চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

শিলাবান্ধা ঝর্না রোয়াংছড়ির রত্ন বান্দরবান ভ্রমণ গাইড  ও খরচ সম্পর্কে জানুন আপনি কি? চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ও ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের পোস্টটি জন্য প্রযোজ্য, তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে পারেন।

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ মূল কারণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ হল। নীল জলরাশি ও ঘন সবুজ প্রাকৃতিক গহীনে বনভূমির  নিস্তব্ধতা।

পেজ সূচিপত্রঃচেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ও ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ
• চেয়ারম্যান লেক এর নামকরণের কারণ
• চেয়ারম্যান লেক যা যা দেখবেন
• চেয়ারম্যান লেক কখন যাওয়ার উপযুক্ত সময় 
• চেয়ারম্যান লেক কিভাবে যাবেন
• চেয়ারম্যান লেকে গিয়ে কোথায় থাকবেন
• চেয়ারম্যান লেকে গিয়ে কোথায় খাবেন
• চেয়ারম্যান লেকে যাওয়ার সময় সঙ্গে যা যা নিবেন
• চেয়ারম্যান লেকে নিরাপত্তা নির্দেশনা
• চেয়ারম্যান লেকের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
• আমাদের শেষ কথা

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ

চেয়ারম্যান লেক "CHAIRMAN LAKE" প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের রহস্যময় আত্মপ্রকাশ।চেয়ারম্যান লেক শান্ত নিরব পরিবেশ মন কাড়া নৈসর্গিক সৌন্দর্য। চেয়ারম্যান লেক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত ঘন সবুজ বনভূমির মধ্যে তৈরি নীল জলরাশির হৃদ যেখানে প্রকৃতিপ্রেমীরা সত্যি মুগ্ধ।চেয়ারম্যান লেক প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা ট্যাকিং এর পরে শান্ত নিরব পরিবেশে পৌঁছাতে হয়। তবে স্থানীয়দের কাছে এটি একটি পবিত্র স্থান। চেয়ারম্যান লেক  সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অপার লীলাভূমির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। যাকে এনআইসি লেক নামেও ডাকা হয়।বর্ষাকালে এই হ্রদের উপচে পড়া পানি যখন চারি পাশ দিয়ে ঝিরি হয়ে বয়ে যায় এর সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণভাবে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।এটাই হলো চেয়ারম্যান লেকের নিরব নিস্তব্ধতার সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ এর অসাধারণ কাহিনী।

চেয়ারম্যান লেক এর নামকরণের কারণ

চেয়ারম্যান লেকের নামকরণের কারণ হল এ লেকের উচ্চতা উপর ভিত্তি করে ।  চেয়ারম্যান লেক আরো একটি তথ্য পাওয়া যায় এলাকাটি নাম চেয়ারম্যান গোদা নামে পরিচিত ছিল।  সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সেটা চেয়ারম্যান লেক নামে পরিচিত লাভ করে।

যার উচ্চতা সমুদ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে১৪.৪১৮ মিটার

চেয়ারম্যান লেক যা যা দেখবেন

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশ কি কি দেখার জন্য প্রশংসিত । চলুন নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনায় জেনে নেয়া যাক ।

চেয়ারম্যান লেকের নীল পানির  স্বচ্ছতা

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশের অন্যতম দিক হলো নীল পানির অদ্ভুত স্বচ্ছতার যাচাই । এই লেকের নীল জলরাশির সৌন্দর্য গভীরভাবে আত্মপ্রকাশ পেয়েছে, আকাশ ছোঁয়া পাহাড়ের চূড়ায় সূর্যের কিরণ যখন নীল স্বচ্ছ পানির উপর পড়ে তখন পর্যটকদের হৃদয়ে চারিদিকে নিস্তব্ধতা গভীর ভাবে সাড়া যোগায়।চেয়ারম্যান লেকে  নীল আকাশ যখন স্বচ্ছ জলরাশির উপরে পড়ে তখন প্রতিচ্ছবি হিসেবে আকাশ যেন পানির নিচে নেমে এসেছে দেখা যায়, তখন এ এক অসাধারণ দৃশ্যের অনুভূতির কথা বলে যায়।

আরো পড়ুনঃবিলাসছড়া লেকের লুকানো প্রাকৃতি শ্রীমঙ্গল যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

