নেত্রকোনা জেলার সেরা দর্শনীয় পাঁচটি স্থান সমূহের নাম ও যাবার উপায়

আরো পড়ুনঃনীলফামারী জেলার শীর্ষ ১৩ টি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে জানুন

রাজা পুনরায় স্বপ্ন দেখলেন সন্তান রোগের যদি এভাবে আর সাত দিন বুকের দুধ খেতে পারত তাহলে সেই সন্তান বিজয় বীর হিসেবে গণ্য হতো এরপর ইতিহাস থেকে জানা যায় যে এই রঘুনাথের শাসনামলে শক্তিশালী রাজা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে সে সময়কার রাজা বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদ রায় কেদার রায় পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্য মহারাজা উপাধি লাভ করে বর্তমানে কমলা রানীর দীঘির মাছ দিয়ে সোমেশ্বরী নদী বয়ে গেছে কালের সাক্ষী অনুযায়ী এই দিঘির পশ্চিম পাড় ও দক্ষিণ পাড় এখনো রয়ে গেছে পুকুরের একপাশে তাদের বসতভিটা ও অন্য অংশে কিছু ফসলি জমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে

কমলার রানী দীঘি যাওয়ার উপায়

ঢাকা মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দুর্গাপুরে উদ্দেশ্যে জিন্নাত ও সরকার পরিবহন দুর্গাপুরের দিকে ছেড়ে যায় এখান থেকে সুখিনগর পর্যন্ত যাবে এখান থেকে নৌকা যোগে একটি ছটি নদী পার হতে হবে নদী পার হয়ে রিস্কা করে বা মোটরসাইকেলে দুর্গাপুর যেতে হবে বাসে যেতে ২০ টাকা নেবে রিস্কায় গেলে আশি থেকে ১০০ টাকা লাগবে মোটরসাইকেলের দুজনে ১০০ টাকা ভাড়ায় দুর্গাপুর পৌঁছে যাবেন 

ঢাকা থেকে রাত দশটা পনের মিনিটে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন শ্যামগঞ্জ স্টেশনে এসে নেমে যেতে হবে এখান থেকে সিএনজিতে করে ভাড়া দিয়ে বাজার যাওয়া যায় কিংবা একটু

নেত্রকোনা জেলার সেরা দর্শনীয় স্থান টংক শহীদের স্মৃতিসৌধ

নেত্রকোনা জেলার শীর্ষ দর্শনীয় স্থানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান হচ্ছে টংক শহীদের স্মৃতিসৌধ এটা ব্রিটিশ ও জমিদারদের প্রথা উচ্ছেদের দাবিতে বৃহত্তম উত্তর ময়মনসিংহ কৃষক সংগ্রাম বা কৃষক বিদ্রোহ ও টংক আন্দোলন শক্তি যা ছিল আদিবাসীদের জন্য স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধা স্বরূপ এম পি সি সড়ক স্কুলের পশ্চিম পাশে ৩২ শতাংশ জায়গা নিয়ে এই টংক শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা

ময়মনসিংহের ব্রিটিশ ও জমিদার প্রথার উচ্ছেদ দাবিতে কৃষকগণ ১৯৩৬ সালে থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত এই সংগ্রাম চালানো হয় এবং এটি কৃষক বিদ্রোহ বা ট্যাংক আন্দোলন নামে পরিচিত ছিল আদিবাসী কৃষকগণ বিশেষ করে পরেশ হাজং লুলির সরকার হাজং বিপণ গুণ রেবতি আম্বোমনি ও রাসমণি  নেতৃত্বে আন্দোলন চলে এখান থেকে কমরেড মনিশিং ১৯৪০ সালে দশাল গ্রামের বাঙালি কৃষকদের নিয়ে এ আন্দোলন শুরু করেন দীর্ঘ ১৩ বছর আন্দোলন করার পরে তারা জয় লাভ করে এতে করে এ অঞ্চলের বহু কৃষকের প্রাণ চলে যায়।

