দিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে জানুন

  রাজার পাহাড় শেরপুর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন দিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে google youtube এ সার্চ করেও সঠিক তথ্য পাননি তাই আজকের আর্টিকেলটি সঠিক তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে নিচে মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিতে পারেন

রংপুর বিভাগের অন্তর্গত দিনাজপুর অঞ্চলটি আবহমানকাল থেকে ধারণ করে আসছে উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতি হিসেবে দিনাজপুর সদরে অবস্থিত পুনর্ভবা নদী এ জেলার পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পূর্বে রংপুর ও নীলফামারী উত্তরে ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় এবং দক্ষিণে আছে জয়পুরহাট নিচে দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম সহ সঠিক তথ্য জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ দিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম জানতে পড়ুন

• দিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম
• দিনাজপুরের জনপ্রিয় স্থান রামসাগর দীঘি
• দিনাজপুরের জনপ্রিয় স্থান কান্তাজী মন্দির
• দিনাজপুরের সেরা নয়াবাদ মসজিদ
• দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান
• দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান রাজবাড়ী
• দিনাজপুরের সিংড়া জাতীয় উদ্যান
• দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট
• দিনাজপুরের লিচু বাগান 
• দীপশিখা মেটি স্কুল 
• হাজী মোহাম্মদ দানেশ  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 
• আমাদের শেষ কথা 

দিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম

দিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিতে হবে সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে প্রথমে কয়েকটি স্থানের নাম আমরা তুলে ধরছি তার মধ্যে অন্যতম হলো রামসাগর দিঘী কান্তজির মন্দির নয়াবাদ মসজিদ নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান আর রয়েছে দিনাজপুরের রাজবাড়ী ও লিচু বাগান তাই চলুন আর দেরি না করে  সঠিক তথ্যগুলো নিচে জেনে নেওয়া যায়।

দিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম সমূহ

দিনাজপুরের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে নিচে পড়ে নিতে পারেন চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

দিনাজপুরের জনপ্রিয় স্থান রামসাগর দীঘি

দিনাজপুরের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে প্রথম স্থান হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে রামসাগর দীঘিকেএই দিঘির নামকরণ করা হয় রাজা রামনাথ নাম অনুসারে তখনকার রাজ্যের পলাশী বিপ্লবের সময় রাজার পানির চাহিদা মিটানোর জন্য এ রামসাগর দীঘির খনন করা হয়েছিল বর্তমানে এটি এখন পর্যটকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিচিত স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে

দিনাজপুরের রামসাগর দীঘির আয়তন

দিনাজপুরের রামসাগর দীঘির আয়তন সর্বমোট ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯২ বর্গমিটার বা ক্ষেত্রফল এবং ১০ মিটার গভীরতা রয়েছে পড়ন্ত বিকেলে এই দীঘির পানি সূর্যের আলোয় ঝিকিমিকি দেখায় আর পূর্ণিমার সময় ক্যাম্পিং করার জন্য প্রচুর পর্যটকের ভিড় জমে।

আরো পড়ুনঃময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সেরা দর্শনীয় স্থানসমূহ ও যাবার উপায়

দিনাজপুর রামসাগর দিঘিতে যাওয়ার উপায়

দিনাজপুর রামসাগর দীঘিতে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন অনেকের আপনাকে প্রথমে ঢাকা থেকে ট্রেনে অথবা বাসে করে দিনাজপুর শহরে চলে আসতে হবে

দিনাজপুরের জনপ্রিয় স্থান কান্তাজী মন্দির

দিনাজপুরের সেরা কয়েকটি স্থানের মধ্যে আন্তাজি মন্দির অন্যতম কারণ বাংলাদেশের বিখ্যাত স্থাপনার মধ্যে একান্তাজি মন্দির একটি অন্যতম নবরত্ন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এটি টেপা নদীর তীরে কান্ত নগর গ্রামে অবস্থান

মন্দিরের স্থাপনা 

১৮ শতকের দিকে এই স্থাপনা তৈরি করা হয়  মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি ১৭২২ সালে মারা জান এর পরে তার পুত্র মহারাজা রামনাথ রায়১৭৫২ সালে এই কাজ সম্পন্ন করেন

