বুরবুক হাওর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সুনামগঞ্জ ভ্রমণের খরচ সম্পর্কে জানুন

বুরবুক হাওর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সুনামগঞ্জ যাওয়ার উপায় হল আপনাকে ঢাকা থেকে সরাসরি সিলেট সুনামগঞ্জ চলে আসতে হবে এরোডে অনেকগুলো বাস চলাচল করে 

সকাল সন্ধ্যা ঢাকা ফকিরাপুল থেকে গুলিস্তান থেকে এবং সায়েদাবাদ থেকে বাস পাবেন

বাস সার্ভিস

হানিফ পরিবহন

শ্যামলী পরিবহন

সৌদিয়া পরিবহন

এনায়েতপুর

সুনামগঞ্জ এক্সপ্রেস

রাতে গেলে  সকালে পৌঁছাবেন

বাসের ভাড়া

 ননএসি বাসের ভাড়া হলো ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা

এসি বাসের ভাড়া ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা

সুনামগঞ্জ থেকে বরবুক হাওর

সুনামগঞ্জ থেকে সৌন্দর্য রাস্তার পাশ দিয়ে উপভোগ করতে করতে যাবেন  ।এখান থেকে  মোটরসাইকেল অটো রিক্সা যোগে এক ঘন্টা সময় লাগবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া দিয়ে পৌঁছাতে হবে ।ধর্মশালা নৌঘাটে এবার আপনাকে নৌকায় উঠলেই পৌঁছে দিবে সরাসরি বুরবক হাওড়ে । ছোট নৌকা ভাড়া নেবে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, আর বড় নৌকার ভাড়া হবে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা ।বড় নৌকায় ফ্যামিলি সহ দল গেলে খুবই ভালো হয় ,২০০০ থেকে  ২৫০০ টাকা ভাড়া লাগে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট মতো

সিলেট থেকে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে বাস বা প্রাইভেট কার দেড়শ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া দিয়ে পৌঁছে দিবে সুনামগঞ্জ শহরে ,এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগবে ।এখান থেকে পৌঁছাতে পারবেন বুরবক হাওর।

বুরবক হাওরে কোথায় থাকবেন

বুরবক হাওরে থাকার জন্য সবচাইতে ভালো স্থান হলো সুনামগঞ্জ শহর এখানে উন্নত মানের হোটেল পাবেন হোটেল

 সুরমা রেসিডেন্টাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ভালো সার্ভিস পাবেন থাকার উপযোগী ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত পাঠানো হয়

হোটেল মিলিনিয়াম স্ট্যান্ডার্ড রুম শহরের মাঝে মাঝে এর অবস্থান এক হাজার থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে ভাড়া হবে

হোটেল নূরজাহান বাজেটের মধ্যে আপনার এখানে রুম পাবেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ৬০০ থেকে ১২ টাকা বাজেটের মধ্যে হবে ।

হোটেল ডায়মন্ড জোড়াবাড়ি এলাকার কাছাকাছি ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা ভাড়া অন্যান্য ভালো সার্ভিস। এছাড়াও আপনি চাইলে জগন্নাথ উপজেলা গেস্ট হাউসে থাকতে পারবেন ।এখানেও ছোট লজ রয়েছে , সেখানে থাকতে পারেন ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া লাগে । হাওরের view উপভোগ করতে হলে সবচাইতে ভালো হবে হাওর ভিউ ইকো কটেজ ,থাকা ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা ভাড়া নিয়ে থাকে। অনেকেই হোমেস্ট পছন্দ  করেন  , তাদের জন্য ৫০০থেকে থেকে ৮০০ টাকা ভাড়ায় স্থানীয় গ্রাম জীববৈচিত্র্য উপভোগ করতে পারবেন।

খাওয়া দাওয়া কোথায় করবেন

বুরবুক হাওর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সুনামগঞ্জ উপভোগ করার জন্য খাওয়া-দাওয়ার প্রয়োজন হয় । এজন্য খাওয়া দাওয়ার সেরা স্থান হলো সুনামগঞ্জ শহর । এখানে ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে খেয়ে নিতে পারেন ।

মেঘনা রেস্টুরেন্ট সুনামগঞ্জের জনপ্রিয় খাবার পাওয়া যায় এখানে পাবেন ভাত মাছ মুরগি দেশি খাবার ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে

সুরমা রেস্টুরেন্ট দেশীয় চাইনিজ দুই ধরনের খাবার পাবেন ভাত ভর্তা ভাজি মাছ ১২০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে খাওয়া হয়ে যাবে

এছাড়াও ফাস্টফুড ও চাইনিজ খেতে হলে তানজিম ফুড রেস্টুরেন্টে চলে আসতে হবে এটাও শহরের আশেপাশে আছে

লোকাল খাবার পাবেন ৬০ থেকে ১২০ টাকায় ভাত ডাল ডিম বেশি মাছ খেতে পারবেন

আশেপাশে দর্শনীয় স্থান

বুরবুক হাওর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সিলেট সুনামগঞ্জ উপভোগ করার পরে একই খরচে আপনি ঘুরে আসতে পারেন আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো কি কি দর্শনীয় আশেপাশে স্থান রয়েছে চলুন জেনে নেয়া যাক

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির হাওর এখানে নৌকা ভ্রমণ ও পাহাড় মেঘের প্রেম খেলা অসাধারণ সৌন্দর্যের অধিকারী

বারিকটিলা সবুজ পাহাড় ঝর্ণা মিলেমিশে অপূর্ব সৌন্দর্য লীলাভূমি তৈরি করে যেখানে এ হাওয়া থেকে পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়

লাখাইছাড়া ঝরনা এটি সিলেটের সুনামগঞ্জের অসাধারণ মনমুগ্ধকর ঝর্ণা যা টেকিং এর জন্য আদর্শ স্থান

নীলাদ্রি লেক ফিরোজা রঙের জলরাশি পাহাড়ের কোলে ঘেষা মনোরম প্রাকৃতিক সবুজের সমভূমি যেকোনো পর্যটককে আকর্ষণ করতে সক্ষম

যাদুকাটা নদী নীল স্বচ্ছ জলরাশি আর বালু ভর্তি তীরে নৌকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অসাধারণ সৌন্দর্য

শ্রীপুর পর্যটন কেন্দ্র ঝরনাটিলা নদী একসাথে সব কিছু উপভোগ করা সম্ভব

টেকের ঘাট চুনাপাথর এলাকা নৌকার মাধ্যমে পাথর উত্তোলন করে পর্বত শ্রেণীর ভিউ এক অনন্য দৃশ্য

লাউড়ের গড় প্রত্যতান্ত্রিক নিদর্শনসমূহ  এলাকায় পাওয়া যায়

রেমা টিলা তাহেরপুরের একটি শান্তনিরিবিলি পাহাড়ি এলাকা যার সৌন্দর্য অসাধারণ ভাবেই সুন্দর।

সঙ্গে যা যা নিবেন

বুরবুক হাওর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে হবে নিজে পরিষ্কার ভাবে সাথে কি কি নেওয়া যায় বর্ণনা দেয়া হলো

জাতীয় পরিচয় পত্র নথি

মোবাইলের দেওয়া প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র

স্বাস্থ্য সুরক্ষার আগ্রহী প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র

আরো পড়ুনঃসারিয়াকান্দি কালিতলা ঘাট বগুড়া ভ্রমণ গাইড ও খরচ সম্পর্কে জানুন

পানির বোতল

 টস লাইট

ছোট ব্যাকপ্যাক 

শুকনো খাবার

সতর্কতা অবলম্বন জরুরি প্রয়োজনে

যাতে একা কোথাও ঘুরতে না যাওয়া

যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলা

আদিবাসীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা

গাইডের নিয়ম অনুযায়ী চলা

আর সঙ্গে অবশ্যই রবি সিম রাখা

প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা সঙ্গে রাখবেন

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার আত্মীয়-স্বজনের নিকট  শেয়ার করে দিবেন আমরা এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য তুলে ধরেছি  এরপরও যদি আপনাদের কাছে কোন রকমের প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন ।পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করা হবে।

আর হ্যাঁ ,আপনার আত্মীয়-স্বজন যেন সঠিক জায়গায় টুর প্ল্যান করতে পারে । এজন্য নিয়মিত ভালো মানের আর্টিকেল পেতে। আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে ,শেয়ার করে দিবেন  । যাতে করে নতুন আর্টিকেলগুলো প্রথমেই আপনাদের কাছে পৌঁছে যায় । এতখন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনাদের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।