যাওয়ার উপায়

ঢাকা মহাখালীবাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাসযোগে চলে আসবেন নেত্রকোনায় এখান থেকে উপজেলা পরিষদ ৫০০ মিটার দক্ষিণে এমপি সিএম সরকারি হাই স্কুল সংলগ্ন টংক স্মৃতিসৌধ ।

আরো পড়ুনঃদিনাজপুরের সেরা দশটি দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে জানুন

নেত্রকোনা জেলার সেরা দর্শনের স্থান বিজয়পুর দুর্গাপুর

দুর্গাপুর উপজেলা থেকে সাত কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কুল্লা পাড়া ইউনিয়নে আমপাড়া ও পাড়া মাইজপাড়া গ্রামের বিজয়পুরের সাদা মাটির অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম খনিজ সম্পদের মধ্যে সাদামাটি অন্যতম বৃহৎ খনিজ সম্পদ ছোট বড় মোট জেলা পাহাড় সমতলভূমি জুড়ে প্রায় ১৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘায় ও ৬০০ মিটার প্রস্থ এখানে অঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের বুড়োর তথ্য অনুযায়ী ১৯৫৭ সালে এই অঞ্চলটি সাদা মাটির পরিমাণ ধরা হয় ৭০ হাজার মেট্রিক টন যা বাংলাদেশকে ৩০০ বছরের চাহিদা পূরণ করতে পারবে

চিনামাটির ইতিহাস না জানলে ১৯৫৭ সাল থেকে এ মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু করে এবং ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম কোহিনুর অ্যালমনিয়াম ওয়াকার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই সাদামাটি উত্তোলনের কাজ শুরু করে এবং ১৯৭৩ সালে বিসিআইসি সাদামাটি উত্তোলনে যোগ দেয় বর্তমানে মোট নয়টি কোম্পানি এ সাদামাটি উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে এ সাদামাটি উত্তোলনের প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক জড়িত রয়েছে নয়ন ভীরাম সুন্দর্য মনকে আকর্ষণীয় করে তোলে সাদা গোলাপি হলুদ বেগুনি খয়েরী নিলাম বিভিন্ন রঙের মাটির পাহাড় চোখে পড়ে থাকে তবে সাদামাটি এলাকা জুড়ে আদিবাসীদের বসতিও রয়েছে

যাওয়ার উপায়

ঢাকা মহাখালী থেকে বাসযোগে ময়মনসিংহ ভায়া বাসে রামগঞ্জ দুর্গাপুর নেত্রকোনা থেকে দুর্গাপুর আসতে হবে এরপরে সোমেশ্বরী নদী অর্ধ কাঁচা পাকা রাস্তা দিয়ে বিজয়পুরের সাদামাটি অঞ্চলে চলে যেতে পারবেন।

বিরিশিরি কালচার একাডেমি নেত্রকোনা

আরো পড়ুনঃরাজার পাহাড় শেরপুর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (রাঃ) এর মাজার শরীফ

নেত্রকোনা জেলার সেরা দর্শনের স্থানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও মুসলমানদের ইসলাম প্রচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন সুখের নাম হল হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (রাঃ) নেত্রকোনা জেলার শহর হতে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে কেন্দুয়া সড়কের পাশে হযরত শাহ সুলতান ওমর উদ্দিন রুমি (রাঃ) এর মাজার শরীফ অবস্থিত এ মাজারটি দেখার জন্য প্রতি বছর হাজারো মানুষের ঢল নেমে থাকে তবে এ মাজারের প্রতিবছর ওরস অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে

ফাল্গুনী মাসের পূর্ণিমার সময় এই ওরস অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে সাধারণত মাছ মার্চের ৭-৮-৯ তারিখের এই মাজার শরীফের  দিনগুলি পালিত হয়ে থাকে। ঐতিহাসিকদের মতে সাত থেকে নয় তারিখে ওরসের দিন পালন করা হয়।

আমাদের শেষ কথা