বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

সারিয়াকান্দি কালিতলা ঘাট বগুড়া ভ্রমণ গাইড ও খরচ সম্পর্কে জানুনআজকের আর্টিকেলে  আমরা বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে আলোচনা করব। বিস্তারিত জানতে  সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে  নিতে পারেন।

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল। যা কক্সবাজার জেলার দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে নির্দিষ্ট সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত।

পেজ সূচিপত্রঃবাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
• বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কি কি বনাঞ্চল আছে
• অভয়ারণ্য ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন
• বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য যাবেন কিভাবে 
• নাইখাংছড়ি কোথায় খাবেন
• নাইখাংছড়ি অভয়ারণ্য কক্সবাজার ভ্রমণে সঙ্গে যা যা নিবেন
• আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সমূহ
• উপসংহার

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট ২৫টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে । বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬ই এপ্রিল ২০২৩ সালে যার আয়তন ২২৩৩.০৫৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল । হাতি ভাল্লুক চিতাবাঘ দাগ যুক্ত হরিণ সাম্বার হরিণ সহ বানর দেখা যাবে । বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ।

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রধান ও বৃহত্তম বাংলাদেশের ২৫ টি সরকারি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এটি একটি। সংরক্ষিত ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী ২০১১ সালে ১৩তম ধারার ১ অনুযায়ী  সরকারি হবে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়।বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য দায়িত্ব গ্রহণ করা হয় ২৩ শে জুলাই ২০২৫ সাল থেকে। এখানে শুধুই প্রাণী সংরক্ষণের কাজই করা হয় না , বরং পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু মোকাবেলার এবং স্থানীয়দের শিক্ষা ও জীবিকার দিক দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যর দক্ষিনে রামু রাবার গিনাতলী বিচ, এবং সরকারি গরজনিয়া বনভূমি, উত্তরে ঈদগাহ মজার সরকারি বনভূমি ও তুলাতুলি বিচের জলসীমা , পূর্বে চট্টগ্রাম ইউনাইটেড আরাকান পর্যন্ত রোড। আর পশ্চিমে অবস্থিত মেহের ঘনা রেঞ্জের জলসীমা মাজুয়াখালী মৌজা প্রবাহমান এলাকা।

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কি কি বনাঞ্চল আছে

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রকৃতির শান্ত রহস্যময় আদি রূপের অভয় আশ্রম।এখানে প্রবেশের সাথে সাথে একটু অন্যমনস্ক ধীর গতি অবলম্বন হয়ে যায় । চারিদিকে শুধু সবুজ বিস্তার পাখির ডাক মনোজ প্রাণীর শব্দ , ঝিরির পানির সৌন্দর্য , নির্জনতার অদ্ভুত প্রকৃতির শান্তি ,সব মিলিয়ে সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি।

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য তিন ধরনের বনাঞ্চল রয়েছে চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

পর্ন মোচী বন

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য অন্যতম এমন বন বা বৃক্ষ সংগঠন কে বোঝায় । যেখানে অনেক গাছ গাছালি বছরের একবার পাতা ঝরিয়ে ফেলে। যা বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় আবার নতুন ঋতুতে নতুন পাতা ও শাখা গজিয়ে এর পরিবর্তন ঘটায় যারা ঋতু বদলের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয় । এর মানে হল নির্দিষ্ট কোন এক পর্যটন কেন্দ্রকে বুঝানো হয়নি বরং এক ধরনের বন বা গাছ গাছালিকে বুঝানো হয়েছে ।

আরো পড়ুনঃলাসুবন গিরিখাত ভিন্ন জাগতিক পর্যটন কেন্দ্র শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ গাইড

শুষ্ক পূর্ণমোচি বন

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য শুষ্ক পূর্ণমোচীবন বলতে এমন বনকে বোঝানো হয়েছে। যেখানে গাছপালা গুলো শুধুমাত্র শুষ্ক মৌসুমে শীতের শেষে গরমের শুরুতে পাতা ঝরায়।প্রধান কারণ হলো আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় পাতা বাঁচে না।মৌসুম অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নেয়। পূর্ণ মচিবনের প্রধান বৃক্ষ হল সাল পলাশ সেগুন হর্তকি আমলকি জারুল কুসুম পিত্রাজ  গামার অশ্বগন্ধা ও বটগাছ এছাড়াও এই বনে থাকে বানর বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিয়াল কাঠবিড়ালি মৌমাছি সাপ টিকটিকি আগে বাঘ হরিণ ও শুকুর দেখা যেত বর্তমানে সংখ্যা কমে গেছে।