চেয়ারম্যান লেকের স্বচ্ছ পানির বিভিন্ন রং ধারণ

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের আত্মপ্রকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশংসিত দিকটি হল।এই পানির রং বদল এই লেকের পানি কখনো নীল আবার কখনো সবুজ রং ধারণ করে থাকে।সূর্য মাথার উপরে নীল আকাশ সঙ্গে নিয়ে সৌন্দর্য ছড়ায় তখন ওই সুন্দর্য পানির নিচে প্রতিচ্ছবি হিসেবে প্রতিফলিত হয়ে থাকে। এরপরে সূর্য  ঘন জঙ্গলের নিচে আস্তে আস্তে অস্তমিত হয়, সেই সময় ঘন সবুজ রং এই পানিতে ধারণ করে।আবার সূর্যাস্তের সময় গোধূলি আভা পাহাড়ের চূড়ায় আরেকটি রক্তের রং ধারণ করে সৌন্দর্যের লীলাভূমি তৈরি করে ফেলে।

সবুজ পাহাড় এবং শান্ত পরিবেশের অনুভূতি

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায়  অন্যতম আরেকটি সৌন্দর্য সবুজ পাহাড় ও শান্ত পরিবেশের অনুভূতি।যেখানে দাঁড়ালে সত্যি পর্যটকদের মন কোথায় যেন আনন্দের গহীনে সৌন্দর্যের ভুবনে হারিয়ে যায়।স্বচ্ছ পানি পাহাড়ের চূড়ায় সবুজের অপার সৌন্দর্যের নিস্তব্ধ বনভূমি এবং শান্ত পরিবেশ সত্যিই অসাধারণ,এর সাথে বুনোফুলের সুগন্ধ চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির ডাক এ যেন এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অনুভূতি।

চেয়ারম্যান লেকের উপর দিয়ে যখন বিভিন্ন রংবেরঙের পাখিরা উড়ে বেড়ায়, তখন দ্বিগুণভাবে সৌন্দর্য আত্মপ্রকাশ ঘটে।আবার হঠাৎ এ পাখিরা যখন কোথাও চলে যায় তখন একেবারে নিস্তব্ধতায় ঢেকে যায় এই লেকটি এরকম সুমধুর সৌন্দর্য আসলে বলে বলে বোঝানো যাবে না যার সৌন্দর্য দেখলে আপনার চোখ চরক গাছের মত দাঁড়িয়ে যাবে।

চেয়ারম্যান লেকে বিশুদ্ধতার বাতাসের ছোঁয়ার অনুভূতি

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বিশুদ্ধ বাতাস এখানকার অন্যতম আনন্দের ও সুন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ।প্রকৃতি যেন বাতাসের ছোয়ায় নিস্তব্ধ সৌন্দর্যের প্রকৃতির ভালোবাসার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে যায়,চেয়ারম্যান লেকে তিন থেকে চার ঘন্টা ট্র্যাকিংয়ের পরে সুউচ্চ পাহাড়ে দাঁড়িয়ে যখন নির্মল ঠান্ডা বাতাস শরীরে লাগে তখন সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায় আর এ সময় মনে হয় সত্যিই যেন আমি এক পৃথিবীর সর্গ রাজ্যে সৌন্দর্য অনুভূতি উপভোগ করছি।

চেয়ারম্যান লেক ফটোশুটের স্পট

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্য আত্মপ্রকাশ করে থাকে ক্যামেরা বন্দী করে সচ্ছল নীল জলরাশি শান্ত ও নিস্তব্ধ প্রকৃতির বহিঃপ্রকাশ যা ফটোগ্রাফিদের জন্য সেরা স্থান হিসেবে গণ্য করা হয়।যেখানে ফ্যামিলি সহ ভ্রমণ করার মাধ্যমে ক্যামেরা বন্দী করে সারা জীবন জন্য মনে রাখার মত।এর  জন্য চেয়ারম্যান লেক হল সেরা পর্যটন কেন্দ্র। দর্শনার্থীদের ছবি এবং ভিডিও করার জন্য সবচাইতে সেরা স্থান হতে পারে এই পর্যটন কেন্দ্রটি।

চেয়ারম্যান লেক কখন যাওয়ার উপযুক্ত সময় 

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে "অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাস" পর্যন্ত।এসময় আবহাওয়া ঠান্ডা ও শুষ্ক থাকে টেকিং এর জন্য সেরা সময় হবে।সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার আবহাওয়া নিতে পারবেন।এছাড়াও আপনি চাইলে বর্ষা মৌসুমে যেতে পারেন তবে অনেক ঝুঁকি আছে।কিন্তু এই লেকের চতুর্পাশের ঝর্ণার যে সৌন্দর্য সেটা উপভোগ করতে পারবেন এ সময়।আমরা এ সময় না যাওয়াটাই সাজেস্ট করি।

