দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা নালিতাবাড়ী শেরপুর

SOHEL🌄

আপনি কি দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা নালিতাবাড়ী শেরপুর ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে চলুন নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা নালিতাবাড়ী শেরপুর জেলার উত্তর সীমান্তবর্তী পাহাড়েএলাকা জুড়ে অবস্থিত যার প্রধান দৃষ্টিনন্দনীয় ভাসমান সেতু এবং ওয়াটার পার্ক সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় রাইড।

পেজ সূচিপত্রঃ দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা নালিতাবাড়ী শেরপুর ভ্রমণ গাইড

গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনায় সরকারি আমলাদের মতামত
গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনায় স্থানীয়দের মতামতে
গারো পাহাড়কে পর্যটন কেন্দ্রের সম্ভাবনার অন্যতম কারণগুলি
দাও ধারা গারো পাহাড় যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে কত সময় লাগে
গারো পাহাড় ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
দাওধারা গ্রামে কোথায় থাকবেন
দাও ধারা পাহাড়ি এলাকায় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা
গারো পাহাড় ভ্রমণের সঙ্গে যা যা নিবেন
আমাদের শেষ কথা

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা নালিতাবাড়ী শেরপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য যা অপার সম্ভাবনার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দর্শনার্থীদের মন জয় করছে এই পাহাড়টিতে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র উচু নিচু লাল পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করছে এবং আনন্দে উচ্চারিত হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন এ থেকে স্থানীয়রা শুরু করেছে

গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনায় সরকারি আমলাদের মতামত

কেন্দ্রটির নতুন ভাবে নির্মাণাধীন কাজ দেশের পর্যটন খাতকে আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী করতে নালিতা বাড়ি উপজেলার সরকারি নির্দেশনায় নতুন বিনোদন তৈরিতে দ্রুত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসন

বিনোদন হচ্ছে মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা যা সরকারি রাজস্ব আয় খাত বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করে হয় নানান ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ওই পর্যটন কেন্দ্রটি পুনর নির্মাণ কাজ শুরু করেন প্রধান গেটের সামনে কাজ শুরু করেন বনবিভাগ থেকে শুরু করে নতুন পর্যটন কেন্দ্রটি অনেকে বিরোধিতার দার প্রান্তে পৌঁছায়

তবে দাবি একটায় ছিল পর্যটন কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ যথারীতিভাবে সচল থাকবে বিরোধীতার অন্যতম একটি কারণ ছিল এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় আরো সমস্যা হয় জীব বৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষা করতে এজন্য জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যুগ্ন মহাসচিব শামীমা বেগম সরজমিনে পরিদর্শন করে এ প্রতিবেদন তৈরি করে যে কোন , ক্ষয়ক্ষতি হয়নি

আরো পড়ুনঃমহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভিটা মধু পল্লী ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

এছাড়াও বন বিভাগ মধুটিলা ফরেস্ট কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম মহাসচিব শামীমা বেগম বলেন দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রটির অবস্থান ও পরিবেশগত দিক দিয়ে সরজমিনে পরিদর্শন করে বলেন নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই কার্যক্রম শুরু করা হবে নালিতা বাড়ির উপজেলার ইউ ও নো বলেন তারা দাওধারা গা গারো পাহাড়ে২২০.৭৭ খাস জমে উদ্ধার করেছেন এই স্থানটিতে পর্যটক কেন্দ্র তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে আপাতত কাজ স্থগিত রয়েছে পরবর্তীতে নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে

গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনায় স্থানীয়দের মতামতে

গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনায় স্থানীয়দের নতুনুসারে প্রায় গারো পাহাড়ে আনাগোনা করতে দেখেছেন বন্য হাতিকে দুই যুগের অধিক সময় ধরে তাদের কোন সমস্যা নেই আরো বনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে এছাড়াও নির্ধারিত স্থানের আশেপাশে আরও শত শত হেক্টর বনভূমি রয়েছে ওই স্থান দিয়ে অন্য হাতে নির্দ্বিধায় চলাফেরা করতে পারে এ জায়গায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ হলে বন্য হাতির কোন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন এলাকাবাসী এদিকে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে অন্যদিকে পর্যটকগণ একটি নতুন বিনোদনের দিগন্ত খুঁজে পাবে সরকার পাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয়