আদ্র উপদ্বিপয় শালবন

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আদ্র উপদ্বীপ ও শালবন । যা বাংলাদেশের উষ্ণ জলবায়ুর এক বিস্ময় সৃষ্টি । যেখানে গাছপালা অধিপত্য বিস্তার করে  গড়ে উঠেছে  ঘন সবুজের মহারাজ্য । আদ্র আবহাওয়ার কারণে এখানে বেশিরভাগ সময় ঘন সবুজপাতা ছায়া দেখা যায় ।এখানে ভেজা পরিবেশে জন্ম নেয় শালবনের বানান রূপের বাহার। খরগোশ বিড়াল বিজি শিয়াল বানর দোয়েল শালিক কাঠঠোকরা টিকটিকি বিভিন্ন প্রজাতির সাপ মৌমাছি প্রজাপতি ঝিঝি পোকা দেখা মিলে।

এছাড়া এখানে ট্যুরিজম ইকো পার্ক আছে সৌন্দর্য ও নন্দনীয় ভাবে তৈরি করা নিচে এর বিস্তারিত তুলে হলো

ইকো ট্যুরিজম ভ্রমণ

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আর্দ্র উপদ্বিপ সালবনে ইকো ট্যুরিজমে ভ্রমণের জন্য অসাধারণ দৃশ্য পট তৈরি করা হয়েছে নিচে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি ট্যুরিজম আছে।

নিরব বন পথ 

শান্ত নিরব পরিবেশে বনের মধ্যে হেঁটে চলার মজায় আলাদা যেখানে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যকে উদারভাবে ফুটিয়ে তুলে ।

ঘনপাতার ছায়া

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আর্দ্র উপদ্বীপীয় সালবনে রয়েছে ঘন পাতার ছায়া সেখানে দাঁড়ালে আপনার শরীরে রোদের প্রবেশ করবে না ।

বন্যপ্রাণী দর্শন

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ইকোপার্কে বন্যপ্রাণী সরাসরি স্বচক্ষে দর্শন করার সক্ষমতা রাখে তাই নিজেকে সবসময় সাবধানতার সাথে টেইল করতে হবে ।

আরো পড়ুনঃরাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

প্রকৃতির ফটোগ্রাফি

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ট্যুরিজম ইকোপার্কে ড্রোন কিংবা মোবাইলের ক্যামেরা দ্বারা আপনার স্মৃতিময় কিছু সময়কে প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে আপন করে ক্যামেরাবন্দি করতে পারবেন এমন দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ। 

অভয়ারণ্য ভ্রমণের উপযুক্ত সময় কখন

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ইকো ট্যুরিজম ভ্রমণের সঠিক সময় হল । "নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি" মাস এই সময় আবহাওয়ার শীতল শুষ্ক হয় বনাঞ্চল হাটার উপযুক্ত সময় । বন পরিচর্যা বন্যপ্রাণী ও পাখিদের দেখা মিলে এছাড়া গরমের সময় পুরো দিন রোদে ও গরমে হাঁটা খুবই কষ্টকর হয়

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য যাবেন কিভাবে 

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বান্দরবান জেলার নাইখাং ছড়ি উপজেলায় বাঁইশরী ইউনিয়নে অবস্থিত

ঢাকা থেকে কক্সবাজার অথবা বান্দরবান তারপরে নাইখাংছড়ি এরপরে বাইশারী

ঢাকা সায়দাবাদ গুলিস্থান ফকিরাপুল থেকে সরাসরি কক্সবাজার বাসে পৌঁছে যেতে পারেন বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য

বাসের ভাড়া

যে সমস্ত বাস চলাচল করে সেগুলো হল শ্যামলী হানিফ সোহাগ ইউনিক হিমাচল এসি বাসের ভাড়া ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা নন এসি বাসের ভাড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে

কক্সবাজার থেকে নাইখ্যানং ছড়ি

কক্সবাজার থেকে নাইখ্যানংছড়ি লোকাল বাসে যেতে পারবেন অথবা চান্দের গাড়ি বা নিজস্ব মাইক্রোতে পৌঁছাতে পারবেন সময় এক থেকে দুই ঘন্টা লাগবে ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে

নাইখাং ছড়ি থেকে বাইশারী

নাইখাং ছড়ি থেকে বাইশারী যেতে হলে সিএনজি টেম্পু ২৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা জন প্রতি ভাড়া দিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন অভয়ারণ্য

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কোথায় থাকবেন

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থাকার জন্য সবচাইতে ভালো অপশন হল নাইখাংছড়ি সদর এখানে কিছু উন্নত মানের হোটেল ও গেস্ট হাউস আছে চাইলে সেখানে থাকতে পারবেন এখানে রুম ভাড়া ১২০০ থেকে ২ হাজার টাকা এছাড়াও হোটেল হিল ভিউ রিসোর্ট নাইখাংছড়ি তে রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা এখানে রয়েছে প্রকৃতির ভিউ

আরো পড়ুনঃডাউনহিল ভিউ পয়েন্ট বগালেক ভয়ংকরভাবে সুন্দর বান্দরবান যাওয়ার উপায়

তাছাড়া আপনি হোটেল আলী কদম রেস্ট হাউস থাকতে পারেন ১০০০ থেকে ১৮০০ টাকার ভিতরে রুম পাবেন বান্দরবান শহরে থাকতে পারেন

 হোটেল হিল ভিউ

হোটেল গ্রিনল্যান্ড

রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে হবে

নাইখাংছড়ি কোথায় খাবেন

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য তেমন খাবারের ব্যবস্থা নেই এজন্য নাইখাংছড়ি সদরে খেয়ে নিতে পারেন এখানে ভালো মানের দেশীয় খাবার পাওয়া যায় নিচে খাবারের তালিকা তুলে ধরা হলো

ভাত

দেশি মুরগি

পাহাড়ি সবজি

শুটকি ভর্তা

ডাল ডিম মাছ মাংস গ্রিল তন্দুরি চিকেন তাজা  মাছের ঝোল ।

নাইখাংছড়ি অভয়ারণ্য কক্সবাজার ভ্রমণে সঙ্গে যা যা নিবেন

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ভ্রমণের সময় সঙ্গে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে অবশ্যই জরুরি কি কি জিনিসপত্র সঙ্গে দিবেন তার একটি তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো

এন আইডি কার্ডের ফটোকপি

টেকিং এর জুতা

এক থেকে দেড় লিটার পানি

শুকনো খাবার

মোবাইলের পাওয়ার ব্যাংক

রেনকোট বা ছাতা

সানস্ক্রিন ক্রিম

টস লাইট

নগদ টাকা 

রবি সিম ইত্যাদি

আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সমূহ

বাইশারী ব্যাংকডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ভ্রমণের সাথে সাথে আশেপাশের কিছু দর্শনীয় স্থান একই খরচে ঘুরে নিতে পারেন নিচে আশেপাশের স্থানগুলো নাম জেনে নেওয়া যাক

মাইত্রি ঝরনা, ঝর্ণাটি ছোট হলেও খুবই আকর্ষণীয়

আলীকদম ডিম পাহাড় বিখ্যাত ঝিকঝাক মহাসড়ক

মায়াংন্তং ভিউ পয়েন্ট এটা নাইখাংছড়ির অন্যতম আকর্ষণীয় ভিউ

মারাই পর্বত টেকিং এর দারুণ স্থান

আরো পড়ুনঃচেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ  ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন 

বাইশারী নদী স্বচ্ছ পানির নদ

আলীর গুহা ।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে  ধরেছি । কিভাবে যাবেন, কি কি দেখবেন,  কি কি খাবেন ,সমস্ত কিছু বর্ণনা করা হয়েছে ।যদি এরপরও আপনাদের কোন কিছু জানার প্রয়োজন হয়।  তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন । আমরা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক তথ্যের মাধ্যমে উত্তর দিয়ে উপকৃত হব।

বাইশারী ব্যাংডোপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনাদের বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করে দিবেন।  এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পেতে একটি ফলো দিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন । আপনার শারীরিক সুস্থতার শুভ কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি।