মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

সুখিয়া ভ্যালি পর্যটনদের সুখের ভ্রমণে আরেক নাম - ভ্রমণ গাইড প্রিয় পাঠক,আমরা মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে জানব কেননা মধু পল্লীতে মহাকবির পৈতৃক বাড়ির স্মৃতি বিজড়িত নিদর্শন আছে   তাই আর দেরি নয় চলুন মধু কবির মধু পল্লী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে অবস্থিত এই জায়গাটির নাম শুনলে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রিয় মুখ খানি ভেসে ওঠে এই মধু পল্লী পৈতৃক স্মৃতি বিজড়িত স্থান যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল মধু কবির মধুপল্লী।

পেজ সূচিপত্রঃমধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• মধু পল্লীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য
• মাইকেলের সাহিত্যকর্ম ও অবদান
• মধু পল্লীতে যা যা দেখবেন
• মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লীতে প্রবেশের সময়সূচী 
• মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লীতে কিভাবে যাবেন
• ঢাকা থেকে যশোর পৌছাতে কত সময় লাগে
• মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী কোথায় থাকবেন
• খাওয়া দাওয়া
• আমাদের শেষ কথা

মধু পল্লীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী এখানে এই মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত পঁচিশে জানুয়ারি ১৮২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনার শৈশবকাল অনেকটা সময় কাটান এই গ্রামের মধ্যে তিনি কৈসরে কলকাতায় শিক্ষার জন্য মনোনিবেশ করেন তবুও তার জীবনের সমস্ত ভালবাসা টুকু ছিল এখানেই তার পিতা রাজনারায়ন দত্ত ছিলেন একজন আইনজীবী ও জমিদার শৈশবকালেই মধুসূদন দত্ত ছিলেন অনেক বুদ্ধিমত্তি ও কৌতুহলী ইংরেজি শিক্ষায় ছিল গভীর আগ্রহ দীর্ঘ সাত বছর পর্যন্ত মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই মধু পল্লীতে বসবাস করেছিলেন পরে তিনি কলকাতার খিদিরপুরে গমন করেন এবং ১৯৬২ সালে তিনি আবার নিজ বাড়িতে ফিরতে চাইলে খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করার কারণে তাকে তার পরিবার আর গ্রহণ করেনি এর পরে তিনি তার কপোতাক্ষ নদের তীরে তাবুতে টাঙ্গিয়ে ১৪ দিন অবস্থান করেন এরপর আবার কলকাতায় ফিরে যান কতক্ষণ নদীর পাশেই তার বাড়িটি এখনো রয়ে গেছে

আরো পড়ুনঃডাবল হ্যান্ড ভিউ পয়েন্ট বান্দরবান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

মধু কবি মাইকেলের শিক্ষা জীবন

মধু কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলকাতার হিন্দু কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন যেখানে শুধু তিনি ইংরেজি সাহিত্য ও পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির প্রতি গভীর হয়ে উঠেন পরবর্তীতে তিনি নিজের খ্রিষ্ট ধর্মের প্রতি আগ্রাসন হন নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তিনি ছিলেন এক নবজাগরণের প্রতীক পাশ্চাত্য কাব্য রীতিকে পরিবর্তন করে বাংলা সাহিত্যে রূপান্তরিত করে তার সাহিত্যিক জীবনে অমিত্রাক্ষর ছন্দ পরিবর্তন করেন তার অদম্য ক্ষমতায় ছিল পৌরাণিক কাহিনী কি আধুনিককরণ করা।

মাইকেলের সাহিত্যকর্ম ও অবদান

মধুকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রধান প্রধান শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মধ্যে অন্যতম মেঘনাদবধ কাব্য নায়ক হিসেবে দেখানো হয়েছে যেখানে রাবণের পুত্র ছিল শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি

বীরঙ্গনা ব্রজাঙ্গনা কাব্য ও তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য এছাড়াও নাটক শর্মিষ্ঠা একে বলে সভ্যতা বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো প্রভৃতি ছিল তার অন্যতম

অবদান সমূহঃ বাংলা কাব্য আধুনিককরণ করেন ও নাট্যধারার সূচনা করেন এই মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় ইউরোপীয় শৈলী ও ভাবধারা সংযোজন করেন এই মাইকেল মধুসূদন দত্ত নারী চরিত্র নতুন দৃষ্টিভঙ্গি  উপস্থাপনা করেন সমাজ জীবনে এ মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্য কে বিশ্ব সাহিত্যের কাতারে উন্নতি করেন এ মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার অবদানের অসীম সীমা রয়েছে বাংলা ভাষাভাষীর মধ্যে