মন্দিরের আয়তন

কান্তাজী মন্দিরের আয়তন হল উচ্চতায় সত্তর ফুট এবং লম্বায় ৫০ ফুট ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে এর একটি বড় ধরনের ক্ষতি হয় মহাভারত রামায়ণ ও অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনী গুলোর মধ্যে এই মন্দিরের ১৫০০০ বর্গাকার পোড়ামাটির ফলক চিত্রিত করা হয়

কান্তাজি মন্দিরে যাবার উপায়

আপনি দিনাজপুর শহর থেকে অটো রিক্সা যোগে ৪০ থেকে ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন এই কান্তাজী মন্দিরে এখানে আসলে আপনি দেখতে পাবেন কিছু প্রত্ততান্ত্রিক নিদর্শন সমূহ যা এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে।

আরো পড়ুনঃমধুপুর উপজেলার দর্শনীয় স্থান এবং যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

দিনাজপুরের সেরা নয়াবাদ মসজিদ

দিনাজপুরের সেরা কয়েকটি স্থানের মধ্যে নয়াবাদ মসজিদ নাম অন্যতম দিনাজপুর জেলার তথ্য তান্ত্রিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভান্ডার নিয়ে গঠিত রয়েছে এ মসজিদটি দ্বিতীয় সম্রাটের শাসনামলে ১৭৯৩ সালে এই মসজিদটি তৈরি করা হয় এ সময় মসজিদের অনেকগুলো কারু কাজ তৈরি করা হয় এখনো তার কয়েকশ কারু কাজের প্রমাণ মিলবে এগুলারা অধিকাংশ অক্ষত অবস্থায় নেই

দিনাজপুরের মসজিদকে স্থানীয়রা বলেন ১৮০০ শতকের মাঝামাঝিতে আন্তাজি মন্দির নির্মাণের সময় পশ্চিমের কোন এক দেশ থেকে মুসলিমরা এ মসজিদ নির্মাণ করে থাকেন এ মুসলিমরা এখানে এসে নয়বাদ গ্রামে বসবাস শুরু করেন এই গ্রামের নাম অনুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়ে থাকে

যাওয়ার উপায়

দিনাজপুরের কান্তাজী মন্দিরের পাশাপাশি রয়েছে এ মসজিদটি মাত্র কয়েক মিনিটের রাস্তা লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে আপনারা এই মসজিদ পেয়ে যাবেন একসঙ্গে দুটো জায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান

দিনাজপুরের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্য. গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান দিনাজপুরের গৌরব বলা যেতে পারে এই নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান কে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় ২০১০ সালে ২৪ অক্টোবর বর্তমানে এই বিশাল জাতীয় উদ্যানের প্রধান হিসেবে ধরা হয় সালবনটিকে

বর্তমানে শেখ রাসেল নামে এ জাতীয় উদ্যানের নামকরণ করা হয়

নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান এর আয়তন

নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের আয়তন হলো ৫১৮ হেক্টর এ বনের মাঝখানে রয়েছে ৬০০ একরের বেশি আশুরার বিল এখানে রয়েছে দেশীয় মাছের অভয়া আশ্রম এখানে আছে সীতার কোট বৌদ্ধ বিহার স্থানীয়দের মতে দস্যুরত্নকার জীবনে বাললে কি মনিরুপে ক্ষেতি লাভ করে যাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল এই বদ্ধবিহার আর এখানে কয় সাল বাস আর সীতার বনবাসের গল্প রয়েছে

যাবার উপায়

দিনাজপুর থেকে নবাবগঞ্জের বাসযোগে কাঠের ব্রিজের কথা জিজ্ঞেস করলে রাস্তা দেখিয়ে দিবে এ অনুসারে আপনারা নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যানে পৌঁছে যেতে পারবেন।

দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান রাজবাড়ী

দিনাজপুরের সেরা কয়েকটি স্থানের মধ্যে দিনাজপুর রাজবাড়ী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান শহরের উত্তর পূর্বে রাজা রামপুর গ্রামের নিকটবর্তী রাজ বটিকা এলাকায় অবস্থিত এই দর্শনীয় রাজবাড়ী এর আসল নাম হল জমিদার বাড়ি ঐতিহ্য ও সাম্রাজ্যের পটভূমিতে এ রাজবাড়ী কে প্রতিনিধিত্বের উত্তরসূরী বলা যেতে পারে বহু পর্যটক এ রাজবাড়ী দেখার জন্য আগ্রহের সাথে ঘুরতে আসে

