টাঙ্গাইল মধুপুর সৌন্দর্যের আসল রূপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

হামহাম জলপ্রপাত এক প্রকৃতিক বিস্ময় মৌলভীবাজার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন টাঙ্গাইল মধুপুর  সৌন্দর্যের আসল রূপ প্রায় অধিকাংশ মানুষ ভ্রমন করতে চান কিন্তু সঠিক আপডেট তথ্য জানেন না যদি মধুপুর টাংগাইল যাওয়ার জন্য এই আর্টিকেলে এসে থাকেন তবে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন

টাংগাইল মধুপুর কে সৌন্দর্যের আসল রূপ  বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলীয় বনভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এ বনভূমি গাজীপুর টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলা নিয়ে বিস্তৃত আমরা আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মধুপুর টাঙ্গাইল সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জানবো।

পেজ সূচিপত্রঃ মধুপুর সৌন্দর্যের আসল রূপ টাঙ্গাইল যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• টাঙ্গাইল মধুপুর সৌন্দর্যের আসল রূপ 
• মধুপুর টাংগাইল যাওয়ার উপায়
• মধুপুর টাঙ্গাইলে কোথায় থাকবেন
• মধুপুর টাঙ্গাইলে কোথায় খাবেন
• টাঙ্গাইল মধুপুরের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
• আমাদের শেষ কথা

টাঙ্গাইল মধুপুর সৌন্দর্যের আসল রূপ 

টাঙ্গাইলে মধুপুর সৌন্দর্যের আসল রূপ  রয়েছে প্রাচীনতম শালবন বাংলাদেশের প্রকৃতির সৌন্দর্যের তৃতীয়তম স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এই টাঙ্গাইলের মধুপুর তিন জেলায় নিয়ে বিস্তৃত এই মধুপুর সালবন মোমেন শাহীতে রয়েছে মধুপুর গড় বা শালবন। এ শাল গাছের মোলা বা শিকড় থেকে গজানো বৃক্ষ কে গজারি  গাছ বলা হয়

জীব বৈচিত্রের ভরপুর এই টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় এ বনের প্রধান গাছ হল গজারি গাছ। ধারণা করা হয় যে কয়েকশো বছরের পুরনো এই বনটি বিভাগীয়ভাবে অধীনস্থ স্বীকৃতি পায় ১৯৬২ সালে ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী আইন আওতাভুক্ত হয় এবং১৯৮২ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।এর আয়তন ৮৪৩৬৬ অক্টোবর মধুপুর টাঙ্গাইল এর দক্ষিণ পাশে বয়ে গেছে বংশী নদী এই বনভূমির আশেপাশে মোট ১৮৭টি উপজাতীয় গ্রাম আছে মধুপুর টাঙ্গাইল বনভূমিতে ১১ প্রজাতির স্তন্যপায় ও ৩৮ প্রজাতির পশু পাখি আছে এছাড়ও লাল মুখ বানর মোরগ বন্য শুকুর কাঠ ময়ূর মাছরাঙ্গা কিংফিশার এ বনের প্রধান আকর্ষণ

আরো পড়ুনঃক্যামেলিয়া লেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে প্রতিচ্ছবি এবং মৌলভীবাজার যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

মধুপুর টাংগাইল বনভূমির উল্লেখযোগ্য শাল গাছ বহেড়া আমলকি হলুদ আমড়া জিগা অশ্ব বট সর্পগন্ধা শতমুলি যাইনা বিধা হাড় জোড়া বেহুলা হরতকি ইত্যাদি নানা ধরনের লতা গুলম গাছ আছে সুস্বাদু ও সুমিষ্ট এবং ঘ্রাণের সেরা ফলের মধ্যে অন্যতম হলো আনারস এই আনারস  এ অঞ্চলের আয়ের অন্যতম একটি উৎস।

দোখলা পিকনিক স্পট

 টাঙ্গাইলে মধুপুর সৌন্দর্যের আসল রূপ আছে দোকলা পিকনিক স্পট যা প্রকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে অন্যতম দৃষ্টান্ত এই পিকনিক স্পটে আছে উঁচু নিচু পাহাড়ে রাস্তা ও ঘন অরণ্য দর্শনার্থীদের মুহূর্তে আকর্ষিত করবে সবচাইতে বড় আকর্ষণ হলো ওয়াচ টাওয়ার বনের সৌন্দর্যকে বিমোহিত করতে ব্যবহার করা হয় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ হল রক্ত চন্দন গাছ এই বনে রয়েছে বানর ও হনুমানের আনাগোনা ও পাখির কিচিরমিচির যাদুকরি এক পরিবেশ ।

লাহোরিয়া হরিণ প্রজনন কেন্দ্র

টাঙ্গাইলে মধুপুর সৌন্দর্যের আসল রূপ  এই বনভূমিতে আছে লাহোরিয়া হরিণ প্রজনন কেন্দ্র১৯৬৬ সালে মধুরপুর জাতীয় উদ্যানের প্রথম স্থাপনা করা হয় হরিণ প্রজনন কেন্দ্র এখানে আছে, ঘন  শালবন ও তরুলতা এ যেন এক নিখুঁত শিল্পের কারো কার্য এখান থেকে সামনে দেখা মিলবে চিত্রা হরিণের লাহারিয়া হরিণ কেন্দ্রে কিছুদিন থেকে দেখা যাচ্ছে ময়ূর ও কচ্ছপের।

