সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র

হাড়িয়াকোনা গ্রাম প্রকৃতির নৈপুণ্যতায় পরিপূর্ণ শ্রীবরদি শেরপুর  আমরা আজকের আর্টিকেলে সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে আলোচনা করব । বিস্তারিত জানতে, নিচে মনোযোগ সহকারে পড়ে নিতে পারেন।

সীতা পাহাড় বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে অবস্থিত ।সীতা পাহাড় থেকে ছোট বড় সবুজ পাহাড় ও স্বচ্ছ জলরাশি সৌন্দর্য একসঙ্গে উপভোগ করা যায়।

পেজ সূচিপত্রঃসীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাই রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র
• সীতা পাহাড়ের যা দেখবেন
• যাওয়ার উপযুক্ত সময়
• সিতা পাহাড় কিভাবে যাবেন
• সতর্কতা অবলম্বন
• সীতা পাহাড়ে কোথায় থাকবেন
• সীতা পাহাড়ে কোথায় খাবেন
• সঙ্গে যা নিবেন
• আশেপাশে দর্শনীয় স্থান
• উপসংহার

সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাই রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র

সীতা পাহাড়ের (SITA PAHAR) বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র । যার একপাশে কর্ণফুলী অন্যপাশে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য  । আবার সীতা পাহাড় অন্য পাশে  রাঙ্গুনিয়া শস্য ভান্ডারের গোমাই বিল অপূর্ব সৌন্দর্য । এমন অপূর্ব মনোমধ্যকার সৌন্দর্য পাহাড়ের বটতলা থেকে পরিষ্কারভাবে দেখে মনকে শীতল করা যায়।সীতা পাহাড়ের চূড়া থেকে লেকের স্বচ্ছ জলরাশি ও কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।

সীতা পাহাড় কাপ্তাই উপজেলার এক প্রকৃতির নৈসর্গিক স্বর্গরাজ্য ।পাহাড়ের উঁচুতে মারমা অধ্যুষিত একটি গ্রাম সীতা পাহাড় । এই গ্রামে প্রায় ৫৫ টির উপরে পরিবার বসবাস করে থাকে । সীতা পাহাড় কাপ্তাইয়ের কোল ঘেষে গ্রামীণ জীবনযাপন, পাহাড় এবং হ্রদ নিয়ে বিশাল  এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। । সমুদ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফিট উপরে এ পাড়াতে লুকিয়ে আছে অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমি । সীতা পাহাড় থেকে নান্দনিক সৌন্দর্য সহজে উপলব্ধি করা যায়।

সীতা পাহাড়ের যা দেখবেন

সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো । চলুন নিচে জেনে নেয়া যাক।

সবুজ বনায়ন ও পাহাড়ের মেলবন্ধন

সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটন কেন্দ্র। এর চারিদিক ছোট বড় পাহাড় ঘন সবুজ বিশাল আকারের গাছ গাছালি , বাশঝাড়ের ঝোপঝাড়, জুম চাষের ক্ষেত খামার , বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে ভিজে এই পাহাড়গুলো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।এই পাহাড়ের উপর থেকে দেখে মনে হয় ,চতুরপাশ সবুজ গালিচা বিছানো আছে। প্রকৃতি যেন পর্যটকদের স্বাগত জানাতে  ঘনসবুজ বনায়ন ও পাহাড়ের মেলবন্ধন তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে আছে।

কাপ্তাই হ্রদের নিকটবর্তী

সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র। যা কাপ্তাই হ্রদের একেবারে নিকটবর্তী এলাকায় অবস্থিত। পাহাড়ের চূড়া থেকে দেখা মেলে ঘন কুয়াশার ,স্বচ্ছ  নীল জলরাশির ,যেন শিল্পীর হাতের আঁকা চিত্র কর্মের দৃশ্য । বিকালের সূর্যের কিরণ কাপ্তাইয়ের স্বচ্ছ পানিতে প্রতিফলিত হয়ে ঝলকানি তৈরি করে । এমন সুন্দর্য উপভোগ করা দর্শনার্থীদের ভাগ্যের ব্যাপার।

পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন

সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ সৌন্দর্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনধারণ । এই পাহাড়ে চাকমা মারমা তঞ্চঙ্গ্যা ও বাঙালি জাতি বসবাস করে। তারা মাচাং ও টিন ও খড়ের চাল দিয়ে ঘর তৈরি করে আবার কেউ কেউ কাঠ দিয়েও ঘর তৈরি করে। তাদের পাহাড়িয়া পোশাক সহজ সরল জীবন যাপন সহ অনুষ্ঠানিক রীতি রেওয়াজের সাংস্কৃতিক পর্যটকদের কাছে ভিন্ন অভিজ্ঞতা এনে দেয়।

