মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় ভরপুর বান্দরবান ভ্রমণ গাইড

সীতা পাহাড় রাইখালী বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাই  পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ গাইডপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় ভরপুর বান্দরবান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে আলোচনা করব। বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ে  নিতে পারেন।

মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম উপজেলার বান্দরবান জেলার একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং ক্যাম্পিং স্পট। নদীর স্নিগ্ধতা ও পার্বত্যের প্রকৃতির মুগ্ধতা অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য আদর্শস্থান।

পেজ সূচিপত্রঃমারায়ংতং পাহাড় আলীকদম প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় ভরপুর  বান্দরবান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন।

• মারায়ংতং পাহাড় প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় ভরপুর 
• মারায়ংতং পাহাড়ে যা দেখবেন
• মারায়ংতং পাহাড় যাওয়ার সেরা সময়
• মারায়ংতং পাহাড়ে কিভাবে যাবেন
• মারায়ংতং পাহাড় ট্যুরে কোথায় থাকবেন
• মারায়ংতং পাহাড়ে গিয়ে খাবেন কোথায়
• মারায়ংতং পাহাড় ভ্রমণে সঙ্গে যা নিবেন
• মারায়ংতং পাহাড় ভ্রমণে জরুরী সতর্কতা অবলম্বন
• মারায়ংতং পাহাড়ের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
• মারায়ংতং পাহাড় সম্পর্কে সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর পর্ব
• শেষ কথা

মারায়ংতং পাহাড় প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় ভরপুর 

মারায়ংতং পাহাড়(MARAYAN DONG HILL)আলীকদম প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় ভরপুর এক অপূর্ব নিদর্শন । যা মিরিঞ্জা;রেঞ্জের অংশে অবস্থিত । পাহাড়ের মূল আকর্ষণ বুদ্ধমূর্তি  যা পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ।  নিচে প্রবাহমান মাতামুহুরী নদীর মনোরম পরিবেশ ।  নিচ থেকে উপরের দিকে উঠে যাওয়া পার্বত্য উপত্যকার সারিবদ্ধতা সঙ্গে বনায়নের ঢেউ খেলানো  প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সূর্যাস্তের রক্তিম রং এই পাহাড়ে রূপকথার দৃশ্য তৈরি করে। টিলায় ক্যাম্পিং শান্তি ও নীরবতার মেলবন্ধন।

মারায়ংতং পাহাড় সমুদ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬৫০ ফুট উচ্চতায় অন্যান্য পাহাড়ের থেকে আলাদা ভাবে প্রকৃতির নিয়মে সৃষ্টি। এই পাহাড়ে মারমা ত্রিপুরা মুরং সহ বিভিন্ন আদিবাসী বসবাস করে । তারা এই পাহাড়কে ভিন্ন নামে ডেকে থাকে, নামগুলো হল মাতাই হিল, মেরাই তংজাদি, মেথরাই থং । এই পাহাড়ে উঠতে মোট পাঁচটি টেহল পাঁচ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে  হয় । পাহাড়ে উঠে চোখে পড়বে জাদি, মানে হলো বৌদ্ধদের বুদ্ধমূর্তি পূজা।

মারায়ংতং পাহাড়ে যা দেখবেন

মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় ভরপুর বান্দরবান ভ্রমণে যা দেখবেন তার  পরিষ্কার  নিদর্শনাবলী তুলে ধরা হলো নিচে জেনে নিতে পারেন।

