মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো সম্পর্কে জানুন

শিমুল বাগান বসন্ত বরণের অপেক্ষায় সুনামগঞ্জ সিলেট ভ্রমণ গাইডপ্রিয় পাঠক, আপনি কি মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য প্রযোজ্য চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

মোটরসাইকেল  রাইড এর জন্য নিরাপদ সড়ক অবশ্যই আপনাকে যাচাই-বাছাই করা খুব মুশকিল তারপরও রাইডারদের জন্য দেশের কিছু নিরাপদ ও জনপ্রিয় সড়ক সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃমোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো সম্পর্কে জানুন 

• মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়ক সমূহ
• মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো নাম কি কি
• সর্তকতা অবলম্বন
• মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়ক সমূহের প্রশ্ন উত্তর পর্ব
• আমাদের শেষ কথা

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়ক সমূহ

মোটরসাইকেল ভ্রমণের লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়ক পাওয়া খুবই মুশকিল এরপরও যারা মোটরসাইকেল ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে যা আপনাকে মনমুগ্ধকর দৃশ্য উপহার দিবে যে দৃশ্যগুলোকে আমরা মোটর বাইকারদের স্বর্গরাজ্য  হিসেবে ধরা যায় উঁচু-নিচু পাহাড় সবুজ শ্যামলের ঘেরা রাস্তার চারিপাশ হাওরের বুকে নিরিবিলি রাস্তায় কোন ধান ক্ষেতের পাশে দুই পাশে নদী মধ্য দিয়ে সেতু তৈরি হয় বাংলাদেশের রাস্তা গুলো যেদিকে যাবেন এ রাস্তাগুলোর কোন না কোন দৃশ্য আপনাকে আকৃষ্ট করবেই

আমাদের বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দর এবং জনপ্রিয় যেগুলো রোড বা রাস্তা আছে এই রাস্তাগুলো বাইক রাইড এর জন্য খুবই নিরাপদ ও দুর্ঘটনা মুক্ত এসব রাস্তাগুলোতে বাইক রাইড করা জীবনের এক অন্যতম অভিজ্ঞতা মনে রাখার মত প্রতিটি রাস্তায় বাংলার সৌন্দর্য উপভোগ করবেন এটাই হচ্ছে মোটরসাইকেল ভ্রমণের মূল লক্ষ্য।

মোটরসাইকেল ভ্রমণের লক্ষ্যে রাস্তার গতিসীমা সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন নির্ণয় করা হয়েছে যেখানে যেমন গতিসীমা দরকার সেখানে সেরকম গতি রাখতে হবে গতিশে মানুষ সঠিক থাকলে আপনার জীবনের কোন ঝুঁকি থাকবে না  পাবেন দ্বিগুণ আনন্দ।

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো নিরাপদ থাকা সত্ত্বেও কিছু চালকদের জন্য দুর্ঘটনা ঘটে এজন্য চালককে সবসময় সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে রাইড করতে হবে যাদের অভিজ্ঞতা নেই তাদেরকে রাইডকরা কোনক্রমে উচিত নয় পাহাড়ের রাস্তায় হোক আর সমতল রাস্তায় হোক চলো নিচে জেনে নেওয়া যাক মোটরসাইকেল ভ্রমণের লোককে দেশের নিরাপদ সড়ক গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো নাম কি কি

মোটরসাইকেল ভ্রমণের লোকে দেশে নিরাপদ সড়কগুলোর নাম সম্পর্কে আমরা সকলে অজানা এজন্য আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে চলার নিচে সড়ক গুলোর নাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোড

কক্সবাজার ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন এলাকা এখানে কক্সবাজার টু টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রাস্তা আছে সমুদ্র উপকূলীয় দৃশ্য সবসময় আপনার সঙ্গ দিয়ে যাবে এ রোডটি বাইকারদের জন্য খুবই জনপ্রিয় এবং বৈচিত্র্যময় যা উপভোগ করার জন্য দূরদূরান্ত থেকে অভিজ্ঞতা পাওয়ার লক্ষ্যে ড্রাইভ করে থাকে

 ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে সোজা হিমছড়ি হয়ে টেকনাফ বর্ডার পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রোডটি গিয়ে থেমেছে এ রোডকে পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন রোড হিসেবে দর্শনার্থীরা আলোচনায় রেখেছে যার সৌন্দর্য সমুদ্রের উপকূলবৈচিত্র্যময় জেলেদের জীবনযাত্রা সব মিলে অবিশ্বাস্য আনন্দ পাবেন এই রোডে বাইক রাইডার করে।