ইতিহাসের কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে কুমার মহল আইনমহল রানী মহল লক্ষ্মীর ঘর আট তালা ঘর ঠাকুর ঘর কালিয়া জিউ মন্দির আতর ঘর রানী পুকুর ও চম্পাতলা দিয়ে শহর থেকে যেকোন স্থানীয় গাড়িতে করে আপনাকে এসব জায়গায় গুলো ঘুরে নিয়ে আসবে।

যাবার উপায়

দিনাজপুর শহর থেকে মাত্র ২ .৬কিলোমিটার দূরে রয়েছে এ রাজবাড়ী যার জন্য অটো রিস্কা ইজি বাইক অথবা সিএনজিতে যেতে পারেন  ২০ থেকে ২৫ টাকা ভাড়া বিয়ে চলে যেতে পারবেন ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ীতে।

দিনাজপুরের সিংড়া জাতীয় উদ্যান

দিনাজপুরের সেরা দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সিংড়া জাতীয় উদ্যান অন্যতম এটি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভগ  নগরে অবস্থিত এটির সিংড়া মজার অন্তর্গত বলেন নাম রাখা হয়েছে সিংড়া ফরেস্ট বা সিংড়া জাতীয় উদ্যান এবং অঞ্চলটি মোট 756 অক্ষর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এটি ২০১০ সালে জাতীয় উদ্যান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এর একটি পিকনিক স্পট রয়েছে বনের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নদী খনন করা হয়েছে  যার কারণে বনকে২ ভাগে বিভক্ত করেছে আবার এই দুই বোনকে মিলানোর জন্য মাঝখানে একটি সেতু তৈরি করা হয়েছে

বিভিন্ন রকমের রাইড সহ সরকারি উদ্যানে বিনোদনের বিভিন্ন রকমের কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে থাকে প্রতি বছর শীত মৌসুমে এখানে পিকনিক করার জন্য হাজারো পর্যটক ভিড় জমায়

যাওয়ার উপায়

দিনাজপুর শহর থেকে বীরগঞ্জ যেতে হবে এখান থেকে আপনাকে ভোগনগর হয়ে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পৌঁছাতে হবে।

আরো পড়ুনঃডিবির হাওর সিলেট যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট

দিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি আকর্ষণীয় দিক হলো স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট এটি ফুলবাড়ী উপজেলার আফতাবগঞ্জে অবস্থিত মোট ৪০০ একর জায়গা নিয়ে রয়েছে এর সৌন্দর্যের কারু কাজ এ পার্ক নিরিবিলি নির্মল পরিবেশ দ্বারা বেষ্টিত ।সপ্নময় পার্কটি  সপ্নপুরী নামে পরিচিতি লাভ  করেছে

বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনার্থী এ স্বপ্নপুরী ভবনের জন্য ছুটে আসেন বিশেষ করে শীতের মৌসুমে এখানে প্রচন্ড ভিড় জমে এখানে কয়েকটি চলচ্চিত্রের শুটিং পর্যন্ত হয়েছে  এর প্রধান আকর্ষণ হলো গেটের দুইটা বিশাল আকৃতির ডানাওয়ালা পরী এছাড়া এখানে রয়েছে চোখ জুড়ানো দেবদারু বিশাল গাছ 

এখানে রয়েছে কৃত্রিম পাহাড় লেকউদ্যান বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছ গাছালি ফুলের সংগ্রহ শিশু পার্ক চিড়িয়াখানা পশুপাখি খোলা কৃত্রিম ঝর্ণা ইত্যাদি 

এছাড়া রয়েছে গাছ গাছালির মধ্যে আলবাগান সন্তান সম্পান ঘোড়ার রথ হংসরাজ খেলা মঞ্চ কুঞ্জ নামাজ ভার ডাকবাংলো মাটির কুঠির প্রকৃতি নিয়ে বৈচিত্রপূর্ণ এই পার্ক। এছাড়া এখানে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য কবি কাজী নজরুল ইসলামের বসে থাকা অসম্পূর্ণ কৃষকের ভাস্কর্য 

