হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ শ্রীবরদি শেরপুর

নাগরিয়াকান্দি গোল্ডেন স্টার পার্ক নরসিংদী ভ্রমণ গাইড আমরা আজকের আর্টিকেলে হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ শ্রীবরদি শেরপুর ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থেকে পড়ে নিতে পারেন ।

হাড়িয়াকোনা গ্রাম  শ্রীবরদি শেরপুর গ্রাম বাংলার নান্দনিক প্রতিচ্ছবি প্রকৃতি ও মানুষের জীবন যাপনের সরল ছন্দ যেখানে হৃদয় ছোঁয়া রূপ ফুটে ওঠে।

পেজ সূচিপত্রঃহাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ শ্রীবরদি শেরপুর ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন।

• হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ
• হাড়িয়াকোনা গ্রামে যা দেখবেন
• হাড়িয়াকোনা গ্রাম কিভাবে যাবেন
• হাড়িয়াকোনা গ্রাম কোথায় থাকবেন
• হাড়িয়াকোনা গ্রামে কোথায় এবং কি খাবেন
• আশেপাশে দর্শনীয় স্থান
• ঘোরার সেরা সময় কখন
• সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর
• সঙ্গে যা নিবেন
• সাবধানতা অবলম্বন
• আমাদের শেষ কথা

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ এই গ্রামটি মূলত একটি আদর্শ গ্রাম সবুজ শ্যামলের ভরা প্রকৃতি খাল বিল পুকুর নদী নালা সহ কৃষি জমি দ্বারা ঘেরা। প্রতিটি মৌসুমে মিলে অশান্তির ছায়া। গ্রামের মানুষের  সহজ সরলতার জীবনমান সেই সাথে গ্রামীণ সৌন্দর্য অস্বাভাবিকভাবে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।

হাড়িয়াকোনা গ্রাম  সবুজ ধানক্ষেত ও ফসলের মাঠে বিস্তীর্ণ চারিপাশ সমুদ্রের ঢেউ এর মতো দোল খেয়ে যায়। শাপলার বিল স্বচ্ছ পানির পুকুর পদ্ম ফুলের রঙিন ক্যানভাস অসম্ভব রকমের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলে। ঘন বাঁশ বনে বাদুড়ের নাচ, আর গাছ গাছালিতে কাঠ বিড়ালির লাফালাফি, লম্বা লম্বা তাল গাছের সঙ্গে নীল আকাশের মিতালী , শীতল স্পর্শ প্রশান্তির ছায়া , অবিরত প্রবাহমান।

হাড়িয়াকোনা গ্রামে যা দেখবেন

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ । এই গ্রামে পা রাখলে বুঝা যায় , মানুষের জীবনমানের সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি মনে হয় কোন এক স্বর্গীয় অনুভূতি বিরাজমান।দূষণমুক্ত পরিবেশ শহরের কোলাহল থেকে অনেক দূরে অবস্থিত । বর্তমানে গ্রামের সৌন্দর্য কোন চিত্রশিল্পীর মনে আঁকা গহীন সৌন্দর্যের জীবনচিত্র । নিচে পরিস্কার ভাবে সৌন্দর্য তুলে ধরা হলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।

প্রাকৃতিক বৈচিত্রের শিল্পকর্ম

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ । চারিপাশে ঘনসবুজ পাহাড়ের বিশালতা। মধ্যখানে বিশাল সবুজ ধান ক্ষেতের সমাহার । শীতল দক্ষিণা বাতাস ধানের গায়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় দল দিয়ে যায়। চারিপাশে ছোট্ট ছোট্ট স্বচ্ছ পানির পুকুর দূরে শাপলার বিল রঙিন এ অঙ্কনে একা শিল্পীর চিত্রকর্ম । বর্ষার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পরে জেলেদের মাছ ধরা ঘুম ,গাছ গাছালিতে চোখে পড়বে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি, যা আপনার মনকে গহীন থেকে আনন্দে উজ্জীবিত করে তুলবে।

আরো পড়ুনঃমেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবানের অপূর্ব সৌন্দর্য লীলাভূমি ভ্রমণ গাইড

উপজাতিদের গ্রামীন জীবনধারা

হাড়িয়াকোনা গ্রামের কাদা মাটির রাস্তা দিয়ে প্রবেশের সময় নিজেকে শান্ত নিরব নিস্তব্ধ মনে হয় । শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রশান্তিতে ভরা এই গ্রামের কাঁচা মাটি ঘর গুলো  আকৃষ্ট করবে। তাদের অতিথিয়তা ও ন্যায়পরায়ণতা পারস্পরিক সহযোগিতা  মানুষত্বের বড় পরিচয়। গবাদি পশু পালন ও কৃষি কাজ প্রধান আয়ের উৎস ।

 ঋতুভিত্তিক রূপ বদল

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ , এই গ্রামটি ছয়টি ঋতুর রূপ বদলে থাকে । বর্ষার সময় সবুজ ঘন বনায়ন দ্বিগুণভাবে উজ্জীবিত হয় । খালের পানির প্রবৃদ্ধি সৌন্দর্যের সীমার শেষ শিখরে পৌঁছায়। শরৎ মেঘের নীল আকাশে  সাদা মেঘের অংশ রং বদলের খেলায় মেতে উঠে । বিকেলে রক্তিম সূর্য কমলা রং ধারণ করে আস্তে আস্তে অস্তমিত যাওয়া, অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমির দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ সৌন্দর্যের শোভাযাত্রা। শীতের দিনে সকালবেলা ঘন কুয়াশায় আবৃত সমস্ত মাঠ , অসাধারণ সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলে।

সংস্কৃতির বিশেষত্ব

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ । যা সংস্কৃতির বিশেষত্ব  পূর্ণ লোকের সাংস্কৃতি যেমন গ্রামীণ গান, যাত্রাপালা গান , বৈশাখী মেলার আয়োজন ও তাদের উপজাতীয় ধর্মীয় উৎসবগুলো খুব আনন্দঘন উৎসব দিয়ে পালিত হয় । তার সাথে বিন্নি ধানের খই খাওয়ার  সারা পাড়ায় আনন্দের ঘুম পড়ে। হস্তশিল্পে তৈরি বাস মাটির তৈরি বিভিন্ন চিত্র শিল্প এখানকার সংস্কৃতির বড় পরিচয় তুলে ধরে। এখানকার মেয়েদের সামাজিক রীতিনীতি ও পোশাক পরিচ্ছেদ অস্বাভাবিকভাবে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলে। আঁকাবাঁকা মেঠো পথ পাশে অসাধারণ সৌন্দর্যের বাক নদী হাঁটুর নিচে জল এই নদীতে গোসল সত্যিই যেন নৈসর্গিক ছোয়ার মেলে।

আরো পড়ুনঃবার্ডপার্ক এন্ড ইকোভিলেজ নান্দনিক পাখির স্বর্গরাজ্য মৌলভীবাজার ভ্রমণ গাইড

ফটোশুটের সেরা স্থান

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ। গ্রামের যেদিকে যতদূর চোখ যাবে , শুধু সৌন্দর্যে ভরা । আপনি যেখানে চাইবেন সেখান থেকে পরিষ্কার ফটোশুট নিতে পারবেন । পাহাড়ি গাছগাছালি সবুজ বনায়নের সমভূমি ,নদী নালা খাল বিল , শীতে বিদেশি পাখির সমাহার, জেলেদের মাছ ধরা আঁকাবাঁকা মেঠো পথ , সব মিলিয়ে অসাধারণ সৌন্দর্যের দৃশ্যপট।

হাড়িয়াকোনা গ্রাম কিভাবে যাবেন

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ উপভোগ করার জন্য সরাসরি ঢাকা থেকে হাড়িয়াকোনা গ্রাম যাওয়ার রুট তুলে ধরলাম । নিচে জেনে নিতে পারেন ।

ঢাকা গাবতলী মহাখালী সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত বাস চলাচল করে থাকে ।

এসি বাস নন এসি বাস এবং লোকাল বাস কাউন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করে নিতে পারেন ।

ছাড়ার সময় প্রতিদিন সকাল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে রাত্রি ১১ টা পর্যন্ত চলাচল করে ।

