নীলফামারী জেলার শীর্ষ ১৩ টি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে জানুন

দিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে জানুন নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থান সমূহের নাম সম্পর্কে জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজখবর নিয়েছেন কিন্তু সঠিক ত্তথ্য পাননি  তাই আজকের এই আর্টিকেলটি নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এজন্য আজকের পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে পারেন

নীলফামারী জেলার যে সমস্ত শীর্ষস্থান রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য তার অন্যতম গুণের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি স্থাপনা যা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য প্রাণপ্রিয় তার মধ্যে অন্যতম হলো নীল সাগর তিস্তা ব্যারেজ নীলকুঠি চিনি মসজিদ কুন্দু পুকুর মাজার ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নীচে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ নীলফামারী জেলার শীর্ষ ১৩ টি দর্শনীয় স্থানের নাম জানতে পড়ুন

• নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থানের নাম সমূহ
•  নীলফামারী জেলার শীর্ষ স্থানের মধ্যে অন্যতম নীলসাগর
• নীলফামারী জেলার নীলসাগরের রেস্ট হাউস
• নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থান হল তিস্তা ব্যারেজ
• নীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থান হল নীলকুঠি
• নীলফামারী জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল কুন্দুপুকুর মাজার
• নীলফামারী জেলার সেরা স্থানের মধ্যে অন্যতম ভীমের মায়ের চুলা
• নীলফামারীর দর্শনীয় স্থান ধর্মপালের রাজবাড়ী
• নীলফামারী জেলার দর্শনীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল হরিশচন্দ্রের পাঠ
• নীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থানের সৈয়দপুরের রেলওয়ে স্টেশন
• নীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থান চিনি মসজিদ
• নীলফামারী জেলায় শীর্ষ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে ক্যাথলিক গির্জা 
• নীলফামারী জেলায় যেভাবে যাবেন
• আমাদের শেষ কথা 

নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থানের নাম সমূহ

নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থানের নাম পর্যটকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে নীলফামারী ভ্রমনে আপনাদের মনে অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে সরাসরি বাংলাদেশ শীতকালীন সময়ে আকর্ষণীয় স্থান হল এই নীলফামারী জেলার কয়েকটি সেরা দর্শনীয় জায়গা শীতকালে এই জায়গাগুলো বহু পর্যটক ঘুরতে আসেন কিছুটা প্রশান্তের জন্য ঘুরে আসতে পারেন উত্তর জেলার নীলফামারী থেকে এই জায়গাটি এই জায়গাটি আপনার জন্য উত্তম জায়গা হতে পারে ভ্রমণের জন্য

নীলফামারীর সেরা দর্শনীয় জায়গার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্ত জায়গাগুলো রয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হল নীল সাগর নীল সাগরের গেস্ট হাউস তিস্তা ব্যারেজ নীলকুঠি চিনি মসজিদ কোন্দু পুকুর মাজার ভীমের মায়ের চুলা ধর্মপালের রাজবাড়ি হরিশচন্দ্রের পাঠ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা জাদুঘর ব্রিটিশ রানের শত বছরের বিলাসবহুল সেলুন কোচ কয়লা চালিত লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন ইত্যাদি সম্পর্কে তাই আর দেরি না করে চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

 নীলফামারী জেলার শীর্ষ স্থানের মধ্যে অন্যতম নীলসাগর

 নীলফামারী জেলার শীর্ষস্থানের মধ্যে অন্যতম হলো নীলসাগর নীলসাগর নাম শুনলে কোন এক সমুদ্রের কথা মনে পড়ে যায় আসলে এটি সমুদ্র নয় তবে সমুদ্রের সাথে সমজস্ব রেখে এর নামকরণ করা হয় নীলসাগর এর আয়তন ৯৩.৯০ একর এ নীল সাগরের গভীরতা আজ পর্যন্ত মাপা সম্ভব হয়নি

 তবে ধারণা করা হয় যে ৮০ থেকে ৮৫ ফুট পানি সব সময় থাকে এই নীলসাগরে সাগর পাড়টি বৃক্ষরাজী তরুলতা সুউচ্চ পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত শীতের দিনে বিভিন্ন পাখির কলতানে মেতে উঠে এ সাগরের চারিপাশ যেটা আপনার মনকে আকৃষ্ট করে প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত করবে এমন পরিবেশ আর কোথাও দেখতে পাবেন না।