আরো পড়ুনঃনাগরিয়াকান্দি গোল্ডেন স্টার পার্ক নরসিংদী ভ্রমণ গাইড 

এছাড়াও  অর্থ উপার্জন মূল আয়ের উৎস গ্রামীণ জীবনের হাট বাজারে তাদের হস্তশিল্প  বিক্রি  । তাদের তৈরি শাল বাঁশের তৈরি বিভিন্ন রকমের নকশা করা মগ গ্লাস মাটির তৈরি বাহারি ডিজাইনে শিল্প গুলি পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে।

সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সৌন্দর্যের লীলাভূমি

রাইখালী সীতা পাহাড় থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সৌন্দর্যে লীলাভূমি উপভোগ করা যায়। যা দর্শনার্থীদের কাছে একটি অসাধারণ স্থান। উঁচু পাহাড়ের মাথায় বসে সূর্যোদয় (সানরাইজস) উপভোগ করা যেন জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতার পরিচয় এনে দেয়। আর এই স্থান থেকে আস্তে আস্তে গোধূলি রং ধারণ করে কাপ্তাইয়ের জলরাশিতে সূর্য অস্ত যাওয়া ,প্রকৃতির প্রেমিদের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর  মুহূর্ত।

সীতা পাহাড় নামের তাৎপর্য ও পরিবেশ

সীতা পাহাড়ের নামের তাৎপর্য হলো জায়গাটি নামের মতোই শান্তর শীতল ও প্রাণবন্ত । সীতা পাহাড়ের ঢালুর সামনে দাঁড়ালে চারিপাশের নিস্তব্ধ নীরবতা ও বিশুদ্ধতা নির্মল পরিবেশ , পাখির কলতান , আর বাতাসের শীতল স্পর্শ , বট গাছের পাতার ঝিরিঝিরি শব্দ , মনকে প্রশান্ত করে তোলে।

রাইখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম হোসেন রবিবার ৩০ জুলাই ২০২৫ সালে প্রতিবেদনে জানান , আমার ওয়ার্ডে সীতা পাহাড় এলাকাটি খুবই সুন্দর যা কাপ্তাই উপজেলার সবচাইতে উঁচু পাহাড় ।এখানে পর্যটন শিল্পকে বিকাশিত করার মাধ্যমে স্থানীয় আদিবাসীদের  আত্মসামাজিক মান উন্নয়ন ঘটবে ।

স্থানীয় অধিবাসী পাইছিং মং মারমা কংসুইপ্রু জানান ,এই পাড়া দেখতে অনেক সুন্দর এখানকার পথ যদি সংস্কার করা যায় ।তাহলে পর্যটকদের আগমন বাড়বে ,এবং এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা বৃদ্ধি পাবে।

আরো দেখুনঃমেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবানের অপূর্ব সৌন্দর্য লীলাভূমি ভ্রমণ গাইড

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমান দে এ সময় প্রতিবেদনকে জানান , বাংলাদেশে প্রকৃতির অপূর্ব লীলাভূমির অন্যতম উদাহরণ এই সীতা পাহাড়।

যাওয়ার উপযুক্ত সময়

সিতা পাহাড় যাওয়ার যাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো "অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস" এ সময় আবহাওয়া  শীতল ও আরামদায়ক থাকে । আকাশ সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার থাকে পাহাড় এবং কাপ্তাই হ্রদ পরিষ্কারভাবে দেখা যায়।  ট্রাকিং এবং ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময়। সকালের সূর্যের কিরণ এবং বিকালে সূর্যাস্তের অপূর্ব লীলাভূমি উপভোগ করার সেরা স্থান । এ সময়  জীবন্ত ফটোশুট পাবেন।

এছাড়া মাচ এবং এপ্রিল মাস ভ্রমণের মোক্ষম সময় । এ সময় নতুন পাতার সজীবতায় মুগ্ধ চারিপাশ , রোদ একটু বেশি থাকলেও বিকেলের আবহাওয়া খুবই আরামদায়ক হয় । পর্যটকদের এই সময়ে শান্ত পরিবেশ থাকে ।

যাওয়ার সঠিক সময় সকাল ছয়টায় সূর্যোদয় এবং কুয়াশা উপভোগ করার জন্য ।

বিকেলে চারটা থেকে ছয়টায় সূর্যাস্ত আলো একসাথে উপভোগ করার দৃশ্য।

সিতা পাহাড় কিভাবে যাবেন

সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র যাওয়ার উপায় এর একটি পরিষ্কার রুট তুলে ধরা হলো । চলুন নিচের জেনে নেওয়া যাক ।

ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটি

ঢাকা থেকে সরাসরি বাসযোগে রাঙামাটি পৌঁছাতে পারবেন এ রুটে যে বাসগুলো চলাচল করে তার নামের তালিকা সাজিয়ে দেওয়া হলো

বাসের নাম

শ্যামলী পরিবহন

হানিফ এন্টারপ্রাইজ

এস আলম পরিবহন

ইউনিক সার্ভিস

সেন্টমার্টিন পরিবহন

গ্রীন লাইন পরিবহন

ডলফিন পরিবহন

এনা ট্রান্সপোর্ট

ঢাকা থেকে বাস ছাড়ার সময় রাত ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত

যে কোন একটি বাসে পৌঁছে দিতে পারেন রাঙ্গামাটি

যেতে সময় লাগে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ।

নন এসি বাসের ভাড়া ৯০০ থেকে ১৫০০ টাকা ।

এবং এসি বাসের ভাড়া ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে হবে ।

কোম্পানি ও ভাড়া সময় সাপেক্ষে পরিবর্তিত হতে পারে

রাঙ্গামাটি থেকে কাপ্তাই কাপ্তাই থেকে রাইখালী  স্পিডবোট অথবা নৌকায় যেতে হবে

রাঙ্গামাটি থেকে রাই খালি যেতে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই ঘন্টা ।

নৌকায় ভাড়া লাগবে ৫০০ থেকে প্রায় ১৫০০ টাকা মত নৌকার ধারন অনুযায়ী ভিআইপি কেবিনে গেলে ভাড়া বেশি লাগে।

আরো পড়ুনঃবার্ডপার্ক এন্ড ইকোভিলেজ নান্দনিক পাখির স্বর্গরাজ্য মৌলভীবাজার ভ্রমণ গাইড

এছাড়া আপনি প্রাইভেট গাড়িতে গেলে ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটির রাইখালী পৌঁছাতে ৯থেকে ১০ ঘণ্টায় লাগবে।

মোটামুটি খরচ পড়বে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা

সতর্কতা অবলম্বন

বর্ষা মৌসুমী নৌকা ভবনের আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য নিয়ে রওনা দিবেন

স্থানীয় গাইড ছাড়া পাহাড়ে চলাচল করবেন না

যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না এতে পরিবেশ নষ্ট হয়

বিকেলের আগে অবশ্যই রাইখালী পৌঁছাতে হবে

স্থানীয়দের সাথে অবশ্যই সদ্য ব্যবহার পোশাক ও আচরণ ভালো করবেন।

সীতা পাহাড়ে কোথায় থাকবেন

সীতা পাহাড় ভ্রমণে থাকার জন্য বিশেষ কিছু জায়গা রয়েছে তার মধ্যে রাঙ্গামাটি শহর হচ্ছে অন্যতম এখানে ভালো মানের হোটেল পাবেন নিচে হোটেলের নামের তালিকা তুলে ধরা হলো

কাপ্তাই পর্যটন মোটেল কাপ্তাই রদের পাড় উপভোগ করা পরিষ্কার পরিবেশ নিরাপদ স্থান আনুমানিক ভাড়া ১৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা

স্থানীয় গেস্ট হাউস লজ রাইখালী বাজার কাপ্তাই এখানে সাধারণ মানের রুম আছে মোটামুটি ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা ভাড়া লাগবে সুবিধা হল সীতার পাহাড়ের খুব কাছাকাছি এর অবস্থান

এছাড়া এখানে থাকার জন্য হোটেল গ্রিন ক্যাস্টেল রাঙ্গামাটি শহরের মধ্যে ভালো মানের হোটেল ২৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা ভাড়ার মধ্যে হবে।

হোটেল স্কয়ার পার্ক রাঙ্গামাটি পরিবার ও কাপল জীবন উপভোগ করার জন্য ভালো হোটেল। ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে হবে পরিষ্কার রুম ও আরামদায়ক এবং নিরাপদ।

সীতা পাহাড়ে কোথায় খাবেন

সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র। রাঙ্গামাটি গিয়ে খাওয়ার জন্য সবচাইতে ভালো স্থান হলো রাঙ্গামাটি শহর এখানে ভালো মানের হোটেল পাবেন তার মধ্যে অন্যতম হলো