আরো পড়ুনঃসুন্দরবন ভ্রমণের উপায় ও সকল তথ্যের খরচ সম্পর্কে জানুন 

পীরগাছা রাবার বন

টাঙ্গাইল মধুপুর  সৌন্দর্যের আসল রহস্য মধুপুর চোখ জুড়ানো সারিবদ্ধ রাবার গাছ আপনাকে মনোমুগ্ধ করবে সহস্র গাছের প্রায় তিন হাজার ১০ একর জায়গা জুড়ে রাবার বাগান এখান থেকে আপনি রাবার সংগ্রহে ধাপগুলো সুন্দরভাবে জেনে নিতে পারেন পীরগাছার রাবার বাগান মধুপুর বনের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে আনারসের রাজধানী হিসেবে বাসস্ট্যান্ডে আনারসের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে।

উপজাতীয় সাংস্কৃতিক

মধুপুর টাঙ্গাইলে উপজাতীয়  কিছু সাংস্কৃতি উপলব্ধি করতে পারবেন এখান থেকে একটু সামনের দিকে এগোলে দেখতে পাবেন ঝকঝকে পাহাড়ি ঘরবাড়ি এবং নানান ফুলের বাগান এগুলো কোন পিকনিক স্পট নয় এটি হলো গাড়ো পল্লী এখানে রয়েছে খ্রিস্টানীয় গির্জা আদিবাসীদের কালচার আপনি ইচ্ছা করলে তাদের আদিবাসী ও পোশাক কিনে নিতে পারবেন

এখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার আকাবাকা রাস্তা পার হলেই গ্রামের সুলতানি আমলের সামন্ত রাজা ভগবত দত্তের বিশাল দিঘী দেখতে পাবেন প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো এখান থেকে ১০০ সামনে দেখতে পাবেন জয় তেতুল গ্রামের পাহাড়ি ঝরনা তাছাড়া কয়েক কিলোমিটার সামনে দেখতে পাবেন সাগরদিঘী ও শতাব্দীর প্রাচীন হিজল তলা মন্দির।

আরো পড়ুনঃপ্রকৃতির রূপের রূপবতী নেত্রকোনার জেলার পাঁচগাও পাহাড়ি গ্রাম

মধুপুর টাংগাইল যাওয়ার উপায়

মধুপুর টাংগাইল যাওয়ার উপায় হল ঢাকা থেকে মাত্র ১২৫ কিলোমিটার উত্তরে এই মধুপুর গড় ময়মনসিংহ পার হয়ে এই টাঙ্গাইলের রাস্তা ঢাকা থেকে মধুপুর যাওয়ার সঠিক সড়ক পথ হল ঢাকা মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে শুভেচ্ছা পরিবহনে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন মরপুর উপজেলা সদর এখান থেকে দশ টাকা ভাড়া দিয়ে পৌঁছে যাবেন মধুপুর গড়

মধুপুর টাঙ্গাইলে কোথায় থাকবেন

মধুপুর টাঙ্গাইলে থাকার জন্য নিরাপদ পর্যটন এলাকা আছে এখানে আছে জুই চামেলী জলয় মহুয়া কটেজ সিজনে ৬০০ অফ সিজনে ৩০০ টাকায় থাকতে পারেবনের মধ্যে রাত্রিযাপনের জন্য বন অফিস বুকিং দিতে পারেন এখানে রয়েছে ভিআইপি দোখলা বাংলো

মধুপুর টাঙ্গাইলে কোথায় খাবেন

মধুপুর টাঙ্গাইলে এসব কটেজের পাশে রয়েছে তিনটি ভিআইপি আবাসিক হোটেল এসব হোটেলে পাওয়া যাবে খাবার মধ্যম পর্যায়ে থেকে উচ্চ পর্যায়ের সব রকমের খাবার এখানে পেয়ে যাবেন

আরো পড়ুনঃবাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন 

টাঙ্গাইল মধুপুরের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

টাঙ্গাইলের মধুপুরের  আশেপাশের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে চরণ সেগুলোর নিচে জেনে নেয়া যাক

• মধুপুর জাতীয় উদ্যান
• মধুপুর ধানবাড়ি নবাব প্রাসাদ
• মধুপুর গড়
• ২শ এক গম্বুজ মসজিদ
• নবাব শাহী মসজিদ ধানবাড়ি
• পীরগাছারাবাদ
• জলছত্র বাজার

আমাদের শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক গণ টাঙ্গাইলের মধুপুর সুন্দরের আসল রূপ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আপডেট তথ্য জানলেন এর পাশাপাশি আপনি এ সম্পর্কিত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পেরেছেন আশা করছি আজকে আর্টিকেলটি যাবতীয় বিষয়াদি জানার জন্য আপনার মনের মধ্যে যেই প্রশ্ন ছিল সেই সমস্ত উত্তরগুলো জানতে পেরেছেন।

আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাঙ্গাইল মধুপুর সৌন্দর্যের আসল রূপ জেনেছেন  এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আরো আর্টিকেল ও টিপস পেতে সব সময় আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করার চেষ্টা করবেন এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার যাত্রা শুভ হোক।