সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান ভ্রমণ গাইড

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য রাঙ্গামাটি ভ্রমণ গাইড আপনি কি, সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার-বান্দরবান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। নিচে মনোযোগ দিয়ে  বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ,যাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিন্দু হিসেবে ধরা হয়। এটি বান্দরবান জেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী মদক রেঞ্চে অবস্থিত।

পেজ সূচিপত্রঃসাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ
• সাকা হাফং এ যা দেখবেন
• সাকা হাফং পাহাড় যাওয়ার উপযুক্ত সময়
• সাকা হাফং যাওয়ার উপায়
• সাকা হাফং পাহাড়ে কোথায় থাকবেন
•  সাকা হাফং গিয়ে কোথায় খাবেন
• সঙ্গে যা নিবেন
• সতর্কতা অবলম্বন করুন
• আশেপাশে দর্শনীয় স্থান
• শেষ কথা

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ 

সাকা হাফং(SAKA HAFANG)বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিন্দু বার্মা সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। দেশের সর্বোচ্চ আন অফিসিয়াল ভাবে পার্বত্য শৃঙ্গ ধরা হয় ।এখনও সেটা স্বীকৃতি পায়নি । তাজিংডং কিংবা কেও ক্রাড়ং কে  অফিসিয়াল ভাবে সর্বোচ্চ বিন্দু ধরা হয় । সাকা হাফংয়ের  উচ্চতা ৩৪৫১ ফিট বা  ১০৫২ মিটার।

তাজিংডং নাকি সাকা হাফং কোনটা সর্বোচ্চ , এ নিয়ে প্রায় এক যুগ ধরে বিতর্ক চলে।  ৪০ দিন ধরে ৩৫ জনের দল নির্ধারণ জন্য ,অক্লান্ত পরিশ্রম করে ২৫ শে নভেম্বর সাকা হাফংকে সর্বোচ্চ পার্বত শৃঙ্গ নির্ধারণ করেন।

ব্রিটিশ পার্বত ভ্রমণকারী জিনজে ফোলেন বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মৌদক মুয়াল , যার আরেক নাম সাকা হাফং।  উচ্চতা রাশিয়ার এসআর টিএম  উপাত্তের সঙ্গে মিলে গেছে।

সাকা হাফং নামকরণ

চাকমা এবং মারবা ভাষায়ঃ

•  সাকা শব্দের অর্থ উঁচু বা শীর্ষ অংশ দূর থেকে দেখা যায় এমন স্থানকে বুঝায়
•  হাফং শব্দের অর্থ হলো পাথরের উঁচু পাহাড় বা তীক্ষ্ণচূড়া

সাকা হাফং এই পাহাড়কে প্রাচীনতম নামকরণের লিপিবদ্ধ করা হয়। কেউ মদল তং নামে আবার অনেকে মদক তলং নামে ডেকে থাকে।

আবার মরাংদের ভাষায় বর্ডার হুম বলে ডাকা হয় , আর বোমরা বলেন ক্ল্যাংময়।

সাকা হাফং যা দেখবেন

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ ভ্রমণে অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন নিচে পরিস্কার ভাবে সৌন্দর্য তুলে ধরা হলো

মেঘের অসাধারণ ভিউ পয়েন্ট

সকালে এবং বিকালে সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ ভ্রমণে অসাধারণ ভিউ উপভোগ করতে পারবেন ।  পাহাড়ের গায়ে নরম স্পর্শ দিয়ে যায় ছোট ছোট সাদা মেঘ। আদরে মেঘের চাদরে ঢাকা থাকে, দূর আকাশের সঙ্গে যেন সাদা মেঘগুলো মেলবন্ধন তৈরি করে । ওয়াকিং অন দা ক্লাউড অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় । সমস্ত আকাশে তারা ভরা এবং মেঘের  সাথে রাতভর খুনসুটি খেলে যায়। এমন দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলে।

আরো পড়ুনঃতৈনখাল নদীর তীরে পাহাড়ি বনভূমির অপূর্ব সৌন্দর্যের মেলবন্ধন ভ্রমণ গাইড

চতুর্পাশে ভিউ পয়েন্ট

সাকা হাফং ৩৬০ ডিগ্রি চতুর্পাশ সর্বোচ্চ পর্বত সিঙ্গ। চারিদিক পাহাড়কে সবুজ চাদরে জড়িয়ে ধরে আছে। বিশাল উপত্যকা গুলো মনে হয় পায়ের নিচে। নীলাভ আকাশে সূর্যের ঘনঘটা মেঘের মধ্যে উঁকি ঝুঁকি দিয়ে যায়। বিকালের সূর্যাস্তের গোধূলি কমলা রং ধারণ করে আস্তে আস্তে রাত্রিকে আগমন জানিয়ে থাকে ,এটাই সাকা হাফং সবচেয়ে মূল আকর্ষণ।

