বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

সোনারগাঁও জাদুঘর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন  বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আজকে আর্টিকেলটিকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিতে পারেন আমরা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে সাজিয়েছি যেন সহজে বুঝতে পারবেন তাই আর দেরি না করে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির নিদর্শন যা যুগ যুগ ধরে গড়ে ওঠা স্মৃতি বিজড়িত চিহ্ন হিসেবে আগলে রেখেছে এই জাদুঘরের পথচলা শুরু হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যা  বর্তমানে বাংলাদেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নামকরণ ও অবস্থান
• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আয়তন
• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এশিয়ার মধ্যে কততম
• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে মূল আকর্ষণ
• জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শনের সময়সূচী
• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর খোলার নিয়মাবলী
• প্রবেশ মূল্য তালিকা
• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কিভাবে যাবেন
• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এসে কোথায় খাবেন
• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এসে থাকবেন কোথায়
• বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আশেপাশের আকর্ষণীয় স্থানসমূহ
• গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
• আমাদের শেষ কথা

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর গড়ে উঠেছে যুগ যুগ ধরে যা বহুকালের বাঙালি নিদর্শন সহ বাঙালির সাংস্কৃতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এটি 1913 সালে ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে ধীরে ধীরে আস্তে আস্তে পথ চলতে চলতে এখন এটিকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এর মাধ্যমে আমরা বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্যের সাংস্কৃতি সহ যাবতীয় তথ্য জানতে পারি চলুন বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের সকল তথ্য নিচে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নামকরণ ও অবস্থান

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য হল এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে অবস্থিত যা শাহবাগ হিসেবে পরিচিত এর পাশে চারতলা বিশিষ্ট বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এটি ১৯১৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে পরিচিত ছিল বর্তমানে ১৯৮৩ সালে ঢাকা জাদুঘর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর নাম রাখা হয়

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আয়তন

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আয়তন সম্পর্কে বলা হয়েছে এটি ঢাকা শাহবাগ এলাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর আয়তন হলো ২০ হাজার বর্গমিটার বা ২ হেক্টর পাচ একর  চারতলা বিশিষ্ট ৪৬ টি গ্যালারিতে এই ভবনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে এখানে রয়েছে ৮৩ বছরেরও বেশি নিদর্শনাবলী

আরো পড়ুনঃআগুনের পাহাড় সিলেট যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এশিয়ার মধ্যে কততম

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ ও সর্বশ্রেষ্ঠ জাদুগার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এটি গেটে দুইটি দুই পাশে কামানের নিদর্শন রয়েছে যা পর্যটকের মনকে আকৃষ্ট করে তুলবে এখানে প্রতিবছরে হাজারো বিদেশি পর্যটক এসব নিদর্শন দেখতে বেড়াতে আসে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কি কি নিদর্শন আছে এই সম্পর্কে

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে মূল আকর্ষণ

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যে সমস্ত আকর্ষণ গুলো রয়েছে তার মধ্যে মূল আকর্ষণীয় কিছু নিদর্শন রয়েছে যা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ঐতিহ্যের প্রতি পরিচিতি লাভ করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে শিক্ষা সফর হিসেবে হাজারো শিক্ষার্থী এ জাদুঘরে শিক্ষা ভ্রমণ করে থাকে

 মূল নিদর্শন

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মূল নিদর্শন হলো প্রবেশের মূল ভবনের দুই পাশে দরজার সামনে দুইটি সুসজ্জিত কামান রয়েছে আর ভিতরে রয়েছে বিভিন্ন আকর্ষণীয় নভেরা ভাস্কর্য যা আপনাদেরকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে এই ভবনের নিচ তলায় রয়েছে খাবারের দোকান ও শুভেচ্ছা স্মারক বিপদে এবং ব্যাক রাখার বিভিন্ন স্থান এই নিদর্শকের মাধ্যমে জানতে পারবেন কোথায় কি আছে

