ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য রাঙ্গামাটি ভ্রমণ গাইড

তৈনখাল নদীর তীরে পাহাড়ি বনভূমির অপূর্ব সৌন্দর্যের মেলবন্ধন ভ্রমণ গাইডআমরা আজকের আর্টিকেলে  ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য রাঙ্গামাটি ভ্রমণ গাইড  সম্পর্কে আলোচনা করব।বিস্তারিত জানতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ে নিতে পারেন।

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য,রাঙ্গামাটি জেলার সদর সাপছড়ি এলাকায় অবস্থিত। আকাশচুম্বি পাহাড়ের চূড়ায় মেঘের মিতালী তরঙ্গের আলিঙ্গন।

পেজ সূচিপত্রঃফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য রাঙ্গামাটি ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য
• ফুরমোন পাহাড়ের নামকরণ
• ফুরমোন পাহাড়ে যা দেখবেন
• কখন যাওয়ার উপযুক্ত সময়
• ফুরমোন পাহাড় যাওয়ার উপায়
• ফুরমোন পাহাড়ে কোথায় থাকবেন
• ফুরমোন পাহাড়ে কোথায় খাবেন
• ফুরমোন পাহাড় ভ্রমনে সঙ্গে যা নিবেন
• ফুরমোন পাহাড় ভ্রমনে সতর্কতা অবলম্বন
• উপসংহার

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য

ফুরমোন পাহাড় (FURMON HILL) শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্যে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য । যাকে রাঙ্গামাটির সবচেয়ে উচু পাহাড় বলা হয়ে থাকে । যার উচ্চতা ১৫১৮ ফুট ,সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৬৩ মিটার উচ্চতায় এর অবস্থান । ফুরমোন পাহাড়ের মেঘের মিতালী সৌন্দর্য অনুভূতি প্রকাশ করে । ফুরমোন পাহাড় থেকে দেখা যায় কাপ্তাই লেকের  সৌন্দর্য , সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অস্থির লীলাভূমি । রাঙ্গামাটির সৌন্দর্যের ১ তৃতীয়াংশ এখান থেকে দেখতে পাবেন। ফুরমোন পাহাড়কে বাংলার দার্জিলিং নামে অভিহিত করা হয়। খাড়া পাহাড়ের দুর্গম রাস্তা পাড়ি জমিয়ে আকাশের চূড়ায় দাঁড়িয়েই, এই পাহাড়ের  অপরূপ প্রাকৃতিক অসাধারণ সৌন্দর্যের রূপ ফুটিয়ে তোলে।

ফুরমোন পাহাড়ের নামকরণ

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য যার নামকরণ দুটি শব্দ থেকে এসেছে মারমা ভাষায় ফুর শব্দের অর্থ উঁচু জায়গা বা উঁচু স্থান আর মন শব্দের অর্থ মাটি ।

যার দুটি শব্দ একত্র করলে বলা হয় উঁচু পাহাড়ি স্থান ।

স্থানীয়দের মতে বহুদিন আগে এখানে এক পাহাড়ি পরিবারের প্রধান ছিলেন ফুর মন নামের ব্যক্তি তার নাম থেকে এখানকার নাম হয় ফুরমন পাহাড়।

আরো পড়ুনঃ বারুয়াকোনা মহাদেও নদী অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি কমলাকান্দা নেত্রকোনা

 ফুরমোন পাহাড়ে যা দেখবেন

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য রাঙ্গামাটির এক ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র।বর্তমানে এখানে প্রচুর দর্শনার্থী ভিড় জমিয়ে থাকে। নিচে পরিষ্কারভাবে এর সৌন্দর্য বর্ণনা দেওয়া হলো

উপত্যকার মনোমুগ্ধকর ঢেউ

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্যের চূড়া থেকে চারিদিকে নজর দিলে দেখা যায়,  অসংখ্য পাহাড়ের সারিবদ্ধতা। সাপের মতো আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ । সূর্যদয় এবং সূর্যাস্তের বিশেষ সোনালী দৃশ্য।পাহাড় আর মেঘের সাথে মেলবন্ধনের অসম্ভব সুন্দর্যের রঙিন দৃশ্য । ঠিক যেন মনে হয় নান্দনিক স্বর্গীয় অনুভূতি এখানে নেমে এসেছে।

শুভ্র মেঘের রাজ্য

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গরাজ্য অসাধারণ অনুভূতি পর্যটকদের মাঝে প্রকাশ করে।শীতের ভোরবেলায় আকাশের চূড়ায় ঘন সাদা মেঘেপুরো পাহাড়কে কুয়াশা চাদরে ঢেকে দেয় । কিছু সময় মনে হয় নিজেই কুয়াশার মধ্যে ডুবে আছি। দূর থেকে দেখে মনে হয় কখনো মেঘের নিচে ,আবার কখনো মেঘের ভিতরে নরম কুয়াশায় সৌন্দর্যে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছি ।

সবুজ বনভূমির মধ্যে ট্র্যাকিংয়ের অভিজ্ঞতা 

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য ভ্রমণ ভিন্ন জাগতিক  অভিজ্ঞতা তৈরি হয় । ঘন সবুজ পাহাড়ি বন, বিশাল  গাছগাছালি মধ্যে দিয়ে ট্রাকিং , মাঝেমধ্যে বাঁশের ঝপঝাড় লতা গুল্ম পাহাড়ি ফুলের সুগন্ধি পুরো পথকে সৌন্দর্যে উজালা করে তোলে । অসাধারণ টেকিং এর অভিজ্ঞতা এই রাস্তায় পাওয়া যায় ।

আরো দেখুনঃপ্রান্তিক লেক অপরূপ প্রকৃতিক বিস্ময় বান্দরবান ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

কাপ্তাই হ্রদের অপরূপ দৃশ্য

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য ভ্রমণ। ট্যুরিস্ট এর জন্য সেরা স্থান । যেখান থেকে দেখতে পাবেন কাপ্তাই লেকের নীল জলরাশির খেলা । দূর থেকে দেখা যায় মাঝে-মাল্লাদের মাছ ধরার বিচক্ষণতা । শান্ত নদীর উপরে শত শত নৌকো ছুটে চলে এদিক ওদিক । দূর পাহাড়ে কাপ্তাই লেকের পাশে সবুজ ঘেরা ঘন, ঘন বসতি অসাধারণ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলে। নীল আকাশ আর নীল জলরাশি মিলেমিশে এক প্রকৃতির মেলবন্ধন তৈরি করেছে।

সূর্যদয় এবং সূর্যাস্তের স্বর্গ দেখা

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য , এ কারণে অসম্ভব  সুন্দর বলার কারণ এটি বাংলাদেশের দার্জিলিং। দার্জিলিং এ যেমন টাইগার হিল রয়েছে সূর্যোদয়ের সেরা স্থান তেমনি বাংলাদেশের এই স্থানকে দার্জিলিং কিংবা সুইজারল্যান্ড বলা হয়ে থাকে । সকালবেলা সোনালী আলো যখন এ পাহাড়ের গায়ে লাগে, পুরো পাহাড় পাড়া সোনালী রঙ্গে আলোকিত হয়ে যায় । পর্যটকগন অধীর আগ্রহে সূর্যোদয় দেখার জন্য অপেক্ষমান হয়ে থাকে।  দিন শেষে পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের সময় কমলা রং গায়ে মেখে আস্তে আস্তে সূর্যাস্তে বিদায় এটাও অনেকের কাছে খুবই প্রিয় মুহূর্ত।

পাহাড়িয়াদের জীবনযাত্রা

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য।আমাদের মত পর্যটকদের কাছে মনে হলেও পাহারিয়া দের কাছে অনেক কষ্টের । তাদের ট্রেইল অনেক কষ্টের, নিত্যদিনের কাজ কর্ম তো আছেই । উপজাতীয় সম্প্রদায় মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের গ্রামে তাদের স্থাপনায় এবং কৃষি কাজে জীবনযাত্রার মান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । বর্তমানে শিক্ষার ব্যবস্থা ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।

আরো পড়ুনঃবুরবুক হাওর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সুনামগঞ্জ ভ্রমণের খরচ সম্পর্কে জানুন

ফটো শুটের সেরা স্থান

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য শুভ্র মেঘের খেলা । দূর পাহাড়ে ঘন সবুজ বনভূমির সঙ্গে নীল জল রাশির তরঙ্গ । সূর্যোদয়ের অসম্ভব সুন্দর্যের লীলাভূমি । এবং সূর্যাস্তের গোধূলি রঙ্গে রাঙ্গিয়ে রাত্রির আগমন ।এগুলো মধ্যে জীবনের কিছুটা মুহূর্ত পার করে নিজেকে ক্যামেরা বন্দীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করা ।সত্যি অসাধারণ সৌন্দর্য, চাইলে আপনি ড্রোনের মাধ্যমে এখানকার ভিউ গুলো নিয়ে নিতে পারেন।

কখন যাওয়ার উপযুক্ত সময়

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য যাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো। শীতকাল ও শুষ্ক মৌসুমে ।শীতকালে আবহাওয়া থাকে পরিষ্কার ও ঠান্ডা মেঘ কম থাকে পাহাড় চূড়া থেকে ভিউ অসাধারণ সৌন্দর্য দেখায় ।এ সময় টেকিং করা খুবই কমফ্যাটেবল মনে হয় । আকাশ ক্লিয়ার থাকে সানরাইজ ও সানসেট খুব সুন্দর দেখায় । সবচাইতে শ্রেষ্ঠতম সময় হলো "নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস"