এছাড়াও সরকারের নির্দেশনায় পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ ও আদর্শ বৃদ্ধি করতে বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসন তাই নালিতা বাড়ি উপজেলার নয়বিল ইউনিয়নের দাও ধারা২২০.৭৭ একর পাহাড়ি জমে পর্যটনের স্থানে হিসেবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ২০২৩ সাল ৫ই এপ্রিল এ কাজ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক সালেহ আক্তার আর মেন গেটের কাজ রাস্তায় মাঠে ফেলা দিয়ে শুরু হয়

এখানকার এলাকাবাসী হোসেন আলী নুরুল হোসেন ও হারেজ আলী সহ অনেকে জানান যে তারা প্রায় দুই যুগ ধরে বন্য হাতির চলাফেরা করতে দেখেছেন এদের কোন সমস্যা হয় না কারণ এদের আলাদা ভিন্ন পথ রয়েছে তা ছাড়াও এখানে দুইটি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে একটি হলো অবকাশ গজনি কেন্দ্র আরেকটি হলো মধুটিলা ইকোপার্ক বন্যহাতি এদের কোন ক্ষতি করে না বরং তা দেখে আরো আনন্দিত হয় তাই এখানে যদি নতুন ভাবে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনা করা যায় তাহলে স্থানীয়দের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং ভ্রমণ পিপাসুরা প্রাকৃতিক নতুন সৌন্দর্যের উপভোগ করবে।

তারা বলেন যদি এখানে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হয় তাহলে বন্য হাতিদের জন্য নতুন আকর্ষণ সৃষ্টি হবে এ হাতে দেখার জন্য অনেক পর্যটকগণ ছুটে আসবে এই স্থানে আরেকটি অন্যতম কারণ হলো পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হলে এই স্থানে পাবে বাড়তি আনন্দ একদিকে যেমন মধুটিলা ইকোপার্ক আর পূর্বদিকে তবে নাকুগাঁও স্থলবন্দর এখানকার মানুষের কোন কর্মসংস্থান না থাকায় তারা পাবে নতুনভাবে কর্মসংস্থান এজন্য জোর দাবি এলাকাবাসীর বন্য হাতির জন্য পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ হতে পারে না তাই পরিকল্পিতভাবে পর্যটন কেন্দ্র কাজ শুরু করার জন্য দাবী জানান

গ্রামবাসী রাশেদা বেগম বলেন আমাদের কোন চলার রাস্তা নেই আমরা জীবনধারণের জন্য লাকড়ি করিয়া বিক্রি করে কষ্ট করে সংসার চালায় এতে করে আমাদের খুব কষ্ট হয় জীবন ধারনে তাই এখানে যদি কোন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হয় তাহলে আমরা অন্তত পানি বিক্রি করে হলেও আমাদের সংসার চালাতে পারবো তাই সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি এবং চিত্ত বিনোদনও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নতুন করে কাজ শুরু করার আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি

গারো পাহাড়কে পর্যটন কেন্দ্রের সম্ভাবনার অন্যতম কারণগুলি

গারো পাহাড়কে পর্যটন কেন্দ্রের সম্ভাবনার অন্যতম কারণগুলোর কিছু দিকনির্দেশনা লক্ষ্য করা যায় তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রাকৃতিকগত ভাবে সৌন্দর্য ভরপুর শুধুমাত্রনয়ন অবিরাম জন্যই নয় বগলের কিছু কারণের জন্য এখানে নতুন পর্যটন কেন্দ্র দারুণ নতুন করা প্রয়োজন বলে মনে করা হয় তাই চলুন নিচে পর্যটন কেন্দ্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক

অদেখা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা নালিতাবাড়ী শেরপুর ঘন সবুজে মোড়ানো একটি টিলা বা পাহাড় এখানে আছে ঝর্ণাধারা ও পাহাড়ি পাথরের স্তর এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষত অবস্থায় আছে এবং থাকবে কারণ যখন নতুন পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনা হবে তখন এগুলো রক্ষা করার জন্য আরো কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হবে যা নতুন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে তাই বলা যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্র সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচন করবে

আরো পড়ুনঃসুখিয়া ভ্যালি পর্যটনদের সুখের ভ্রমণে আরেক নাম - ভ্রমণ গাইড

গারো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনায় অন্যতম আরেকটি কারণ হলো গাড়ো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এখানে দৃষ্টিগোচর করা যায় তাদের জীবনযাত্রা নাচ গান ও ঐতিহ্যের উপরে পর্যটকদের কাছে এক ভিন্ন ধর্মী রীতিনীতি মনে হবে যা এনে দেবে পর্যটকদের জন্য বাড়তি আনন্দ অভিজ্ঞতা এটাও হতে পারে একটা অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

