গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

তুলিভাং ঝর্না বান্দরবানের লুকানো অপার সৌন্দর্য সম্পর্কে জানুন  আজকের আর্টিকেলে গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে আলোচনা করা হবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে পারেন 

গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি গহীন জঙ্গলের ভিতরে আপার সুন্দর্য যা রাঙামাটির একটি নতুন পর্যটন কেন্দ্রে দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে একে ধন্দতাং ঝরনা  নামে ডাকা হয়ে থাকে।

পেজ সূচিপত্রঃগাছকাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানতে পড়ুন 

• গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি 
• গাছ কাটা ঝরনার নামকরণ
• গাছ কাটা ঝর্ণায় যা যা দেখা যাবে
• গাছ কাটা ঝরনা যাওয়ার উপযুক্ত সময়
• গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি কিভাবে যাবেন
• গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি গিয়ে কোথায় থাকবেন
• গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙ্গামাটি গিয়ে কোথায় খাবেন
• গাছ কাটার ঝর্ণায় যাওয়ার সময় সর্তকতা অবলম্বন
• আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সমূহ
• সঙ্গে যা যা নিবেন
• আমাদের শেষ কথা

 গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি 

গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটির একটি অসাধারণ পর্যটনকেন্দ্র যা রাঙ্গামাটির গাছ কাটা ইউনিয়নে অবস্থান অসাধারণ সৌন্দর্যের প্রতিক হিসেবে রাঙ্গামাটির বিশেষ স্থান দখল করেছে। ঘন সবুজের বুক চিরে উচু পাহাড় থেকে নেমে যাচ্ছে সাদা ধবধবে জলধারা । পাখির কিচিরমিচির ডাক আর ঠান্ডা হাওয়ার শীতল স্পর্শ মনকে প্রশান্ত করে।পানির সামনে পৌঁছাতে চোখে পড়বে অপার সৌন্দর্যের রূপ এবং কুয়াশার আবছা পর্দা প্রকৃতি যেন নতুন রূপে জেগে ওঠে।

গাছ কাটা ঝরনা ১৫০ ফুট উঁচু থেকে নিচে নেমে আসে। ঝর্ণার শব্দ আর নীরবতা মিলে সবুজ পাহাড়ির গ্রাম গ্লাইছড়ি উপভোগ করা যায়। প্রাকৃতিক অনিন্দ্য নীরবতা ঝাপসা কুয়াশা ধূসর আভা এবং সূর্যের কিরণ তৈরি করে রংধনুর সাত রং এখানকার প্রতিটি ঝরনার ফোটায় রয়েছে জীবনের সুমধুর গল্প।

অবস্থানঃ রাঙ্গামাটি জেলার বিড়াইছড়ি উপজেলার গাছ কাটা গ্রামের দোসরীপাড়ায় অবস্থিত

গাছ কাটা ঝরনার নামকরণ

গাছ কাটার ঝর্ণা রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত বহু বছর আগে এখানে গ্লাইছড়ি ও বিলাইছড়ি এলাকার আদিবাসীগণ জঙ্গলের মধ্যে গাছ কেটে কাঠ সংগ্রহ  ও জুম চাষের জন্য জায়গা তৈরি করতো সেই জায়গার পাশে বয়ে যায় এই ঝর্ণাটি  এই জায়গার নাম অনুসারে গাছ কাটা ঝর্ণা নাম দেয়া হয়।

আরো পড়ুনঃগাংচিল আইল্যান্ড রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

স্থানীয়দের মুখে শোনা যায় এই ঝর্ণা কে ধন্দটং ঝরনা নামে ডাকে এর মূল কারণ হলো কোন এক ব্যক্তি জুম চাষ করার জন্য তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই ঝর্ণার লুই অথবা পুইই মাছ ধরতে গিয়ে তার সুন্দরী স্ত্রী ঝর্ণার পানির চাপে উপর থেকে নিচে পড়ে মারা যায় ওই ব্যক্তির নাম ছিল ধন্দটং এর নাম অনুসারে ঝর্ণার নামকরণ করা হয় ধদ্ধটং।

এছাড়াও এক বৃদ্ধার মুখে শোনা যায় ধন্দটং ব্যাক্তি জুমের পাকা ধান ও  মুরগি দিয়ে লক্ষ্মীকে পূজা করত যেটা নবান্ন উৎসবের মতো এজন্য তিনি মাছ শামুক কাকরা  ইত্যাদি দিয়ে আত্মীয়স্বজনদের আপ্যায়ন  করার জন্য ঝর্ণায় গেলে আর ফিরে আসনি এর নাম অনুসারে ধদ্ধটং ঝর্ণা বলা হয়ে থাকে।