স্বপ্নপুরী প্রবেশের মূল্য 

স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে প্রবেশ করতে হলে জনপ্রতি বর্তমান মূল্য ১০০ টাকা 

বড় গাড়ি ৫০০০ টাকা 

পিকআপ ২০০০ টাকা 

মাইক্রোবাস পনেরশো টাকা 

প্রাইভেট কার ৪০০ টাকা 

অটো রিস্কা ৮০০ টাকা 

মোটর বাইক ২০ টাকা 

এখানে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা আপনার পছন্দমত ভাড়া দিয়ে আপনি কটেজে থাকতে পারবেন যাবে না রে কোথায় যাবে টাকায়। 

স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে যাওয়ার উপায় 

ফুলবাড়ী রেল স্টেশন থেকে মাত্র ২.৬ কিলোমিটার দূরে এই স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট মাত্র ৩০ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া দিলে স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটে। 

দিনাজপুরের লিচু বাগান 

দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল লিচুবাগান এ জায়গাটি শুধুমাত্র লিচুর জন্যই বিখ্যাত সর্বমোট ১৩ টি উপজেলায় এই লিচু চাষ হয় সর্বমোট ৩হাজার ১২৮টিরও বেশি লিচু বাগান রয়েছে লিচু গাছের সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার।দিনাজপুরের প্রসিদ্ধ লিচু বাজারের নাম পৌরসভা নিউমার্কেট। 

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লিচু বিক্রি হয়ে থাকে এই  বাজারে চিরিরবন্দরে ১২০০লিচুবাগান রয়েছে রামসাগর দীঘির কাছেমাছিমপুর এলাকায় অনেক লিচুর গাছ রয়েছে রিসকা করে গেলে রাস্তার পাশ দিয়ে দেখতে পাবেন এই লিচু গাছগুলি ।

দীপশিখা মেটি স্কুল 

দিনাজপুরের গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে এই দীপ শিখা মেটি স্কুল এটি বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়ন অন্তর্গত রুদ্রপুর এক ব্যতিক্রমধর্মী স্কুল দীপশিখা মেটি স্কুল। ১৯৯৯ সালে পহেলা সেপ্টেম্বর কিছু স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ ২০০৫ সালে শৈলপিক স্থাপনার কাজ শুরু হয়  

এর মূল উপাদান হলো মাটি খড় বালি ও বাঁশ দড়ি কাঠ শুধুমাত্র নিচে ভিধ স্থাপন ছাড়া আর কোথাও ইটের কাজ করা হয়নি এটি মোট দুইতলা বিশিষ্ট ছয়টি কক্ষ দ্বারা তৈরি যারা আয়তন হল ৮ হাজার বর্গফুট এই স্কুলটি সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব। 

আরো পড়ুনঃবড়লেখা উপজেলা ইউনিয়ন কয়টি ও গ্রামের নাম সম্পর্কে জানুন

হাজী মোহাম্মদ দানেশ  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 

দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিদ্যালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এটি ১৯ ৭৬ সালে মোহাম্মদ দানেশ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন ২০২২ সালে এসে ৮ই এপ্রিল এটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে 

১৩০ একর আয়তন নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত এখানে আছে একাডেমি ভবন মসজিদ জিমনেসিয়াম প্রশাসনিক ভবন হোটেল সেমিনার কক্ষ ও অডিটেরিয়াম রুম 

এছাড়াও রয়েছে লাল সাদা ইটের সমন্বয়ে তৈরি দৃষ্টিনন্দন ভবন সমূহ খেলার মাঠ আর শহীদ মিনার বোটানিক্যাল গার্ডেন লাইব্রেরী ইত্যাদি ।

আমাদের শেষ কথা 

দিনাজপুরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ আজকে আর্টিকেলের সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে এরপরে যদি কোন তথ্য জানতে চান তাহলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে সেটা পূরণ করা হবে 

আজকের পোস্টটি দিনাজপুরের গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ নিয়ে স্থান সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে পর্যটক পিপাসু ভাই ও বন্ধুরা আপনারা চাইলে সুবিধামতো সময় নিয়ে এসব পিকনিক স্পটগুলো ও দর্শনীয় জায়গা গুলো ঘুরে আসতে পারেন ধন্যবাদ।