সাদামেঘ মেলার স্বর্গরাজ্য

মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম সাদা মেঘের স্বর্গরাজ্য ভোর বেলার পাহাড় সাদা মেঘের চাদরে ঢেকে থাকে। নিচে তাকালে মনে হয় নিজেকে মেঘের উপরে দাঁড়িয়ে রেখেছি। এই পাহাড়ের মূল আকর্ষন হচ্ছে এটি। এখান থেকে দূর প্রান্তে তাকাবেন দেখবেন শুধুই সাদা মেঘের আবরণ ।সাদা পরী আকাশ থেকে নেমে দর্শনার্থীদের সৌন্দর্য উপভোগ করার সাদরে আহ্বান জানাচ্ছে। চোখের পলকে সূর্যের কিরণ পাহাড়ের  পড়ার সাথে সাথে মেঘগুলো কোথায় যেন লুকিয়ে যায়। এ যেন প্রকৃতির সাথে মেঘের লুকোচুরি খেলার এক মনমুগ্ধকর দৃশ্য।

আরো পড়ুনঃহাড়িয়াকোনা গ্রাম শ্রীবরদি শেরপুর প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ  পল্লী

সূর্যদয় এবং সূর্যাস্তের সৌন্দর্য উপভোগ

মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম সকালের পূর্বাশা থেকে আলোর উঁকি ঝুঁকি আকাশের রং পাল্টে লাল বা স্বর্ণালী রঙ ধারণ করে এ সময় গাছের পাতায় লেগে থাকা শিশির গুলো স্বর্ণের টুকরায় রূপান্তরিত হয় যা অন্যরকম সৌন্দর্যে ছড়িয়ে দেয় সূর্যের কিরণ পাহাড়ের গায়ে আলতো ছোঁয়ায় সোনালী আভা ধারণ করে এবং সূর্যাস্তের পাহাড়ের সারি গুলো ছায়ার মত দেখায় যা ফটোগ্রাফির জন্য অসাধারণ দৃশ্যপট।

পাহাড়ি প্রকৃতির সবুজ বনায়ন 

মারায়ংতং পাহাড় আলীকদমের চতুর্পাশ ঘন জঙ্গল বিরাট পাহাড়ের  বিশাল গাছগাছালি বনফুলের সুগন্ধিতে সমস্ত বন নানান পাখির ডাক সন্ধ্যা বেলা ঝিঝিঁ পোকার ডাক পাতার ফোক ফাখোর দিয়ে কমলা রঙের রোদের ছটা নির্মল নিস্তব্ধ পরিবেশ যেন প্রশান্তের আবেগ অনুভূত হয়। শহরের দূষণ ও কোলাহল মুক্ত পরিবেশ থেকে একটু দূরে মনের ক্লান্তি ধুয়ে শান্তির স্পর্শ ছুঁয়ে দিয়ে যায়।

আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক জীবনধারা

মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক জীবনধারা অভিজ্ঞতার ভ্রমণের নতুন মাত্রা যোগ করবে  এই পাহাড় সহ আশেপাশে যেগুলো পাহাড় আছে সবগুলো পাহাড়ে মারমা বম ত্রিপুরা ও ম্রো আদিবাসী বসবাস করে ।তাদের সাংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল।ঘরবাড়ি পোশাক- খাবার সবকিছুই আলাদা ,তাদের সঙ্গে মিশে তাদের খাবার পর্যন্ত খেতে পারবেন। তাদের সরলতা ও মানবিকতা দর্শনার্থীদের বিশাল জায়গা করে নিয়েছে শুধু তাই নয় পাহাড়ি জীবনে গভীর ছাপ এঁকে দেয় । বিয়ে পূজা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানিক উৎসবের আনন্দগুলো সবার সাথে  একত্রে উপভোগ করে।

পাহাড়ের ট্রেইলের অভিজ্ঞতা

মারায়ংতং পাহাড়ে উঠতে ট্রেইলের সময় প্রকৃতির খুব নিকটবর্তী হওয়া যায় অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের এটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতার পরিচয়। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে হাঁটার সময় সবুজ বনায়ন ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করে যেতে পারবেন এক পাশে বিশাল পাহাড় অন্যপাশে নুড়ি পাথরের রাস্তার নিচ দিয়ে বয়ে গেছে নদীর প্রবাহমান ছোট্ট ছোট্ট ঢেউয়ের খেলা মাঝেমধ্যে চোখে পড়বে বিভিন্ন রংবেরঙের পাখি ও ও বানরের দেখা প্রকৃতির এই দৃশ্যগুলো আপনাকে অন্যরকম অভিজ্ঞতা এনে দিবে।

