চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান: প্রকৃতির এক লুকানো স্বর্গরাজ্যে ভ্রমণ গাইড

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান: এক অপূর্ব সৌন্দর্য লীলাভূমি ভ্রমণ গাইড প্রিয় পাঠক , আজকের আর্টিকেলে চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান: প্রকৃতির এক লুকানো স্বর্গরাজ্য ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব। বিস্তারিত জানতে, আমাদের সঙ্গে থাকুন।

চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা উপজেলার বান্দরবান জেলার পাইন্দু পাড়া গ্রামে অবস্থিত। বাগালেক থেকে রুমার যাওয়ার পথিমধ্যে গভীর জঙ্গলে অপূর্ব সৌন্দর্য  চিংড়ি ঝর্ণার দেখা মিলবে।

পেজ সূচিপত্রঃচিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান: প্রকৃতির এক স্বর্গরাজ্যে ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে জানতে পড়ুন

• চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান: প্রকৃতির এক স্বর্গরাজ্যে
• চিংড়ি ঝর্ণার নামকরণ
• চিংড়ি ঝর্ণায় যা দেখবেন
• চিংড়ি ঝরনা যাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন
• চিংড়ি ঝরনায় কিভাবে যাবেন
• চিংড়ি ঝর্ণা ভ্রমণে কোথায় থাকবেন
• চিংড়ি ঝর্ণা ভ্রমণে কোথায় খাবেন
• চিংড়ি পাহাড় ট্যুরে যা নিবেন
• প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন
• চিংড়ি ঝরনা ভ্রমণে সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর পর্ব
• চিংড়ি ঝর্ণার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান
• উপসংহার

চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান: প্রকৃতির এক স্বর্গরাজ্যে

চিংড়ি ঝর্ণা গভীর পাহাড়ে মাঝে লুকিয়ে থাকা এক প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি। নীরব নিস্তব্ধ শীতল পানির ধারা, এই ঝর্ণাটিকে মায়াবী ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসা স্বচ্ছ পানির শব্দ চারিপাশে প্রশান্তিময় আবহাওয়া মনকে শান্ত করে। এই পাহাড়ি দেশে শত শত ছোট বড় ঝর্ণা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো চিংড়ি ঝরনা। এই ঝর্ণার চারিপাশে সবুজ পাহাড় বড় বড় পাথরের স্তর এবং ঘন  বনায়ন প্রকৃতির এক অনন্য দৃশ্য । সূর্যের আলোর ছটা পাহাড়ি ঝর্ণার পানিতে পড়ে রুপালি আলো ছড়ায় প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য দেখে মনে হয় নিজ হাতে অলংকার পরিয়েছে।

চিংড়ি ঝর্ণা বর্ষা মৌসুমে বহুগুনে প্রবাহমান ও শক্তিশালী হয়ে  আকর্ষণীয় ও জীবন্ত দৃশ্যপট তৈরি করে। শীত মৌসুমে শান্ত ও কোমলতার নরম স্পর্শ মনকে গহীন থেকে সাড়া  জোগায়। এই ঝর্ণার আশেপাশে বিভিন্ন প্রকৃতির রূপ স্তরে স্তরে সাজানো আছে । পাখির ডাক , পাতার ফাঁক দিয়ে ঝিরিঝিরি বাতাস বয়ে যায় , দূরে সবুজ শ্যামল পাহাড়ে নিরবতা সৌন্দর্যের স্বর্গীয় অনুভূতি প্রকাশ পায়। এ যেন এক সত্যি প্রকৃতির স্বর্গ রাজ্য ।

চিংড়ি ঝর্ণার নামকরণ

চিংড়ি ঝরনা নামকরণের পিছনে এখানকার এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে , রুমা বান্দরবানে ছোট ছোট জলধারা মিলে ঝর্ণা তৈরি হয়। বর্ষা মৌসুমে এসব ঝর্ণার পানিতে ছোট ছোট চিংড়ি মাছ দেখা যায় । যা এই ঝর্ণার নামকরণে মূল উৎস।

অন্য বর্ণনায় এসেছে স্থানীয়রা বর্ষাকালে এখানে চিংড়ি ধরা ।বা পানির সঙ্গে ভাসমান চিংড়ির কারণেই এই ঝর্ণাকে চিংড়ি ঝর্ণা বলে ডাকেন ।

চিংড়ি ঝর্ণায় যা দেখবেন

চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান পৌঁছে ,পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রকৃতির নানান রূপ চোখে পড়বে । পাহাড়ের এই নিদর্শন গুলো একসাথে উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।

প্রকৃতির স্বচ্ছ পানির পুল

চিংড়ি ঝরনার নিচে ছোট ছোট পাহাড়ের স্তর যেগুলো দিয়ে গড়িয়ে পড়ে ছোট্ট ছোট্ট জল ধরা।এই জলধারা পানির পুলের সৃষ্টি হয় । এখানে পা ভিজিয়ে বা গোসল করে আরাম নেওয়া যায়। এই পুলের পানি এতটাই স্বচ্ছ ,যে নিচের গুড়ি পাথরের প্রতিচ্ছবি উপর থেকে পরিষ্কার দেখা যায়। সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে এই পানি স্বর্ণালী রং ধারণ করে । যার সৌন্দর্য চিংড়ি পাহাড়ের প্রতিটি স্তরের রং বদলে থাকে।

আরো পড়ুনঃমারায়ংতং পাহাড় আলীকদম প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতায় ভরপুর বান্দরবান ভ্রমণ গাইড

পাহাড়ি বনায়ন ও সবুজ প্রকৃতি

চিংড়ি ঝর্ণা পাহাড়ি বনায়ন ও সবুজ প্রকৃতির মধ্যে লুকিয়ে আছে রহস্যময় সৌন্দর্য ।এর চারপাশে ঘনবন বাঁশঝাড় গাছপালা উপর থেকে নেমে আসা লতা গুল্ম উপরের দিকে তাকালে বাহারি রঙের ফুলের সমাহার , এই ফুলের  সুগন্ধে মুখরিত করে রাখে। হঠাৎ করে গাছের ফাঁক দিয়ে সূর্যমামার উজ্জ্বল ঝিলিক পানিতে পড়ে চারিদিক আলোকিত করে তোলে । যা ফটো শুটের জন্য সেরা স্থান।

প্রকৃতির নীরবতা ও শান্ত পরিবেশ

চিংড়ি ঝরনায় গিয়ে প্রকৃতির সুন্দর নিদর্শন আপনার মনকে গভীর থেকে  শান্ত শীতল করবে । এখানকার নিস্তব্ধতা ও নীরব পরিবেশ পাহাড়ের নির্জনতা শহরের কোলাহল থেকে দূরে মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় । তারসাথে নির্মল স্নিগ্ধ বাতাস হৃদয়ের গভীর থেকে আনন্দের নাড়া দিয়ে যায় । যতদূর চোখ যায় শুধু নির্মলতা আর নির্জনতা মনকে মাতিয়ে রাখে। চিংড়ি ঝর্ণার এমন নীরবতা ও শান্ত পরিবেশ সত্যি অসম্ভব রকমের আনন্দ উপভোগ করার মানসিকতা সৃষ্টি করে।

পাহাড়ি পাখি  ও বন্যপ্রাণী

চিংড়ি ঝরনার অন্যতম সৌন্দর্য হল । পাহাড়ি পাখির ডাক রংবেরঙের পাখির দেখা শীত মৌসুমে এসব অঞ্চলে বিভিন্ন রঙের পাখি এসে থাকে । এ সমস্ত পাখির মিষ্টি মধুর সুর চারিদিক মাতোয়ারা করে । সৌভাগ্যবান হলে দূর থেকে বানর বা অন্যান্য বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেতে পারে।এছাড়া ছোট বড় বিভিন্ন রকমের প্রাণী এই জন্য আশপাশেই দেখা মিলবে।

চিংড়ি ঝর্ণার মূল আকর্ষণ

চিংড়ি ঝরনা পাহাড়ের বুক চিরে নেমে আসা স্বচ্ছ পানির শীতল প্রবাহমান ঝরনা । যেখানে এই ঝর্ণার মূল আকর্ষণীয় হলো নিচে বড় বড় পাথরের ধাপ , যেখানে গড়িয়ে পড়ে ছোট্ট ছোট্ট পানির জলধারা , এই পাথরের উপরে বসে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন রকমের ফটোশুট দিয়ে , নিজেদেরকে এই ঝর্ণার সাথে ক্যামেরা বন্দি করে রাখে।

পাহাড়ি পথে ট্রাকিং এর অভিজ্ঞতা

ঝরনায় পৌঁছানোর আগে , যেখান থেকে ট্রাকিং শুরু , সেখান থেকে পাহাড়ি রূপরেখার বিভিন্ন সৌন্দর্য নিদর্শন,তার মধ্যে হল টেকিং এর অভিজ্ঞতা। এ পাহাড়ের মধ্য দিয়ে হাটার সময় , পাশ দিয়ে বয়ে চলে বিভিন্ন জলধারা ,আরেক পাশে পাহাড়ের বিশাল সবুজ বনায়ন নিচ দিয়ে আঁকাবাঁকা নুড়ি পাথর ও মাটির  রাস্তা ।

