লালদিয়া সমুদ্র সৈকত বরগুনা ভ্রমণ গাইড এবং খরচ সম্পর্কে জানুন

SOHEL🌄

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালী ভ্রমণ গাইড এবং যাবতীয় খরচ সম্পর্কে আমরা অনেকে জানিনা আজকের আর্টিকেলে আমরা কোথায় থাকবেন কিভাবে যাবেন এবং কত টাকা খরচ হবে সে বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা উপকূলে এক অপূর্ব নির্জন ও অনন্য সৌন্দর্যের সৈকত যা লালদিয়া চর বা লালদিয়া দ্বীপ নামে পরিচিত শান্ত পরিবেশ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি লালদিয়া সমুদ্র সৈকত।

পেজ সূচিপত্রঃ লাল দেয়া সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালী ভ্রমণ গাইড এবং খরচ সম্পর্কে জানতে পড়ুন

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত
লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে যা যা দেখবেন
লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে পটুয়াখালী দূরত্ব কত কিলোমিটার
ঢাকা থেকে পটুয়াখালী ভাড়া কত
লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে কোথায় থাকবেন
সঙ্গে যা যা নিবেন
সতর্কতা অবলম্বন
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
আমাদের শেষ কথা

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালী জেলার এক নির্জন ও শান্ত পরিবেশে মানুষের অগোচরে সৃষ্টি যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এখানে নোনা জল ও বিস্তীর্ণ স্তর থাকায় আসল রূপ অক্ষত আছে ঘন বন জঙ্গল আর সমুদ্র সৈকতের ঢেউ মিশ্রণে তৈরি হয় উপভোগ করার মত এক অপূর্ব দৃশ্য লালচে বালি আভা থাকায় এই স্থানটির নাম দেওয়া হয় "লালদিয়া সৈকত" সুন্দরবন থেকে দুই ঘন্টা মত হাঁটলে চোখে পড়বে লালদিয়া বন পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম দিকে দুইটি নদী বয়ে গেছে একটি হলো বিষ খালি অন্যটি হল বালেশ্বরী আর এই দুই নদীর মোহনা এই বনের পূর্বপ্রান্তে আছে সেই লালদিয়া সমুদ্র সৈকত

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত সৌন্দর্যর অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের চাইতে কোন অংশ কম নয় যদিও এর আয়তন ছোট কারণ লাল দেয়া সমুদ্র সৈকতের পাশে রয়েছে বনের পাখির কলরব সমুদ্রের বুন গাংচিল আর লাল কাঁকড়া সব মিলিয়ে প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে এক হয়ে যায় যার সৌন্দর্য লালদিয়া সমুদ্র সৈকত নিজেই এই জায়গা নির্জনতা ও শান্ত পরিবেশ একটি শান্তিপ্রিয় ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ স্থান যেখানে সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের রঙ গায়ে লাগিয়ে অনন্য সুখের ও শান্তির অনুভূতি পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃসুখিয়া ভ্যালি পর্যটনদের সুখের ভ্রমণে আরেক নাম - ভ্রমণ গাইড

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত এর পাশে রয়েছে শুটকির বাজার এখানে কার্তিক মাস থেকে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় শুটকি চাষ করা হয় যা ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে এই বাজারের নামধাম ধরে রেখেছে শুটকির ৯৯ ভাগ হাঁস মুরগি খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে লালদিয়া থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পথ মাত্র ৪৫ মিনিটের যদি হাতে সময় থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কুয়াকাটা না দেখে আসবেন না।

অবস্থানঃ পটুয়াখালী জেলার উপজেলা কলাপাড়া অঞ্চল কুয়াকাটার পশ্চিমে লালদিয়া সমুদ্র সৈকত

যাদের জন্য উপযুক্ত স্থানঃ প্রকৃতিপ্রেমী ফটোগ্রাফার ইউটিউবার দুঃসাহসী ভ্রমণ প্রেমী এবং শান্ত ও নির্জন পরিবেশের খোঁজে থাকেন যারা