আরো দেখুনঃনাগরিয়াকান্দি গোল্ডেন স্টার পার্ক নরসিংদী ভ্রমণ গাইড 

ফটোগ্রাফির সেরা স্থান

মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম প্রকৃতির গুণে গুণান্বিত । ।ল্যান্ডস্কেপ মেঘ আর পাহাড় তার সঙ্গে মানুষও প্রকৃতির সহজ সরল মানবিকতা সব মিলিয়ে পাহাড়ের সৌন্দর্য বহু গুণে বৃদ্ধি করে । দূর পাহাড়ের সবুজের চাদর ফটোগ্রাফির জন্য একটি আদর্শ স্পর্ট ।

মারায়ংতং পাহাড় যাওয়ার সেরা সময়

মারায়ংতং পাহাড় প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতা ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে সেরা সময়  হলো শীত মৌসম ও শরৎকাল । তবে সুন্দর্য ধারণের জন্য মৌসুম ভেদে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে । "অক্টোবর থেকে মার্চ মাস" মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম ভ্রমণ আদর্শ সময় । এসময় আবহাওয়া পরিষ্কার থাকে , ভোরের মেঘের সাগর উপভোগ করা যায় , আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে  , সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত সুন্দর উপভোগ করা যায়।দর্শনার্থীদের ফটোগ্রাফির জন্য পারফেক্ট সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি খুব জনপ্রিয় আদর্শের সময় ।

মারায়ংতং পাহাড়ে কিভাবে যাবেন

মারায়ংতং পাহাড়  আলীকদমের পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত । বান্দরবান জেলা যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে যাত্রা করে, আলীকদম ট্রেইল এরপরে মারায়ংতং পাহাড় , তার জন্য একটি সহজ-সরল রোড ম্যাপ তৈরি করা হলো । নিচে জেনে নিতে পারেন ।

ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার জন্য সরাসরি বাস সার্ভিস চালু আছে । যে বাসগুলো নিয়মিতভাবে চলাচল করে, তার একটি তালিকা তুলে ধরলাম ।

বাসের নাম

শ্যামলী পরিবহন

এস আলম পরিবহন

হানিফ এন্টারপ্রাইজ

সৌদিয়া পরিবহন

সেন্টমার্টিন পরিবহন

ডলফিন পরিবহন

এনা পরিবহন

ইউনিক পরিবহন

এ বাস গুলি নিয়মিতভাবে ঢাকা গুলিস্তান সাইদাবাদ ও ফকিরাপুল থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে  ছেড়ে যায়

ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সময় লাগে 

নন এসি বাসের ভাড়া ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ১৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে

বান্দরবান থেকে আলীকদম যেতে হলে লোকাল বাস কিংবা চাঁদের গাড়ি অথবা জিপ শেয়ার করে যেতে পারেন

বান্দরবান থেকে আলীকদম যেতে  সময় লাগবে আড়াই ঘন্টা থেকে তিন ঘন্টা

ভাড়া নিবে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং লোকাল বাসের ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ।

আলীকদম থেকে মারায়ংতং পাহাড়

মারায়ংতং পাহাড় পৌঁছাতে হলে আলীকদমে একটি অ্যাডভেঞ্চার অংশ বা ট্রেইল করতে হবে। আলীকদম শহর থেকে মোটরসাইকেলে অথবা চাঁদের গাড়িতে চল্লিশ থেকে ৪৫ মিনিট সময় নিয়ে মোটরসাইকেলে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা রিটার্ন আসা যাওয়ায় নিবে।  এক ঘন্টা সময় লাগবে হেঁটে পৌঁছে যাবেন মারায়ংতং পাহাড়।