পর্যটন অবকাঠামো গড়ার সম্ভাবনা

গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা তৈরি হবে যদি পুরোপুরি ভাবে পর্যটনদের অবকাঠামাগুলো পুরোপুরিভাবে গঠন করা হবে তাই সর্বস্তরের সরকারি কর্মচারীদের ও বেসরকারি উদ্যোগে রিসোর্ট কটেজ ভিউ পয়েন্ট ও ট্যুরিজম সেন্টারগুলো সঠিকভাবে স্থাপনা করা সম্ভব হয়

এজন্য প্রয়োজন সর্বস্তরের কর্মচারীবৃন্দকে একত্র হয়ে সরকারের প্রতি জোর দাবি দিয়ে পর্যটন অবকাঠামাগুলো দ্রুত গড়ে তোলার।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণ

গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা অন্যতম আরেকটি দিক হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্ব দেওয়া কারণ ময়মনসিংহ শেরপুর জেলা থেকে দাওধারা গারো পাহাড় যাওয়া সহজ করণ করতে হবে যদিও সহজ হয়ে থাকে আরও বাড়তি সুবিধা দিয়ে সহজে করণ করা দরকার যত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে তত তাড়াতাড়ি পর্যটন কেন্দ্রগুলো সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবে বর্তমান সময়ে পর্যটকগণ যত আরামদায়ক এবং স্বল্প সময়ে ট্যুর ব্যবস্থা করতে পারে ততই তাদের জন্য মঙ্গল।

পরিবেশ বান্ধব পর্যটন

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা হতে পারে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভারসাম্য রক্ষা করার মাধ্যমে যেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটনদের আকর্ষণীয় করবে যার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব এজন্য প্রয়োজন পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র তৈরী করা। যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়ে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

ছবিপ্রেমী ও গবেষকদের স্বর্গ

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা হবে ছবিপ্রেমী ও গবেষকদের জন্য স্বর্গ পাহাড় ঝর্না মেঘ পাখি ও বন্যপ্রানীর সর্বস্থানে ফটোগ্রাফী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবিপ্রেমী ও গবেষকদের স্বর্গরাজ্য যা গবেষকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে। ওপরে নীল আকাশ নিচে ঘন সবুজ বন মধ্যখানে পাখিদের গুঞ্জন ঝর্ণধারা হঠাৎ করে বন্যহাতি দর্শন সবগুলো যেন এক ফটোগ্রাফিদের কাছে আনন্দ ঘন মুহূর্তগুলো ছবি করে রাখার মত।

দাও ধারা গারো পাহাড় যাওয়ার উপায়

দাওধারা গারো পাহাড় শেরপুর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় দীগারকান্দা ইউনিয়নে দাও ধারা গ্রামে অবস্থিত যা গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় সুন্দর নিদর্শনাবলী অত্যন্ত মনোরম পরিবেশ ও শান্ত নির্জনে এলাকা দাওধারা গ্রাম গারো পাহাড় যাওয়ার উপায় বিস্তারিতভাবে নিচে বর্ণনা করা হলো

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ

ঢাকা গাবতলী মহাখালী বা আব্দুল্লাহপুর থেকে সরাসরি ময়মনসিংগামী অনেক বাস চলাচল করে থাকে নিচে কিছু জনপ্রিয় বাসের তালিকা তুলে ধরা হলো প্রয়োজনে জেনে নিতে পারেন

হানিফ এন্টারপ্রাইজ
এনা ট্রান্সপোর্ট
অরেঞ্জ লাইন
শ্যামলী পরিবহন

ময়মনসিংহ বাসের ভাড়া

ময়মনসিংহ বাসের ভাড়া ঢাকা থেকে মাত্র ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা নন এসি এবং এসি বাসের ভাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে কত সময় লাগে

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা

ময়মনসিংহ টু হালুর ঘাট থেকে বাস কিনবা মাইক্রোবাস পাওয়া যায় স্থানীয় বাস ছাড়ে কে আর মার্কেট বাসস্ট্যান্ড থেকে

ময়মনসিং টু হালুয়াঘাট এর ভাড়া ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা

যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা

হালুয়াঘাট টু দেওধারা গারো পাহাড়

হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে সিএনজি কিংবা অটো রিক্সা অথবা মোটরসাইকেলে করে যেতে হবে দাওধারা গ্রাম গারো পাহাড় রাস্তা উঁচু-নিচু হওয়ার কারণে সময় অনেকটা লেগে যায় পৌঁছাতে এরপরও গ্রাম এলাকায় রাস্তাগুলো আরো খারাপ হওয়ার কারণে সময় একটু বেশি লাগে

হালুয়াঘাট থেকে দাউদারা গ্রামের দূরত্ব

হালুয়াঘাট থেকে দাও দ্বারা গারো পাহাড় গ্রামের দূরত্ব হল সাত থেকে আট কিলোমিটার পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে কারণ রাস্তা অবস্থা তেমন ভালো না এবং উঁচু নিচু

ভাড়া সমূহ

হালুয়াঘাট থেকে গারো পাহাড় এর ভাড়া হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা জন প্রতি
হালুয়াঘাট থেকে গারো পাহাড় পৌঁছাতে কত সময় লাগে
হালুয়াঘাট থেকে গারো পাহাড় পৌঁছাতে সময় লাগে ২০ থেকে ৩০ মিনিট

গারো পাহাড় ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

গারো পাহাড় অত্যান্ত বিস্তীর্ণ একটি অঞ্চল বাংলাদেশের এই অঞ্চলে মানুষগুলো খুবই প্রকৃতিপ্রেমী তাদের জীবন দ্বারা প্রকৃতি থেকে চলে যায় তাদের কিছু কিছু মৌসম আছে খাদ্য সংগ্রহ করার সেই সময় তারা খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে এছাড়া উপজাতিদের জন্য বনাঞ্চলে হলো প্রধান খাদ্য যোগানের মাধ্যম

উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শীত মৌসুম পাহাড়ি পথ আরামদায়ক হয় এছাড়াও ঝর্ণাগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে তবে রাস্তা কিছুটা কাঁদা যুক্ত হয়

আরো পড়ুনঃডাবল হ্যান্ড ভিউ পয়েন্ট বান্দরবান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

সংক্ষিপ্ত রুটের সারাংশ

ঢাকা-ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট-দাওধারা গ্রাম-পাহাড় এভাবে আপনাকে রুট বাই রুটে এসে গারো পাহাড় পৌঁছাতে হবে

একজনের খরচের হিসাব

ঢাকা টু ময়মনসিংহ আনুমানিক খরচ ৩০০ টাকা

ময়মনসিংহ টু হালুয়াঘাট আনুমানিক খরচ ১০০ টাকা

হালুয়াঘাট টু দাও ধারা গ্রাম আনুমানিক খরচ ২০০ টাকা যাওয়া আসা

একরাত্রীর যাপন ৮০০ টাকা

খাবার তিন বেলা চারশো টাকা

অন্যান্য খরচা দিয়ে ২০০ টাকা

সর্বমোট খরচ হবে দুই হাজার থেকে ২৫০০ টাকা

দাওধারা গ্রামে কোথায় থাকবেন

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন এক পর্যটন কেন্দ্রের সম্ভাবনা হওয়ায় থাকার তেমন কোন ব্যবস্থা বা বড় হোটেল কিংবা রিসোর্ট গড়ে ওঠেনি এজন্য আশেপাশে কিছু ভালো থাকার জায়গা ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে রাত্রি যাপন করতে পারেন চলুন নিচে সেসব রিসোর্ট ও হোটেলের নামের তালিকা গুলো জেনে নেয়া যাক

৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে থাকার ভালো ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো

হালুয়া ঘাট রেস্ট হাউস

হালুয়াঘাট এসে আপনাকে সিএনজি কিংবা মোটরবাইকে অথবা অটো রিক্সায় দাওধারা গ্রাম যেতে হবেহালুয়াঘাট রেস্ট হাউস থাকতে পারেন প্রয়োজনে আগে যোগাযোগ করে রাখতে পারেন সুবিধা হল শান্ত পরিবেশ নিরাপত্তাকার ব্যবস্থা

হোটেল সানরাইজ ইন

অবস্থান হালুয়াঘাট বাজার এর কাছে এখানে এসে আপনি হোটেল সানরাইজের তথ্য জানতে চাইলে যেকোনো মানুষ হোটেল সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দিয়ে দিবে