জাদুঘরের প্রথম তলাতে সাজানো আছে বাংলাদেশের সবকিছু সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যা পুরো বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়েছে এখানে রয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র বাংলাদেশের গাছপালা সুন্দর সুন্দর প্রাণীর ভাস্কর্য এবং উপজাতিদের জীবনধারা আরো রয়েছে খনিজ শিল্প ভাস্কর্য ও বিভিন্ন যুগের নানাবিধ মুদ্রার ভাস্কর্য

ভবনটির দ্বিতীয় তলায় যখন প্রবেশ করবেন দেখতে পাবেন ইতিহাসের ক্রম বিবর্তন বিভিন্ন সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অস্ত্রের বাদ্যযন্ত্রের এবং চিনামাটির হস্তশিল্প ও কুটির শিল্প এবং পান্ডুলিপি সহ বিভিন্ন শিল্পকলার নানবিদ পরিবর্তন যা সাজানো রয়েছে এই দ্বিতীয় তলাতে 

 তৃতীয় তলায় উঠে যাবেন এখানে দেখতে পাবেন বিশ্বের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্ব প্রতিকৃতি ও চিত্রকলা বিভিন্ন মানুষের শিল্প কার্য বিশ্ব সভ্যতার নানান নিদর্শনাবলী যা আপনাকে মনে শান্তি এনে দিবে

জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শনের সময়সূচী

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পরিদর্শনের কিছু সময়সূচি ও নিদর্শনাবলী মেনে চলতে হবে

সপ্তাহে শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এছাড়াও বাকি ছয় দিনে খোলা থাকে তবে বিশেষ কিছুদিন রয়েছে যেগুলো খোলা থাকে  যেমন স্বাধীনতা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি পহেলা বৈশাখ এসব দিনগুলো জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য খোলা ঘোষণা করেছেন

আরো পড়ুনঃনারায়ণগঞ্জ জেলার শীর্ষ আটটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন 

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর খোলার নিয়মাবলী

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর খোলার নিয়মাবলী মধ্যে অন্যতম হলো এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল সকাল ১০:৩০ মিনিট থেকে বিকাল পাঁচটা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে আর শুক্রবার বিকাল ৩ টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে

অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শীতকাল এ সময় সকাল 9 টা 30 মিনিট থেকে বিকাল ৪:৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে শুক্রবার তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে

রমজান মাসে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ থাকে বাদবাকি দিনগুলো সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত খোলা ঘোষণা করা হয়েছে

প্রবেশ মূল্য তালিকা

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সরকার কর্তৃক পরিচালিত কিছু টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে

বয়স                                                     টাকা

৩ থেকে ১২ বছর                                  ২০ টাকা

১২ উপরে সকল বয়সী                         ৪০ টাকা

বিদেশী দর্শন আছে দের জন্য              ৫০০ টাকা

এবং সারভুক্ত দর্শনার্থীদের জন্য           ৩০০ টাকা

এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দিবসে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার রয়েছে এবং বিদেশী পর্যটকদের জন্য গাইডের ব্যবস্থা রয়েছে

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কিভাবে যাবেন

বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে শাহবাগে আসতে হবে বাংলাদেশ শেখ মুজিবর মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত সিএনজি অথবা প্রাইভেট কারে করে চলাচল করে এমন বাসেযোগেও চলে আসতে পারেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এসে কোথায় খাবেন

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এসে কোথায় খাবেন এ বিষয় নিয়ে কোন টেনশন এর কারণ নেই আপনি শাহবাগে এসে যেকোনো ভালো রেস্তোরাঁ উন্নত মানের খাবার পেয়ে যাবেন এছাড়াও আপনার পছন্দ মত খাবার হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে গিয়েও খেয়ে নিতে পারেন

আরো পড়ুনঃনিঝুম দ্বীপ যাওয়ার  উপায় সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এসে থাকবেন কোথায়

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এসে থাকার ব্যবস্থা নিয়ে কোন টেনশন করার প্রয়োজন নেই এখানে উন্নত মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে ইচ্ছে করলে আপনি উন্নত মানের আবাসিক হোটেলে থাকতে পারবেন এছাড়াও নিম্নমানের হোটেল রয়েছে যেগুলোর ভাড়া খুবই কম সেগুলো তো থাকতে পারবেন তবে পছন্দ মতো আপনার আবাসিক হোটেল পেয়ে যাবেন আবাসিক হোটেলে যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই ভাড়া মিটিয়ে নিয়ে উঠতে হবে

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আশেপাশের আকর্ষণীয় স্থানসমূহ

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আশেপাশের দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে অন্যতম কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে যেগুলো আপনার দেখে আসতে পারেন সেগুলো হলো

শাহবাগ উদ্যান 

জাদুঘরের সামনে অবস্থিত এখানে বসে বিশ্রাম নেওয়া যায়

রমনা পার্ক

ঢাকার অন্যতম প্রাচীনতম নিদর্শন সুন্দর সবুজের পার্ক এই রমনা পার্ক হাটা এবং বিশ্রামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় স্থান

সুপ্রিম কোর্ট ভবন

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও শিক্ষামূলক পরিবেশ বান্ধব স্থান হল সুপ্রিম কোর্ট ভবন স্থাপিতের শৈলীর উল্লেখযোগ্য নিদর্শন এটি বাইরে থেকেও দেখা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শিক্ষামূলক পরিবেশ তৈরি কারখানা এখানে রয়েছে কার্জন হল কলা ভবন ওটিএসসি ঘুরে দেখার মত জনপ্রিয় স্থান

শহীদ মিনার 

বাংলাদেশ জাতীয় ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ স্তম্ভ শহীদ মিনার দেখা আসতে পারেন কয়েক মিনিটের রাস্তা 

আহসান মঞ্জিল

পুরনো ঢাকার অন্যতম নিদর্শন হলো আহসান মঞ্জিল অল্প কিছু দূরে এই আহসান মঞ্জিল অবস্থিত

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

ঐতিহাসিক ও মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক সমাবেশের স্থান হলো ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান  এই জায়গাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাবেশের স্থান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর

জাতীয় স সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের খুব কাছাকাছি এটা খুব সহজেই দেখে আসতে পারেন

লালবাগ কেল্লা

পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক মুঘল স্থাপিতের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন গাড়িতে গেলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগবে যা দেখে আসলে আপনার ঐতিহ্যের স্থাপিতের কথা মনে পড়বে

আরো পড়ুনঃদিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে জানুন

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এখানে উল্লেখ করা হলো আপনাদের সুবিধামতো জেনে নিতে পারেন

জাদুঘরের ভিতরে কোনো রকম ছবি তোলার নিয়ম নেই সাথে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করাও নিষেধ

প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল বন্ধ রাখুন

উচ্চস্বরে কথা বলা নিষেধ

বাইরের খাবার বা পানি নিয়ে প্রবেশ করা নিষেধ

জাদুঘরের ভিতরে শোকেসে রাখা নিদর্শনাবলীর হাত লাগানো নিষেধ

বিদেশী পর্যটকদের সাথে ভালো ব্যবহার করা আবশ্যকীয়

আমাদের শেষ কথা

বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন এরপর যাদের বুঝতে সমস্যা হয়েছে তারা আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন পুনরায় সঠিক উত্তর দিয়ে আপনাদের উপকৃত করা হবে

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর যাওয়ার জন্য আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব দের নিকট আজকের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন যাতে করে কর্মব্যস্ততার মধ্যে যে ছুটির দিনগুলো রয়েছে সেই দিনগুলোতে ঘুরে আসতে পারে যাতে করে কিছুটা  সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে আসতে পারে ধন্যবাদ।