আরো পড়ুনঃদিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে জানুন

নীলফামারী জেলার নীলসাগরের রেস্ট হাউস

নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো নীল সাগরের রেস্ট হাউস এখানে আধুনিকায়ন করেন ১৯৮০ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল জব্বার সংস্কারের কাজ উদ্বোধনের সময় এর নাম দেন নীলসাগর এর নাম অনুসারে ট্রেনের নামকরণ করা হয় নীলসাগর ঢাকা টু নীলফামারী রুটে এই ট্রেন চলাচল করে এছাড়াও পত্রিকা যানবাহন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামও এই নীল সাগর নাম অনুসারে করা হয়

বিভিন্ন রকমের বিনোদনে ভরা এই জেলাটি ১৭ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমের নীলফামারী জেলায় রয়েছে দেবীগঞ্জ পঞ্চগড় এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে মাইক্রো সিএনজি অটো রিস্কা ভ্যান সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে আসা বিভিন্ন রকমের ট্রেন ও বাস যাওয়া আসা করে থাকে এছাড়াও এখানে রয়েছে গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াত করার জন্য অটো রিক্সা।

নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থান হল তিস্তা ব্যারেজ

নীলফামারী জেলার শীর্ষ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো তিস্তা ব্যারেজ এখানে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটকের  সমাগম হয় এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই ভিড় জমে বাংলাদেশ ভারতের একটি অন্ত সীমান্ত নদী তিস্তা ভারতের সিকিম প্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়

১৯৫৩ সালের পরিকল্পনা অনুযায়ী তিস্তা নদীর মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৩১৫ কিলোমিটার এর মধ্যে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে রয়েছে ১১৫ কিলোমিটার লালমনিহাট জেলায় অবস্থিত আর দর্শনীয় ব্যারেজটি  সেচ প্রকল্পের উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত এই তিস্তা ব্যারেজটি ১৯৩৭ সালের ৪০ হাজার হেক্টর উত্তরাঞ্চলে খরাপীড়িত এলাকায় নির্মাণ কাজ পরিকল্পনা শুরু হয় মোট পাঁচটি জেলা নিয়ে বৃহত্তম সেচ প্রকল্পটি অবস্থিত

নীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থান হল নীলকুঠি

নীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম হলো নীলকুঠি কৃষকের বিদ্রোহ ছিল নীল বিদ্রোহ ভাষা আন্দোলনের সময় ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ নীলফামারীর ইতিহাসে গৌরবময় কিছু অধ্যায় রয়েছে এ অঞ্চলে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে লট খানায় নীল চাষের একটি বৃহত্তম খামারের নীল চাষ করা হতো এখানে ১৮৪৭ থেকে ৪৮ খ্রিস্টাব্দের নীল চাষের লোকসানে কৃষকরা সেসময় মুখ ফিরিয়ে নেয় এতে নেমে আসে নিরীহ কৃষকের উপর নিপীড়ন নির্যাতন অত্যাচার ১৮৫৯ থেকে ৬০ সালে কৃষকের ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় এবং পুরোপুরি নীল চাষ বন্ধ করা হয় তখন ওই এলাকা ছেড়ে নীলকেরা এ জায়গাটি ছেড়ে পালিয়ে যায় সে নীলফামারী থেকে বর্তমানে নামকরণ করা হয় নীলফামারী নীল খামারের নীল বিদ্রোহ হয়েছিল আজকের পাওয়া নীলফামারী নাম। আরে এই জায়গাকে বলা হয় নীলকুঠি।

নীলফামারী জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল কুন্দুপুকুর মাজার

নীলফামারী জেলার শীর্ষ কয়েকটি স্থানের মধ্যে কুন্দু পুকুর মাজার হলো অন্যতম এ মাজারটি নীলফামারী শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কোন্দুপুকুর ইউনিয়নে অবস্থিত সুফি হযরত মীর উদ্দিন চিশতির মাজার রয়েছে এখানে ত্রিশ একর জমি জুড়ে এই মাজারের সংলগ্ন এলাকা এই মাজারের ভিতরে রয়েছে সেই পুকুরটি প্রতিবছর মাঘ মাসের পাঁচ তারিখে তিন দিন যাবত ওরস অনুষ্ঠিত হয় জনমকে শোনা যায় পুকুরের পানি পান করলে মানুষের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পায় এজন্য সারা বছর বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে মানুষ তবারক নিতে ছুটে আসে