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে যা যা দেখবেন

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালীর একটি গুরুত্বপূর্ণ আত্মগোপনীয় পর্যটন কেন্দ্র নিশ্চয়ই এখানে দেখার মত অনেক জায়গায় আছে তবে আপনি যদি অভিজ্ঞতা সাথে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতের দর্শনীয় স্থান

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সেগুলো অনেকেই জানেন না তার কারণ হলো এগুলো জনসাধারণের আত্মগোপনে সৃষ্টি তাই আজকে আমরা লালদিয়া সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য আর্টিকেলের মাধ্যমে জানিয়ে দিব।

লালচে সমুদ্র সৈকত

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণীয় যেই জিনিসটি তা হল লালচে বালির সমুদ্র সৈকত এই বালির নাম অনুসারে এই সমুদ্র সৈকতের নামকরণ করা হয় লাল দিয়া সি বিচ রক্তিম সূর্যের আলো বালিতে পড়লেই বালির লাল আভা চোখে পড়ে যেখানে দর্শনার্থীরা হেঁটে ঘুরে বেড়ে নরম বালিতে পায়ের অনুভূতি উপভোগ করে এবং ছবি তুলে মনের আত্ম তৃপ্তি মিটায়।

প্রাকৃতিক বন ও ম্যানগ্রোভ বনের এলাকা

লাল দেয়া সমুদ্র সৈকতকে আরো আকর্ষণীয় করেছে প্রাকৃতিক বন ও ম্যানগ্রো বন সৈকতের পাশে বিস্তৃত বনাঞ্চল এবং ম্যানগ্রোভ বনের গাছপালা ঝোপ ঝাড়ের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়া এবং স্থানীয় জীব বৈচিত্রের এক চমৎকার দৃষ্টিগোচর হবে এখানে অনেক ছোট মাছ পোকা এবং পাখির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় যে সমস্ত দর্শনার্থীরা প্রাকৃতিক প্রেমী হয়ে থাকে তাদের জন্য এই জায়গাটা অত্যন্ত আকর্ষণীয় বটে।

স্থানীয় জেলেদের জীবন বৈচিত্র্য

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত এর আশেপাশে অনেক জেলের বসতি রয়েছে তাদের জীবনযাত্রা শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকত থেকে তাজা মাছ ধরা সারাদিন নৌকা চালায় আর দিনশেষে এসে লাল বালিতে বিশ্রাম নেয় এটা ভ্রমণকারীদের জন্য এক ধরনের সাংস্কৃতির অভিজ্ঞতার অংশ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। যারা এই মাছকে শুটকি বানিয়ে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় সরবরাহ করে থাকে আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হয় এর মাধ্যমে চলে তাদের নিত্যদিনের জীবিকা।

লালচে বালির উপর সূর্যদয় ও সূর্যাস্ত

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতের এক অসাধারণ আকর্ষণ হল লালচে বালির উপরে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের কিরণ পূর্ব দিকের সূর্যোদয় এবং পশ্চিম দিকে সূর্যাস্ত সমুদ্রের লালচে বালিতে পড়লে সে আলো আরো দ্বিগুণ রূপে প্রতিফলিত হয় যা ফটোগ্রাফিদের জন্য এটি একটি স্বর্গীয় দৃশ্য হিসেবে বিবেচিত।

লালদিয়া নৌকা ভ্রমন

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে ছোট্ট ছোট্ট অনেকগুলো নদী এবং চর আছে সেখানকার স্থানীয় নদী পথ ভ্রমণকারী স্থানীয় ট্রলার দিয়ে পর্যটনদের ভ্রমণ করিয়ে থাকে নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে দেখতে পাবেন স্থানীয় মাছ ধরার দৃশ্য এবং শান্ত সমুদ্রের মিলন বন্ধন লালদিয়া সমুদ্র সৈকত দেখার মত জায়গা এবং অভিজ্ঞতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এক স্বর্গীয় দৃশ্যপট।

আরো পড়ুনঃডাবল হ্যান্ড ভিউ পয়েন্ট বান্দরবান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

ঝিনুক এবং সমুদ্রতীরের সন্ধান

লাল দিয়া সমুদ্র সৈকত শুধু লাল বালির জন্য বিকাশিত লাভ করেনি এর মধ্যে আরেকটি জিনিস রয়েছে সেটি হল ঝিনুক মালা এই সমুদ্র সৈকতে ছোট্ট ছোট্ট ঝিনুক সমুদ্রকে আরো সাজিয়ে তুলে