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা নবজাগরণের এক অদম্য অগ্রদূত তার বাংলা সাহিত্যকর্ম ভাষাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যায় আজও তিনি বাংলার আধুনিককরণে আধুনিক বাংলা কাব্যের জনক হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন

শেষ জীবনে তিনি আর্থিক ও মানসিক কষ্টে ভোগে ছিলেন তিনি  ১৮৭৩ সালে ২৯ শে জুন কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত এক যুগান্তকারী কবি ছিলেন বাংলা সাহিত্য পাশ্চাত্যের রূপে রাঙিয়ে তুলেছিলেন নাটক শুধু নয় সাহিত্যই নয় বাঙালি জাতির চিন্তা ও সাংস্কৃতির ইতিহাসের এক অবসর নিয়ে অধ্যায় হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

মধু পল্লীতে যা যা দেখবেন

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী কি কি দেখার আছে চলুন নিচে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যায়

মধু কবির জন্ম ভিটা বাড়ি

মধু কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভিটা মধু পল্লী ভ্রমণে প্রথমে চোখে পড়বে তার জন্মস্থানের প্রতি তীব্র ভালোবাসার প্রতীক কপোতাক্ষ নদ তার কবিতায় বারবার ফিরে এসেছে এই নদী শুধু কি তাই তার সাহিত্যবোধ ও রোমান্টিক ভাবনার পেছনে সাগর দাড়ি প্রভাব  রয়েছে অনেক মধুপল্লীতে গড়ে ওঠে সাগরদাঁড়ির জনপদগোষ্ঠী প্রন্ততত্ত্ব সংস্থা বিভিন্ন সহযোগিতায় তার স্মৃতি নিদর্শন হিসেবে আলোকচিত্র গড়ে তুলেন এখানকার জাদুঘরে।

মুল আকর্ষণ সাগরদাঁড়িগ্রাম দুইতলা পুরনো বাংলা স্থাপিত তৈরি বাড়ি যা মধুসূদন দত্তের ব্যবহৃত অনেক পুরনো জিনিস সংরক্ষিত আছে। তার ব্যবহৃত হাতের লেখার কপি চেয়ার টেবিল এবং পরিবারের ছবি সবকিছুই যেন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে।

মধু কবির জাদুঘর

মধুকবি র মূল ভবনটি দোতলা বিশিষ্ট পুরনো দিনের টালির ছাদ লাল কাঠের দরজা জানালা সে সময়কার স্মৃতি দর্শনের ছোঁয়া দেয় দোতলা ভবনের উপর তিনটি তিনটি মোট ছয়টি কক্ষ আছে নেত্রালয়ের আছে জাদুঘর মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত পালঙ্ক চেয়ারে বসানো তার প্রতিকৃতি চিঠিপত্র পোশাক কাব্যগ্রন্থের সংস্কার তার হাতে লেখা ইংরেজি ও বাংলা চিঠি কপি সব কিছু মিলিয়ে রয়েছে তার স্মৃতিস্তম্ভ এই জাদুঘরে এমনকি সেসময়কার মাদ্রাজেরও কিছু নিদর্শন এখানে রয়েছে। বাংলাদেশের সরকার প্রত্যতত্ত্ব অধিদপ্তর তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত । যেখানে তার জীবনের সাহিত্যকর্ম নিদর্শন সমূহ সংগৃহীত আছে। আরও আছে পুন্ডলিপি প্রতিকৃতি ও ইংল্যান্ডের জীবনের তথ্যচিত্র 

মধু কবি র স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য

দুই বাংলার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি স্তবক হিসেবে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয় তার জন্মগত বসতভিটার সামনে এটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিপ্রেমীদের কাছে এখনো অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন ১৯৮৪ সালে শিল্পী বিমানের চন্দ্র বিশ্বাস ছাদ হীন দেয়াল ঘেরা অসাধারণ একটি কক্ষ নির্মাণ শৈলীর জন্য