বর্ষা মৌসুমে প্রবল সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ

বর্ষাকালে চিংড়ি ঝরনার সৌন্দর্য প্রবলভাবে বিকশিত হয় । এ ঝর্ণাধারা পানির প্রবাহের চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণে , সৌন্দর্য আরো জীবন্ত নাটকীয় রূপ ধারণ করে । এই সময় সবুজ বনায়ন ও পানির স্রোতধারা এমনভাবে আত্মপ্রকাশ করে, যেন দর্শনার্থীদের মনে সৌন্দর্যের বিশেষ স্থান দখল করে রাখে। বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকে আছে । তবু এ সময় যদি আসতে পারেন তাহলে  এই ঝরনা উপভোগ করার ষোলআনা পূর্ণ হবে।

আরো দেখুনঃসীতা পাহাড় রাইখালী বিশুদ্ধতায় পরিপূর্ণ কাপ্তাই  পর্যটনকেন্দ্র

চিংড়ি ঝরনা যাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন

চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান ট্যুরের জন্য সেরা সময় নির্ধারণ করা হয় "অক্টোবর থেকে মার্চ মাস" এ সময় আবহাওয়া আরামদায়ক শুষ্ক থাকে । ঝর্ণার পরিষ্কার টলমলে পানি থাকে এবংট্র্যাকিংয়ের এর পথ তুলনামূলক নিরাপদ থাকে। শীত মৌসুম ছবি তোলার সেরা সময়। এছাড়া আপনি চাইলে বর্ষার সময়  যেতে পারেন।তবে পথ বিপদজনক হয়ে থাকে বন্যার পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা থাকে।

সকাল আটটা থেকে এগারোটার মধ্যে এই জায়গায় পৌঁছালে ভিড় কম থাকে । এ সময় আলো বেশি পাবেন । আর সন্ধ্যা আগে  ফিরে আসার চেষ্টা করবেন ।

চিংড়ি ঝরনায় কিভাবে যাবেন

চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান: যার জন্য কিছুটা কষ্টসাধ্য হবে । তবুও ভ্রমণটি অ্যাডভেঞ্চার ও রোমাঞ্চকর হবে । নিচে চিংড়ি ঝরনা যাওয়ার সুস্পষ্ট রুট তুলে ধরা হলো ।

সরাসরি ঢাকা কল্যাণপুর সায়েদাবাদ ও গুলিস্থান থেকে বাসে বান্দরবান যেতে হবে । যে সমস্ত বাসগুলো এর উঠে চলাচল করে তার নামগুলো নিচে তুলে ধরা হলো

বাসের নাম

হানিফ পরিবহন

শ্যামলী পরিবহন

সৌদিয়া পরিবহন

সেন্টমার্টিন পরিবহন

ডলফিন পরিবহন

দেশ ট্রাভেল

এস আলম পরিবহন

ইউনিক পরিবহন

রাত্রি আটটা থেকে দশটার মধ্যে এই বাসগুলো বান্দরবানের উদ্দেশ্য  চলাচল করে থাকে

ঢাকা থেকে বান্দরবান যেতে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সময় লাগে

বাসের ভাড়া লাগে মোটামুটি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা এসি বাসের ভাড়া ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা

বান্দরবান থেকে রুমা যেতে চাঁদের গাড়ি অথবা জিপ গাড়ি নিতে হবে  তিন থেকে চার ঘন্টায়  রুমায় পৌঁছে যাবেন । রিজার্ভ ভাড়া নিবেন ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা এগুলো ১০ থেকে ১২ জনের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে হবে।

রুমা বাজারে পৌঁছে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে এখান থেকে স্থানীয় গাইড নিয়ে ট্রাকিং শুরু করতে হবে । ঘন পাহাড়ি বন ও ছোট্ট ছোট্ট গুড়ি পাথরের রাস্তা পাড়ি দিয়ে , পাশ  দিয়ে বয়ে চলা এই ঝর্ণার পানি অসম্ভব সৌন্দর্য দেখায়। শীত মৌসুমে দুই ঘন্টা থেকে আড়াই ঘন্টার এ ঝর্ণায়  পৌঁছে যাবেন।