গাছ কাটা মানে যেখানে জুম চাষের জন্য গাছ কেটে  পরিষ্কার করা হতো  

ঝরনা অর্থ উঁচু থেকে নেমে আসা জলধারা উভয় মিলে নামকরণ করা হয় গাছ কাটা ঝর্ণা। যাকে রাঙ্গামাটির লুকানো রত্ন বলা চলে।

গাছ কাটা ঝর্ণায় যা যা দেখা যাবে

গাছ কাটা ঝর্ণার মূলধারা

গাছ কাটা ঝরনার রাঙ্গামাটি সাদা জলের ধবধবে জলরাশি মনকে দেবে আনন্দের প্রশান্তি যেখানে ফিরে পাবেন জীবন্ত এক সৌন্দর্যের উপহার এখানে রয়েছে আরো অনেকগুলো পাশাপাশি ঝরনা যেগুলো একবারে দেখে নিতে পারেন এছাড়া এই জেলায় প্রবেশ কালে চোখে পড়বে খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র ঘন সবুজ বনের মধ্যে এ যেন এক সৌন্দর্যের অপ্সরী এই জলপ্রপাতের আশেপাশে তৈরি হয়েছে  উপজাতীয় গ্রাম যা আপনাকে তাদের সাংস্কৃতি মুগ্ধ করবে। কর্ণফুলী লাইফ থেকে তৈরি পাঁচটি শাখা নদী তার মধ্যে অন্যতম হলো অন্যতম হলো গাছ কাটা ঝর্ণা আর এই ঝর্ণার জন্যই বিলাইছড়ি বিখ্যাত

ঘন বনভূমি ও পাহাড়ি পথ

গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙ্গামাটির একটি অন্যতম সুন্দর নিদর্শন এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে আকাবাকা রাস্তা পাহাড়ে পিচ্ছিল পথ ও দুর্গম বনভূমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে হবে প্রায় দুই ঘন্টার মত তারপরে পাবেন আপনার স্বপ্নের গাছ কাটা ঝরনা এই বনভূমির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখবেন নানান রকমের উঁচু উঁচু পাহাড় ও ঝিরি যেটা আপনাকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাবে বনফুলের সুঘ্রাণ উড়ে যাওয়া পাখির মেলা ও বাঁশ ঝাড়ে বাদুড়ের খেলা সত্যি এক মনের গহীনে আনন্দের ঢেউ খেলে যাওয়ার মত।

পাহাড়ের পাদদেশে বিশ্রামাগার

গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙ্গামাটি প্রাকৃতির মাঝে সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়ি রাস্তায় টেকিং এর সময় ক্লান্ত ও শ্রান্ত মন যখন দুর্বল হয়ে পড়বে সে সময়ের জন্য বসে বিশ্রাম নেওয়ার আদর্শ জায়গা যেখানে মনকে এই শীতল ঠান্ডা পানির পুনরায় উজ্জীবিত করবে গাছ কাটা ঝর্ণা যাওয়ার পথে দেখতে পাবেন আদিবাসীদের ছোট্ট ছোট্ট গ্রাম সেখানে চা-বিস্কুটের দোকান সেখান থেকে আপনি চাইলে হালকা নাস্তা পানি করে নিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃচুংদার বক  লামা বান্দরবানের লুকানো স্বর্গরাজ্যের প্রকৃতিক বিস্ময় 

ফটোগ্রাফির স্বর্গ রাজ্য

গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙ্গামাটি  অসাধারণ সৌন্দর্য যেখানে সকালের সূর্যাস্ত এবং বিকালের সূর্যোদয় ঝর্ণা সৌন্দর্যকে আরো অসাধারণ করে তুলে সূর্যদয়ের আলো ঝর্ণার উপর দিয়ে পাহাড়ের গায়ে লাগে আয়নার মতো ঝিকঝিক করে এবং বিকালে সূর্যাস্ত রক্তিম আবহাওয়া রং গায়ে লাগে সে সময়টা মনের গহীনে রেখে দেয় রঙিন আনন্দের প্রতিচ্ছবি এ সময়ে নিতে পারেন ড্রোন কিংবা ক্যামেরা বন্দির মাধ্যমে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের দৃশ্য পট।