পাহাড়ি গ্রাম স্থানীয় জীবনযাত্রা

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান ভ্রমণে গ্রাম চোখে পড়ার মত। ছোট্ট ছোট্ট মাচা দিয়ে তৈরি এই গ্রামগুলোর ঘরবাড়ি ।  বাড়ির সুন্দর নকশার  ডিজাইন কাঠ বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় । এখানে পাবেন অন্যরকম অভিজ্ঞতার গল্প।এখানে বসবাস করে মারমা বোম তুশো সম্প্রদায়ের আদিবাসী।

বন্যফুল ও গাছপালার দৃশ্য

সাকা হাফং পাহাড় ভ্রমণে ট্রাকিং এর সময় উপভোগ করতে পারবেন । বনফুলের সুগন্ধি ও বিশাল গাছ  লতা পাতা  আকর্ষণীয় অত্যন্ত নীরব নিস্তব্ধতা। এই বনে নির্জন গহীনে ছোট্ট ছোট্ট ঝিরি রাস্তা পর্যটকদের  মুগ্ধ করে । রাস্তার দুই ধার দিয়ে দেখতে পাবেন বিশাল সৌন্দর্যের পাথরের পাহাড় যেটা সবুজের  চাদরে ঢেকে আছে।

রাতের আকাশ

সাকা হাফং পাহাড় রাতের বেলা আকাশ ভরা তারা, শান্ত মেঘ , থমথমে পরিবেশ ক্যাম্পিনের বিশেষ অনুভূতি , যেটা অসাধারণ ভাবে মনের গহীনে সাড়া দিয়ে যাবে । যা দেখে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করবেন এটা কি বাংলাদেশ নাকি অন্য কোন দেশ।মনে হয় দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার মত।

ফটোশুট এর সেরা স্থান

সাকা হাফং পাহাড় ফটো শুটের সেরা স্থান। আপনি আকাশের সঙ্গে মিশে যাওয়া পাহাড়ের সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে পারবেন।  নিজেকে উপলব্ধি করতে পারবেন । 

সাকা হাফং পাহাড় যাওয়ার উপযুক্ত সময়

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান ভ্রমণ,উপলক্ষে যাওয়ার সেরা সময় হলো শুষ্ক মৌসুম । এ সময় পাহাড় তার নতুন রঙ্গে নিজেকে রাঙায়, অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভ্রমণের সেরা সময়। সূর্যোদয়ের এবং সূর্যাস্তের  স্পষ্টভাবে  দেখা যায়। আপনি চাইলে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস  সবচাইতে সেরা ভিউ উপলব্ধি করতে পারবেন । অবশ্যই বর্ষার সময় গেলে জীবনের ঝুঁকি আছে ।

সাকা হাফং যাওয়ার উপায়

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান যেতে হলে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে ঢাকা থেকে অনেকগুলো বাস বান্দরবান রুটে চলাচল করে থাকে। নিচে বাসের নামের তালিকা তৈরি করা হলো

হানিফ পরিবহন

শ্যামলী পরিবহন

ইউনিক পরিবহন

এস আলম পরিবহন

সাউদিয়া পরিবহন

ডলফিন পরিবহন

সেন্টমার্টিন পরিবহন

ঢাকা কলাবাগানো আরামবাগ থেকে সকাল সন্ধ্যা ছেড়ে আসে

আরো পড়ুনঃবারুয়াকোনা মহাদেও নদী অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি কমলাকান্দা নেত্রকোনা 

এই বাসগুলোর যেকোনো একটিতে বান্দরবান সদরে আরামদায়কভাবে পৌঁছে যেতে পারবেন

বাসের ভাড়া

নন এসি বাসের ভাড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা

এবং এসি বাসের ভাড়া ৯০০ থেকে ১৫০০ টাকা

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বান্দরবানে যেতে কত সময় লাগে

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বান্দরবান যেতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা

ঢাকা থেকে বান্দরবানের দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটার

এছাড়াও ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নেমে বিআরটি বাস টার্মিনালে এসে দেড়শ থেকে আড়াইশো টাকা ভাড়া দিয়ে বান্দরবান চলে আসতে পারেন

