অফ রাসেল ৪ কর্ণফুলী ৪ সাব্বির টু ও থ্রি ভোলার ভোলার ঘোষের হাট পৌঁছায়

লঞ্চের ভাড়া সমূহ

ডেকের ভাড়া ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত এবং সিঙ্গেল কেবিনে ভাড়া ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা আর ডবল কেবিনের ভাড়া ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত

ঘোষের হাট টার্মিনালে নেমে ১৫০ টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে পৌঁছে যেতে পারবেন ভোলার জ্যাকব টাওয়ার

এছাড়াও ঘোষেরহাট টার্মিনাল থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে সিএনজি বা টেম্পুতে জ্যাকব টাওয়ার পৌঁছাতে পারবেন

জ্যাকব টাওয়ারের প্রবেশ ফি

জগৎ টাওয়ারে পৌঁছানোর পরে এখানে প্রবেশ করতে হলে জনপ্রতি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কিছু ফ্রি নির্ধারিত করে রেখেছে দেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য ৩০০ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছে ।

জ্যাকব টাওয়ার খোলা ও বন্ধের সময়সূচী

জ্যাকব টাওয়ার প্রতি শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২:৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে১২:৩০ টা থেকে  বিকাল ৩ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে

বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শুক্রবার দুপুর ২:৩০ মিনিটে করে খুলে দেওয়া রাত আটটা পর্যন্ত

জ্যাকব টাওয়ারে গিয়ে কোথায় খাবেন

জ্যাকব টাওয়ারে ভোলা জেলায় গিয়ে খাবেন কোথায় এ বিষয়ে আপনাদের ধারণা নেই তাই চলুন বিস্তারিত জেনে নেই

চরফ্যাশনে কাছে কিছু মাধ্যমে পর্যায়ের আবাসিক হোটেল আছে সেখানে থাকতে পারেন লালমোহন চরের রোড সংলগ্ন মারুফ হোটেল তুলনামূলকভাবে ভালো মানের এছাড়াও আঞ্চলিক পর্যায়ের কিছু হোটেল রয়েছে যেমন সেবা হোটেল হোটেল গোল্ডলিফ হোটেল ফ্যাশন হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনাল এখানে দেশে মানের তরতাজা সামুদ্রিক মাছের স্বাদ অনুভব করতে পারবেন এছাড়া ডালভাত মাছ মাংস সবজি সহ বিভিন্ন রকমের আইটেমের খাবার পাবেন।

আরো পড়ুনঃশিমুল বাগান বসন্ত বরণের অপেক্ষায় সুনামগঞ্জ সিলেট ভ্রমণ গাইড 

 জ্যাকব টাওয়ার গিয়ে কোথায় থাকবে

যখন টাওয়ার এগিয়ে বিশ্রামের জন্য টাওয়ারে বিশ্রামাগার রয়েছে এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা এখানেই আছে এছাড়াও ভোলায় ভালো মানের

জ্যাকব টাওয়ার পরিদর্শনে পরে দর্শনার্থীরা আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সব পরিদর্শন করতে পারেন এর আশেপাশের অনেক সুন্দর দর্শনীয় স্থানগুলো চলো নিচে সেই স্থানগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

জ্যাকব টাওয়ারের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে নৈসর্গিক স্থাপনা হাই রেজুলেশনে বাইনোকুলার এর মাধ্যমে দেখে নিতে পারবেন

সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক

চর কুকরি

মনপুরা দ্বীপ

তারোয়া সমুদ্র সৈকত

ঢালচর

সেন্টমার্টিন দ্বীপ

নাফ নদী

শাহপরীর দ্বীপ

টেকনাফ সমুদ্র সৈকত 

টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য

হোওয়ালা উপসাগর

আরো পড়ুনঃনাফাকুম জলপ্রপাত থানচি বান্দরবান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের প্রিয়জনের নিকট বেশি বেশি শেয়ার করে দেন আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশের সবচাইতে বৃহত্তম টাওয়ারের নাম উল্লেখ করে ডিটেলস তুলে ধরা হয়েছে যদি বুঝতে কোন রকমের সমস্যা হয় তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন

জ্যাকব টাওয়ার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র ভোলা ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে তখন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।