গাছ কাটা ঝরনা যাওয়ার উপযুক্ত সময়

গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপযুক্ত সময় হল মার্চ মাস থেকে মে মাস এ সময় আবহাওয়া পরিষ্কার থাকে টেকিং এর জন্য খুব ভালো হয় এ সময় ঝর্ণার পানি কম থাকে তাই ভ্রমণ আরামদায়ক হয়ে থাকে ঝর্ণার গহীনে লুকিয়ে থাকা ঘন সবুজ বনভূমি লুকায়িত সূর্য উঁকি মারা কিরণ সূর্যোদয়ের রক্তিম আবহাওয়া সব মিলিয়ে তৈরি করে মায়াবী স্বর্গ। এছাড়া বর্ষার সময়কার জন্য বেশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় তবে জীবনের ঝুঁকি বেশি।

গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি কিভাবে যাবেন

ঢাকা টু রাঙ্গামাটি

গাছ কাটা ঝরনা রাঙামাটি জেলায়  ঢাকা থেকে বাসযোগে সরাসরি আসতে হবে ঢাকা টু রাঙ্গামাটি রুটে যে সমস্ত বাস চলাচল করে তার নিচে তালিকা তুলে ধরা হলো

ডলফিন

হানিফ

 ইউনিক

শ্যামলী

দেশ ট্রাভেল

এস আলম

বি আর টি কোচ চলাচল করে থাকে

সময় লাগবে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা

ভাড়া লাগবে

এসি বাস এক হাজার থেকে বারোশো টাকা এবং নন এসে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

রাঙ্গামাটি টু বিলাইছড়ি

রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট রাঙ্গামাটি থেকে ট্রলার রিজার্ভ নিয়ে সকাল সাতটা বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে এছাড়াও এখানে উন্নয়ন বোর্ডের ঘাট হয়ে গেলে রাঙ্গামাটির সম্পূর্ণ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন বিলাইছড়ি বেলা দুইটা এবং তিনটায় উদ্দেশ্যে লঞ্চ পাওয়া যায়

জনপ্রতি ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এবং পুরো লঞ্চের ভাড়া দুই হাজার থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে হবে

বিলাইছড়ি থেকে গাছ কাটা

রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িতে নামার পরে আপনাকে স্থানীয় গাইড নিতে হবে এখান থেকে ট্রেকিং করে পৌঁছাতে হবে গাছ কাটা ঝর্ণা প্রায় যেতে সময় লাগবে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা এরপরে গাছ কাটা ঝর্ণ।

গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি গিয়ে কোথায় থাকবেন

গাছ কাটা ঝর্ণা, রাঙ্গামাটি গিয়ে থাকার জন্য কিছু ভালো ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো 

গ্লাইছড়িতে কটেজ হোমেস্ট স্থানীয় গ্রামবাসীদের দ্বারা পরিচালিত এখানে প্রতি রাত ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকায় থাকা যায়

আরো পড়ুনঃঘুরে আসুন বুনো রয়নদক ঝর্নার বান্দরবানের গহীন সৌন্দর্যে  থানচি 

রাঙ্গামাটি পাহাড়ি কটেজ

এছাড়াও ঝরনাভিউ কটেজ রয়েছে সেখানেও থাকতে পারেন এটাও স্থানীয়দের দ্বারা পরিচালিত

কাপ্তাই বা রাঙ্গামাটি শহরে থাকতে পারেন এখানে উন্নত মানের রিসোর্ট হোটেল রয়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো সে রিসোর্টগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো

হোটেল গ্রীন ক্যাস্টেল রাঙ্গামাটি

টুরিস্ট মোটেল কর্পোরেশন

পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স

লেক ভিউ island রিসোর্ট

হোটেল সুফিয়া ইন্টারন্যাশনাল

হোটেলের ভাড়া সমূহ

 সাধারণ কটেজে প্রতিরাতে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা ভাড়া মাঝারি টাইপের হোটেলের ভাড়া দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা প্রতি রাত এছাড়াও অন্যতম হোটেলে চার হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিতে হয়

ওয়াইফাই কানেক্টেড বিদ্যুৎ এবং গিজারের সুব্যবস্থা রয়েছে

এছাড়া স্বপ্নবিলাস নামে আবাসিক হোটেল রয়েছে এখানে জন প্রতি ২০০ টাকা করে ভাড়া নেবে তাছাড়াও হাসপাতালে নিরিবিলি বোর্ডিং রয়েছে এখানেও থাকতে পারেন

গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙ্গামাটি গিয়ে কোথায় খাবেন

গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙ্গামাটি গিয়ে খাবারের জন্য দুইটা ভালো রেস্টুরেন্ট খুঁজে পাবেন তার মধ্যে যারা থাকার ইচ্ছা রয়েছে তারা সেখানে থাকতে পারবেন হোটেল দুইটি হলো 

