রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

ডাউনহিল ভিউ পয়েন্ট বগালেক ভয়ংকরভাবে সুন্দর বান্দরবান যাওয়ার উপায়প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের আর্টিকেলে রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে,প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন ।

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি যা রাঙ্গামাটি জেলার লুকানো স্বর্গ নির্জন প্রকৃতির কোলে  পার্বত্যের গায়ে মেঘর ছায়ার আবরণ  পাহাড় ও সবুজ শ্যামলে ভরা রাজস্থলীর অপার সৌন্দর্য সূচনা।

পেজ সূচিপত্রঃ রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি
• রাজস্থলী নামকরণের কারণ সমূহ
• রাজস্থলীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যা যা দেখবেন
• কখন রাজস্থলী ভ্রমণের সেরা সময়
• রাজস্থলী যাওয়ার উপায়
• রাজস্থলীতে কোথায় থাকবেন
• রাজস্থলীতে কি খাবেন
• রাজস্থালী ভ্রমণে জনপ্রতিক খরচ কত পড়বে
• রাজস্থলীর আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সমূহ
• আমাদের শেষ কথা

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি জেলা দক্ষিণ-পূর্ব কোণে  অবস্থিত।পাহাড়ি অঞ্চলের শান্ত ও মনোরম পরিবেশের উপজেলা।এখানের সৌন্দর্য যতটা বেশি এর চাইতে পর্যটকের সংখ্যা অনেক অংশেই কম।ভিড় কম হওয়ার কারণে প্রকৃতির প্রশান্তি মিলে ঝরনা পাহাড় ঝুলন্ত সেতু সহ আদিবাসীদের সাংস্কৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবে, কাপ্তাই এর সৌন্দর্য কল্পনার বাইরে এই সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছর পর্যটকের ভিড় বেড়েই চলেছে।

রাজস্থলীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই অসাধারণ।বাঁশ বাগানের মাথা দোলানো বাতাস শান্ত নদীর কল্লোল ও পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা মেঘ পাখিদের কাকলি এ যেন  সোনায় সোহাগা সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি।  কাপ্তাইয়ের শান্ত নীল পানির ঢেউ এবং আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তার অদ্ভুত ধরনের রোমাঞ্চকর অনুভূতি। যেকোনো দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে রাজস্থলীর আয়তন হলো ১৪৫.০৪ বর্গ কিলোমিটার।অন্যান্য উপজেলার চাইতে ছোট কিন্তু এই রাজস্থলীতে সৌন্দর্য সম্পূর্ণটাই উপভোগ করে শেষ করতে পারবে না ।

রাজস্থলী নামকরণের কারণ সমূহ

রাজস্থানের শব্দটি দুইটি শব্দ থেকে এসেছে। রাজ শব্দের অর্থ রাজার আবাসভূমি, স্থল শব্দের অর্থ আসন ঐতিহাসিকদের মতে পাহাড়িয়া আদিবাসীরা তাদের প্রধান কে এই স্থানে অফিসিয়ালি ভাবে বসবাসের জন্য নির্ধারিত করে ,এ কারণে এই জায়গার নামকরণ করা হয় রাজস্থলী ।

মোটকথা হলো "রাজাদের বসবাসের পাহাড়ি আবাস স্থল"

রাজস্থলীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যা যা দেখবেন

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি ।এখানে শান্ত নিরব পরিবেশ ও ঘন সবুজ বন সাথে পাহাড়ি কাপ্তাই লেক, চাকমাদের জীবনযাত্রা,মেঘের চলাচল,সবমিলিয়ে অসাধারণ এক দৃশ্য। চলুন নিচে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কাপ্তাইয়ের ভিউ পয়েন্ট

রাজস্থলী অন্যতম প্রাকৃতিক সুন্দর্য কাপ্তাইয়ের ভিউ পয়েন্ট নীল জলরাশি দ্বারা বেষ্টিত। এই লেকের মধ্যে মধ্যে  প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ের সারিবদ্ধতা তৈরি করা আছে। মেঘের চলাচল নীল জলরাশির সঙ্গে মিশে ক্ষণিক সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হয়ে যায়।রাজস্থলী থেকে এই সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এর সাথে   সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সৌন্দর্য তো আছেই ,সব মিলিয়ে অসাধারণ সৌন্দর্যের লীলাভূমি তৈরি হয় ।

