লালবাগ কেল্লা ঐতিহাসিক নিদর্শন ঢাকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

SOHEL🌄

লালবাগ কেল্লা ঐতিহাসিক নিদর্শন ঢাকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানব কেননা লালবাগ কেল্লা মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের এক অমর নিদর্শন চলুন দেরি না করে মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নেওয়া যাক

লালবাগ কেল্লার ঐতিহাসিক নিদর্শন ঢাকা ভ্রমণের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আপনার ট্যুর শান্তিময় করতে প্রতিটি পদক্ষেপ জানা প্রয়োজন যেটা এখন আমি আপনাকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করব ।

পেজ সূচিপত্রঃ লালবাগ কেল্লা ঐতিহাসিক নিদর্শন ঢাকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পড়ুন

লালবাগ কেল্লা
লালবাগ কেল্লায় যা যা দেখবেন
লালবাগ কেল্লা যাওয়ার উপায়
টিকিটের মূল্য
লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের সময়সূচী
লালবাগ কেল্লায় কোথায় খাবেন
পাশাপাশি আকর্ষণীয় ট্যুর টিপস
আমাদের শেষ কথা

লালবাগ কেল্লা

লালবাগ কেল্লা ঐতিহাসিক নিদর্শন রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে পুরান ঢাকা লালবাগ নামক এলাকায় অবস্থিত ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে যুবরাজ শাহজাদা আজম এ দুর্গের কাজ শুরু করেন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর নির্মাণ কাজ পরিকল্পনা তৈরি করেন প্রথমদিকে এই লালবাগ কেল্লার নাম দেয়া হয়েছিল আওরঙ্গবাদ কেল্লা পরবর্তীতে সুবেদা শায়েস্তা খানের কন্যা ইরান দুখত পরিবিবির মৃত্যুবরণের পরে এ কাজ বন্ধ হয়ে যায় ১৮৪৪ সালে এই স্থানের নাম পরিবর্তন করে লালবাগ রাখা হয় এলাকার নামের পরিবর্তনের সাথে সাথে কেল্লাটির নাম ও পরিবর্তন হয় নাম দেয়া হয় "লালবাগ কেল্লা"

আরো পড়ুনঃহামহাম জলপ্রপাত এক প্রকৃতিক বিস্ময় মৌলভীবাজার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

লালবাগ কেল্লা যা যা দেখবেন

লালবাগ কেল্লায় আকর্ষণীয় এবং দর্শনীয় কিছু জিনিস আছে তা হল সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলের বাসভবন ও দরবার যা দর্শনার্থীদের কাছে "লালবাগ কেল্লা জাদুর" হিসেবে উন্মুক্ত করা হয় লালবাগ কেল্লায় তিনটি ফটোক আছে তার মধ্যে বর্তমানে দুটি বন্ধ করা আছে ভিতরে প্রবেশ করলে আনন্দে প্রফুল্লতা অনুভব করবেন একটু সামনে শায়েস্তা খানের প্রিয় কন্যা পরিবিবির সমাধি যা মার্বেল পাথর কষ্টিপাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দেওয়াল আছে বিভিন্ন রঙের ফুল পাতা ও চাকচিক্য ময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ অলংকৃত ৯ টি কক্ষ এ কক্ষু গুলোর ছাদ মার্বেল পাথরের পদ্ধতিতে কষ্টিপাথরের তৈরি কৃত্তিম গম্বুজ তামার বাদ দিয়ে আচ্ছাদিত করা আছে

উল্লেখ রয়েছে যে সমাধি বিশ পয়েন্ট দুই মিটার বর্গাকৃতি এছাড়াও এখানে না জানা আরো দুইটি সমাধি রয়েছে লালবাগ কেল্লার ভিতরে কয়েকটি পনির ফোয়ারা রয়েছে এবং উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলা ও সুরঙ্গ পথ আছে কেল্লা দক্ষিণ পাশে ও পশ্চিম পাশে পাঁচিলের নির্দিষ্ট দূরত্বের পর একটি করে ফলকাটা তপমঞ্চ তৈরি করা আছে কেল্লাই একটি মাত্র পুকুর আছে চারদিকে ঘাট বাধানো সিঁড়ি পুকুরটি বর্গাকৃতি যা আপনার মনকে আকর্ষণীয় করবে এছাড়াও কয়েকটি সুরঙ্গ পথ দেখতে পাবেন যেগুলোতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ।

লালবাগ কেল্লায় আছে মসজিদ সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা আযম বাংলার থাকা অবস্থায় ১৬৭৮ থেকে ১৬৭৯ সাল পর্যন্ত এই মসজিদ নির্মাণ করেন তিনটি গম্বুজ দ্বারা তৈরি এই মসজিদ মুঘল মসজিদের একটি আদর্শ উদাহরণ হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে বর্তমানে মসজিদটি নামাজের জন্য ব্যবহৃত

তাছাড়া বাসভবনের পাশে একটি কামান আছে সে সময় যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা হতো

লালবাগ কেল্লা যাওয়ার উপায়

লালবাগ কেল্লা ঢাকা গুলিস্তান গোলাপ শাহ এর মাজার থেকে টেম্পুযুগে মাত্র ৬ টাকায় পৌঁছে যাবেন লালবাগ কেল্লায় এছাড়াও দিনরাত এ কেল্লার মোড় দিয়ে দুই ধরনের টেম্পু চলাচল করে গুলিস্থান অথবা নিউ মার্কেট থেকে সরাসরি লালবাগ কেল্লায় যাওয়া যায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া নিবে শাহবাগ থেকে মাত্র ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে পৌঁছে যাবেন লালবাগ কেল্লা এছাড়াও গুলিস্তান থেকে পায়ে হেঁটে মাত্র পাঁচ মিনিটে পৌছে যাবেন

আরো পড়ুনঃক্যামেলিয়া লেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে প্রতিচ্ছবি এবং মৌলভীবাজার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ঢাকা গুলিস্তান এসে গোলাপ শাহ মাজার আসতে হবে এখান থেকে রিস্কা করে অথবা লেনগুলোতে হেঁটে কেল্লায় চলে আসতে পারবেন

ঢাকায় যে কোন প্রান্ত থেকে এসে গুলিস্তান নীলক্ষেত নিউ মার্কেট শাহবাগ টিএসসি আজিমপুর এসে চলে আসতে পারবেন লালবাগ কেল্লায়

টিকিটের মূল্য

লালবাগ কেল্লা প্রবেশের দুই পাশে কাউন্টার রয়েছে পাঁচ বছর বয়সের জন্য কোন টিকিট লাগেনা এ ছাড়া সবার জন্যই টিকিট প্রযোজ্য

দেশীয় দর্শনার্থীদের জন্য দশ টাকা জন প্রতি

বিদেশী দর্শনার্থীদের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা

এ ছাড়া লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের জন্য গাইড পাওয়া যায় যার মূল্য ৩১ টাকা পূর্বে বিদেশিদের জন্য ইংরেজি সংকলনে লালবাগ কেল্লায় গাইড পাওয়া যেত বর্তমানে সেটা আর পাওয়া যায় না

লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের সময়সূচী

লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনের জন্য সময়সূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ চলুন দেরি না করে নিচে জেনে নেয়া যাক

রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সোমবার অর্থ দিবস বন্ধ এছাড়া সকল সরকারি ছুটির দিনে লালবাগ কেল্লা বন্ধ ঘোষণা করা আছে দৃশ্য গরম শীতকালে লালবাগ কেল্লার সময়সূচী পরিবর্তন করা হয়

এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস গ্রীষ্মকাল

রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে

সোমবার দুপুর ২ঃ৩০ মিনিট থেকে পর্যন্ত খোলা থাকে

শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে জুম্মার নামাজের জন্য ১২ঃ৩০ থেকে ২ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে

অন্যান্য দিন সকাল দশটা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে তবে দুপুরে একটা থেকে একটা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকে

অক্টোবর থেকে মার্চ মাস শীতকাল

রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি

সোমবার দুপুর ২ঃ৩০ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে

শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে জুম্মার নামাজের জন্য দুপুর ১২ঃ৩০ থেকে ২ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে

অন্যান্য দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে যোহরের নামাজের জন্য দুপুরে একটা থেকে একটা ত্রিশ পর্যন্ত বন্ধ থাকে

লালবাগ কেল্লায় কোথায় খাবেন

লালবাগ কেল্লার ভিতরে খাবার ব্যবস্থা নেই এজন্য কেল্লার সামনে বেশ কিছু ভালো মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখান থেকে খেয়ে নিতে পারেন শুকনো খাবার সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন

আরো পড়ুনঃসুন্দরবন ভ্রমণের উপায় ও সকল তথ্যের খরচ সম্পর্কে জানুন

পাশাপাশি আকর্ষণীয় ট্যুর টিপস

লালবাগ কেল্লা ঘুরার জন্য অন্তত দুই ঘন্টা সময় লাগবে দুর্গ ঘরে দেখার পাশাপাশি আপনি চাইলে আরো অনেক কিছু দেখে আসতে পারবেন চ চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক

আহসান মঞ্জিল
তারা মসজিদ
আর্মেনিয়ান চার্চ
হোসেনের দালান
সদরঘাট
সেয়ারীঘাট
ঢাকা ইউনিভার্সিটি
ঢাকা জাতীয় জাদুঘর

আরো পড়ুনঃসীতাকুণ্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আমাদের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে লালবাগ কেল্লার ঐতিহাসিক নিদর্শন ঢাকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম বিশেষ করে কিভাবে যাবেন কোথায় থাকবেন কি কি ঐতিহাসিক নিদর্শন আছে এই সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন আপনি যদি নিয়মিতভাবে আমাদের কন্টেন্ট গুলো ফলো করেন তাহলে এরকম আরো অনেক সুন্দর সুন্দর উপভোগ করতে পারবেন

আপনি যদি এরকম নিয়মিত আর্টিকেল পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন এখানে নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় পাশাপাশি অন্য কোন কিছু জানার জন্য যদি প্রয়োজন হয় তবে কমেন্ট বক্সে জানান এবংআর্টিকেলগুলো বেশি বেশি করে শেয়ার করে দিন যেন আপনার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব অবসর সময় এসব জায়গাগুলো থেকে ভ্রমণ করতে পারে এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভ্রমণ গাইড