যারা শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সংগ্রহে আগ্রহী তারা সংগ্রহ করে ঝিনুক শাক ছোট পাথর ও লাল বালি যা প্রাকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এক শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতার জন্ম।

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে যেভাবে যাবেন

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিচে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ঢাকা থেকে পটুয়াখালী বা কুয়াকাটা পর্যন্ত

ঢাকা থেকে বাসে যাত্রা

ঢাকা থেকে বাসে সরাসরি পটুয়াখালী যাওয়া যায় বা কুয়াকাটা পর্যন্ত যেতে পারবেন

জনপ্রিয় বাসের মধ্যে যাতায়াতকারী বাসের নাম গুলো হল

গ্রীন লাইন পরিবহন গন্তব্য ঢাকা টু পটুয়াখালী

শ্যামলী এন আর ট্রাভেল গন্তব্য ঢাকা টু পটুয়াখালী

গ্রীন সেন্টমার্টিন এক্সপ্রেস গন্তব্য ঢাকা টু পটুয়াখালী

ইউরো কোচ গন্তব্য ঢাকা বরিশাল পটুয়াখালী

যাত্রার সময় সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে রাত্রি ১০:০০ টা পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি ঘন্টায় বাস ছাড়ে

দিগন্ত পরিবহন ঢাকা টু পটুয়াখালী সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়

ইসলাম পরিবহন ঢাকা টু পটুয়াখালী সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ে

যাত্রার পথ ও সময় সূচি

ঢাকা মাওয়া বরিশাল পটুয়াখালী

পটুয়াখালী ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যেতে কত সময় লাগে

ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যেতে বাসের সময় লাগে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা

ঢাকা থেকে পটুয়াখালী দূরত্ব কত কিলোমিটার

ঢাকা থেকে পটুয়াখালী দূরত্ব google ম্যাপ অনুযায়ী ৩১৯ কিলোমিটার

ঢাকা থেকে পটুয়াখালী ভাড়া কত

ঢাকা থেকে পটুয়াখালী বাসে নন এসি বাসে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা

কুয়াকাটা থেকে লালদিয়া সমুদ্র সৈকত

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে স্পিড বোটে ও টলারে যেতে পারবেনসময়

লাগবে এক থেকে দেড় ঘন্টা থেকে দুই ঘন্টা এজন্য আগে থেকে স্পিড বোট বা টলারের বুকিং রাখা ভালো

জিপ বা কাঠের নৌকা

কিছু কিছু পর্যটক জীপ যোগে লাল দেয়া সমুদ্র সৈকতে পৌঁছায় আর যারা প্রকৃতি প্রেমী তারা ছোট্ট কাঠের নৌকায় করে স্থানীয় মাছ ধরার জেলেদের সঙ্গে চার ভ্রমণ করে লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে পৌঁছায়

লঞ্চ ভ্রমণ

আবার ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে টিকিট সংগ্রহ করবেন অথবা অনলাইনে সহজ থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সরাসরি এম ভি যুবরাজ -২এমবি নুসরাত-২ এমভি যুবরাজ-৪ তাছাড়াও নানান লোকাল লঞ্চ সাধারণ সময়সূচি অনুযায়ী বিকেল ৫ হতে ৬ মধ্যে বরগুনা পটুয়াখালী উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় পড়ার দিন সকালে পটুয়াখালী পৌঁছায়

লঞ্চের ভাড়া সমূহ

লোকাল লঞ্চের ভাড়া ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা সিঙ্গেল কেবিন এবং ডাবল কেবিন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে ঢাকা সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী লালদিয়া লঞ্চে যাওয়ার উপায় পটুয়াখালী নেমে সেখান থেকে আপনি বাসে কিংবা জিপিও যেতে পারেন

মাছ-ধরার-দৃশ্য-এবং-শান্ত-সমুদ্রের-মিলন-বন্ধন-লালদিয়া-সমুদ্র-সৈকত

অথবা লঞ্চ হবে যেতে পারেন আবার সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে হরিণঘাটা হয়ে পায়ে হেঁটে লালদিয়া সমুদ্র সৈকত যেতে পারবেন।