সাগরদাড়ি গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

সাগর দাড়ি গ্রাম প্রকৃগতভাবে সৌন্দর্য শান্ত ও সবুজের এই গ্রামে পল্লী কবি শৈশবে গ্রামের স্বাদ পায় কপোতাক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে তার বহু কবিতা অনুপ্রাণিত হয়েছিল পর্যটকরা নদীর পাড়ে হাঁটতে ওর ছবি তুলতে ভালোবাসেন মধু কবির বাড়ির চারপাশে আছে আমের গাছ জামের গাছ কাঁঠাল নারকেল ও পাম গাছ আর তার পাশে রয়েছে বিশাল পুকুর যেখানে বসে আপনাকে এক মুহূর্তের জন্য হলো হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করবে

মধু কবির পাঠাগার ও স্মৃতিফলক

মধু কবির মূল ভবনের পাশে একটি ঘর এই ঘরকেই পাঠাগার তৈরি করা হয় যেখানে রয়েছে মধু কবির বইয়ের সংগ্রহ কবিতার লেখা ও গবেষণা কেন্দ্র আর পাঠাগারের পাশে রয়েছে একটি স্মৃতিময় স্মৃতিফলক যেখানে খোদাই করে লেখা আছে পল্লী কবি র জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী যা থেকে পর্যটক কোন কোভিদ ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে এবং এ সম্পর্কে গবেষণাও করতে পারে।

কপোতাক্ষ নদ ও কাঠবাদাম

মধু কবির মধুসূদন দত্ত বাড়ির পিছনের দিকে নদের প্রবাহ রয়েছে যাকে কপতাক্ষ নদ হিসেবে বলা হয়ে থাকে এই নদীর তীরে কবির স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে একটি কাঠবাদাম গাছ এ গাছে হেলান দিয়ে তিনি লিখেছেন অনেক কবিতা যদিও বয়সের ভারে গাছটি এখন প্রায় মৃত্যু তবে দখল দুশনে ক্ষমতা প্রায়  সৌন্দর্য হারাতে বসেছে তবে পর্যটকগণ এখানে আকর্ষণীয় ভাবে এসে থাকে।

মধু কবির সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও উৎসব চত্বর

মধু কবির মধু কবি র শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে এই সাংস্কৃতিক মঞ্চে ও তার পাশে রয়েছে উৎসব চত্বর এটা হল জাদুঘরের পাশেই নির্মিত স্থায়ী মঞ্চ প্রতিবছর হাজারো পর্যটন মধুমেলার এ আসরে উপস্থিত হয় আর এ আয়োজন কে করে আরও বেশি মুখরিত এখানে দাঁড়িয়ে কবিতা পাঠ নাটক ও আলোচনায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ বিভিন্ন উৎসবে মুখর হয় এই স্থানটি।

শেখপাড়া জামে মসজিদ

মধু কবির মাইকেল মধুসূদন দত্ত তার জীবনের ইতিহাসে অন্যরকম একটি দিক রয়েছে সেটি হল শেখপাড়া জামে মসজিদ  মধু পল্লী থেকে ফেরার পথে দেখতে পাবেন শেখপাড়া জামে মসজিদকে এটি প্রাচীনতম মুঘল স্থাপিতের রীতি দ্বারা নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই মসজিদের দৈর্ঘ্য প্রায় ২১.৫ মিটার এবং প্রস্থ হলো ১৬.৬ মিটার।

আরো পড়ুনঃপ্রকৃতির ভূস্বর্গ বান্দরবান টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট -ভ্রমণ গাইড

স্থানীয় মিশনারি চার্চ

মাইকেল মধুসূদন দত্তের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মস্থান হল স্থানীয় মিশনারি চার্চ তিনি ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মালম্বী তাই এলাকায় একটি পুরনো খ্রিস্টান স্থানীয় মিশনারি চার্চ স্থাপন করেন যা ইতিহাসের ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে অনেকে মনে করে থাকেন যেখানে এলাকার স্থানীয়রা তাদের ধর্ম পালন করে থাকে ।

মধুসূদন দত্তের স্মৃতি কলেজ 

মধুসূদন দত্তের স্মৃতি হিসেবে কলেজে রয়েছে একটি নাট্যশালা এখানে প্রতিবছর মধুসূদন উৎসব পালন করা হয়ে থাকে যেখানে হাজারো মানুষ জানুয়ারিতে হয় এই উৎসব এখানে সাহিত্য আলোচনা করা হয় নাটক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে তার নাম অনুসারে কলেজের নাম করণ করা যাকে মধুমালা নামে আখ্যায়িত দেয়া হয়েছে দেশ-বিদেশের মহা কবিরা গবেষণার জন্য এখানে আসে যা পুরো সাগরদাড়ি গ্রাম জুড়ে চলে উৎসব ।