প্রাইভেট কারে আসতে চাইলে ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা ভাড়া নিবে চট্টগ্রাম সদর থেকে বান্দরবান সদরে আসতে পারেন

বান্দরবান থেকে থানচি দুইভাবে যাওয়া যায় চাঁদের গাড়ি অথবা লোকাল বাসে থামচিতে নেমে 

থানচির দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার 

এই রুটে এক ঘন্টা পর পর বাস পাওয়া যায় 

আপনি চাইলে চাঁদের গাড়িতে দশজনের টিম নিয়ে বান্দরবান থেকে থানচি পৌঁছাতে পারেন ভাড়া নেবে ২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা 

যেতে সময় লাগবে ৪ ঘন্টা থেকে ৫ ঘন্টা ।

যাওয়ার পথে পড়বে নীলগিরি নীলাচল চুম্বক পাহাড় সহ মিলনছড়ি আরো অনেক পর্যটন কেন্দ্র।

 আপনি ইচ্ছে করলে সেখানে থেমে পর্যটন কেন্দ্রগুলো দেখে আবার রওনা দিতে পারেন

থানচি থেকে সাকা হাফং পাহাড় যাওয়ার উপায়

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান শেষ সীমানায় যেহেতু এই পাহাড়ের অবস্থান তাই পরিষ্কারভাবে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন  আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে সঠিক রুট তুলে ধরা হল

থানচির রুট হয়ে যেতে পারেন

থানচি থেকে বোর্ডিং পাড়া - বোর্ডিং পাড়া থেকে শেখের পাড়া -হয়ে তাজিংডং -এর  সিস্পাসিপি পাড়া - এই পাড়া থেকে আপনাকে যেতে হবে সাকা হাফং  ।সাকা হাফং যাওয়ার পরে- নেফিউ পাড়া তারপরে পৌঁছাবেন সামিট ।

আরো দেখুনঃপ্রান্তিক লেক অপরূপ প্রকৃতিক বিস্ময় বান্দরবান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

শেখেরপড়া থেকে তাজিংডং না গিয়েও দুতং পাড়া হয়ে সাজাই পাড়া  আপনাদের জন্য এখানে কোন টেইল নেই জঙ্গল এবং ঝপ ঝাড় পেরিয়ে যেতে হবে পাহাড়ে উঠানামা বেশি কিন্তু পানি কম আছে

এছাড়াও আপনি চাইলে রেমাক্রি বাজার থেকে দোলাপাড়া হয়ে সাজাই পাড়া থেকে নেফুউ পাড়া তারপরে সামিট যেতে পারেন

এখানে আরেকটি রুট হল নাফাকুম জিন্নাহ পাড়া হয়ে আমিয়াখুম সাত ভাই খুম হয়ে হাঞ্জারায় পাড়া থেকে সামিট যেতে পারবেন

সাকা হাফং পাহাড়ে কোথায় থাকবেন

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান যাওয়ার পথে অনেকগুলো পাড়া পড়বে। এসব পাড়ার রাত্রী যাপনের জন্য  ব্যবস্থা আছে। আবার ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে থাকতে পারেন। সকালবেলায় রওনা দিতে হবে। এজন্য অবশ্যই আপনাকে তাঁবু নিয়ে যেতে হবে।

সাকা হাফং গিয়ে কোথায় খাবেন

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান ভ্রমণের সময় রাত্রি যাপনের জন্য যে ব্যবস্থা করা হয়েছে।এখানে খাবারের অর্ডার দিলে উপজাতীয় পরিবেশে আপনাদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেবে ।  তারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাবার পরিবেশন করে থাকে। নিচে খাবারের নাম গুলো তুলে ধরা হলো

ভাত

মাছ

বুন মোরগ

ডাল

ভর্তা ভাজি

ইত্যাদি

মোটামুটি ১ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবস্থা হয়ে যাবে দুজনের

সঙ্গে যা নিবেন

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান ভ্রমণের সময় সঙ্গে অবশ্যই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে হবে না হলে পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন

এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং ছবি অথবা পাসপোর্ট ।

প্রয়োজনীয় মোবাইল ও চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক  ।

সঙ্গে নগদ টাকা ।

নিরাপদ পানির বোতল দুই লিটার পর্যন্ত নিবেন ।

ডাই ফুট সঙ্গে নিতে পারেন রাস্তায় ক্লান্তি দূর করার জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা রাখতে পারেন ।