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতে কোথায় থাকবেন

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালী কোথায় থাকবেন এ বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো আপনাকে বরগুনা শহরে ফিরে যেতে হবে সেখানে থাকার জন্য বেশ কিছু রেস্ট হাউস ও হোটেল আছে সেখানে থাকতে পারেন সমুদ্র সৈকত এলাকায় সরাসরি থাকার ব্যবস্থা তেমনভাবে তৈরি না হওয়ার কারণে বরগুনা শহরে থাকায় যুক্তিযুক্ত হবে নিচে কিছু হোটেলের নাম যোগাযোগের ব্যবস্থা তুলে ধরা হলো যেমন

জেলা পরিষদ রেস্ট হাউস

পানি উন্নয়ন বোর্ড রেস্ট হাউস

খামারবাড়ি রেস্ট হাউস

গণপূর্ত বিভাগ

বরগুনা গেস্ট হাউস

এগ্রো সার্ভিস সেন্টার ফোন নাম্বার ০৪৪৮ ৬২৭২৮

সিআরপি রেস্ট হাউস ফোন নাম্বার ০৪৪৮ ৬২৫৫১

হোটেল তাজবিন ফোন নাম্বার ০১৭১৮৫৮৮৮৫৬

হোটেল আলম ফোন নাম্বার ০৪৪৮ ৬২২৩৪

হোটেল মমিতা ফোন নাম্বার ০৪৪৮ ৬২৮৪২

হোটেল ফাল্গুনী অন্যতম ফোন নাম্বার ০৪৪৮৬২৭৩৩

সুবিধা জনক রাত্রি যাপনের জন্য

হোটেল সি ভিউ ফোন নাম্বার০১৭৭০৫৪৮১৪২

হোটেল গ্রিন ভিউ ইন্টারন্যাশনাল ফোন নাম্বার০১৮৫৭৭৩৫৫২

দোহা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট বরগুনা ফোন নাম্বার০১৭৮৭৩১৬১২০

হোটেল বাই অফ বাংলা ফোন নাম্বার০১৭৪৭৭০৪৪৭৭

আরো পড়ুনঃপ্রকৃতির ভূস্বর্গ বান্দরবান টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট -ভ্রমণ গাইড

এছাড়া উপরে উল্লেখিত রেস্ট হাউসে রাত্রি যাপন করতে পারেন অফিস থেকে রুম বুকিং নিতে পারেন জেলা পর্যটক কাউন্সিলের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যাবে সরাসরি ডকুমেন্টগুলোকে বরগুনা পর্যটন তালিকা থেকে সংগ্রহ করতে পারেন

সঙ্গে যা যা নিবেন

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের জন্য প্রচলিত একটি স্থান তুলনামূলকভাবে নির্জন ও শান্ত প্রকৃতির তার জন্য ভবনের কিছু জিনিসপত্র অবশ্যই নেয়া জরুরি তো চলুন আমরা নিচে সেই লিস্ট গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

ভ্রমণের চেকলিস্ট

পোশাক ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র

হালকা মানের কটনের পোশাক গরমের আর্দ্রতায় ব্যবহার করা যাবে
অতিরিক্ত টিশার্ট ও প্যান্ট থ্রি-কোয়ার্টার সঙ্গে রাখবেন
হ্যান্ডেল বা ওয়াটার সু বালুয়া পানিতে হাঁটার জন্য উপযোগী
ক্যাপ টুপি সানগ্লাস
ছাতা বা হালকা রেনকোট সঙ্গে রাখবেন বর্ষার মৌসুমে
তোয়ালে সঙ্গে রাখবেন
মশা নিরোধক স্প্রে সঙ্গে রাখবেন

ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম

মোবাইল ফোনও পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখবেন
ক্যামেরা একশন সঙ্গে নিবেন
টচ লাইট বা হেডলাইট সন্ধ্যার পরে সৈকতের আলো সীমিত এজন্য সঙ্গে রাখবেন
একটা ব্যাটারি সঙ্গে রাখবেন মেমোরি কার্ড

খাবার ও পানি

পানির বোতল এক থেকে দেড় লিটার সাথে রাখবেন
শুকনো খাবার যেমন বিস্কুট কেক চিপস বাদাম ইত্যাদি সঙ্গে রাখবেন
ফল নুডুলস ইত্যাদি সঙ্গে রাখবেন
ফাস্টফুড ওষুধ এবং ব্যান্ডেজ সাথে রাখবেন
প্লাস্টিক ব্যাগ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য সঙ্গে রাখবেন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র

জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি
জরুরি ফোন নাম্বার
নগদ টাকা
সৈকতে স্থানীয় গাড়িদের নাম্বার সংগ্রহ করে নেবেন
সৈকতে ভগবানের জন্য অতিরিক্ত আইটেম
চাদর
ছোট তাবু
সুইমিং পোশাক বা শর্ট পোশাক পানিতে নামার পরিকল্পনা যদি থাকে
প্লাস্টিক কভার ইলেকট্রনিক রক্ষা করার জন্য
বাচ্চাদের সঙ্গে বালিতে খেলার জন্য বল

সতর্কতা অবলম্বন

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত সম্পূর্ণভাবে অপরিচিত এলাকা তাই দিনের বেলায় ঘুরে আশায় উত্তম স্থানীয় লোকজন গায়ের ছাড়া রাতে ভ্রমণ করবেন না

আবহাওয়া হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে এজন্য নৌকা ও ট্রলার চালকদের নির্দেশ অনুযায়ী চলাফেরা করুন

বনের ভিতর বেশি যাবেন না কারণ বন্যপ্রাণী আক্রমণ হতে পারে

আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলবেন না পরিবেশকে সুন্দর রাখবেন

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

লালদিয়া বর্ণ সমুদ্র সৈকত পাথরঘাটা বরগুনা ঘুরতে গেলে এর আশেপাশে এমন কয়েকটি দর্শনীয় স্থান আছে যেগুলো একসাথে ভ্রমণ করা যেতে পারে চলুন নিচে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়

হরিণঘাটা ইকোপার্ক

পাথরঘাটা উপজেলা বরগুনা জেলার এই হরিণঘাটা ইকোপার্ক অবস্থিত এখানে সবুজ বন নদী ও সমুদ্রের মিশ্রণ রয়েছে যাদের প্রকৃতি ভালো লাগে তাদের জন্য হরিণঘাটা বন্যপ্রাণী দেখা একটি সুবর্ণ সুযোগ পেতে পারেন

সময়সূচী অনুযায়ী সাধারণত দিনের বেলায় করা ভালো সন্ধ্যা বেলায় ফিরে আশায় বেশি নিরাপদ

শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত

বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় এই শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত এখানে দাঁড়িয়ে নদীর তিনটি স্রোত ও সমুদ্র মিলন দেখতে পাবেন পাশাপাশি জাপান আছে । আছে মনোরম পরিবেশ দিনে বা সন্ধ্যায় ঘুরতে যেতে ভালো লাগে লাল দে সমুদ্র সৈকত বিকল্প হিসেবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেখা যাবে

আরো পড়ুনঃরাজবাড়ি জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতি এবং যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

তেংরাগিরি ইকোপার্ক

অবস্থান বরগুনা সোনাকাটা ইউনিয়ন বন্যপ্রাণী প্রাকৃতিক ভিত্তিক পর্যটনের জন্য উপযুক্ত আশেপাশে তুলনামূলক একটু আগে যাওয়া যায় তা হবে এখন অন্যতম অভিজ্ঞতা গাইড নিয়ে অবশ্যই চলবেন বনক্ষেত্রে রাস্তা সমস্যা হতে পারে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা লালদিয়া সমুদ্র সৈকত বরগুনা ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন তারপরও যদি আপনারা কোন সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন আপনাদের উপকৃত করার চেষ্টা করব

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত বরগুনা এই আর্টিকেলটি আপনাদের বন্ধু বান্ধবের নিকট বেশি করে শেয়ার করে দিবেন যাতে করে এরকম আর্টিকেল সহজে পেতে পারেন এরকম আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ফলো দিবেন আর সঙ্গে থাকবেন এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভ্রমণ গাইড