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লীতে প্রবেশের সময়সূচী 

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী প্রবেশের সময়সূচী এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এবং মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল 9 টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য নিয়মিতভাবে প্রবেশ গেট খোলা হয় প্রতি সপ্তাহের রবিবারে এবং সকল সরকারি ছুটির দিনে মধু পল্লী সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে ।

 শুক্রবারের দিন ১২:৩০ থেকে ২ঃ৩০ পর্যন্ত বাড়িতে বন্ধ থাকে

এখানে প্রবেশ করলে আপনাকে কিছু টিকিটের মূল্য দিতে হবে চলুন প্রবেশের টিকিট মূল্য কত নিচে জেনে নেওয়া যাক

মধু পল্লী প্রবেশের টিকিট মূল্য

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী ভ্রমণের জন্য যে দর্শনার্থীরা এখানে আসবেন তাদের জেনে রাখা উচিত এই গেটের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা করে দিতে হবে জনপ্রতি তাহলে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা করে ব্যয় করতে হবে মধুপল্লীতে বাসের জন্য ১০০ টাকা টিকিট কাউন্টারে জমা দিয়ে টিকিট কিনতে হবে আর মাইক্রো ও জিপের জন্য ৫০ টাকা করে টিকিট কিনতে হবে এছাড়াও বাইকের জন্য ১০ টাকা পারকিং খরচ লাগবে।

আরো পড়ুনঃরাজবাড়ি জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতি এবং যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন 

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লীতে কিভাবে যাবেন

যশোর জেলার মাইকেল মধুসূদন দত্তের মধু পল্লীতে যেতে হলে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যশোর শহরে নিউ মার্কেট বাস স্ট্যান্ড যশোর পুরাতন বাস স্ট্যান্ড মনিহার মোড় এসে কেশবপুরে নামতে হবে কেশবপুর থেকে রিস্কা যোগে সরাসরি সাগরদাড়ি গ্রামে চলে আসতে পারেন এখানে এসে যে কাউকে মধুপল্লীর কথা জিজ্ঞেস করলে আপনাকে পৌঁছে দেবে মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভিটায় যশোর জেলার শহর থেকে  প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে সাগরদাড়ি গ্রাম 

ঢাকা থেকে যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে দুইভাবে যাওয়া যায় বাসযোগে আসতে পারবেন আবার টেনেও আসতে পারবেন 

বাসযোগে যশোরের মধুপল্লী

ঢাকা সায়দাবাদ ফকিরাপুল ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ফুলবাড়িয়া আরামবাগ থেকে আপনাকে যশোরে আসতে হবে এখান থেকে কেশবপুর এখান থেকে মধু পল্লী যাওয়া যায় অনেকগুলো বাস চলাচল করে চলুন বাসের নাম গুলো জেনে নিই যেমন

এসি বাস অফিস সার্ভিস

সোহাগ পরিবহন  ফোন নাম্বার ০১৭৩০ ০৬০০০৯

হানিফ পরিবহন ফোন নাম্বার ০১৭১৩০৪৯৫৪০

গ্রীন লাইন পরিবহন ফোন নাম্বার ০১৭১১৬১২৪৩৩

দেশ ট্রাভেল ফোন নাম্বার ০১৭০৯৯৮৯৪৩৬

সৌদিয়া কোচ ফোন নাম্বার০১৭৮১৮০১৯০১ 

এনা ট্রান্সপোর্ট ফোন নাম্বার

 রয়েল কোচ ফোন নাম্বার

নন এসি বাস সার্ভিস

হানিফ এন্টারপ্রাইজ ফোন নাম্বার ০১৭১৩০৪৯৫৪০

সোহাগ পরিবহন ফোন নাম্বার০১৭৩০ ০৬০০০৯

সাউদিয়া ফোন নাম্বার০১৭৮১৮০১৯০১ 

দেশ ট্রাভেল ফোন নাম্বার০১৭০৯৯৮৯৪৩৬

ঈগল পরিবহন ফোন নাম্বার

শ্যামলী এন আর ট্রাভেল ফোন নাম্বার

 একে ট্রাভেল ফোন নাম্বার

বাসের ভাড়া

এসি বাসের ভাড়া ২০২৫ অনুযায়ী ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা

এবং নন এসি বাসের ভাড়া হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা

ঢাকা থেকে যশোর গামী ট্রেন

আপনি যদি ঢাকা থেকে যশোর যাত্রা করেন তবে একটু দীর্ঘ যাত্রা হবে কিন্তু কিছু সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাবেন পথিমধ্যে পেয়ে যাবেন গ্রামীণ সুন্দর সুন্দর দৃশ্য তাহলে চলুন ট্রেন ভ্রমণ যাদের সেরা ভ্রমণ বিস্তারিত নিচে জেনে নেওয়া যাক

সুন্দরবন এক্সপ্রেস

চিত্রা এক্সপ্রেস

ছাড়ার স্থান কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে

সময় লাগে ৮ ঘন্টা

ভাড়া ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় এসি

নন এসি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা সেকেন্ড ক্লাস এছাড়াও আপনি চাইলে বিমানে সময়ের সাপেক্ষে যেতে পারেন

বিমান

ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স

নভোএয়ার

বিমান বাংলাদেশ

সময় লাগে ৪৫ মিনিট

ভাড়া ৪৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা

আরো পড়ুনঃপুরান ঢাকার লালকুঠি  ফিরে পাচ্ছে পুরনো জৌলুস 

ঢাকা থেকে যশোর পৌছাতে কত সময় লাগে

ঢাকা থেকে যশোর পৌছাতে মোটামুটি ভাবে সময় লাগে বাসে ৬ ঘন্টা থেকে সাত ঘন্টা যদি রাস্তা ভালো হয় তাহলে আর যদি রাস্তায় জ্যাম থাকে সেক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে এছাড়া ওর টেনে প্রায় সাত থেকে আট ঘন্টা সময় লাগে

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী কোথায় থাকবেন

মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি গিয়ে থাকার জায়গা পর্যটনদের জন্য কর্পোরেশন মোটেল চালু আছে শ্রেণী ভেদে মোটেলের রুম ভাড়া বিভিন্ন রকমের ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে যশোরে রাত্রি যাপনের জন্য বেশ কিছু রেস্ট হাউজ রয়েছে আবার আবাসিক হোটেলে রয়েছে এদের মধ্যে অন্যতম হলো হোটেল সিটি প্লাজা ইন্টারন্যাশনাল এছাড়াও হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনাল hotel sames international জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেল আরএস ইন্টারন্যাশনাল গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য

এছাড়াও কেশবপুরের হোটেল শান্তি নিবাস সাগরদাড়ি থেকে প্রায় আট দশ মিনিট দূরত্বের রাস্তা কেশবপুর বাজারে অবস্থিত ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা ভাড়া প্রতি রাত

এছাড়াও মাইকেল মধুসূদন দত্তের জাদুঘরে অতিথিশালা রয়েছে এই ঘরগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাবারের ব্যবস্থাও ভালো তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা কেশবপুর উপজেলা অফিস থেকে বুকিং নিতে হবে

খাওয়া দাওয়া

বিখ্যাত জামতলীর মিষ্টি খেতে ভুলবেন না খেজুরের গুড়ের প্যারা সন্দেশ ও ভেজা পিঠা এখানকার অন্যতম বিখ্যাত খাবার এছাড়াও সুযোগ পেলে ধর্মতলায় মালাই চা খাবেন চুকনগরের বিখ্যাত চুই ঝাল খাবারের স্বাদও নিবেন তাছাড়াও দেশীয় খাবার ভাত ডাল ভাত আর বিশেষ করে কপতাক্ষের তাজা পুটি মাছের ঝোল আর কেশবপুরের কিছু ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে খেতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন তারপরও যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন উনারাই সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করা হবে আর অবশ্যই এই আর্টিকেলটি প্রিয়জনদের নিকট বেশি বেশি শেয়ার করবেন যাতে করে তারা কিছু অবসর সময় এ মহাকবির জন্মভিটা ঘুরে আসতে পারেন।

মধু কবির জন্মভিটা মধু পল্লী ভ্রমণ গাইড যাবতীয় বিষয়াদি কোথায় থাকবেন কি খাবেন কিভাবে যাবেন সম্পূর্ণ তথ্যই এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে তাই এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন এখন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে শেষ করছি আপনাদের যাত্রা শুভ হোক।