নীলফামারী জেলার সেরা স্থানের মধ্যে অন্যতম ভীমের মায়ের চুলা

নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে ভীমের মায়ের চুলা অন্যতম ঐতিহাসিকদের মতে প্রত্যতান্ত্রিক কিছু নিদর্শন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো কিশোরগঞ্জের ভীমের মায়েরা আখা কথিত আছে যে তিনটি স্থানে উঁচু ভেতরের অংশ গভীর বাহিরে তিন দিকে প্রায় ২০ ফুট প্রশস্ত জায়গা জুড়ে এই চুলা বেষ্টিত প্রায় বহু বছর আগে মহাভারত পঞ্চপান্ডবদের মধ্যে দ্বিতীয় ভীম এই জায়গাটি থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন 

সে যুদ্ধের সময় অংশ নেয়া যোদ্ধাদের জন্য ভীমের মা এই চুলায় ১০০০০ সৈন্যদের রান্নাবান্না করত এর পূর্বে রয়েছে বাসবাড়ি চুলার ব্যবহারের জন্য জ্বালানি হিসেবে ওই বাসের খড় দিয়ে জ্বালানোর কাজ চালিয়ে নেওয়া হতো কচি তো আছে যে ভীমের মা সেই সময় এক সন্ধ্যার খাবারে সাতটি মহিষের ভর্তা করেছিলেন পরবর্তীতে ইতিহাসের সাক্ষী স্বরূপ এই জায়গার নাম দেয়া হয় ভীমের মায়ের চুলা

আরো পড়ুনঃময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সেরা দর্শনীয় স্থানসমূহ ও যাবার উপায়

নীলফামারীর দর্শনীয় স্থান ধর্মপালের রাজবাড়ী

নীলফামারী জেলার শীর্ষ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ধর্মপালের রাজবাড়ী ধর্মপালের গড়ের নিকটবর্তী একটি মজার জলাশয় রয়েছে এ জলাশয়ের পাঠ বাঁধানো ঘাট এবং কয়েকটি উচু উঁচু টিভি রয়েছে এই টিভির ভিতরে প্রাচীরের ইট দেখে ধারণা করা হয় একটি ধর্মপালের এক সময়কার রাজবাড়ি ছিল যেটাকে গড় ধর্ম পালের  রাজপ্রাসাদ বলা হয়ে থাকে

নীলফামারী জেলার দর্শনীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল হরিশচন্দ্রের পাঠ

নীলফামারী জেলার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম সেরা স্থান হরিশচন্দ্র পাঠ এটা নীলফামারী জেলার ঢাকার কুটামারা ইউনিয়নের একটি গ্রাম এখানে হরিশচন্দ্রের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয় তিনি ছিলেন 

সে সময়কার একজন রাজা রাজা হরিশচন্দ্র ছিলেন একজন দানবীর হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলে তাকে নিয়ে অনেক পালা গান যাত্রাপালা রচিত হয়েছিল সেই সময়কার রাজা হরিশচন্দ্রের কন্যা অধুনার সঙ্গে রাজা গোপীচন্দ্রের বিয়ে হয় তৎকালীন প্রথা অনুযায়ী গোপীচন্দ্রকে দান হিসেবে তার ছোট শালিকা পদোনাকো পান এ নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে এই নাম অনুসারে এই এলাকার নাম দেয়া হয় হরিশচন্দ্রের পাঠ 

হরিশচন্দ্র পাঠ গ্রামে অনেক প্রাচীন ধ্বংস শেষে আজও তার স্মৃতি অমলিন হয়ে রয়েছে হরিশচন্দ্র শিব মন্দিরে বছরে তিনটি উৎসব পালিত হয় এ মন্দির ঘিরে বেশ দমদম করে এই উৎসবগুলো পালন করা হয়ে থাকে।

নীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থানের সৈয়দপুরের রেলওয়ে স্টেশন

নীলফামারী জেলার শীর্ষ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন শহরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর হল সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য আগে থেকে প্রচলিত এই এলাকাটি অনেকের কাছে গেলে শহর হিসেবে পরিচিত ১৮৭০ সালে সৈয়দপুরে নির্মিত হয় ১১০ একর জমি নিয়ে বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা ব্রিটিশ আমলে রেল কারখানায় ২৬ টি উপকার খানায় শ্রমিকরা কাজ করতেন রেলে ছোট বড় যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে ব্রডগেজ মিটার গেজ বগি মেরামত সহ রেলে ছোট বড় যন্ত্রাংশ সবই কাজ করা হতে কারখানায় রেলের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষরা এর সৈয়দপুর রেলস্টেশনে পর্যটক হিসেবে ভিড় জমায়।