ফুরমোন পাহাড় যাওয়ার উপায়

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য দেখার জন্য  শীত মৌসুমে সেরা সময়। চলুন কিভাবে যাবেন তার একটি ধারণা সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হলো প্রয়োজনে জেনে নিতে পারেন ।

ঢাকা বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি রাঙামাটি রুটে বাস পাওয়া যায় বাসগুলোর নাম নিচে তুলে ধরা হলো

সৌদিয়া পরিবহন

হানিফ পরিবহন

শ্যামলী পরিবহন

তিশা পরিবহন

এস আলম পরিবহন

ইউনিক পরিবহন

এই বাসগুলোর পছন্দ মত যে কোন একটিতে চড়ে চলে আসতে পারেন রাঙ্গামাটি শহরে

বাসের ভাড়া এসি এক হাজার থেকে ১৪০০ টাকা এবং নন এসি বাসের ভাড়া ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা

ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটির দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটার

ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি পৌঁছতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা রাঙ্গামাটি পুরনো বাস স্ট্যান্ডে এসে নেমে যাবেন এই রুটে সকাল সন্ধ্যা বাস চলাচল করে থাকে।

রাঙামাটি শহর থেকে সিএনজি অথবা চাঁদের গাড়ি কে রিজার্ভ নিয়ে কাউখালী হয়ে বেদবুনিয়া পর্যন্ত যেতে হবে । এখান থেকেই পাহাড়ি রাস্তা উঠে যাবে ফুরমোন পাহাড়ের দিকে , ট্র্যাকিং সহ চাঁদের গাড়ি দিয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় লাগবে।

রাঙ্গামাটি থেকে ফুরমন পাহাড়ের দূরত্ব ৭ কিলোমিটার

রাঙ্গামাটি সদর থেকে ফুর মন পাহাড় যেতে মোটামুটি সময় লাগে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিট   

ফুরমন পাহাড়ের নিজ থেকে চুড়ায় উঠতে ৪১৩ টি সিঁড়ি এবং কিছু মাটির পথ টেইল দিতে হবে

মোটামুটি ভাড়া লাগবে, সিএনজিতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা । চান্দের গাড়িতে দুই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পুরো দিন।

ফুরমোন পাহাড়ে কোথায় থাকবেন

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গরাজ্য উপভোগ করার জন্য থাকার সুব্যবস্থা নেই।তবে রাঙ্গামাটি শহরে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।রাঙ্গামাটি শহর থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগে ফুরমন পাহাড়ে যেতে

রাঙামাটি শহরে সেরা হোটেল এন্ড রিসোর্ট

পর্যটন মোটেল 

সুবিধা লেক ভিউ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেস্টুরেন্টের সুবিধা রয়েছে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে পাবেন।

রাঙ্গামাটি লেকশোর রিসোর্ট

আধুনিক রুম কাপ্তাই লেকের পাশে অবস্থিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা প্লাস ভাড়া ।

আরো  দেখুনঃথানকোয়াইন ঝর্ণা  বান্দরবানের লুকানো সৌন্দর্যের রত্ন ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

হোটেল গ্রীন ক্যাসেল এক্কেবারে শহরের কাছে বাজেটের মধ্যে হবে। ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা ভাড়া হবে। এছাড়া আপনি চাইলে হোমস্টে থাকতে পারেন, এখানে থাকলে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। প্রতি রুমে লেকের বাতাসও নিরব পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন ।

ফুরমোন পাহাড়ে কোথায় খাবেন

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য ভ্রমণের সময় ,খাবারের জন্য অবশ্যই সবচাইতে সেরা স্থান হল রাঙ্গামাটি সদর ।এখানে জনপ্রিয় কিছু রেস্টুরেন্ট আছে। চলুন সেগুলোর নাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক ।

নিরালা রেস্টুরেন্ট 

এখানে দেশীয় খাবার ভাত মাছ মাংস ভর্তা  সবজি ভাজি ডিম ডাল খাবার পাওয়া যায় ভালো মানের পরিষ্কার হোটেল লাঞ্চ ও ডিনারের ব্যবস্থা অর্ডার নিয়ে ব্যবস্থা করে থাকে ।

ইসমাইল রেস্টুরেন্ট

স্পেশাল হোটেলে ফ্রাই চিকেন বিফ বাজেট ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে ।

পারিজাত রেস্টুরেন্ট

এই রেস্টুরেন্টে পারিবারিকভাবে খাবারের ব্যবস্থা আছে হালাল খাবার সুস্বাস্থ্যসম্মত খাবার পাবেন