যেতে সময় লাগে তিন থেকে পাঁচ ঘন্টা জ্যাম থাকলে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা লেগে যেতে পারে ।

ঢাকা থেকে শেরপুর জেলা সদর নন এসি বাসের ভাড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা ।

শেরপুর সদর থেকে ৩০ থেকে ৫০ টাকা লোকাল বাসে এবং সিএনজিতে  ৬০ থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে পৌঁছে যাবেন হাড়িয়াকোনা গ্রাম রিক্সা কিংবা ভ্যানে গেলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা নিবে।

ট্রেনে

ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নিকটবর্তী রেলস্টেশন সময় লাগবে ৪ থেকে ৬ ঘন্টা ভাড়া নিবে ২০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা তারপরে অটো রিক্সার কিংবা সিএনজিতে করে হাড়িয়াকোনা গ্রাম ।

হাড়িয়াকোনা গ্রাম কোথায় থাকবেন

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ কিন্তু থাকার  বড় কোন হোটেল নেই তবে ভালো দিকনির্দেশনা   মধ্যে অন্যতম হলো

গ্রামের হোমেস্ট 

চাইলে আপনি স্থানীয় পরিবারের সাথে থাকতে পারেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ভাড়া সহ খাওয়ার খরচ লাগবে ।

এছাড়াও নিকটবর্তী উপজেলায় রেস্ট হাউস রয়েছে সেখানেও থাকতে পারেন ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা ভাড়া লাগবে নিরাপদ ঝুঁকিমুক্ত  ।

মাঝারি বাজেটে কিছু রুম পাবেন সেখানে ১৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার ভাড়া লাগবে সেখানে খাওয়া-দাওয়া খরচের মধ্যে পড়বে ।

হাড়িয়াকোনা গ্রামে কোথায় এবং কি খাবেন

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ । তারপরেও একটি কথা না বললেই নয়।এখানে খাওয়ার জন্য ভালো মানের হোটেল পাবেন না । তাই স্থানীয়দের সাথে গ্রাম্য দেশীয় খাবারের স্বাদ পাবেন ।

খাবারের তালিকার মধ্যে থাকছে

ভাত 

বেশি সবজি

দেশী মোরগের ঝোল

পুকুরের টাটকা পুঁটি মাছ রুই মাছ

দেশীয় মসুরের ডাল

শুটকি ভর্তা আলু সিমের ভাজি

আরো পড়ুনঃসাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান ভ্রমণ গাইড

আপনি চাইলে অর্ডার দিয়ে পিঠা পুলি খেতে পারেন এছাড়াও চা মুড়ি চিড়া দই খেতে পারেন এগুলো হোমস্টেই পাওয়া যায়

আশেপাশে দর্শনীয় স্থান

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ । তবে আশেপাশে যে দর্শনীয়স্থানগুলো আছে । তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোর নাম নিচে তুলে ধরা হলো

বিস্তীর্ণ ধান খেতে ও ফসলের মাঠ 

গ্রামের চারপাশ জুড়ে বিশাল সবুজের সমাহার যতদূর চোখ যায় , শুধু ধানক্ষেত বর্ষা এবং শীত মৌসুমে এই মাঠগুলো সবচেয়ে বেশি সুন্দর দেখায় ।

খাল বিল ও বিশাল পুকুর

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ তার মধ্যে অন্যতম হলো খাল বিল ও বিশাল পুকুরের স্বচ্ছ পানি পদ্ম ও সাপ্লাই ভরপুর এ পুকুরগুলি বিকেলের আলো য় পুকুরের সৌন্দর্য  দ্বিগুণভাবে প্রতিফলিত হয়

সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সেরা স্থান

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সৌন্দর্যের  লীলাভূমি গ্রামের উঁচু পাহাড় থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য অসাধারণ সৌন্দর্য লাগে।

কাঁচা গ্রামীণ রাস্তা ও গাছের সারিবদ্ধতা

হাড়িয়াকোনা গ্রাম তার নিজের সৌন্দর্য আদর্শ দর্শনার্থীদের প্রভাবিত করে দুই পাশে বড় বড় গাছ তার নিচ দিয়ে একে একে বলে চলা কাদামাটির রাস্তা হাঁটতে হাঁটতে গ্রামীণ জীবন দেখার সুযোগ প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য স্বর্গরাজ্য

