রাজবাড়ি জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতি এবং যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

পুরান ঢাকার লালকুঠি  ফিরে পাচ্ছে পুরনো জৌলুস সম্পর্কে জানুন আপনি কি রাজবাড়ি জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকে আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে চলুন  এই জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা  সম্পর্কে বিস্তারিত  নিচে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের মধ্য অঞ্চল ঢাকা বিভাগের অন্যতম জেলা হল রাজবাড়ির এ জেলার পদ্মা নদীর ঐতিহাসিক নির্দেশনা মধ্যে অন্যতম হলো পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এবং বিভাগের ক্ষুদ্রতম জেলা।

পেজ সূচিপত্রঃরাজবাড়ি জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• রাজবাড়ি জেলা
• রাজবাড়ী জেলার ভৌগলিক অবস্থান
• রাজবাড়ী জেলার  ইতিহাস
• রাজবাড়ী জেলা নামকরণ
• রাজবাড়ি জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা 
• ঢাকা থেকে রাজবাড়ী জেলা যেতে কত সময় লাগে
• রাজবাড়ী জেলা থেকে ঢাকা দূরত্ব কত কিলোমিটার
• ঢাকা থেকে রাজবাড়ী জেলার ভাড়া কত
• আমাদের শেষ কথা

রাজবাড়ি জেলা

রাজবাড়ী জেলা ঢাকা বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ছোট জেলা যা পহেলা মার্চ ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ মহকুমা থেকে আলাদা হয়ে জেলা গঠন করে রাজবাড়ী জেলা পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এ জেলা চমচম দই ও রেলের শহর হিসেবে পরিচিত পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের কারণে গোয়ালন্দর রেল দপ্তর গুলো রাজবাড়ি জেলায় রূপান্তরিত করা হয় এই ঐতিহ্যের অনুসরণে রাজকীয় ইঙ্গিত দেয় প্রাকৃতিক দিক দিয়ে যে মেইল বন্ধন সৃষ্টি হয় শুধু রাজার বাড়ি নয় বরং পদ্মা ও গড়াই শান্ত অনু স্নিগ্ধ জনপদ হওয়ার কারণে বাংলার কৃষি ও সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রস্থল হাওয়ায় এ জেলাকে অনেকে ভালোবেসে পদ্মাকন্যা ডেকে থাকেন।

রাজবাড়ী জেলার ভৌগলিক অবস্থান

রাজবাড়ী জেলার ভৌগলিক অবস্থান বর্তমানে প্রাচীন জেলে তাঁতি কামার কুমার এবং কৃষক  বিভিন্ন পেশায় তাদের জীবনযাত্রা পরিচালনা করে আসছে গোয়ালন্দ ঘাটের ফেরি এবং রেলের কারণে রাজবাড়ী জেলা  পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে এই জেলার গুরুত্ব বেশি ।

আয়তনঃ রাজবাড়ী জেলার আয়ত.১০৯২.২৮ বর্গ কিলোমিটার ।

রাজবাড়ী জেলার  ইতিহাস 

অবস্থান ১৯৮৪ সালে পহেলা মার্চ ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ী জেলা বিভক্ত হওয়ার পরে এর পূর্ব দিকে অবস্থান করে মানিকগঞ্জ পশ্চিমে কুষ্টিয়া উত্তরে পাবনা দক্ষিণে ফরিদপুর ও মাগুরা জেলা।

 ১৭৬৫ সালে ইংরেজ বাংলা দেওয়ানী লাভের পরে উত্তর পশ্চিম ফরিদপুর বর্তমান রাজবাড়ী জেলার অঞ্চল রাজশাহী জমিদারি অন্তর্ভুক্ত ছিল নাটোর রাজার রাজবাড়ী জমিদার চিহ্ন এবং রাজবাড়ী জেলার বেলগাছি স্নানমঞ্চ দোলমঞ্চ পরে এ জেলা যশোরের  অংশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এরপর ফরিদপুর জেলা থেকে রাজবাড়ী অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।

আরো পড়ুনঃকরটিয়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে  জানুন

১৮১১ সালে ১৯৮৩ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে থানার মান উন্নয়নের জন্য রাজবাড়ীকে উন্নত থানায় হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় ১৯৮৩ সালের জুলাইয়ের ১৮ তারিখে সরকার অধ্যাদেশ জারি করার পরে উন্নত থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করে এরপরে রাজবাড়ী উপজেলা নামকরণ করা হয় গোয়ালন্দ রাজবাড়ী অধিদপ্তরে থাকার কারণে .১৯৮৪ সালে রাজবাড়ী জেলায় রূপ নেয়।