ভাড়া প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা মধ্যে হয়ে যাবে প্রতি রাত

এছাড়াও এখানে রয়েছে ফ্যান এসি রুম রেস্টুরেন্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা

হোটেল নিউ গারো হিল ইন

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটনের কেন্দ্র সম্ভাবনা অন্যতম উন্নত মানের হোটেল হল হোটেল নিউ গারো হিল ইন অন্য যেখানে অন্যান্য হোটেলের বা রিসোর্টের তুলনায় অনেক উন্নত

ভাড়া ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে

সুবিধা সাধারণত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নিরাপদ ও পর্যটকদের জন্য উপযোগী এক কটেজ

ময়মনসিংহে থাকার ব্যবস্থা

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে এসে থাকতে পারেন এখানেও ভালো মানের উন্নত হোটেল রয়েছে শহরে থাকাই মোটামুটি ময়মনসিংহের উন্নত মানের কিছু হোটেলের নাম নিচে তুলে ধরা হলো চরণ জেনে নেওয়া যাক

হোটেল রিলাক্স ইন

ভাড়া এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা

হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল

ভাড়া ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা

হোটেল কে সি ইন

ভাড়া ১০০০ থেকে ১৮০০টাকা

গারো পাহাড়ের দূরত্ব কত ঘন্টা

ময়মনসিং থেকে গারো পাহাড়ের দূরত্ব প্রায় দুই ঘন্টা

গারো পাহাড়ে স্থানীয় বাড়িতে থাকার অভিজ্ঞতা

গারো পাহাড়ের স্থানীয় বাড়িতে থাকার অভিজ্ঞতা নিতে চাইলে তাদের হোম ইস্ট ব্যবস্থা আছে আগে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে যেখানে আপনি গারোদের ঐতিহ্যবাহী খাবার সাংস্কৃতি ও পাহাড়ি জীবন অভিজ্ঞতা পেয়ে যাবেন সাথে থাকবে নাচ গানের অবস্থা।

খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা নালিতাবাড়ী শেরপুর আগেভাগে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থার পরিকল্পনা করতে হবে কারণ সেখানে বড় ধরনের রেস্টুরেন্ট পাবেন না তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু গারো পাহাড়িদের খাওয়া দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু তালিকা তৈরি করা হলো

দাও ধারা পাহাড়ি এলাকায় খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা

দাও ধারা পাহাড়ে গ্রামগুলোতে বড় ধরনের হোটেল না থাকায় স্থানীয় কিছু চায়ের দোকান ছোট খাবারের হোটেল রয়েছে সেখানে অর্ডার করলে হয়তোবা খাবারের ব্যবস্থাও হতে পারে

সাধারণ খাবার

ভাত ,ডা্‌ সবজি, মাছ ভাজা ,মুরগি রান্না

প্রতিজনের খাবারের বিল ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হবে

এছাড়াও গ্রামের ভিতরে হোমস্টে খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন তারা নিজেরাই খাবার রান্নাবান্না করে খায় এবং রান্না বান্না করেও দেয় এদের রান্না গুলো ভিশন মানে সুস্বাদু দেশি প্রাকৃতিক উপকরণে রান্না

গারদের জনপ্রিয় খাবার সমূহ

বাশ কোরার তরকারি

চিংড়ি বা ছোট মাছের শুকনো রান্না

দেশি মুরগির তরকারি গারো স্টাইলে

শাকসবজির আলু কচু পাতা কাঁচামরিচ রান্না

ভাপা ভাত লবণ মরিচ লেবু দিয়ে সরল খাবার ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা মধ্যে হয়ে যাবে

হালুয়াঘাট শহরে খাবারের ব্যবস্থা

আপনি যদি সকালবেলা থেকে বিকালবেলা পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়ে আসেন তবুও হালুয়াঘাট শহরে খেতে পারবেন যেসব রেস্টুরেন্টে চলন সেগুলোর নাম নিচে জেনে নেয়া যাক

হোটেল সুস্বাদু ভোজনালয় দেশি খাবারের জন্য

মা রেস্টুরেন্ট ভাত মাছ মাংস ডাল ইত্যাদি

সানরাইজ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এখানে আরামদায়ক খাবার পাবেন