আরো পড়ুনঃচেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ  ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন 

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের অন্যতম সৌন্দর্যের নিদর্শন। পাহাড়ি রোড রাস্তার দুই পাশে সবুজ পাহাড়ের বনভূমি, উপর নেমে আসা সাদা সাদা মেঘ যে কোন পর্যটক এর জন্য সেরা ভিউ পয়েন্ট  হবে। এখানে মোটরসাইকেল রাইড  নিরাপদ ঝুঁকিমুক্ত।পাহাড়ি ঢাল থেকে এর সৌন্দর্যের স্পষ্টতা দ্বিগুণভাবে  উপলব্ধি করা যায়।

বাগাইছড়ির ঝিরির দৃশ্যপট

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এরমধ্যে  অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হলো বগাইছড়ি ঝিরির দৃশ্যপট। স্বচ্ছ পানির ধারার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মাঝেমধ্যে ক্লান্ত ক্লান্ত মন পুনর্জীবিত করার জন্য, হাটু জলে পা ভিজিয়ে বসে থাকা, প্রকৃতি যেন আপনাকে সাদরে আদর গ্রহণের জন্য আহবান করছে। এমন সৌন্দর্য আরামদায়ক ভ্রমণ নীল রাশিতে প্রতিচ্ছবি পরিষ্কারভাবে আয়নার মতো দেখতে পাওয়া যায়। বর্ষার সময় পানি আরো সুন্দর দেখায়, যার সৌন্দর্য  মনোমুগ্ধ করতে বাধ্য করবে।

চাকমা-মারমাদের সাংস্কৃতিক জীবন বৈচিত্র

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির নিদর্শন হলো চাকমা এবং মারমাদের সাংস্কৃতিক জীবন বৈচিত্র্য। সৌন্দর্য তাদের পোশাকে তাদের ঘরবাড়িতে এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের,শিল্প তো আছেই,কাঠ বাঁশের তৈরি করা উঁচু টং বা মাচান ঘর অসাধারণ নকশায় তৈরি করা হয়, দেখলে যে কারো মনকে আকৃষ্ট করে।ঐতিহ্যবাহী খাবার বাঁশের গোড়া অসাধারণ রান্না স্বাদ সাথে বুনো দেশি মুরগি বারবিকিউ হস্তশিল্পের  সৌন্দর্য রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গৌরবের অহংকার।

ঝুলন্ত সেতুর ভিউ

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ঝুলন্ত সেতুর ভিউ পয়েন্ট এর উপরে রয়েছে ছোট্ট একটি সুন্দর নকশা করা ব্রিজ দেখলেই মন জুড়িয়ে যায় এর উপরে ছবি তোলার জন্য হাজারো পর্যটকের ভিড় জমে যেখানে শুধুমাত্র কিছু সময় অপেক্ষার মাধ্যমে ছবি তোলা সম্ভব হয় চারিদিকে সবুজ পাহাড় নিচে  নীল জলরাশি আকাশে সাদা মেঘ রংবেরঙের পাখি উড়ে যাচ্ছে এজন্য এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।

রাজস্থলীর ঘন বনভূমির সৌন্দর্য

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি যাকে আরো দ্বিগুণভাবে সৌন্দর্যে দ্বারা আবৃত্ত করেছে ঘন বনভূমি প্রাকৃতিক বনের ভিতরে শান্তনির জন পরিবেশে হেঁটে চলা অসাধারণ রকমের সুন্দর অনুভূতি এর মাঝেমধ্যে পাখির ডাক যা ফটো শুটের জন্য অসাধারণ সৌন্দর্যের স্পট সবুজ বনভূমির শীতল বাতাসের অনুভূতি শরীরে যেন ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে যায়।

আরো পড়ুনঃমোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র দেশের একমাত্র মিঠা পানির বিচ চাঁদপুর ভ্রমণ গাইড 

উপজাতিদের পাহাড়ি বাজার

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির অন্যতম নিদর্শন উপজাতিদের পাহাড়ি বাজারের দৃশ্য। রাজস্থলী বাজারের সরলতা অনুভব করতে পারবেন।ফল বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র পাহাড়ি মুরগির হাট ও বিভিন্ন রকমের শাকসবজি যা একেবারে নির্ভেজাল,তাদের হাসি খুশি মুখ সব মিলিয়ে অসাধারণ সৌন্দর্যের ভালবাসার রং এঁকে দেয়।

কখন রাজস্থলী ভ্রমণের সেরা সময় 

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি উপভোগের সেরা সময় নির্ধারণ করা হয়"অক্টোবর থেকে মার্চ" মাস।এ সময় পাহাড় পরিষ্কার থাকে আকাশ থাকে নীল, আবহাওয়া থাকে ঠান্ডা ও শুষ্ক,যা প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।অন্যান্য সময় যেমন বর্ষাকালে গেলে রাস্তাঘাট থেকে ঝুঁকিপূর্ণ আবহাওয়া অনেক সময় খারাপ থাকে আবার অনেক সময় ভালো হয়।তাই সঠিক ও সেরা সময় হল শীত মৌসুম।

রাজস্থলী যাওয়ার উপায়

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রাঙ্গামাটি আসতে হবে।আসার জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।চলুন কি কি ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে, নিচের জেনে নেওয়া যাক।

রাঙ্গামাটিতে আসতে হলে সরাসরি ঢাকা থেকে বাসে চড়ে নিতে হবে ।এখানে দুই রকমের বাস পাবেন এসি এবং নন এসি ও ভাই বাস পাবেন যে সমস্ত বাসগুলো চলাচল করে সেগুলো হল

এ আলম পরিবহন

হানিফ এন্টারপ্রাইজ

শ্যামলী পরিবহন

ইউনিক সার্ভিস

ডলফিন

এই বাসগুলো ঢাকা থেকে সরাসরি রাঙামাটি এসে পৌঁছায় নাগা সায়দাবাদ ফকিরাপুল কমলাপুর ও কল্যানপুর থেকে সরাসরি রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ে

বাসের ভাড়া নন এসি ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা

যাত্রার সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা

প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত এই রুটে বাস পাওয়া যায়

রাঙ্গামাটি থেকে রাজস্থলী

রাঙ্গামাটিতে নেমে নাস্তা ছেড়ে সকালেই উঠে পড়েন লোকাল বাসে এখানে রাজারহাট বা রাইখালী রুটে রাজস্থলী যেতে পারবেন ছাড়াও আপনি জিপ গাড়িতে যেতে পারেন ।

জন প্রতি ভাড়া ৮০ থেকে ১২০ টাকা।

সময় লাগবে মোটামুটি দুই ঘণ্টার মতো পাহাড়ি রাস্তা হওয়ার কারণে সময় বেশি লাগে।

এছাড়া আপনি চাইলে যেতে পারেন ৮০ টাকা থেকে দেড়শ টাকার মধ্যে দুই ঘন্টার সময় নিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন রাজস্থলী।

রাজস্থলীতে কোথায় থাকবেন

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি উপভোগ করার জন্য রাজস্থলী উপজেলায় থাকার কোন হোটেল নেই এখানে রয়েছে নিরাপদ গেস্ট হাউস ও কটেজ স্থানীয় লজ ।

রাজস্থলী গেস্ট হাউস উপজেলা কমপ্লেক্স আপনি চাইলে এখানে থাকতে পারেন পরিবার পরিজন নিয়েও থাকা যাবে ।

ভাড়া পড়বে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকার মত ।

স্থানীয় লজ বা ছোট হোটেলে থাকার জন্য বাজেট ভ্রমণকারীদের ভালো এখানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা মধ্যে ভালো মানের লজ পাবেন।এছাড়াও আপনি রোড সংলগ্ন হোমেস্ট পাবেন সেখানে চাইলে থাকতে পারেন।এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ জন প্রতি ভাড়া পড়বে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।