আরো পড়ুনঃলালদিয়া সমুদ্র সৈকত বরগুনা ভ্রমণ গাইড এবং খরচ সম্পর্কে জানুন

এরোডে অন্যান্য রোডে তুলনায় যানবাহন একেবারেই কম চলাচল করে সমুদ্রের বাতাস গায়ে লাগলে মনে আনন্দের অনুভূতি বয়ে যায় সাইকেল বাইক রাইডে মন অজান্তেই ভালো হয়ে যায় এরোডে দুপুরে বা বিকেলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে অন্যান্য যেগুলো পর্যটন কেন্দ্র আছে সেগুলো হালকা পাতলা ঘুরতে পারবেন

সিন্দুকছড়ি টু মহালছড়ি রোড

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলোর মধ্যে সিন্দুকছড়ি টু মহালছড়ি রোড অনেক নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত পাহাড়ি ঘূর্ণি রোড এক পাশে পাহাড় অন্যপাশের সবুজ চা বাগান ও সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা বাংলাদেশের যাকে লাদাখ নামে ডাকা হয় চ্যালেঞ্জিং এর জন্য রাইড এ রাস্তা অনেক জায়গায় বাঁক আছে যা আপনার দৃশ্যগুলোকে উপভোগ করতে মনোযোগ আকৃষ্ট করবে

এসব রাস্তায় বাইক রাইড করার আগে আপনার বাইকের ব্রেক চেক করে আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে রওনা দেয়ার জন্য সকালবেলায় উত্তম হবে এ সময় আলো ভালো পাওয়া যায় অন্যান্য গাড়ি কম থাকে আর সঙ্গে অবশ্যই হেলমেট থাকতে হবে।

মানিকছড়ি টু কাপ্তাই রোড

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো অন্যতম একটি হলো মানিকছড়ি টু কাপ্তাই রোড একপাশে কাপ্তাই লেক অন্যপাশে পাহাড়ের দৃশ্য যা সৌন্দর্য দুই দিক থেকে ফুটে ওঠে এটি মোট ২৬ কিলো রাস্তা অন্যান্য রাষ্ট্রের তুলনায় গাড়ি চলাচল কম করে থাকে রাইড করার মতো যথেষ্ট উপযোগী সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা এবং এই পরিবেশ রাইট করলে মন এমনিতে ভালো হয়ে যায় তবে এই সড়কে কিছু কিছু জায়গার সংকীর্ণ আছে এগুলো সতর্কতার সাথে রাইড করতে হবে

বান্দরবান টু আলীকদম রোড নিরাপদ ভ্রমণ

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলোর গুরুত্বপূর্ণ রাইড এর জন্য বান্দরবান টু আলীকদম রোড এ রোডটি আলীকদম উপজেলা হয়ে খানচি উপজেলা পর্যন্ত গিয়ে থেমেছে প্রায় জেলার সাথে সংযোগ স্থাপনকারী এ সড়ক এ সড়কের ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ২৫০০ ফুট উচ্চতায়  রাইড করতে করতে পেয়ে যাবেন ডিম পাহাড় আরো পাবেন চিম্বুক পাহাড় নীলগিরি নীলাচল অনেক দর্শনীয় স্পট পাহাড়ে  রাইড করার অভিজ্ঞতা যদি না থাকে এই রোডে ভ্রমন করা একেবারে উচিত হবে না  সেনাবাহিনীর চেকপোষ্টে অবশ্যই আপনাকে অনুমতি নিতে হবে প্রধান শর্ত।

চলন বিল রোড

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কের মধ্যে চলনবিল রোড নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত হাওর বিলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার রোড চলন বিলের রোড বর্ষার সময় চলনবিল পানিতে টইটোম্বর হয়ে থাকে এই পানি দেখার জন্য ভ্রমণপিপাসুরা বাইক রাইড করে থাকে পিস ঢালা রোডে পর্যটকরা এই মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য এ রাস্তায় ভ্রমণ করে থাকে

আরো পড়ুনঃনাফাকুম জলপ্রপাত  ভ্রমণ গাইড মিলবে কষ্টের পর সুখের স্বস্তি 

তামাবিল টু ডেমরা স্থল বন্দর

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়ক হল তামাবিল টু ডেমরা স্থলবন্দর বাংলাদেশের সবচাইতে ক্রস কান্ট্রি রোডে যাত্রা সময় বিশাল পাহাড় দেখতে পাবেন আর মাঝেমধ্যে দেখতে পাবেন মনোগ্রামের কিছু কিছু দৃশ্য তামাবিল টু ডোমরা স্থল বন্দরের রোড ৫৩৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এ রাস্তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছে

তামাবিল টু জাফলং ভ্রমণ

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে তামাবিল সড়ক থেকে জাফলং উত্তর পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাহাড়ি রাস্তা এখানে যাত্রার সময় দুই পাশে পাবেন বড় বড় পাহাড় নদী ও ঝর্ণার দেখা যেটা সিকিমের অনুভূতি লাভ করবেন এ রাস্তা মেঘালয়ের সীমান্তের সাথে সংযুক্ত এ রাস্তাটি বাণিজ্য িকভাবে দুই দেশের সাথে সংযুক্ত স্থাপন করেছে ভারতের পর্যটনদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো জাফলং

শ্রীমঙ্গল টু ভানুগাছা রোড

মোটরসাইকেল বাইকের জন্য সেরা রোডের মধ্যে পড়েছে শ্রীমঙ্গল টু ভানুগাছা রোড এর সৌন্দর্য প্রাকৃতিকভাবেই যাকে বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয় বর্তমানে শ্রীমঙ্গল টু ভানুগাছা রোড বাইকের জন্য খুবই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত যে সকল বাইকপ্রেমী আছেন তাদের জন্য হতে পারে সারা জীবনের স্মৃতি রাস্তার মধ্যে দিয়ে গেলে দেখতে পাবেন প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত শুধুই কৃষ্ণচূড়া জারুল রাধাচূড়া সোনালী জারুল গাছ গরমের আবহাওয়া যখন পড়ে তখন চারিদিকে ফুলের সৌন্দর্যে বৃদ্ধি পায়।

কমলাকান্দা থেকে পাঁচগাঁও গ্রাম রোড

কমলাকান্দা থেকে পাঁচগাঁও গ্রাম রোড যেটা বর্ডারের একটি দুর্গম রাস্তা অসাধারণ সৌন্দর্য বাইকারদের জন্য এরোড অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এটি বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এখান থেকে ভারতের মেঘালয় ও গারো পাহাড় দেখা যায় শীতের শুষ্ক মৌসুমে রোডের মধ্যে দিয়ে গেলে নীলাদ্রিলে কেও হার মানাবে

অষ্টগ্রাম হাওড়ার রোড মিঠামইন

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলোর অষ্টগ্রাম হাওর মিঠামইন রোড এই রোড তিনটি উপজেলাকে একত্র করেছে যার দৈর্ঘ্য ৪৭ কিলোমিটার 

এখানে যেকোনো সময় আসলে আপনি এই হাওরের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখতে পাবেন বাইকের জন্য রোড খুবই জনপ্রিয় যে তিনটি উপজেলা মিঠামইন রোডকে একত্রিত করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো অষ্টগ্রাম মিথাইল এবং ইটনা।

যশোর টু বেনাপোল রোড

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম রোড হল যশোর বেনাপোল রোড এ রোডে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বহন করে এ রোড ২৪ শে জুলাইয়ের স্মৃতি বহন করে এ সড়কটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেরযোগাযোগ স্থাপনকারী সড়ক পথ এটা বাইকারদের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি সড়ক পথ প্রায় ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য

মধুপুর টু টাঙ্গাইল ফরেস্ট রোড

বাইকারদের জন্য সেরা রোড নির্ধারণের মধুপুর টাঙ্গাইল ফরেস্ট রোড অন্যতম যার দৈর্ঘ্য ৪৭ কিলোমিটার প্রকৃতিপ্রেমিকের জন্য খুবই জনপ্রিয় এই রাস্তায় চলার সময় দুই পাশে দেখতে পাবেন গজারী গাছের এই পরিবেশ এতটাই নিস্তব্ধ শান্ত প্রকৃতির এ জায়গাটি সবসময় জন্যই আকর্ষণীয় ।

রাজস্থলী টু ফারোয়া সীমান্ত সড়ক

নমোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো রাজস্থলী টু ফারুয়া সীমান্ত সড়ক অন্যতম ঝুঁকিমুক্ত হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে এটি রাজস্থলী উপজেলা সদর থেকে বিলাইছড়ি উপজেলা দুর্গম একটি রাস্তা কিন্তু সুন্দর মাত্র ২৫ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা পাহাড়ের চিনেচু এ রাস্তায় পরিবেশ সবুজ শ্যামলের প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বিভিন্ন রকমের পাখি এ রাস্তা দেয়ার জন্য অবশ্যই সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে সম্পূর্ণ সঠিক বাইকার না হলে এ রাস্তায় যাওয়া উচিত নয়

খাগড়াছড়ি টু সাজেক রোড

খাগড়াছড়ি টু সাজেক রোড একটি জনপ্রিয় ও ঝুঁকিমুক্ত রোড এ রোড বাইকারদের জন্য খুবই জনপ্রিয় প্রায় ৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই রাস্তা এই রাস্তায় চলাকালে দেখতে পাবেন স্থানীয় উপজাতিদের জীবনধারা ও সাংস্কৃতি যদি বাইকারদের অভিজ্ঞতা বেশি থাকে তাহলে বাড়তি সুবিধা হিসেবে আশেপাশে অনেক সুন্দর্য মনের ভিতর গেছে নিতে পারবেন রাস্তায় গেলে দেখতে পাবেন অনেক দূরে অনেক বড় বড় পাহাড় যেটা যেকোনো দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে

আরো পড়ুনঃঅপূর্ব সৌন্দর্যে ভরা তারুয়া সমুদ্র সৈকত ভোলাগঞ্জ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

বান্দরবানের কেওড়াক্রাড়ং রোড

বান্দরবানের কেওড়াক্রাড়ং রোড এ রোডটা বর্তমানে বাংলাদেশের মোটরবাইকদের জন্য খুবই জনপ্রিয় বান্দরবান শহর থেকে ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এরা রোড দিয়ে কেওড়াক্রাড়ং গিয়ে থেকেছে এখানে রাইট করার জন্য অবশ্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন কারণ এ রোড সম্পূর্ণটাই পাহাড়ি রাস্তার উপরে এই পথেই পড়বে বগালেক পর্যটন কেন্দ্র এখানে যার জন্য অনুমতির প্রয়োজন আছে।

সর্তকতা অবলম্বন

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো সাথে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী

বাইক ত্রুটিমুক্ত আছে কিনা যাচাই-বাছাই করে নিন

আবহাওয়া পূর্বাভাস দেখে বাইক রাইড করুন

সঙ্গে অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করবেন

উপযুক্ত চালক ছাড়া পাহাড়ের রাস্তায় ড্রাইভ করবেন না

দীর্ঘ পথ একাই ড্রাইভ করবেন না প্রয়োজন হলে ডাইভার চেঞ্জ হবেন

সঙ্গে শুকনো খাবারও মোটরের জ্বালানি মাত্রা ঠিক রাখুন

পাহাড়ি দুর্গম রাস্তায় দলের সঙ্গে মোটরবাইক করুন

এ ছাড়া থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা অগ্রিম বুকিং নিতে হবে

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়ক সমূহের প্রশ্ন উত্তর পর্ব

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো সম্পর্কে আপনাদের প্রয়োজনে কিছু প্রশ্ন উত্তর পর্ব নিচে  তুলে ধরা হলো সেগুলো জেনে নেওয়া যাক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব

 প্রশ্ন মোটরসাইকেল ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য কি

উত্তর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা

 প্রশ্ন ভ্রমণের আগে কি কি পদক্ষেপ নেয়া উচিত

উত্তর হেলমেট গ্লাভস জ্যাকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স রেনকোট এবং বাইক সার্ভিস ঠিক আছে কিনা তা চেক করা

প্রশ্ন কোন রাস্তা বেছে নেওয়া ভালো

উত্তর যানজট মুক্ত নিরাপদ হাইও য়ে বেছে নেওয়া ভালো

প্রশ্ন গড় গতিবেগ কত রাখা উচিত

উত্তর ৫০ থেকে ৭০ গতি রাখতে হবে

প্রশ্ন ভ্রমণের সময় নিরাপত্তার জন্য নিয়ম কি

উত্তর ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলা ওভারটেক না করা রাতে হেলমেট পরিধান করা 

প্রশ্ন দীর্ঘ রাইড করার পরে ক্লান্তি এড়াতে কি করবেন

উত্তর প্রতি এক ঘণ্টা পর পাঁচ থেকে দশ মিনিট বিরোধী নিতে হবে

প্রশ্ন মোটরসাইকেল ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন

উত্তর শীতকাল সবচাইতে ভালো সে সময় ধুলোবালি রাস্তায় কম থাকে 

প্রশ্ন মোটরসাইকেল ভ্রমণে কারা সঙ্গী হতে পারে

উত্তর অভিজ্ঞ চালক বন্ধু

আরো পড়ুনঃদাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা নালিতাবাড়ী শেরপুর

আমাদের শেষ কথা

মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হলো কিভাবে রাইড করবেন কোন কোন রাস্তাগুলো  রাইড করার জন্য ভালো জীবনের ঝুঁকি কম এগুলো রাস্তায় আপনি বাইক নিয়ে দূর করতে পারেন আজকের আর্টিকেলটা যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের নিকট শেয়ার করে দেন

আর হ্যাঁ মোটরসাইকেল ভ্রমণ লক্ষ্যে দেশের নিরাপদ সড়কগুলো সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করা হবে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন এরকম যদি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো দিয়ে রাখুন  আজকের আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিন এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।