চেয়ারম্যান লেক কিভাবে যাবেন

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের উপভোগ করার জন্য একটি সঠিক সময় নির্ধারণ করা হয় সে সময়ে কিভাবে চেয়ারম্যান লেকে পৌঁছাবেন এই বিষয়ে চলুন নিচে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যায়

বান্দরবান আজিজ নগর নেমে সরাসরি লামায় আসতে হবে এখান থেকে রুমা বাজার রুমা বাজার থেকে বগালেক বগালেকের পরে পেয়ে যাবেন চেয়ারম্যান লেক কিভাবে আসবেন তার বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো

ঢাকা থেকে সরাসরি বাসযোগে বান্দরবানে পৌঁছাবেন এখান থেকে চলে যাবেন এই রুটে অনেকগুলো বাস নিয়মিত ভাবে চলাচল করে থাকে যেমন

হানিফ এক্সপ্রেস

শ্যামলী এক্সপ্রেস

সাউদিয়া পরিবহন

এস আলম পরিবহন

আরো পড়ুনঃমেলখুম ট্রেইল বুনো প্রকৃতির সৌন্দর্য চট্টগ্রাম যাওয়ার সম্পূর্ণ ভ্রমণ গাইড 

ইউনিক পরিবহন এগুলো বাসের মধ্যে যে কোন একটি বাসে আপনি সরাসরি ঢাকা থেকে বান্দরবানে পৌঁছাতে পারবেন

নন এসি বাসের ভাড়া নিবে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ৯০০ থেকে ১২০০টাকা পর্যন্ত হতে পারে

বান্দরবান থেকে চাঁদের গাড়িতে পৌঁছাতে পারবেন থানচির রুমা বাজার আট থেকে দশ জনের একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে সরাসরি রুমা বাজার পৌঁছানো যায় এক্ষেত্রে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

গাড়ির ভাড়া মোট ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

রুমা বাজার থেকে বগা লেক একই গাড়িতে যাওয়া যায় এখানে এসে আপনি রাতে থাকতে পারেন ।

বগালেক থেকে তিন থেকে চার ঘন্টা ট্রাকিং এর পরে পাবেন চেয়ারম্যান লেক যা পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অনেক দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে আপনাকে এই লেকে পৌঁছাতে হবে।

চেয়ারম্যান লেকে গিয়ে কোথায় থাকবেন

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্য উপভোগ করার ক্ষেত্রে থাকার জন্য আপনাকে দুটি জায়গা পছন্দ করতে হবে একটি হলো

রুমা বাজার  অপরটি বগা লেক যেখান থেকে সকালে টেকিং শুরু করা হয় এছাড়া চেয়ারম্যান লেখে কোন থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা নেই তাই রুমা বাজার না হয় বগা লেকে থাকতে হবে ।

থাকার জন্য জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে,তবে বগা লেকে ভাড়া বেশি হতে পারে

এছাড়াও আপনি চাইলে মারমাদের গেস্ট হাউসে বা হোমমেস্টএ থাকতে পারেন ।

চেয়ারম্যান লেকে গিয়ে কোথায় খাবেন

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের অনুভূতি হৃদয়ে স্পর্শ করার জন্য আপনাকে খাবারের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে,কারণ আপনি দুর্বল হয়ে গেলে সঠিকভাবে চেয়ারম্যান লেকে পৌঁছাতে পারবেন না।এখানে খাবারের ব্যবস্থা দুই জায়গায় আছে এক রুমা বাজার দুই বগালেক

দুই জায়গাতেই দেশীয় খাবারের স্বাদ পাবেন খাবারের মধ্যে থাকছে

ভাত

মুরগি মাংস 

ডাল 

ডিম

শাকসবজি

সকালে পরোটা নাস্তা

মোটামুটি ভাবে খরচ পড়বে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা মতো

আরো পড়ুনঃনেভি ক্যাম্প  কাপ্তাই লেকের নীল জলরাশি ও সবুজ পাহাড়ের আকর্ষণীয় মেলবন্ধন সম্পর্কে জানুন

এছাড়াও রুমা বাজারে অতিরিক্ত খাবার হিসেবে পাবেন ভাজি ভর্তা নুডুলস চা কফি ইত্যাদি আরো শুকনো খাবার হিসেবে বিস্কুট অন্যান্য চিপসহ প্রয়োজনীয় নিরাপদ পানি

চেয়ারম্যান লেকে যাওয়ার সময় সঙ্গে যা যা নিবেন

চেয়ারম্যান লেকে যাওয়ার সময় সঙ্গে অবশ্যই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো নিতে ভুলবেন না তো চলুন কি কি জিনিস নেওয়া যায় জেনে নেয়া যাক