রাজস্থলীতে কি খাবেন

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি উপভোগ করার জন্য খাবারের প্রয়োজন। আপনি চাইলে খেতে পারেন, ব্যাম্বো চিকেন বাসের মধ্যে রান্না করা মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ি।এছাড়াও শুকনো মরিচের ভর্তা, পাহাড়ি আলুর ভর্তা,শাকসবজি সহজ চিংড়ি মাছের মিক্স ইত্যাদি খেতে পারেন।সাধারণভাবে খেলে ডাল ভাত মাছ মাংস মুরগি চা নাস্তা ইত্যাদি খেতে পারবেন।

রাজস্থালী ভ্রমণে জনপ্রতিক খরচ কত পড়বে

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি উপভোগ করার জন্য খরচের দিকটা মাথায় রাখতে হবে।ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি বাসের ভাড়া ৭০০+৭০০ =১৪০০ টাকা রাঙ্গামাটি থেকে রাজস্থানে যাওয়া আস ৩০০ টাকা রুম ভাড়া থাকা মাঝারি  মানের খরচ পড়বে ৮০০ টাকা।

আরো পড়ুনঃশিলাবান্ধা ঝর্না রোয়াংছড়ির রত্ন বান্দরবান ভ্রমণ গাইড  ও খরচ সম্পর্কে জানুন

সকালের খাবার ৮০ টাকা, দুপুরের খাবার দেড়শ টাকা থেকে ২০০ টাকা,এবং রাত্রে খাবার দেড়শ থেকে ২০০ টাকা, দুই দিন ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি ৯০০ টাকা পড়বে, লোকাল ঘোরাঘুরির খরচ পড়বে মোটামুটি ৪০০ টাকার মত,অতিরিক্ত খরচ আরো ২০০ টাকা,মোট জনপ্রতি খরচ পড়বে ৪ হাজার টাকা ,গ্রুপে গেলে খরচ আরো কমে যাবে।

রাজস্থলীর আশেপাশে দর্শনীয় স্থান সমূহ

রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি উপভোগ করার সাথে সাথে একই খরচে অন্যান্য ধর্ষণীয় স্থানগুলো দেখে নিতে পারেন এর জন্য বাড়তি খরচ সেই ভাবে লাগবে না চলুন আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো কি কি রয়েছে এক নজরে দেখে নেয়া যাক।

কাপ্তাই লেকের ভিউ পয়েন্ট সত্যিই অসাধারণ এই লেকের নীল স্বচ্ছ পানির লেক যে কারো মনকে আকৃষ্ট করে সাথে রয়েছে পাহাড়ের সারিবদ্ধতা ও মেঘের খেলা।

বগাইছড়ির ঝরনা অপূর্ব সুন্দর এই ঝর্ণাটি  ট্র্যাকিং  এর জন্য খুবই ভালো বর্ষায় এর প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে।

ঝুলন্ত সেতু লোকাল ছোট্ট ব্রিজ যা শুধুমাত্র ছবি তোলার ও পাহাড়ি দৃশ্য দেখার জন্য ব্যবহৃত ।

পাহাড়ের আঁকাবাঁকা সড়কের পয়েন্ট যত স্থলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সৌন্দর্য হলো এটা।

বনের নিরব টেইল সত্যিই অসাধারণ দৃশ্য জঙ্গলের শান্ত পরিবেশ পাখির ডাক প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান হিসেবে গণ্য করা হয়।

রাজস্থলী বাজার আদিবাসীদের জীবনযাত্রার মান তাদের আর্থিক আয় কিভাবে উপার্জন হয় সম্পূর্ণটাই উপভোগ করতে পারেন এ বাজার থেকে।

আরো পড়ুনঃবিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি শ্রীমঙ্গল যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

চাকমা রাজাদের পুরনো বাসস্থান রাজস্থানের নামকরণের সাথে যুক্ত রয়েছে এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

আমাদের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে রাজস্থলী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।আশা করছি বুঝতে পেরেছেন,এরপরও যারা  সমস্যার সম্মুখীন হবেন,তারা আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন আমরা পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত হব।

আর হ্যাঁ, আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনের নিকট বেশি বেশি শেয়ার করে দিবেন।কারণ তথ্যবহুল আর্টিকেল আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করে থাকি। প্রতিদিন এই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন এবং ফলো দিয়ে রাখবেন যাতে করে নতুন আর্টিকেলগুলো সহজে পেয়ে যেতে পারেন।এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।