গ্রামের পুরনো মসজিদ যা সম্ভব রকমের সৌন্দর্যে তৈরি এই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা মধ্যে একটি 

স্থানীয় হাট বাজার সাপ্তাহিক গ্রামীণ হাট বাজার দেশে শাকসবজি মাছ পিঠা গ্রামীণ সাংস্কৃতির শিল্পকর্ম এখানে প্রতি সপ্তাহে বেচাকেনার হাট জমে।

ঘোরার সেরা সময় কখন

হাড়িয়াকোনা গ্রাম ঘোড়ার সেরা সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত এবং বিকেল চারটা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময় এই গ্রামের সৌন্দর্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি লাভ করে।

সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্নঃহাড়িয়াকোনা গ্রামে কি সরাসরি বাস চলাচল করে

উত্তরঃ না জেলা সদরে নেমে সেখান থেকে  সিএনজিতে তারপরে মেঠো ধরে হেটে যাওয়া

প্রশ্নঃ রাতে যাওয়া কি নিরাপদ

উত্তরঃ হ্যাঁ তবে দিনে গেলে ভালো হয়

প্রশ্নঃ পরিবার নিয়ে গেলে সমস্যা হবে কি

উত্তরঃনা এটা পরিবার বান্ধব এলাকার

প্রশ্নঃ শেষের দিকে রাস্তা কেমন

উত্তরঃ কিছু কাঁচা রাস্তা আছে

প্রশ্নঃ এখানে কি গুগল ম্যাপ কাজ করে

উত্তরঃ বেশিরভাগ জায়গায় কাজ করে না করলে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন

প্রশ্নঃ জনপ্রতি খরচ কত পড়বে

উত্তরঃ এক রাত দুই দিন ২২০০ থেকে ৩২০০ টাকা খরচ পড়বে

প্রশ্নঃ এখানে থাকার জন্য কি রুম অগ্রিম বুকিং নিতে হয়

উত্তরঃ শীতকালে পর্যটক বেশি হয় রুম বুকিং করতে হবে অন্যথায় প্রয়োজন নেই

প্রশ্নঃ ঘোরার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় কখন

উত্তরঃ শীতকাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ।

সঙ্গে যা নিবেন

প্রয়োজনে সঙ্গে যেগুলো জিনিস নেয়া দরকার তার একটি তালিকা তুলে ধরা হলো ।

হালকা কাপড়

ছাতা বা রেনকোট

মোবাইলে পাওয়ার ব্যাংক

ক্যামেরা বা ড্রোনে ফুল চার্জ দিতে হবে

প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে নিতে হবে

স্যান্ডেল কিংবা স্নিকার্স সঙ্গে রাখতে হবে

সাবধানতা অবলম্বন

গ্রামের যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না

স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন

রাত্রি একা কোথাও ঘোরাফেরা করবেন না

প্রয়োজনে হোমেস্টের আত্মীয়দের সঙ্গে যাবতীয় সমস্যা শেয়ার করবেন।

আরো পড়ুনঃচর কুকরি-মুকরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ভোলা ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এখানে কোন গাইড এর প্রয়োজন হয় না

আমাদের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলটিহাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ শ্রীবরদি শেরপুর ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরলাম , আশা করছি বুঝতে পেরেছেন । কিভাবে যাবেন ,কোথায় খাবেন , কি দেখবেন , সম্পূর্ণ তথ্য আজকে আর্টিকেলে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।এরপরও যদি আপনাদের প্রশ্ন  থাকে , তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন।পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করা হবে ।

হাড়িয়াকোনা গ্রাম আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে , তাহলে আপনাদের নিকট আত্মীয়র কাছে শেয়ার করে দিবেন । যেন তারা অবসর সময় শহরের কোলাহলমুক্ত ও পরিবেশ দূষণমুক্ত আদর্শ গ্রাম থেকে ঘুরে আসতে পারেন।এমন সুন্দর আর্টিকেল সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে শেয়ার করে দিবেন।এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য , অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি ।আল্লাহ হাফেজ।