রাজবাড়ী জেলা নামকরণ

রাজবাড়ী জেলা কোন এক রাজার নাম অনুসারে  নামকরণ করা হয় তবে কোন সন্দেহ পোষণ নেই যে কোন এক রাজার নামে রাজবাড়ী নাম দেওয়া হয় রাজা নাওয়ারা চৌধুরী গণের বাড়ি দেশীয় জনগণের নিকট রাজবাড়ী নামে অভিহিত করা হয়। কারো কারো মতে রাজা সূর্য কুমারের নাম অনুযায়ী রাজবাড়ী নাম করণ করা হয় রাজার বাসভবনের স্মৃতি থেকে এ এলাকার নামকরণ করা হয় রাজবাড়ী। এটা দেশের ৩৯ তম ছোট্ট জেলা হিসেবে খ্যাত ।

রাজবাড়ি জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা 

রাজবাড়ী জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো

সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেন

 রাজবাড়ী জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনের মধ্যে অন্যতম উপজেলা হলো কুমারখালী  যার স্থাপনা হচ্ছে বিখ্যাত সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেনের স্মৃতি স্থাপক মীর মোশারফ হোসেনের জন্মস্থান কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার লাহানি পাড়া গ্রামে নিজ গ্রাম লেখকের ব্যবহৃত পণ্ডিলিপি জিনিসপত্র বই ও ছবিসহ সবকিছুই সংরক্ষিত রয়েছে।

যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে ঘাটলাইনে বাস ও ট্রেন চলাচল করে কুষ্টিয়ায় এখান থেকে সরাসরি কুমারখালীর উদ্দেশ্যে লোকাল বাস বা রিস্কাতে করে চলে যেতে পারবেন কুমারখালীতে এখান থেকে লাহনীপাড়া গ্রাম যেতে পারবেন ।

শরীফ শাহ পালোয়ানের মাজার

রাজবাড়ী জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হলো শরীফ শাহ পালোয়ানের মাজার যা মুঘল সাম্রাজ্যে সম্রাট জাহাঙ্গীর রাজত্ব চলাকালে পালোয়ান হিসেবে জায়গা দিয়েছিলেন ১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে সৈয়দ শরীফ শাহ পালোয়ান ইরাকি মুসলিম পরিবার থেকে এখানে আসেন এবং পদ মদী গ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এখানেই শরীফ শাহ পালোয়ানের সমাধীকরণ করা হয়।

যাওয়ার উপায় 

রাজবাড়ী শরীফ পালোয়ানের মাজার যাওয়ার জন্য বাস মাইক্র গাড়িতে চলে যেতে পারবেন যত রাস্তা অনেক ভালো 

সহজে পৌঁছে যেতে পারবেন সেকড়াপাড়া গ্রামে ইসলামপুর ইউনিয়নে স্থানীয় পরিবহন চালক বা অটো রিস্কা যে কাউকে বললে আপনাকে পৌঁছে দিবে 

নালিয়া জোড়া বাংলা মন্দির

বালিয়াকান্দির নালিয়া একটি গ্রাম এই গ্রামে পাশাপাশি দুইটি জোড় বাংলা মন্দির রয়েছে ১৬৫৫ সালে উড়িষ্যার রাজা সীতারাম রায় মন্দির দুইটি প্রতিষ্ঠিত করে বর্তমানে এই মন্দিরের চূড়া অবশিষ্ট রয়েছে যা প্রত্ত্বতান্ত্রিক নিদর্শনের দিক থেকে অন্যতম আর এই মন্দির দুটিকে জোড় বাংলা মন্দির নামে । পরিচিত লাভ করে।

যাওয়ার উপায়

ঢাকা গাবতলী বা সায়দাবাদ থেকে গোয়ালন্দ এক্সপ্রেস দোলা পরিবহন ঈগল পরিবহন ইত্যাদি ট্রেন এবং বাস চলাচল করে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগবে রাজবাড়ী পৌঁছাতে রাজবাড়ী সদর থেকে অটো রিস্কা বাস সিএনজি করে পাংশা যেতে হবে সেখানে অবস্থিত বাংলা জোর মন্দির।