মারায়ংতং পাহাড় ট্যুরে কোথায় থাকবেন

মারায়ংতং পাহাড়ে বড় কোন হোটেলের ব্যবস্থা নেই তাই আপনি চাইলে আলীকদম শহরে অথবা বান্দরবান সদরে অবস্থান করতে পারেন 

আলীকদমে থাকার সবচেয়ে ভালো কয়েকটি আবাসিক হোটেল নাম উল্লেখ করা হলো

স্থানীয় গেস্ট হাউস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এছাড়াও উপজেলা গেস্ট হাউস অনুমতি লাগবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে হোমেস্টে থাকতে পারেন।

এখান থেকে ভোরের স্নিগ্ধতায় পৌঁছে যেতে পারেন মারায়ংতং পাহাড় ।

যেতে সময় কম লাগবে ও খরচ কম হবে, স্থানীয় গাইড সহজে পেয়ে যাবেন ।

ভাড়া আনুমানিক ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা নিতে পারে রুমের প্রকারভেদে।

বান্দরবানে থাকার ব্যবস্থায় মধ্যে কয়েকটি উন্নত মানের ও মাঝারি মানের হোটেল রয়েছে

হোটেল হিলভিউ

হোটেল গ্রিনল্যান্ড

হোটেল মেঘলা

১৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা রুম ভাড়া

আরো পড়ুনঃ মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবানের অপূর্ব সৌন্দর্য লীলাভূমি ভ্রমণ গাইড

বান্দরবান থেকে সকালে রওনা দিতে হবে আলীকদমে

এছাড়াও আপনি চাইলে ক্যাম্পিনের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে থাকতে পারেন।

মারায়ংতং পাহাড়ে গিয়ে খাবেন কোথায়

মারায়ংতং পাহাড়ে গিয়ে খাওয়ার জন্য আলীকদম শহরে খেতে পারেন

এখানে ভালো মানের রেস্টুরেন্ট পাবেন

খাবারের মধ্যে থাকছে

ভাত ডাল সবজি

দেশি মুরগি

পাহাড়ি শাকসবজি

ডিম ভাজি

আলু ভর্তা

দেশি মাছের ঝোল

১০০ থেকে দেড়শ টাকার মধ্যে খাওয়া হয়ে যাবে

এছাড়াও আপনি বান্দরবান শহরের খেতে পারেন আবাসিক হোটেলে রেস্টুরেন্ট খাবারের ব্যবস্থা আছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা নিবে ভালো মানের উন্নত খাবার পাবেন ।

তাছাড়াও হোমেস্টে খেতে পারেন দেড়শ থেকে ২০০ টাকা নেবে।

মারায়ংতং পাহাড় ভ্রমণে সঙ্গে যা নিবেন

মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় ভরা বান্দরবান ভ্রমণে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে হবে । যেমন

হালকা জামাকাপড়

ভোরের ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে রক্ষার জন্য জ্যাকেট কিংবা হুডি

টুপি

সানগ্লাস

তোয়ালে

ট্রেকিং এর জন্য গ্রিপের জুতা

প্রয়োজনীয় মেডিসিন

মশা নিরোধক স্প্রে

সানস্ক্রিন

হালকা শুকনো খাবার

নিরাপদ পানির বোতল

মোবাইলের পাওয়ার ব্যাংক

টস লাইট

ক্যামেরা

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

নগদ টাকা

ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ ।

মারায়ংতং পাহাড় ভ্রমণে জরুরী সতর্কতা অবলম্বন

মারায়ংতং পাহাড় যাওয়ার জন্য কিছু জরুরী সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক যেমন