চিংড়ি ঝর্ণা ভ্রমণে কোথায় থাকবেন

চিংড়ি ঝর্ণা রুমা উপজেলার বান্দরবান জেলা সদরে থাকার সুব্যবস্থা আছে । আপনি চাইলে সেখানে থাকতে পারেন । আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু বান্দরবান সদরে আবাসিক হোটেলের নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা জেনে নিতে পারেন।

জনপ্রিয় হোটেল সমূহ

হোটেল হিল ভিউ

হোটেল গ্রীনল্যান্ড

হোটেল প্লাজা

হোটেল নীলাচল 

হোটেল স্বর্ণাল

প্রতি রাতে আনুমানিক ১২০০ থেকে ৩৫০০ টাকা খরচ পড়বে

এসব হোটেলে ভালো ও উন্নত মানের খাবারের সেবা পাবেন

নিরাপদ পরিবেশ পাবেন 

পরিবার নিয়ে থাকার সুব্যবস্থা আছে

রুমা বাজারে থাকার জন্য আপনাকে গেস্ট হাউস অথবা গেস্ট হাউজ নিতে হবে উপজেলা রেস্ট হাউসের জন্য আগাম অনুমতির প্রয়োজন

রুম ভাড়া ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে

এখানকার প্রধান সুবিধা হল ঝর্ণার কাছাকাছি থাকা

ভোরবেলা ট্র্যাকিং শুরু করা যায়

গাইড সহজেই পাওয়া যায়

আরো পড়ুনঃসাকা হাফং বান্দরবান: সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ   ভ্রমণ গাইড

এছাড়াও উপজাতিদের হোমস্টে আছে সেখানেও থাকতে পারেন ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা এর সাথে খাবার ফ্রি পাবেন।

চিংড়ি ঝর্ণা ভ্রমণে কোথায় খাবেন

চিংড়ি ঝরনা ভ্রমণে রুমা বাজারে অথবা বান্দরবান শহরে কিংবা  উপজাতিদের হোমেস্টে অগ্রিম বুকিং দিয়ে খেয়ে নিতে পারেন

হোমেস্টে খাওয়ার জন্য

ভাত 

ডাল

সবজি

ডিম ভাজি

দেশি মাছের ঝোল

এছাড়া আপনি চাইলে এমন খাবার রুমা বাজারও পেতে পারে প্রতিবেলা খাবারে আনুমানিক খরচ পড়বে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা

বান্দরবান শহরে খেতে চাইলে কয়েকটি ভালো মানের রেস্টুরেন্ট পাবেন এর মধ্যে ভালো মানের খাবারের হোটেল হল

হিল টপ রেস্টুরেন্ট

গ্রিনল্যান্ড রেস্টুরেন্ট

নিরিবিলি রেস্টুরেন্ট

পাহাড়িকা রেস্টুরেন্ট

রোডের সাইডে খাবারের দোকান গুলো পাবেন

প্রতিবেলা খাবারের জন্য ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হবে

চিংড়ি পাহাড় ট্যুরে যা নিবেন

চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান: ভ্রমণের সময় সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকা খুব জরুরী নিচের দরকারি জিনিসগুলোর তালিকা তুলে ধরা হলো

গ্রিপের জুতা

শুকনা জামা কাপড়

অতিরিক্ত জামা কয়েক সেট

রেইনকোট এবং ওয়াটারপ্রুফ ব্যাকপ্যাক

পানির বোতল দুই লিটার

প্রাথমিক ওষুধ পত্র

মোবাইল ফোনের পাওয়ার ব্যাংক

টর্চ লাইট

ক্যামেরা

এনআইডি কার্ডের ফটোকপি

জরুরি ফোন নাম্বার লিখে রাখা

তোয়ালে

সানস্ক্রিন

পলিথিন ব্যাগ

মশা নিরোধক স্প্রে

প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন

চিংড়ি ঝরনা পাহাড়ি দুর্গম পথ অতিক্রম করার সময় কিছু নিরাপদ পন্থা অবলম্বন করতে হবে নিচে সতর্ক গুলো তুলে ধরা হলো

স্থানীয় গাইড ছাড়া যাবেন না

পিচ্ছিল পথে ধীরে চলুন

বর্ষা মৌসুমে হঠাৎ বন্যার পানি বেড়ে যেতে পারে এদিকে খেয়াল রাখবেন

ভারী বৃষ্টির সময় ঝর্ণায় নামবেন না

আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখেশুনে যাত্রা করুন

ঝর্ণার পানি সরাসরি পান করবেন না

পর্যাপ্ত স্যালাইন পানি সঙ্গে রাখবেন

শরীর দুর্বল লাগলে বিশ্রাম নিবেন

মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকতে পারে প্রয়োজনে রবি সিম  ব্যবহার করবেন