টেকিং এর জন্য গ্রিপের জুতা

সানগ্লাস কপি

অতিরিক্ত নিরাপদ পানি সঙ্গে রাখবেন

মোবাইলে পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখবেন

সঙ্গে নগর টাকা পয়সা রাখবেন

মোবাইলে রবি সিম ব্যবহার করবেন অন্য কোন সিমের নেটওয়ার্ক পাবে না

রেইনকোট সঙ্গে অবশ্যই রাখবেন

গাইডের কথামতো চলার চেষ্টা করবেন

ব্যাগ প্যাক হালকা রাখবেন

মনোবল ও শরীর সুস্থ থাকলে সেখানে যাবেন 

শুকনো খাবার সঙ্গে রাখবেন

চেয়ারম্যান লেকে নিরাপত্তা নির্দেশনা

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের নীলাভূমি উপভোগ করার ক্ষেত্রে কিছু নিরাপত্তা নিদর্শনা মেনে চলতে হবে চলুন নিচে সেগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক

রাত্রে একা ভ্রমণ না করা

গাইডের অনুমতি ব্যতীত একা ভ্রমন করবেন না

স্থানীয় আদিবাসীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন

যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না

টেকিং এর সময় অবশ্যই নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করবেন

বাছা মৌসুমে ও গরম মৌসুমে চেয়ারম্যান লক্ষ্যে ট্যুর করবেন না কারণে সময় এর সৌন্দর্য অনেক অংশে কমে যায়

চেয়ারম্যান লেকের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্য উপভোগ করার সাথে সাথে এর পাশাপাশি অনেকগুলো দর্শনের স্থান একই খরচে দেখে নিতে পারেন তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো রয়েছে তার নাম নিচে তুলে ধরা হলো

বগা লেক

আপনি চাইলে একই রাস্তায় এই বগালেকে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ের চূড়ায় এই লেকটি নিস্তব্ধ অনুভূতি ও নীলজল রাশির এবং সবুজ গাছ গাছালির দৃষ্টিনন্দনীয় সৌন্দর্য আপনাকে এনে দেবে প্রাকৃতিকভাবে শান্তির ছোঁয়া।

রিজুক ঝর্ণা

পাহাড়ের উপর থেকে ৩০০ ফিট নিচে পড়া ঝর্নার পানি সত্যি অসাধারণ সৌন্দর্যের অনুভূতি পাশে আছে সবুজের পরিবেশ যেটা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

নীলগিরি নীলাচল

বান্দরবানের অত্যন্ত সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি নীলগিরি নীলাচল যা চেয়ারম্যান লেক ভ্রমণের সময় দেখে নিতে পারেন আকাশছোঁয়া নীল ও সাদা মেঘ বেশি বেশি বেড়ানো সত্যি স্বর্গরাজ্যের মতোই সৌন্দর্য বহির প্রকাশ ঘটায়।

আরো পড়ুনঃ টি ভ্যালি গ্রিন রিসোর্ট কালান্দিগঞ্জ তেতুলিয়া যাওয়ার উপায় ও খরচ সম্পর্কে জানুন

বৌদ্ধ মন্দির

চেয়ারম্যান লেকের প্রাকৃতিক নিস্তব্ধতা সৌন্দর্যর বহিঃপ্রকাশ উপভোগ করার ক্ষেত্রে আপনি দেখতে পারেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সৌন্দর্যের প্রতীক বুদ্ধমন্দির যেটা বাংলাদেশের একমাত্র বৃহত্তম মন্দির হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

নাফাকুম জলপ্রপাত

চেয়ারম্যান লেকের খানেকটা দূরে নাপাকুম জলপ্রপাত পাহাড়ি জঙ্গলে ঢাকা অরণ্য বনভূমি ও ঝিরিপথ পার হয়ে যেতে হবে নাপাকুম জলপ্রপাতে  যার পরশেআপনার মনের সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, চেয়ারম্যান লেক প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ ও ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে  সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।কিভাবে যাবেন,কি কি খাবেন,কোথায় থাকবেন,,সব বিষয়ে ।এর পরে যদি আপনাদের মনে কোন রকমের প্রশ্ন থেকে থাকে,তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের উপকৃত করা হবে।

চেয়ারম্যান লেক আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে।তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় নিকট আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিবেন, আর আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখবেন।কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়তই এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। এতখন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের যাত্রা শুভ হোক।