অ্যারেঞ্জ রেস্টুরেন্ট রাঙ্গামাটি

লেকটাউন রেস্টুরেন্ট রাঙ্গামাটি এই দুইটি হোটেলে উন্নত মানের খাবার পাওয়া যায় এছাড়াও এখানে দেশীয় খাবার পাওয়া যায় ভাত মাছ ডাল ডিম ভর্তা ভাজি সবজি এসব ইত্যাদি দুইশ থেকে 300 টাকার মধ্যে খাবার হয়ে যাবে দুপুরের

গাছ কাটার ঝর্ণায় যাওয়ার সময় সর্তকতা অবলম্বন

গাছ কাটা ঝরনা যাওয়ার সময় যে সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন সেগুলোর নিম্নে তুলে ধরা হলো

স্থানীয় গাইড ছাড়া কখনো যাবেন না

ভালো মানের ট্র্যাকিংয়ের জুতা ব্যবহার করবেন 

এবং সঙ্গে নিরাপদ পানিও শুকনো খাবার রাখবেন

সন্ধ্যার পরে এই জায়গায় না থাকাই ভালো

বর্ষার সময় ঝর্ণার বেশি নিচে গোসল করবেন না

এখানে অবশ্যই রবি সিম নিয়ে যাবেন তা ছাড়া নেটওয়ার্ক পাবেন না এখানকার ফিরে আসা বাস একবারে সঠিক সময় ছাড়ে তাই বোর্ডগুলোর সঠিক সময় এসে পৌঁছায় এদিকে সময়ের খেয়াল রাখতে হবে ফিরতি বাস সাড়ে আটটা ত্রিশ মিনিট একদম সঠিক সময় ।

আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সমূহ

গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙ্গামাটির আশেপাশে অনেক সুন্দর দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলো একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন চলুন সেগুলোর নামের তালিকা জেনে নেয়া যাক

গ্লাইছড়ি ঝর্ণা এক থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গাছ কাটা ঝর্ণা থেকে

কাপ্তাই লেক ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গাছ কাটা ঝর্ণা থেকে

ঝুলন্ত সেতু রাঙ্গামাটি ৩০ কিলোমিটার দূরে গাছ কাটা ঝরনা থেকে

শুভলং ঝর্ণা ৩৫ কিলোমিটার দূরে গাছ কাটা ঝর্ণা থেকে

রাজবন বিহার ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত

পেদার টিং টিংরেস্টুরেন্ট ভিউ পয়েন্ট ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত

আদিবাসীদের গ্রামের সাংস্কৃতি

আরো পড়ুনঃ রেমাক্রি জলপ্রপাত অপার সৌন্দর্যের ধারা বান্দরবান ভ্রমণ গাইড

এছাড়া , মুপ্পো ছাড়া ঝর্ণা ধুম পানি ঝর্ণা এবং ন কাটা ঝর্ণা একই খরচে ঘুরে আসতে পারেন

জনপ্রতি কত খরচ পড়বে

 গাছ কাটা ঝর্ণা রাঙামাটি যাওয়ার জন্য মোট খরচ পড়বে

একদিন দুই রাত প্রায় ৫৫০০ টাকা

মাঝারি হোটেলে থাকলে খরচ পড়বে প্রায় ৭ হাজার টাকা এছাড়াও আপনি যদি এক রাত বা দুই রাত থাকতে চান সেক্ষেত্রে আনুমানিক খরচ পড়বে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা যথাযথ সহ সমস্ত খরচ

সঙ্গে যা যা নিবেন

জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি

পাসপোর্ট সাইজের ছবি

ছাত্র-ছাত্রী হলে কলেজের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

সঙ্গে পলিব্যাগ রাখবেন

টেকিং এর জুতা রাখবেন

শুকনার জামাকাপড় সঙ্গে রাখবেন এক সেট

নিরাপদ পানি ও খাবার সঙ্গে রাখবে

ক্যামেরা ও মোবাইলে ফুল চার্জ দিয়ে রাখবেন

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি গাছ কাটা ঝরনা রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে সঠিক ও সাবলীল তথ্য দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এরপরে যদি কোন রকমের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করা হবে আর আজকের আর্টিকেলটি সবার কাছে শেয়ার করে দিবেন

আপনাদের বন্ধুবান্ধ ব আত্মীয়-স্বজনের নিকট একটি শেয়ার করবেন কারণ তারা অবশ্যই সময়গুলো সঠিক জায়গায় ঘুরে মনকে ফ্রেশ করে নিতে পারে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন কারণ এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল প্রায় প্রতিদিন ই প্রকাশ করা হয় এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য এবং সাফল ২৪ এর ওয়েবসাইটে মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের যাত্রা শুভ হোক।