ঘন ঝপঝাড়ে হাত দিবেন না

যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না

স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন

ফিরে আসা পর্যন্ত অনুমতি পত্র সঙ্গে রাখবেন

চিংড়ি ঝরনা ভ্রমণে সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর পর্ব

প্রশ্নঃচিংড়ি ঝরনা ভ্রমণের সেরা সময় কখন

উত্তরঃ অক্টোবর থেকে মার্চ মাস

প্রশ্নঃচিংড়ি ঝর্ণা যেতে অনুমতি লাগে কি

উত্তরঃজি হ্যাঁ বান্দরবান জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি পত্র লাগে

প্রশ্নঃচিংড়ি ঝরনায় যেতে গাইড নেওয়া বাধ্যতামূলক কি

উত্তরঃঅত্যন্ত জরুরি , নিরাপত্তার জন্য

প্রশ্নঃঝর্ণায় গোসল করা কি নিরাপদ

উত্তরঃবর্ষা মৌসুমের জন্য গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ শীত মৌসুমে নিরাপদ

প্রশ্নঃচিংড়ি ঝর্ণা খাবারের দোকান আছে কি

উত্তরঃআশেপাশে কোন খাবারের দোকান নাই রুমা বাজার ছাড়া

প্রশ্নঃপরিবার নিয়ে যাওয়া যাবে কি

উত্তরঃছোট বয়স্কদের জন্য ট্রাকিং কঠিন হতে পারে বাড়তি সতর্কতা লক্ষ্য রাখতে হবে

প্রশ্নঃচিংড়ি ঝরনার নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা কেমন

উত্তরঃদুর্বল অনেক জায়গায়

প্রশ্নঃরুমা বাজারে কোথায় থাকবেন

উত্তরঃরুমা বাজার বা গেস্ট হাউসে

প্রশ্নঃএকদিনের রোমান্টিক ঝর্ণা ঘুরে আসা যাবে কি

উত্তরঃবান্দরবান থেকে ঘুরে আসা সম্ভব তবে রুমায় এক রাত কাটালে ভ্রমণ আরামদায়ক হয় ।

চিংড়ি ঝর্ণার আশেপাশে দর্শনীয় স্থান

চিংড়ি ঝরনা ভ্রমণে গেলে আশেপাশে আরো সুন্দর সুন্দর জনপ্রিয় পর্যটন স্থান আছে । সেগুলো ঘুরে দেখে নিতে পারেন । নিচে স্থানগুলো উল্লেখ করা হলো

বগালেক বান্দরবানের অন্যতম জনপ্রিয় পাহাড়ি হ্রদ

নীলগিরি পর্যটনকেন্দ্র বান্দরবানের অন্যতম উচ্চ ও সাজানো পর্যটন স্পট

নীলাচল বান্দরবান শহরের কাছে অবস্থিত এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখা যায়

রুমা ঝরনা রুমা বাজারে আরেকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঝর্ণা

কেও  ক্রাডং ট্রেইল বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ পাহাড়ের পথ ।

আরো জানুনঃপ্রান্তিক লেক বান্দরবান:এক অপরূপ প্রকৃতিক বিস্ময়  ভ্রমণ গাইড 

এছাড়াও সাঙ্গু নদী উৎপত্তিস্থল পাহাড়ের বুক চিরে পড়ে যাওয়া এই নদী উৎপত্তিস্থল বান্দরবানে ছবি তোলার জন্য বেশ চমৎকার জায়গা ।

উপসংহার

চিংড়ি ঝর্ণা , রুমা বান্দরবান: সত্যি প্রকৃতির এক লুকানো স্বর্গরাজ্য ।স্বচ্ছ পানির ঝর্ণা , চারিপাশে সবুজ বনায়ন ,  লতা গুল্ম নীরব শান্ত পরিবেশ ,রোমাঞ্চকর ট্র্যাকিং , সবমিলিয়ে ভ্রমন পিপাসুদের এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে । আশা করছি বুঝতে পেরেছেন । এর পর যদি কোন প্রশ্ন  থাকে, আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন ।সঠিক তথ্যের মাধ্যমে আপনাদের উপকৃত  করা হবে ।

চিংড়ি ঝরনা আর্টিকেলটি ,যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে । তাহলে আত্মীয়-স্বজনের নিকট  ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে শেয়ার করে দিবেন । কারণ আমরা এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন  আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনাদের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে, আজকের মত এ পর্যন্ত শেষ করছি ।আল্লাহ হাফেজ ।