হোটেল রুচি ভোজনালয়

দুপুরের খাবার জনপ্রতি ১২০ থেকে ২০০ টাকা পড়বে

এবং রাতের খাবার ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা মধ্যেহবে

গারো পাহাড় ভ্রমণের সঙ্গে যা যা নিবেন

গারো পাহাড় ভ্রমণ মানে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতার চ্যালেঞ্জ পাহাড়ি পথ ঝরনা আর প্রাকৃতিক পরিবেশ তাই নিতে হবে অগ্রিম প্রস্তুতি একটু বিশেষ ধরনের সর্তকতা গারো পাহাড়ের দর্শনে সম্পূর্ণ তালিকা অনুসারে একটি ভ্রমণ গাইড দেয়া হলো

পোশাক ও জুতা

হালকা ও আরামদায়ক পোশাক

ট্রাক-প্যান্ট বা জগার

টি-শার্ট বা ফুলহাতা জামা সূর্যের তাপ থেকে সুরক্ষার জন্য

ছাতা বা রেনকোট সঙ্গে রাখা

গ্রিক যুক্ত স্যান্ডেল ব্যবহার করা

অতিরিক্ত পোশাক ব্যবহার করা ঝর্ণায় গোসলের জন্য

খাবার ও পানি

পানির বোতল কমপক্ষে এক লিটার রাখতে হবে

শুকনো খাবার সঙ্গে নিতে হবে যেমন চিপস বিস্কুট বাদাম কেক ইত্যাদি ফল

এনার্জি ড্রিঙ্ক নিতে হবে

শীতে ভ্রমণে গেলে চায়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র

সানস্ক্রিন সানগ্লাস

টুপি বা ক্যাপ

পাওয়ার ব্যাংক মোবাইল চার্জার এর জন্য

ছোট ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাক

দীর্ঘ ট্যুরে গেলে সঙ্গে রাখবেন

টস লাইট বা হেডলাইট

ম্যাচ বা লাইটার

চিকিৎসার জন্য

ব্যান্ডেজ করা সরঞ্জাম

ব্যথার ওষুধ

মশা তাড়ানোর স্প্রে

অ্যান্টিসেপটিভ ক্রিম ব্যবহার করা

ইলেকট্রনিক ফটোগ্রাফি সামগ্রী

মোবাইল ফোন বা ক্যামেরা

মেমোরি কার্ড অতিরিক্ত ব্যাটারি চার্জ থাকা লাগবে এর জন্য পাওয়ার ব্যাংক

সেলফি স্টিক

ব্যক্তিগত জিনিসপত্র

যেমন এন আইডি কার্ডের ফটোকপি

নগদ টাকা পয়সা

হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে মাক্স ব্যবহার করবেন

আরো পড়ুনঃপ্রকৃতির ভূস্বর্গ বান্দরবান টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট -ভ্রমণ গাইড

অতিরিক্ত সতর্কতা

স্থানীয় গাড়ির সাথে যোগাযোগ রাখুন

গারো গ্রামে গেলে স্থানীয় সাংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখাবেন

আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকবেন

সব সময় নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবেন

আমাদের শেষ কথা

দাওধারা গারো পাহাড় নতুন পর্যটন কেন্দ্রর সম্ভাবনা নালিতাবাড়ী শেরপুর বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তীয় প্রাকৃতিক এক অনন্য সৃষ্টি সবুজ পাহাড় টলমলে ঝর্ণা নির্মল বাতাস আরো গারো পাহাড়ের যাতে গোষ্ঠীর সরল সোজা জীবন ধারণ এ অঞ্চলের মূল আকর্ষণ সমস্ত তথ্যগুলো আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরতে পেরেছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন এরপরও যদি কোন রকমের সমস্যা হয় তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করা হবে কিন্তু এখনো এ এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলো বিকাশ সমান অবস্থায় রয়েছে আস্তে আস্তে পর্যটন কেন্দ্র তৈরিতে সকলের জোর দাবি জানানো হচ্ছে সরকারের প্রতি।

আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে প্রিয় ভাই বোন বন্ধুদের শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তারা অবসর সময় গুলো এই স্থানে এসে কাটিয়ে যেতে পারে এছাড়াও আমাদের দেশের লুকিয়ে থাকা গোপন সৌন্দর্যগুলো দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো দিয়ে প্রতিদিন ভিজিট করুন তাহলে পেয়ে যাবেন নতুন নতুন আর্টিকেল এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।