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির কল্যাণ দিঘী

রাজবাড়ী জেলার বৃহত্তম ও প্রাচীনতম  এই কল্যাণ দিঘী ইসলামপুর ইউনিয়নে এই দীঘির অবস্থান এই দিঘী  স্থানীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনের স্থান হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে এ দিঘির বিশালতা ও শান্ত পরিবেশ যা পর্যটকদের মনকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

যাবার উপায়

ঢাকা থেকে রাজবাড়ী সদরে বাসে কিংবা ট্রেনযোগে চলে আসবেন গ্রীন লাইন হানিফ রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ইত্যাদি এ রুটে ট্রেন ও বাস চলাচল করে রাজবাড়ী সদর থেকে স্থানীয় সিএনজি অটো অথবা মোটরসাইকেলে ভাড়া করে কল্যান দিকে যেতে পারেন ।

রাজবাড়ী জেলার সমাধিনগর মঠ

রাজবাড়ী জেলার সমাধিনগর মঠ ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা যা এ জেলার প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে পরিচিত এটি পানসা উপজেলার সমাধিনগর গ্রামে অবস্থিত যা সমাজে নগর পাংশা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে ১৮ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং১৯ শতাব্দীর শুরুর দিকে জমিদাররা নির্মাণ করেন ইট এবং চুনাপাথর ও সুরকি দ্বারা বাংলা স্থাপিতের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায় যা চারপাশে সবুজ গাছপালা দ্বারা আবৃত মঠের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য উপরের অংশ রয়েছে কারুকার্য।  ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে এই জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে।

যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে রাজবাড়ি আসবেন বাসে বা ট্রেনে করে রাজবাড়ী সদরে নেমে অটো রিক্সা কিংবা মোটরসাইকেলে সহজে পৌঁছে যাবেন এই সমাধিনগর মাঠে যাওয়ার উপায় ।

জামাই পাগলের মাজার

রাজবাড়ী জেলার জামাই পাগলের মাজার পাংশা উপজেলার মাছপাড়া গ্রামে অবস্থিত যা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এবং সাংস্কৃতির ছোঁয়া এটি স্থানীয়দের কাছে একটি ধর্মীয় স্থান নয় বরং ভালোবাসা ও ভক্তির স্থান যা ভক্তদের বিশ্বাসের প্রতীক লোকমাকে শোনা যায় যে তিনি ছিলেন দরবেশ প্রকৃতির মানুষ শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণে কাজ করতেন তার অলৌকিক ক্ষমতার কথা মানুষের মনে আজও শ্রদ্ধার বাণী হিসেবে হৃদয় ছুঁয়ে যায়

এই মাজারে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো ভক্তরা মান্নত করতে আসে একটু শান্তির খোঁজে যার  মাজারের নাম দেওয়া হয় মুর্শিদ জামাই পাগল রহমাতুল্লাহ আলাইর মাজার। এছাড়াও এখানে রয়েছে নুর বাকের সা এবং গৌরী পাগলীর পৃথক মাজার শরীফ।

আরো পড়ুনঃবরগুনার নিদ্রা সমুদ্র সৈকত অপূর্ব সৌন্দর্য এবং  যাওয়ার উপায় 

যাওয়ার উপায়

জামাই পাগলের মাজার যেতে হলে ঢাকা থেকে বাসে কিংবা ট্রেনে রাজবাড়ী পৌঁছাতে হবে এখান থেকে অটোরিকশায় পাংশা এসে যে কাউকে জামাই পাগলের মাজার বললে পৌঁছে দেবে ।

রথখোলা সানমঞ্চ

রাজবাড়ী জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই রথখোলা সান মঞ্চ এটা শত শত বছরের স্মৃতি বিজড়িত ও সাংস্কৃতিক রাজবাড়ীর হৃদয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করে প্রতিবছর রথ যাত্রায় বিশেষ পূজা উৎসব পালিত হয় এ জায়গায় গানের নাটকের এবং আবৃত্তির সুর ভোরে ওঠে চারিপাশ এখানকার স্থানীয় শিল্পী গানের সুরে তুলে ধরেন রাজবাড়ীর সাংস্কৃতিক লোগো গান ও নাট্য ঐতিহ্যের চিত্রসমূহ এটি শুধু একটি স্থানই নয় এক মিলন মেলা ও ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে পরিচিত।