আরামদায়ক ট্র্যাকিংয়ের এর জন্য গ্রিপের জুতা ব্যবহার করবেন ।

হাত মজার সঙ্গে রাখতে পারেন পাথর ধরার ক্ষেত্রে ।

ক্যাপ সানগ্লাস ও রেইনকোট এবং পলিব্যাগের প্রয়োজন পড়তে পারে সঙ্গে রাখুন ।

সানস্ক্রিন সঙ্গে রাখবেন ।

ক্যাম্পেইন করলে তবু রাখবেন সঙ্গে টস লাইট ও ছোট গ্যাস স্টাফ রান্নার জন্য রাখবেন ।

গ্যাস লাইট বা ম্যাচ সঙ্গে রাখবেন ।

সতর্কতা অবলম্বন করুন

পাহাড়ে গাইড ছাড়া গ্রহণ করবেন না ।

আবহাওয়া দেখে ভ্রমণে তৈরি হবেন ।

ময়লা আবর্জনায় পরিবেশ নষ্ট করবেন না ।

আদিবাসীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন ।

একা কোথাও রাত্রিতে ঘুরতে যাবেন না ।

আশেপাশে দর্শনীয় স্থান

সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান আশেপাশে দর্শনীয় স্থান অনেকগুলো রয়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণস্থানগুলোর বর্ণনা নিচে তুলে ধরা হলো

লংদু পাহাড় সাকা হাফং পাহাড়ে যাওয়ার মূল পয়েন্ট পাহাড়ি গ্রাম সবুজের মুগ্ধতা পরিপূর্ণ চারিপাশ

ভুবন ভিউ পয়েন্ট সাকা হাফং রুটের অন্যতম সুন্দর স্পট হল এই পয়েন্ট এখানে দেখতে পাবেন মেঘ ও পাহাড়ের মিলিত দৃশ্য

সাথারেন ভ্যালি শান্তনিবিড় নিরি বিলি উপত্যকা ছবি তোলার জন্য অসাধারণ দৃশ্য পাবেন

হামরুম পাড়া লুসাই পাহাড়ি সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দেখা যাবে

দেবতাখুম ঝিরিপথ অন্যতম এ রুটে অ্যাডভেঞ্চার মাধ্যমে মনোমুগ্ধকর হবেন

চিম্বুক পাড়া পাহাড় নীলগিরি নীলাচল মেঘলা টুরিস্ট স্পট লেক নৌকা দ্বারা এই স্পট ভ্রমণ করা হয়

বকা লেক কেওড়া ক্রাড়ং নাফাকুম ঝর্ণা স্বর্ণ মন্দির জাদি পাই ।

সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর পর্ব

প্রশ্নঃসাকা হাফং কোথায় অবস্থিত

উত্তরঃ বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত

প্রশ্নঃ সাকা হাফং উচ্চতা কত

উত্তরঃ ৩৪৫১ ফুট

প্রশ্নঃসাকা হাফং ট্র্যাকিংয়ে যেতে কত সময় লাগে 

উত্তরঃচার ঘন্টা প্রায়

আরো দেখুনঃবুরবুক হাওর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সুনামগঞ্জ ভ্রমণের খরচ সম্পর্কে জানুন

প্রশ্নঃসাকা হাফং পাহাড় টি শুধু যুবকদের জন্যই

উত্তরঃ যুবকদের জন্যই প্রযোজ্য

প্রশ্নঃযাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন

উত্তরঃ অক্টোবর থেকে মার্চ মাস শুষ্ক মৌসুম

প্রশ্নঃ পাহাড়ের চূড়ায় কি থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে

উত্তরঃ না আপনি চাইলে সামিট  এসে খেতে পারেন

প্রশ্নঃসাকা হাফংকি কোন গোসলের ব্যবস্থা আছে

উত্তরঃ না তবে নিচে ছোট ঝিরিগুলোতে গোসল সেরে নিতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আমরা সাকা হাফং সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মিয়ানমার বান্দরবান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে ,সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে,তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা  প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে উপকৃত হব।

সাকা হাফং পাহাড় আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে।তাহলে আপনাদের নিকট আত্মীয়র নিকট শেয়ার করে দিবেন।যেন তিনারা সফল জায়গায় ঘুরে আসতে পারে।আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে দিবেন ,যাতে করে প্রতিদিন এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল সবার আগে পেয়ে যান।এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য, আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে , আজকের মত এখানেই শেষ করছি।