স্থানীয় গাইড ছাড়া যাবেন না

বর্ষাকালে গেলে জীবনের ঝুঁকি বাড়ে

সঠিক পোশাক ব্যবহার করবেন

নেটওয়ার্ক যোগাযোগ দুর্বল তাই রবি সিম সঙ্গে রাখবেন

সূর্যাস্তের আগে পাহাড় থেকে নেমে যাবেন

যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না

স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন

অপরিচিতদের কাছে ফল বা অন্য কিছু খাবেন না

ঝোপঝাড়ে হাত দেবেন না ।

মারায়ংতং পাহাড়ের আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

মারায়ংতং পাহাড় ভ্রমণের সময় আশেপাশে কিছু দর্শনীয় স্থান আছে ভ্রমণ আরো সৌন্দর্য করতে এই স্থানগুলো দেখে নিতে পারেন

আলীকদম

মারায়ংতং পাহাড়ের গেট বলা হয় পাহাড় নদী আদিবাসীদের জীবন উপভোগ করা যায় ।

নীলগিরি

বান্দরবানের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মেঘ পাহাড় সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অসাধারণ দৃশ্য ।

চিম্বুক পাহাড়

পাহাড়ের চূড়া থেকে চারি পাশের বিস্তীর্ণ দৃশ্য আদিবাসীদের বাজার ফলের দোকান ঠান্ডা আবহাওয়া কুয়াশার পরিবেশ ।

নাফাকুম ঝর্ণা

বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দরতম ঝর্ণা মধ্যে এটি একটি বর্ষার সময় রূপবতী হয়ে ওঠে নৌকা ভ্রমণ ও পাথরের প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

পাহাড়ি আদিবাসী পাড়া

চাকমা মারমা বম সম্প্রদায় জাতি গোষ্ঠী বসবাস করে তাদের ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী জীবনধারাও সাংস্কৃতি উপভোগ করতে পারবেন।

মারায়ংতং পাহাড় সম্পর্কে সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর পর্ব

মারায়ংতং পাহাড় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর পর্ব তৈরি করা হয়েছে যা দর্শনার্থীদের জন্য খুবই উপকারী আগে জেনে রাখলে যাত্রা নিরাপদ হবে

প্রশ্নঃমারায়ংতং পাহাড় কোথায় অবস্থিত

উত্তরঃ বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত

প্রশ্নঃ ভ্রমণের সেরা সময় কখন

উত্তরঃ অক্টোবর থেকে মার্চ মাস

প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে কিভাবে যাওয়া যায়

উত্তরঃ বাসযোগে বান্দরবান পর্যন্ত এরপরে মোটরসাইকেলে আলী কদম পর্যন্ত তারপরে হেঁটে যেতে হবে

প্রশ্নঃ এক দিনে কি যাওয়া আসা সম্ভব

উত্তরঃ হ্যাঁ সম্ভব তবে দুই অথবা তিন দিন থাকলে পুরো অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়

প্রশ্নঃ কখন বফটোশুটের জন্য ভালো

উত্তরঃ সকালবেলা এবং বিকেল বেলা ফটোশুটের জন্য ভালো সময়

প্রশ্নঃ আলীকদম থেকে কত সময় হেটে যেতে হবে

উত্তরঃ প্রায় এক ঘণ্টার মতো ।

আরো পড়ুনঃবার্ডপার্ক এন্ড ইকোভিলেজ মৌলভীবাজার নান্দনিক পাখির স্বর্গরাজ্য  ভ্রমণ গাইড

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে আমরা মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় ভরপুর বান্দরবান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি , আশা করছি বুঝতে পেরেছেন । কোথায় থাকবেন  ,কিভাবে যাবেন, কি খাবেন , কতদিন থাকলে ভালো হয় বিস্তারিত আর্টিকেলে বর্ণনা করা হয়েছে । এরপরও যদি আপনাদের কাছে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে , তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন ।পুনরায়সঠিক উত্তর দিয়ে আমরা উপকৃত হব ।

মারায়ংতং পাহাড় আলীকদম আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে । তাহলে শেয়ার করে  আমাদের ওয়েবসাইট দিয়ে ফলো দিয়ে দিবেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। আজকের মত এ পর্যন্তই আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ ।আল্লাহ হাফেজ।