এখানকার ঐতিহ্যবাহী ভনা খিচুড়ির খাবার ব্যাম্বো চিকেন চাইলে ব্যবস্থা হয়ে যাবে।

ফুরমোন পাহাড় ভ্রমনে সঙ্গে যা নিবেন

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্গে অবশ্যই নিতে হবে কি কি জিনিস গুলো অতি জরুরিও প্রয়োজন সে সম্পর্কে চলুন নিচে জেনে নেয়া যাক

এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

মোবাইল ফোনের পাওয়ার ব্যাংক

ক্যামেরা বা ড্রোন

জরুরী নম্বর টাকা

রবি সিম

শুকনো পোশাক

ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ

নিরাপদ পানি সঙ্গে চিপস এবং বিস্কুটসহ যাবতীয় শুখনো খাবার

গ্রিপের জুতা

টর্চ লাইট

মশার স্প্রে

টাইপড ।

ফুরমোন পাহাড় ভ্রমনে সতর্কতা অবলম্বন

ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য ভ্রমণে জরুরি কিছু সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।সে বিষয়ে বিস্তারিত সুন্দর ভাবে তথ্য তুলে ধরার হলো

আবহাওয়ার অবস্থা দেখে যাবেন

শুকনো মৌসম অক্টোবর মাস নিরাপদ

অভিজ্ঞ গাইড সঙ্গে নিবেন

এন আই ডি কার্ড নিতে ভুলবেন না

একা পাহাড় ট্র্যাকিং করবেন না

এ রাস্তা সাবধানতার সাথে ট্রেইল করবেন

পাহাড়ের কিনারায় ছবি তুলতে যাবেন না

স্থানীয়দের সঙ্গে সদ্য ব্যবহার করবেন

ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকুন 

সন্ধ্যার পরে একা কোথাও  বের হবেন না ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর পর্ব

প্রশ্নঃ  ফুরমোন পাহাড়ের প্রধান আকর্ষণ কি

উত্তরঃ মেঘের স্পর্শ পাহাড়ি বনভূমি সবুজ সৌন্দর্য সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের আপার লীলাভূমি।

প্রশ্নঃ ফুরমোন পাহাড়ে কিভাবে যাবেন

উত্তরঃ রাঙ্গামাটি শহর থেকে অটো রিক্সা কিংবা মোটরবাইকে অথবা প্রাইভেট গাড়িতে সরাসরি যাওয়া যায়

প্রশ্নঃ যেতে কত সময় লাগে

উত্তরঃ ১৫ থেকে ২০ মিনিট

প্রশ্নঃ ফুরমোন পাহাড়ের উপরে উঠতে কত সময় লাগে

উত্তরঃ ১৫ মিনিট

প্রশ্নঃ ফুরমোন পাহাড় কখন গেলে ভালো হয়

উত্তরঃ জুন থেকে অক্টোবর মাস

প্রশ্নঃ ফুরমোন পাহাড় কি নিরাপদ

উত্তরঃ হাঁটার জন্য উঁচু নিচু রাস্তা পিচ্ছিল মাটি বৃষ্টি হলে পাথর

প্রশ্নঃ ফোরামন পাহাড়ে প্রবেশ করতে কি ফী লাগে

উত্তরঃ প্রবেশের জন্য ২০ টাকা ফি দিতে হয়

আশেপাশে দর্শনীয় স্থান

ঝুলন্ত সেতু যেখানে ছবি তোলার জন্য পর্যটকগণ সবসময়ই ভিড় জমিয়ে থাকে

পেদা টিং টিং এখানে অনেক সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়

সুভলং ঝরনা আকাশ ছোঁয়া সাদা পানের ঝরনা

 বটতলী অসাধারণ সৌন্দর্যের স্থান

কাপ্তাই লেকের ভিউ পয়েন্ট

উপসংহার

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ, আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা ফুরমোন পাহাড় শুভ্র মেঘের স্বর্গ রাজ্য রাঙ্গামাটি ভ্রমণ গাইড ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরলাম । আশা করছি বুঝতে পেরেছেন । কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন , কি খাবেন  ,সব বিষয়ে ডিটেলস বর্ণনা করা হয়েছে ।এরপরও যদি আপনাদের কোন রকমের সমস্যা থেকে থাকে ,তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন । আমরা উত্তর প্রদানে উপকৃত হব।

আর হ্যাঁ, আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে , তাহলে আপনাদের নিকট আত্মীয়দের কাছে শেয়ার করে দিবেন । আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো  দিবেন ।কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম সুন্দর আর্টিকেল নিয়মিত  প্রকাশ করে থাকি । আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানে শেষ করছি। আপনাদের যাত্রা শুভ হোক ।