নীলফামারী জেলার দর্শনীয় স্থান চিনি মসজিদ

নীলফামারী জেলার গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ স্থানীয় মধ্যে চিনি মসজিদ হলে অন্যতম শোনা যায় চিনি মসজিদটি চীনাদের জন্য তৈরি করা হয় এই মসজিদ নির্মাণের পেছনে চিনা দেরি অবদান রয়েছে আসলে বিষয়টি তেমন কিছু না এর মূল বিষয় হলো মসজিদের রং উজ্জ্বল চীনা পাথরের টুকরা দ্বারা চিনির দানার মত কাজ করার জন্য এই মসজিদের নাম রাখা হয় চিনি মসজিদ ঐতিহাসিকদের প্রা প্রত্যতান্ত্রিকদের মতে এই মসজিদের নির্মাণ প্রেক্ষাপট ও সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে 

১৮৮৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামে দুই ব্যক্তির সৈয়দপুরের ইসলামবাগ এলাকায় বাসের ছন্দ দিয়ে এই মসজিদ নির্মাণ করেন স্থানীয়দের মতে এই মসজিদটি বর্তমানে রূপান্তরিত হয়ে তহবিল গঠন করে শুরু হয়

চিনি মসজিদের নির্মাণাধীন কাজ।

আরো পড়ুনঃমধুপুর উপজেলার দর্শনীয় স্থান এবং যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

নীলফামারী জেলায় শীর্ষ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে ক্যাথলিক গির্জা 

নীলফামারী জেলার শীর্ষ কয়েকটি স্থানের দর্শনীয় জায়গার মধ্যে অন্যতম হলো ক্যাথলিক গির্জা একটি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরে গৌড় পন্তন হয়েছিল এই ক্যাথলিক গির্জার ব্রিটিশ শাসন আমলে আসাম থেকে বেঙ্গল রেলওয়ে স্থাপিত হয়েছিল সৈয়দপুর পর্যন্ত সে সময় বেঙ্গল রেলওয়ে সৈয়দপুরে একটি ছোট রেলওয়ে স্টেশন ছিল এই ছোট রেলওয়ে স্টেশন এর পাশে স্থাপনা করা হয় ছোট একটি লোকোশড আর এই লোকেশনটাই ছিল আজকের গড়ে ওঠা দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ভিত্তি ১১০ একর জমি নিয়ে গড়ে তোলা হয় এর সুবিশাল রেলওয়ে কারখানা এই কারখানায় বাঙালি ও বিহারীর সাথে কাজ করতে করতে বহু ব্রিটি শ অ্যাঙ্গালো ইন্ডিয়ান ক্যাথলিক protestan খ্রিষ্টান 

এদের বসবাসের জন্য আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয় এখানে।আর তার সাথে ক্যাথলিক গির্জা টি 

তৈরী  করা হয় ।

নীলফামারী জেলায় যেভাবে যাবেন

নীলফামারী জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থান দেখতে হলে আপনাকে যেভাবে যেতে হবে তার মধ্যে আরামদায়ক ভাবে যেতে চাইলে আপনাকে ঢাকা থেকে রেলপথে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে সৈয়দপুর বা নীলফামারী আসতে হবে এরপর সড়কপথে এসব দর্শনীয় স্থানে যেতে হবে অথবা ঢাকা গাবতলী উত্তরা মহাখালী কল্যাণপুর থেকে নীলফামারী সৈয়দপুর বাসে আসা যায় এখানে সার্ভিস রয়েছে এছাড়াও অল্প সময়ে আকাশ পথে বিমানে করে সৈয়দপুর আসতে পারেন।

আরো পড়ুনঃডিবির হাওর সিলেট যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

আমাদের শেষ কথা 

নীলফামারী জেলার শীর্ষ ১৩ টি দর্শনীয় স্থানের নাম ও পর্যটন কেন্দ্রের বিস্তারিতভাবে আজকের এই আর্টিকেলে সঠিক তথ্য দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন তারপরেও যাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা রয়েছে তারা কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানিয়ে দিবেন সেটা সঠিক তথ্য দিয়ে করে দেয়া হবে 

আজকেরে আঁটি খেলতে নীলফামারী জেলার কয়েকটি স্থানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো নাম তুলে ধরা হয়েছে প্রায় সময়ের সাপেক্ষে সুবিধামতো এই স্থানগুলি ঘুরে আসতে পারেনআর অবশ্যই এই আর্টিকেলটি বন্ধুবান্ধব নিকট শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তাদের সবসময় অনুষ্ঠানগুলো ঘুরে এসে মনের দূর করতে পারে ধন্যবাদ।