করটিয়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

SOHEL🌄

আমরা আজকের আর্টিকেলে করটিয়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল তথ্য সম্পর্কে জানব।এজন্য যে এই নিদর্শনটি পুরনো স্থাপনার মধ্যে অন্যতম। চলুন বিস্তারিত নিচে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষী টাঙ্গাইল জেলায় যে কয়টি জমিদার বাড়ি আছে।সবগুলোকে পিছনে রেখে করটিয়া জমিদার বাড়ি ইতিহাস ও ঐতিহ্য প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে ।

পেজ সূচিপত্রঃকরটিয়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পড়ুন।

করটিয়া জমিদার বাড়ি
করটিয়া জমিদার বাড়ি যা যা দেখবেন
করটিয়া জমিদার বাড়ি যাবার উপায়
করটিয়া জমিদার বাড়ি যেতে ভাড়া কত
টাঙ্গাইলে থাকার ব্যবস্থা
টাঙ্গাইলে খাবারের ব্যবস্থা
ভ্রমণ সতর্কতা
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
আমাদের শেষ কথা

করটিয়া জমিদার বাড়ি

করটিয়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইলের ইতিহাসের সাক্ষী, যে কয়টি কালের স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো করটিয়া জমিদার বাড়ি। যা শত শত বছরের বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছে ।টাঙ্গাইলের শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে পুঠিয়ার নদীর তীরে করটিয়া নামক এলাকায় এই জমিদার বাড়ি অবস্থিত। যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ রায় । করটিয়া জমিদার বাড়ি বংশ ক্রম অনুসারে পরিচালনা হয়ে আসছিল।এখানে বিখ্যাত শাদাত কলেজ যা ১৯৯২ সালে শাদাত আলী চৌধুরী নাম অনুসারে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর হাতিয়াচাঁদ নামক খ্যাত জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর নিরিবিলি পরিবেশ এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যে মন্ডিত এই জমিদার বাড়িটির মালিক হন।তারও অনেক আগে এক সময় কার বড়লাটের করটিয়া জমিদার বাড়ি আবাসস্থল ছিল।

অবস্থানঃকরটিয়া জমিদার বাড়ি এক কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ০.৫ কিলোমিটার প্রস্থ বিশাল প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত আছে।

আরো পড়ুনঃবরগুনার নিদ্রা সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব সৌন্দর্য এবং যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

করটিয়া জমিদার বাড়ি যা যা দেখবেন

করটিয়া জমিদার বাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরা।এই বাড়ির প্রধান আকর্ষণ হল লোহার ঘর, রানীর পুকুর ঘাট,রোকেয়া মহল,ছোট তরফ দাউদ মহল,খিলান আকৃতির দরজা সূক্ষ্ম নকশার কারুকার্য,দালানে ও জানালায়।বাড়ির সামনে রয়েছে বহু পুরানো আমের বাগান সব মিলিয়ে বাড়ির সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ।এই মুঘল সাম্রাজ্যের স্থাপনা নির্মিত মসজিদ,এই মসজিদে মোট আটটি গম্বুজ রয়েছে । করটিয়া জমিদার বাড়ি ১৫টি উচু মিনার দ্বারা সাজানো যাকে স্থানীয়রা রাজবাড়ী নামেও ডেকে থাকে। ইতিহাসের এক কালের সাক্ষী নিদর্শন হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে টাঙ্গাইল করটিয়ার রাজবাড়ী ।

করটিয়া জমিদার বাড়ি যাবার উপায়

ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার টঙ্গী হয়ে যদি যান।সে ক্ষেত্রে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লাগবে।ঢাকা মহাখালী থেকে বাস টার্মিনালে জটিকা,ধলেশ্বরী,নিরালা,ওবিনিময়,নিয়মিত টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায় ।

আরো পড়ুনঃপুঠিয়ার রাজবাড়ী যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

এছাড়াও আপনি ট্রেনে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ গামী যে ট্রেনগুলো টাঙ্গাইল রেল স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে। আপনার পছন্দমত ট্রেনে এসে টাঙ্গাইলে স্টেশনে নেমে যেতে পারবেন।

করটিয়া জমিদার বাড়ি যেতে ভাড়া কত

ঢাকা থেকে টাংগাইল বাসে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লাগবে । টাঙ্গাইল থেকে রিস্কা বা অটো রিক্সায় গেলে কয়টিয়া পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ টাকা লাগবে ।

মোট ভাড়ার খরচ হবে ২৩৫ টাকা

টাঙ্গাইলে থাকার ব্যবস্থা

টাংগাইল শহরে পল্লী বিদ্যুতের এলজিইডি সরকারি গেস্ট হাউস আছে। এখানে যোগাযোগ করে থাকতে পারেন । এছাড়াও শহরে আশেপাশে অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে। সে গুলোতে থাকতে পারেন, হোটেল সুগন্ধা,হোটেল নিরালা,আল ফায়সাল,হোটেল ড্রিম টাচ, এছাড়াও ইসলামিয়া গেস্ট হাউস,হোটেল আদিত্য ইত্যাদি ।

আরো পড়ুনঃপাগলা মসজিদের ওয়েবসাইট উদ্বোধন এখন ঘরে বসে দান করুন

টাঙ্গাইলে খাবারের ব্যবস্থা

টাঙ্গাইল শহরে খাবারের জন্য কোন চিন্তা নেই,এখানে নানান রকমের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। নিরালা মোড় খাবারের জন্য জনপ্রিয়।এছাড়াও টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি চমচম খেতে অবশ্যই ভুলবেন না যেন।

ভ্রমণ সতর্কতা

করটিয়া জমিদার বাড়ি বর্তমানে মূল ফটোগুলোতে তালাবদ্ধ থাকে।এজন্য ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।তাই ভ্রমণের আগের দিন নিশ্চিত হয়ে যাবেন।তবে স্থানীয়দের মতে বৈশাখ মাসের ১ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত খোলা থাকে। আরো খোলা থাকে দুইদের ছুটির দিন।

আরো পড়ুনঃলালবাগ কেল্লা ঐতিহাসিক নিদর্শন ঢাকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

টাঙ্গাইলের আশেপাশে যে সমস্ত দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে চলুন সে স্থানগুলো নিচে জেনে নেওয়া যাক

আতিয়া মসজিদ
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
টাঙ্গাইলের মিউনিসিপাল গার্ডেন
নগরপুর ঝিল
এলেন বা রিসোর্ট
মধুপুর জাতীয় উদ্যান
শাদাত কলেজ ক্যাম্পাস
পুরনো মন্দির
জমিদারদের পুকুর ঘাট এ জায়গাটি দেখার মত।

আমাদের শেষ কথা

কাটিয়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা সুন্দরভাবে সঠিক তথ্য তুলে ধরেছি।আশা করছি বুঝতে পেরেছেন,এরপরও যদি কোন রকমের সমস্যা হয়,তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।পুনরায় আমরা সঠিক সমাধান দিয়ে আপনাদের উপকৃত করব। অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের নিকট আজকের আর্টিকেল টি শেয়ার করে দিবেন ।

আপনি যদি এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পেতে চান,তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটকে ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন।এই ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়ে থাকে।তাই আর্টিকেলটিকে ফলো দিয়ে পাশে থাকুন এবং বেশি বেশি শেয়ার করুন।যাতে করে আপনার বন্ধুবান্ধব ভ্রমণের জন্য সঠিক জায়গা নির্ধারণ করতে পারে এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভ্রমণ গাইড