যাওয়ার উপায়

রাজবাড়ী জেলার রথখোলা সানমঞ্চ যেতে হলে বেলগাছি যেতে হবে এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান এখানে ঢাকা থেকে রথখোলা সানমঞ্চ বেলগাছি যাওয়ার জন্য গাবতলী থেকে রাজবাড়ী পরিবহন হানিফ এন্টারপ্রাইজ রাবেয়া সাউদিয়া ইত্যাদি বাস চলাচল করে থাকে 

এছাড়াও কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস মধুমতি এক্সপ্রেস বেনাপোল উচ্চ বিদ্যালয়ের এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ী যাওয়া যায় এখান থেকে সিএনজিতে করে অথবা অটো রিক্সায় বেলগাছি পৌঁছে যেতে পারবেন ।

রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবন

রাজবাড়ী জেলার ঐতিহাসিক স্থাপিতের মধ্যে জমিদারী শাসনামলে এই লাল ভবন হল শহরের অন্যতম নিদর্শনাবলীর একটি যা লাল রঙের জন্য বিখ্যাত অর্জন করে এই জেলার শিক্ষার জনের জন্য এই ভবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ও গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনাবলী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ।

যাওয়ার উপায়

রাজবাড়ী জেলার পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত যা শহরের ভিতরে রয়েছে এটি একটি ঐতিহাসিক ভবন ঢাকা গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে গড়ায় এক্সপ্রেস রাজবাড়ী এক্সপ্রেস শাহনামা পরিবহন ইলিশ পরিবহন ইত্যাদি বাসে চলে আসতে পারেন রাজবাড়ী এখান থেকে রিক্সা কিংবা অটোয়ানে সহজে লাল ভবন যেতে পারবেন ।

আরো পড়ুনঃতমা তুঙ্গী পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

গোয়ালন্দ ঘাট রাজবাড়ী

 গোয়ালন্দ ঘাট রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার একটি ছোট্ট শহর ও পৌরসভা যা পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত এখানে পদ্মা যমুনা ও ব্রাহ্মপুত্র নদের সংমিশ্রণ ঘটে যাকে বাংলার প্রবেশদ্বার বলা হয় ব্রিটিশ রেলওয়ে যা ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয় এই উপজেলাটি চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এখানে গোয়ালন্দ ঘাট হিসেবে একটি থানা পরিচালিত আছে ১৮৭১ সালে কুষ্টিয়া থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপিত করা হয় গোয়ালন্দ ঘাটের দুইটি রেল স্টপ রয়েছে রেল যোগাযোগের জন্য রাজশাহী ঈশ্বরদী গোয়ালন্দ ঘাট যার সৌন্দর্যেপর্যটন কাছে খুবই জনপ্রিয় নদীর সৌন্দর্য এবং পরিবেশগত পর্যটকদের আকৃষ্ট করে এছাড়াও প্রদান আকর্ষণ হল জলপথে ফেরে যোগাযোগ।

যাওয়ার উপায়

ঢাকা গাবতলী অথবা কল্যাণপুর বা সায়দাবাদ থেকে রাজবাড়ী দৌলোদিয়া গোয়ালন্দগামী বাস যাতায়াত করে থাকে যেমন গ্রীন লাইন হানিফ গাজী ও রজনীগন্ধা পরিবহন পাওয়া যায়

৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা ভাড়া নেয় নন এসি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়া এসি পরিবহন

রাজবাড়ী থেকে গোয়ালন্দ ঘাট দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার ৩০ থেকে ৪০মিনিট সময় লাগে

নিজস্ব গাড়িতে গেলে ঢাকা মানিকগঞ্জ পাটুরিয়া ফেরিঘাট দৌলোদিয়া গোয়ালন্দ 

অন্যভাবে যেতে চাইলে ঢাকা ফরিদপুর রাজবাড়ী গোয়ালন্দ এটি একটি ঐতিহাসিক নদীবন্দর ।

রাজবাড়ীর বধ্যভূমি

রাজবাড়ী জেলার ১৯৭১ সালে স্মৃতি বিজড়িত একটি স্থান বদ্ধভূমি এটি লোকোসেড যা বিনোদপুর বধ্যভূমি নামে পরিচিত এখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা তাদের দোসরদের ধরে নিয়ে এসে রাজাকার আল বদর ও অন্যান্য যারা ছিল তাদেরকে রাজবাড়ী শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে নিয়ে এসে এই এলাকায় হত্যা করা হতো  পাশে ছিল পুকুর যাদেরকে হত্যা করা হতো তাদেরকে মৃতদেহ পুকুরে ফেলে দেয়া হতো স্থানীয় এক ব্যক্তি  গোলাম নবী বলেন রিকশাচালক বহু বছর ধরে তার নিজ উদ্যোগে স্মৃতিসৌধ বধ্যভূমি চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ করতেন বর্তমানে এর রক্ষণাবেক্ষণ নেই বললেই চলে অবহেলা এবং ক্ষয়ক্ষতি চিহ্ন বিরজমানএই বদ্ধভূমিতে গোলাম নবী তার নিজস্ব খরচে বর্তমানে এই বধ্যভূমি রক্ষণাবেক্ষণ করছেন।

বধ্যভূমি যাওয়ার উপায়

ঢাকা থেকে রাজবাড়ী পর্যন্ত বাসে চলে আসতে পারেন রাজবাড়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে  অটো রিক্সায় সহজেই রাজবাড়ী বদ্ধভূমি চলে যেতে পারবেন

রাজবাড়ী থেকে বদ্ধ ভাবে দূরত্ব দেড় কিলোমিটার রিক্সায় ভাড়া নিবে ২০ থেকে ৩০ টাকা এটি একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান ।

ব্রিটিশ রেল সেতু

রাজবাড়ী জেলার ব্রিটিশ রেল সেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম ১৮৭১ সালে যা প্রতিষ্ঠিত হয় এটি পুরাদা গোয়ালন্দ ঘাট রেলপথের অংশ ছিল বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে  পরিচালনায় আওতাভুক্ত ব্রিটিশ আমলের রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট একটি ঐতিহাসিক রেল সেতু এটি বর্তমানে পদ্মা নদীর উপর নির্মিত বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে সেতুর ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার পরিচায়ক স্থাপিত শৈলী ও নির্মাণ কৌশল

আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইল মধুপুর সৌন্দর্যের আসল রূপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন 

আপনি যদি চান তাহলে এ সেতুর মাধ্যমে একটি নাট্য স্ক্রিপ তৈরি করতে পারেন যার মূলে থাকবে ব্রিটিশ শাসন আমলের রেল যোগাযোগের গুরুত্ব এ ছাড়াও স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও সাংস্কৃতি এই ব্রিটিশদের সেতু তুলে ধরতে পারেন।

ঢাকা থেকে রাজবাড়ী জেলা যেতে কত সময় লাগে

ঢাকা থেকে রাজবাড়ী জেলা যেতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা থেকে তিন ঘন্টা তবে নিজস্ব গাড়ি থাকলে দুই থেকে আড়াই ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন ঢাকা টু রাজবাড়ী সরকারি ও বেসরকারি নিয়মিতভাবে বাস চলাচল করে থাকে জ্যাম থাকলে সময় বেশি লাগে আর জ্যাম না থাকলে সঠিক সময়ে পৌঁছে যান ।

রাজবাড়ী জেলা থেকে ঢাকা দূরত্ব কত কিলোমিটার

রাজবাড়ী জেলা থেকে ঢাকা দূরত্ব প্রায় google ম্যাপ অনুযায়ী ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার

ঢাকা থেকে রাজবাড়ী জেলার ভাড়া কত

ঢাকা থেকে রাজবাড়ী জেলার ভাড়া বিভিন্ন যানবাহনে বিভিন্ন রকম চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক বাসে এসি এবং নন এসি দুই রকমের ভাড়া রয়েছে

 নন এসি বাসে ভাড়া ৪০০ টাকা এসি বাসে ভাড়া ৫৫০ টাকা

 নন এসি বাসে ভাড়া

রাজবাড়ি নন এসি বাসে ভাড়া ৪০০ টাকা

রাবিয়া পরিহবন নন এসি বাসে ভাড়া ৪০০ টাকা

জামাল  পরিবহননন এসি বাসে ভাড়া ৩৯০ টাকা

যোগাযোগ করুন

কাউন্টার নাম্বার ০১৭১৭১৯০৯৯২,০১৭০৫০৩১৯১৭,০১৭০৫০৩১৯১৮

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলটি রাজবাড়ী জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সাংস্কৃতিক এবং যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন এরপরও যদি কোন রকমের প্রবলেম হয় তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন অবশ্যই সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের উপকৃত করা হবে ।

প্রিয় বন্ধুগণ আজকে আর্টিকেলটি যদি আপনাদের পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুবান্ধবদের নিকট এই আর্টিকেলটি বেশি করে শেয়ার করে দিবেন এবং ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন এতক্ষণ আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।