রাঙ্গামাটি বনরুপা বাজার ভালো খাবারের জন্য সেরা হোটেল এই হোটেলে রাঙ্গামাটির খাবারের মান ও বৈচিত্র সবচেয়ে ভালো

এছাড়া খাবারের জন্য সেরা হোটেল কাপ্তাই এলাকায় কাপ্তাই বাজার ছোট হোটেল ভাতের দোকান আছে এখানে পাবেন

ভাত

মাছ 

ভর্তা 

ভাজি 

সবজি ভাজি

ডিম 

ডাল 

ও কাপ্তাইয়ের নীল জলরাশির তরতাজা মাছের ঝোল

এছাড়া পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী খাবার পাবেন

বাঁশ কোরলের ভাজি

জুম চাষের ভাত

আলু ভর্তা সবজি ভাজি

এছাড়াও রাইখালীতে ছোট ছোট চায়ের দোকান স্থানীয় ফলমূল পাওয়া যায়

জনপ্রতি খাবার খরচ পড়বে

স্থানীয় খাবার হিসেবে ১০০ থেকে দেড়শ টাকার মধ্যে খাবার হয়ে যাবে মাছের আইটেমে গেলে ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে খেতে হবে আর রেস্টুরেন্টে ভালো মানের খাবার খেতে হলে আড়াইশো থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে খেতে হবে

সঙ্গে যা নিবেন

সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে ভুলবেন না চলুন  কি কি প্রয়োজনীয় জিনিস নিবেন  নিচের জেনে নেওয়া যাক।

হালকা জামাকাপড়

ফুল হাতা শার্ট

আরামদায়ক জুতা

ছাতা বা রেনকোট

প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র

মশা নিরোধক স্প্রে

সানস্ক্রিন ক্রিম

মোবাইলের পাওয়ার ব্যাংক

আরো দেখুনঃচর কুকরি-মুকরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ভোলা ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানুন

রবি সিম কার্ড

এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

নগদ টাকা পয়সা

নিরাপদ পানির বোতল

সঙ্গে হালকা শুকনো খাবার

ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ।

আশেপাশে দর্শনীয় স্থান

সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটন কেন্দ্রের দর্শনীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সম্পর্কে নিচে একটি ধারাবাহিকতা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হলো ।

কাপ্তাই হ্রদ

বাংলাদেশের সবচাইতে বড় কৃত্রিম হ্রদ ।

এখানকার সবচাইতে সেরা সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন নীল জলরাচির তরঙ্গ ।

সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সৌন্দর্যের লীলাভূমি ।

নৌকা ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গে ফটোগ্রাফির অসাধারণ দৃশ্য।

শুভলং ঝর্ণা

পাহাড় বেয়ে নেমে আসা শুভলং ঝর্ণা নেমে এসে কাপ্তাইয়ের সঙ্গে মিশে গেছে ।

বর্ষাকালে জীবন্ত হয়ে ওঠে ।

এডভ্যাঞ্চার কারীদের জন্য জনপ্রিয় স্থান ।

রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ

রাঙ্গামাটির সবচাইতে পরিচিত স্থান  ।

কাপ্তাই লেকের উপর তৈরি ঝুলন্ত কাঠের সেতু ।

ফটোশুটের জন্য দারুন পর্যটন স্থান ।

কাপ্তাই বাঁধ

কাপ্তাই বাঁধ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।

প্রকৌশল প্রযুক্তির ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিলন কেন্দ্র।

রাইখালী গ্রাম ভ্রমন

রাইখালী গ্রাম চাকমা এবং মারামাদের জন্য বিখ্যাত ।

তাদের জীবনধারা ও সাংস্কৃতি দেখার সুবর্ণ সুযোগ ।

স্থানীয়দের অতিথিদের আলাদা অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা সীতা পাহাড়ের বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাইয়ের রাইখালী পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে  সঠিক তথ্য দিয়ে,বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরলাম । আশা করছি বুঝতে পেরেছেন । কোথায় থাকবেন , কিভাবে খাবেন , যাবেন কিভাবে , সম্পূর্ণ বিষয়াদি এই পোস্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । এরপরও যদি আপনাদের কাছে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে ,তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন , আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করব।

আর হ্যাঁ , সীতা পাহাড় আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে । তাহলে নিকট আত্মীয়দের কাছে শেয়ার করে দিবেন । আমাদের ওয়েবসাইটে সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পেতে ওয়েব সাইটটি ফলো দিয়ে শেয়ার করে করবেন ,যেন সবার আগে আপনি পছন্দের আর্টিকেলগুলো পেয়ে যান। আপনাদের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে শেষ করছি , আজকের মত এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ ।